ইলেক্ট্রোউইক তারা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইলেক্ট্রোউইক তারা হলো এক ধরনের তাত্ত্বিক বহির্নক্ষত্র যদ্দ্বারা নক্ষত্রের মহাকর্ষীয় পতন ইলেক্ট্রোউইক জ্বলনের অর্থাৎ কোয়ার্ককে লেপটনে রূপান্তরিত করার সময় ইলেক্ট্রোউইক মিথষ্ক্রিয়ায় যে শক্তি নির্গত হয় তার ফলে উৎপন্ন বিকিরণ চাপ দ্বারা প্রতিহত হয়। এই প্রক্রিয়াটি তারার কেন্দ্রে ঘটে যার আয়তন একটি আপেলের কাছাকাছি এবং ভর প্রায় দুইটি পৃথিবীর সমান।[১]

গঠন[সম্পাদনা]

সুপারনোভা ধস

তাত্ত্বিকভাবে, একটি নক্ষত্রের সুপারনোভা ধসের পরের পর্যায়টি হলো সেই পর্যায় যখন ইলেক্ট্রোউইক তারা উৎপন্ন হয়। ইলেক্ট্রোউইক তারাগুলি কোয়ার্ক তারার তুলনায় ঘন এবং এরা উৎপন্ন হতে পারে যখন কোয়ার্ক অবক্ষয় চাপ আর মহাকর্ষীয় আকর্ষণকে প্রতিহত করতে পারে না কিন্তু ইলেক্ট্রোউইক জ্বলনের ফলে উৎপন্ন বিকিরণ চাপ দ্বারা তা প্রতিরোধীত হয়। তারার জীবনের এই পর্যায়টি ১০ ​​মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।[১]

একটি ইলেক্ট্রোউইক তারার নির্গত শক্তি কোয়ার্ক সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল যা মহাকর্ষীয় পতন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। প্রত্যেকটি মিথস্ক্রিয়ায় নয়টি কোয়ার্ক তিনটি অ্যান্টি-লেপ্টনে রূপান্তরিত হয়, বি-এল সংরক্ষণ করার সময় বেরিয়োন এবং লেপটন সংখ্যার নিত্যতা লঙ্ঘীত হয় যেখানে মিথস্ক্রিয়া প্রতি ৩০০ উৎপন্ন হয়। তারার বাইরে বিচ্ছুরিত এই শক্তি নিউট্রিনো এবং ফোটনের মিশ্রণ হিসাবে নির্গত হয়। নিউট্রিনো দোলনকে বিবেচনা করে, ইলেক্ট্রোউইক তারাগুলিকে তিনটি পর্যায়ে নির্গত সমান সংখ্যক নিউট্রিনোগুলির মাধ্যমে চিহ্নিত করা যেতে পারে।[২]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Shiga, D. (৪ জানুয়ারি ২০১০)। "Exotic stars may mimic big bang"New Scientist। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 
  2. Dai, De-Chang; Lue, Arthur; Starkman, Glenn; Stojkovic, Dejan (৬ ডিসেম্বর ২০১০)। "Electroweak stars: How nature may capitalize on the standard model's ultimate fuel"Journal of Cosmology and Astroparticle Physics2010 (12): 004–004। আইএসএসএন 1475-7516ডিওআই:10.1088/1475-7516/2010/12/004