উদয়ী নলফুটকি
উদয়ী নলফুটকি Acrocephalus orientalis | |
---|---|
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত. | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | প্যাসারিফর্মিস |
পরিবার: | Acrocephalidae (পূর্বে Sylviidae) |
গণ: | Acrocephalus |
প্রজাতি: | A. orientalis |
দ্বিপদী নাম | |
Acrocephalus orientalis (টেমিঙ্ক & Schlegel, ১৮৪৭) |
উদয়ী নলফুটকি (Acrocephalus orientalis) দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পাখি। আগে একে পশ্চিম ইউরেশিয়ার Acrocephalus arundinaceus প্রজাতিটির একটি উপপ্রজাতি বলে মনে করা হত।
দৈহিক গঠন
[সম্পাদনা]দেহ ১৮-২০ সেমি., তবে ডানা ২৩-২৬ সেমি. দীর্ঘ হয়। দেহের উপরিভাগের পালক বাদামি বর্ণের। লেজে সাদা পালক দেখা যায়। দেহের নিচের দিক সাদাটে, পেটের দিকে এবং লেজের নিচের দিকের ভিত্তি পালকের বর্ণে বাদামি ভাব রয়েছে। চোখে ঘন কালো দাগ এবং চোখের উপরে সাদাটে দাগ দেখা যায়। লম্বা, ভারী চঞ্চুটি বাদামি বর্ণের তবে নিচের দিক গোলাপি বর্ণের এবং মুখের অভ্যন্তরভাগ উজ্জ্বল কমলা বর্ণের হয়। পা দুটি হয় ধূসর বর্ণের। পাখিটি গান করে তবে এরা জোরালো, কর্কশ কণ্ঠে ডাকে যা শুনতে অনেকটা চ্যাক ধ্বনির মত মনে হয়।
বিস্তৃতি এবং বাসস্থান
[সম্পাদনা]প্রজনন ক্ষেত্র সাইবেরিয়া,মঙ্গোলিয়া, উত্তর, মধ্য এবং পূর্ব চীন, কোরিয়া এবং জাপান। শীতকাল-এ দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া তে আগমন করে যার বিস্তৃতি উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া। কখনো কখনো নিউগিনি এবং অস্ট্রেলিয়াতে পৌঁছায়। তবে একে অপ্রত্যাশিতভাবে ইসরায়েল এবং কুয়েত-এ পাওয়া গেছে। পোকামাকড় এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীর খোঁজে এটি জলাবন, বীরুৎ আচ্ছাদিত জলাশয়, শস্যক্ষেত্র এবং তৃণভূমিতে বসবাস করে।
জীবনচক্র
[সম্পাদনা]এদের প্রজনন এলাকা ছোট হয় এবং এরা উচ্চ জনসংখ্যা ঘনত্ত্ব অর্জন করতে পারে। ভূমি থেকে ১-১.৫ মিটার উপরে বাসা বাঁধে এবং তাতে ২-৬টি ডিম দেয়। এরপর ১২-১৪ দিন ধরে ডিম নিষিক্ত করে। ১০-১৫ দিন বয়সে পাখির ছানা অন্যত্র চলে যায়। Mustela sibirica এবং Elaphe গণের সাপ এদের প্রধান শত্রু।
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
কলকাতা
-
কলকাতা
-
কলকাতা
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- Dyrcz, Andrzej & Nagata, Hisashi (2002) "Breeding ecology of the Eastern Great Reed warbler Acrocephalus arundinaceus orientalis at Lake Kasumigaura, central Japan[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]", Bird Study 49: 166-171.
- MacKinnon, John & Phillipps, Karen (2000) A Field Guide to the Birds of China, Oxford University Press, Oxford.
- Robson, Craig (2002) A Field Guide to the Birds of South-East Asia. New Holland, London.
- Snow, D. W. & Perrins, C. M. (1998) Birds of the Western Palearctic: Concise Edition, Vol. 2, Oxford University Press, Oxford.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Oriental Bird Images ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে