উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়

উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার (পূর্বে উয়েফা ইউরোপে বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার নামে পরিচিত) হলো একটি নারী ফুটবল পুরস্কার, যেটি পূর্ববর্তী মৌসুমে ইউরোপের একটি ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলা সেরা নারী খেলোয়াড়কে প্রদান করা হয়। এই পুরস্কারটি উয়েফা ম্যান'স প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার পুরস্কার প্রচলনের দুই বছর পর, সর্বপ্রথম ২০১৩ সালে প্রদান করা হয়।[১]

উদ্বোধনী বছরে দুই জার্মান ফুটবলার নাদিন আঙ্গেরারলেনা গোবলিং এবং সুইডিশ ফুটবলার লোট্টা স্কেলিন শীর্ষ ৩ জনের জন্য নির্বাচিত হন। উক্ত বছরের ৫ই সেপ্টেম্বর, জার্মান ফুটবলার নাদিন আঙ্গেরার প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসেবে উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার জয়লাভ করতে সক্ষম হন।[১][২]

মানদণ্ড এবং ভোটদান[সম্পাদনা]

উয়েফা অনুযায়ী, মনোনীত খেলোয়াড়দের "সকল প্রতিযোগিতা, উভয় ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক এবং ক্লাব ও জাতীয় দলের" হয়ে তাদের খেলার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয়।[১] উদ্বোধনী পুরস্কারের জন্য, ২০১৩ উয়েফা নারী ইউরোর গ্রুপ পরবে খেলা ১২ জাতীয় দলের কোচ এবং ২০১২–১৩ উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা ৮ ক্লাবের কোচদের ভোটে খেলোয়াড়দের মনোনীত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইউরোপীয় স্পোর্টস মিডিয়া দ্বারা নির্ধারিত নারী ফুটবলের ১৮ ক্রীড়া সাংবাদিকদের দ্বারা মনোনীত খেলোয়াড়দের থেকে নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেক নির্বাচক শীর্ষ ৩ খেলোয়াড়ের তালিকা নির্ধারণ করেন, যেখানে তারা তাদের প্রথম পছন্দকে ৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় পছন্দকে ৩ পয়েন্ট এবং তৃতীয় পছন্দকে ১ পয়েন্ট প্রদান করেন। এই প্রাথমিক পর্যায়ের ভোট থেকে শীর্ষ ৩ খেলোয়াড়দের মনোনীত করা হয় এবং বাকি চতুর্থ থেকে দশম স্থান পর্যন্ত খেলোয়াড়দের নির্ধারণ করা হয়। এই পুরস্কারের বিজয়ী, দ্বিতীয় স্থান বা রানার-আপ এবং তৃতীয় স্থান উক্ত শীর্ষ ৩ মনোনীত খেলোয়াড়দের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়, যেটি উয়েফা নারী চ্যাম্পিয়নস লীগের ৩২ দলের পর্ব এবং ১৬ দলের পর্বের ড্রয়ের সময় সংগঠিত হয়।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বিজয়ী[সম্পাদনা]

সাল ১ম ২য় ৩য়
উয়েফা ইউরোপে বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার
২০১২–১৩ জার্মানি নাদিন আঙ্গেরার (ফ্রাঙ্কফুর্ট) জার্মানি লেনা গোবলিং (উলফসবুর্গ) সুইডেন লোট্টা স্কেলিন (লিওঁ)
২০১৩–১৪ জার্মানি নাদিন কেবলার (উলফসবুর্গ) জার্মানি মার্তিনা মুলার (উলফসবুর্গ) সুইডেন নিলা ফিশার (উলফসবুর্গ)
২০১৪–১৫ জার্মানি সিলিয়া সাসিচ (ফ্রাঙ্কফুর্ট) ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি (লিওঁ) জার্মানি জেনিফার মারোজান (ফ্রাঙ্কফুর্ট)
২০১৫–১৬ নরওয়ে আদা হেগারবার্গ (লিওঁ) ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি (লিওঁ) জার্মানি জেনিফার মারোজান (ফ্রাঙ্কফুর্ট)
উয়েফা বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড় পুরস্কার
২০১৬–১৭ নেদারল্যান্ডস লিয়েকে মার্টেন্স (বার্সেলোনা) ডেনমার্ক পার্নিল হার্ডার (উলফসবুর্গ) জার্মানি জেনিফার মারোজান (ফ্রাঙ্কফুর্ট)

খেলোয়াড় অনুযায়ী[সম্পাদনা]

খেলোয়াড় প্রথম স্থান দ্বিতীয় স্থান তৃতীয় স্থান
জার্মানি নাদিন আঙ্গেরার
জার্মানি নাদিন কেবলার
জার্মানি সিলিয়া সাসিচ
নরওয়ে আদা হেগারবার্গ
নেদারল্যান্ডস লিয়েকে মার্টেন্স
ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি
জার্মানি লেনা গোবলিং
জার্মানি মার্তিনা মুলার
ডেনমার্ক পার্নিল হার্ডার
১০ জার্মানি জেনিফার মারোজান
১১ সুইডেন লোট্টা স্কেলিন
সুইডেন নিলা ফিশার

দেশ অনুযায়ী[সম্পাদনা]

দেশ প্রথম স্থান দ্বিতীয় স্থান তৃতীয় স্থান
 জার্মানি
 নরওয়ে
 নেদারল্যান্ডস
 ফ্রান্স
 ডেনমার্ক
 সুইডেন

ক্লাব অনুযায়ী[সম্পাদনা]

ক্লাব প্রথম স্থান দ্বিতীয় স্থান তৃতীয় স্থান
জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
জার্মানি উলফসবুর্গ
ফ্রান্স লিওঁ
স্পেন বার্সেলোনা

চূড়ান্ত প্রতিযোগী[সম্পাদনা]

      বিজয়ী       চূড়ান্ত প্রতিযোগী

২০১২–১৩[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
জার্মানি নাদিন আঙ্গেরার ১০ জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
জার্মানি লেনা গোবলিং জার্মানি উলফসবুর্গ
সুইডেন লোট্টা স্কেলিন ফ্রান্স লিওঁ
জার্মানি নাদিন কেবলার ১৬ জার্মানি উলফসবুর্গ
স্পেন ভেরোনিকা বোকেত ১১ সুইডেন টাইরেসো
সুইডেন ক্যারোলিন সেগার সুইডেন টাইরেসো
সুইডেন নিলা ফিশার সুইডেন লিঙ্কোপিং
জার্মানি সিলিয়া সাসিচ জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
ফ্রান্স ওয়েন্দি রেনার্দ ফ্রান্স লিওঁ
১০ ফ্রান্স লুইসা নেকিব ফ্রান্স লিওঁ
উৎস:[৩][৪]

২০১৩–১৪[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
জার্মানি নাদিন কেবলার জার্মানি উলফসবুর্গ
জার্মানি মার্তিনা মুলার জার্মানি উলফসবুর্গ
সুইডেন নিলা ফিশার জার্মানি উলফসবুর্গ
জার্মানি লেনা গোবলিং জার্মানি উলফসবুর্গ
স্পেন ভেরোনিকা বোকেত সুইডেন টাইরেসো
সুইডেন লোট্টা স্কেলিন ফ্রান্স লিওঁ
ব্রাজিল মার্তা সুইডেন টাইরেসো
জার্মানি আলেক্সান্দ্রা পপ জার্মানি উলফসবুর্গ
সুইডেন ক্যারোলিন সেগার সুইডেন টাইরেসো
১০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিস্টেন প্রেস সুইডেন টাইরেসো
উৎস:[৫]

২০১৪–১৫[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
জার্মানি সিলিয়া সাসিচ ১১ জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি ফ্রান্স লিওঁ
জার্মানি জেনিফার মারোজান জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
স্পেন ভেরোনিকা বোকেত জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
জার্মানি আনিয়া মিত্তাগ সুইডেন রোজেনগার্ড
ফ্রান্স ইগিনি লে সোমার ফ্রান্স লিওঁ
সুইজারল্যান্ড রামোনা বাখমান সুইডেন রোজেনগার্ড
ফ্রান্স ওয়েন্দি রেনার্দ ফ্রান্স লিওঁ
সুইডেন ক্যারোলিন সেগার ফ্রান্স পারি সাঁ-জেরমাঁ
১০ জার্মানি নাদিন আঙ্গেরার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পোর্টল্যান্ড থর্নস
জার্মানি সিমন লাউদেহর জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
১২ জার্মানি আলেক্সান্দ্রা পপ জার্মানি উলফসবুর্গ
উৎস:[৬]

