বিশ্ব হিজাব দিবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিশ্ব হিজাব দিবস
বিশ্ব হিজাব দিবসের ২০১৯ সালের পোস্টার
তারিখ (সমূহ)১ ফেব্রুয়ারি
পুনরাবৃত্তিবার্ষিক
প্রতিষ্ঠিত২০১৩ (2013)
প্রতিষ্ঠাতানাজমা খান
ওয়েবসাইট
worldhijabday.com

বিশ্ব হিজাব দিবস ২০১৩ সালে নাজমা খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বার্ষিক কার্যক্রম।[১] কার্যক্রমটি প্রতিবছর ১লা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ১৪০টি দেশে অনুষ্ঠিত হয়।[২] এটি চালু করার উদ্দেশ্য হলো, সমস্ত ধর্ম এবং স্তরের নারীদের হিজাব পরিধান এবং অভিজ্ঞতা অর্জনে উৎসাহিত করা। কার্যক্রমটির আয়োজকেরা এটিকে অমুসলিম নারীদের হিজাবের অভিজ্ঞতা অর্জনের একটি বিশেষ সুযোগ হিসাবে বর্ণনা করেন।[৩]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে মরিয়ম নামাজি বিশ্ব হিজাব দিবসকে বিশ্ব মহিলা যৌনাঙ্গহানি দিবস বা বিশ্ব বাল্য বিবাহ দিবসের সাথে তুলনা করে সমালোচনা করেছিলেন। সেদিন বিবিসির এক প্রতিবেদনে তাকে উদ্ধৃত করা হয়েছিল:[৪]

ইরানের মহিলা ফুটবল দলের হিজাব সম্পর্কে তিনি একটি ব্লগ পোস্টে এই দাবী করেছিলেন যে: "গত কয়েক দশক ধরে 'অনুচিত' পর্দার অভিযোগে কয়েক মিলিয়ন নারী ও মেয়েকে হয়রান করা হয়েছে, জরিমানা করা হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

"ইরানের আকাশসীমা ত্যাগ করা মাত্রই দেখা যায় ওড়না সরিয়ে ফেলা হচ্ছে; যে ব্যক্তি কখনো ইরান বিমান ফ্লাইটে ভ্রমণ করেছেন তিনি আমার এই কথাটির সত্যায়ন করতে পারবেন।"

"এবং যে কেউ ইরান সম্পর্কে কিছু জানে, সে বাধ্যতামূলক পর্দা এবং যৌন বর্ণবাদ বিরোধী যে দীর্ঘ ও কঠোর সংগ্রাম হয়েছিল তা জানে।"

২০১৪ সালে মরিয়াম নামাজি ওড়না প্রত্যাখ্যান এবং প্রতিরোধকারী মহিলাদের প্রতি একাত্মতার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন পোস্ট আশরা নোমানী এবং হালা আরাফার একটি মতামত প্রকাশ করেছিল, "মুসলিম মহিলা হিসাবে আমরা আপনাকে আন্তঃসংহতির নামে হিজাব না পরতে বলি"।[৫] তারা দাবী করেছিল যে, এই কার্যক্রমটি "বিভ্রান্তিমূলক ব্যাখ্যা" ছড়িয়ে দেয় যে হিজাব সর্বদা স্বেচ্ছায় পরা হয় এবং "হিজাব" এর সঠিক অর্থ মাথার ওড়না।

২০১৭ সালে প্রকাশিত তার নিজস্ব মতামতে মাজিদ নওয়াজ আগের নোমানী ও আরাফার বক্তব্যটির উল্লেখ করেছিলেন এবং এই কার্যক্রমটিকে "অতীতের চেয়েও খারাপ" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, এমনকি তিনি নামটি পরিবর্তন করে "হিজাব ইজ এ চয়েস ডে" করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।[৬]

২০১৮ সালে কানাডার মানবাধিকার প্রচারকারী ইয়াসমিন মোহাম্মদ হিজাব অপসারণে সামাজিক ভৎসনা এবং রাষ্ট্রকে অস্বীকারকারী মহিলাদের উদযাপনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে একটি #নোহিজাবডে প্রচার শুরু করেছিলেন।[৭] তিনি বলেছিলেন:

নো হিজাব ডে হলো হিজাব থেকে মুক্ত হতে চান এমন বিশ্বব্যাপী সাহসী মহিলাদের সমর্থন করার দিন। যে মহিলারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে চান যে তাদের মাথায় কী পরবেন বা কী পরবেন না। যেসব মহিলারা হিজাব অপসারণের জন্য বা রূঢ় পরিবার এবং সমাজ, এমনকি নারীবিদ্বেষী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যারা তাদের বন্দী করে রাখে, অপব্যবহার করে এবং হত্যাও করে।[৮]

টীকা[সম্পাদনা]

  1. Grima, Nathalie. "An Affair of the Heart": Hijab Narratives of Arab Muslim Women in Malta." Implicit Religion 16, no. 4 (December 2013): 461-481. Academic Search Complete, EBSCOhost.
  2. Jones, Nicky. "Beneath the Veil: Muslim Girld and Islamic Headscarves in Secular France." Macquarie Law Journal 9, (May 2009): 47-69. Academic Search Complete,EBSCOhost.
  3. Prusher, Ilene. "World Hijab Day: Muslims debate where the headscarf belongs." Christian Science Monitor, 4 September 2012. N.PAG, Academic Search Complete, EBSCOhost
  4. Vyas, Sapna. "Identity Experiences of Young Muslim American Women in the Post 9/11 Era " Encounter 21, no. 2 (Summer2008 2008): 15-19. Academic Search Complete, EBSCOhost.
  5. ZAHEDI, ASHRAF. "Muslim American Women in the Post-11 September Era." International Feminist Journal of Politics 13, no. 2 (June 2011): 183-203. Academic Search Complete, EBSCOhost.
  6. "Participating Countries - World Hijab Day." World Hijab Day. N.p., n.d. Web. 5 March 2016.
  7. "Assemblyman David Weprin issues statement in support of ‘World Hijab Day’", 1 February 2016. [১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "World Hijab Day - Better Awareness. Greater Understanding. Peaceful World" (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ 
  2. Participating Countries। "Worldwide Support" (ইংরেজি ভাষায়)। ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে। ১০ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬ 
  3. "ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে"। Facebook.com। ২৭ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬ 
  4. Nye, Catrin (২০১৩-০১-৩১)। "Hijab for a day: Non-Muslim women who try the headscarf"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৯ 
  5. "As Muslim women, we actually ask you not to wear the hijab in the name of interfaith solidarity"দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ডিসে ২০১৫। ২১ ডিসে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৯ 
  6. মাজিদ নওয়াজ। "The Great Hypocritical Muslim Cover-Up" (ইংরেজি ভাষায়)। দ্যা ডেইলি বিষ্ট। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৬ 
  7. "'Removing your hijab can get you killed – even in the West'"স্পাইকড (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  8. Mohammed, Yasmine। "Support Muslim women in fight against hijab"টরেন্টো সান (ইংরেজি ভাষায়)। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