২০১৫–১৬[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
নরওয়ে আদা হেগারবার্গ ১৩ ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি ফ্রান্স লিওঁ
জার্মানি জেনিফার মারোজান জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
জাপান সাকি কুমাগাই ১১ ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স ওয়েন্দি রেনার্দ ১০ ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স লুইসা নেকিব ফ্রান্স লিওঁ
জার্মানি আলেক্সান্দ্রা পপ জার্মানি উলফসবুর্গ
ফ্রান্স কামিলি আবিলাই ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স ইগিনি লে সোমার ফ্রান্স লিওঁ
১০ ফ্রান্স আমেল মাজরি ফ্রান্স লিওঁ
উৎস:[৭][৮]

২০১৬–১৭[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
নেদারল্যান্ডস লিয়েকে মার্টেন্স ৯৫ স্পেন বার্সেলোনা
ডেনমার্ক পার্নিল হার্ডার ৮১ জার্মানি উলফসবুর্গ
জার্মানি জেনিফার মারোজান ৪৭ ফ্রান্স লিওঁ
নেদারল্যান্ডস ভিভিয়ানে মিয়েদেমা জার্মানি বায়ার্ন মিউনিখ
ফ্রান্স ইগিনি লে সোমার ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স ওয়েন্দি রেনার্দ ফ্রান্স লিওঁ
নেদারল্যান্ডস জ্যাকি গ্রোনেন জার্মানি ফ্রাঙ্কফুর্ট
ইংল্যান্ড লুসি ব্রোঞ্জ ইংল্যান্ড ম্যানচেস্টার সিটি
ইংল্যান্ড জডি টেইলর ইংল্যান্ড আর্সেনাল
১০ নেদারল্যান্ডস শানিস ভ্যান দে সান্দেন ইংল্যান্ড লিভারপুল
উৎস:[৯][১০]

২০১৭–১৮[সম্পাদনা]

স্থান খেলোয়াড় প্রথম পর্ব চূড়ান্ত পর্ব দল
ডেনমার্ক পার্নিল হার্ডার জার্মানি উলফসবুর্গ
নরওয়ে আদা হেগারবার্গ ফ্রান্স লিওঁ
ফ্রান্স আমান্দিন হেনরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পোর্টল্যান্ড থর্নস
জার্মানি জেনিফার মারোজান ৩২ ফ্রান্স লিওঁ
ইংল্যান্ড লুসি ব্রোঞ্জ ২০ ফ্রান্স লিওঁ
নেদারল্যান্ডস লিয়েকে মার্টেন্স ১৭ স্পেন বার্সেলোনা
ফ্রান্স ওয়েন্দি রেনার্দ ১৬ ফ্রান্স লিওঁ
ইংল্যান্ড ফ্রান কিরবি ১৫ ইংল্যান্ড চেলসি
ফ্রান্স ইগিনি লে সোমার ১৩ ফ্রান্স লিওঁ
১০ নেদারল্যান্ডস শানিস ভ্যান দে সান্দেন ফ্রান্স লিওঁ
উৎস:[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Saffer, Paul (৯ জুলাই ২০১৩)। "Best Women's Player in Europe Award launched"। UEFA। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৩ 
  2. Paddy, Higgs (৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "Germany goalkeeper Nadine Angerer is UEFA's European footballer of the year"। Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 
  3. "Angerer, Schelin and Goessling shortlisted"। UEFA। ৬ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০১৩ 
  4. "UEFA Best Women's Player in Europe 2012/13: final votes" (পিডিএফ)। UEFA। 
  5. "Nadine Kessler and Cristiano Ronaldo voted UEFA Best Players in Europe 2013/14"। UEFA। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৮ 
  6. "Célia Šašić and Lionel Messi voted UEFA Best Players in Europe 2014/15"। UEFA। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৮ 
  7. "Hegerberg, Henry, Marozsán are women's nominees"। UEFA। 
  8. "Ada Hegerberg voted Best Women's Player in Europe"। UEFA। 
  9. "Harder, Marozsán and Martens on women's shortlist"। UEFA। 
  10. "Martens named 2016/17 Women's Player of the Year"। UEFA। 
  11. "Women's Player of the Year shortlist: Harder, Hegerberg, Henry"। UEFA। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]