বিষয়বস্তুতে চলুন

আলী আজগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলী আজগর
মৃত্যু১৬ জুলাই ২০২০
পেশাপদার্থবিজ্ঞানী, লেখক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার

আলী আজগর (মৃত্যু: ১৬ জুলাই ২০২০) একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[] তিনি ছিলেন বাংলাদেশে বিজ্ঞানচর্চা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। গবেষণা ও শিক্ষকতার পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্লাব গড়ে বিজ্ঞানচর্চার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।

শিক্ষা

[সম্পাদনা]

আসগর ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি এবং ১৯৬২ সালে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭০ সালে ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বুয়েটে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবেও পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন তিনি।[]

অধ্যাপক আলী আসগর গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ছিলেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সস-এর ফেলো এবং বাংলাদেশ জার্নাল অব ফিজিক্স-এর চিফ এডিটর ছিলেন। একসময়ে শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক সংগঠন খেলাঘরের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছেন। খেলাঘর আন্দোলনকে বিকশিত করতে আলী আসগরের অবদান অনন্য। বিজ্ঞান খেলাঘরের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত খেলাঘরের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।[]

বিজ্ঞান বিষয়ক একাধিক বইয়ের লেখক তিনি। তার লেখা বই: ‘সময় প্রসঙ্গে’, ‘ভাষা ও বিজ্ঞান’, ‘বিজ্ঞান প্রতিদিন’, ‘বিজ্ঞানের বিচিত্র জগত থেকে’, ‘বিজ্ঞানের মজার প্রজেক্ট’, ‘বিজ্ঞান ও সমাজ’, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের পথে’, ‘পরিবেশ ও বিজ্ঞান’, ‘বিজ্ঞানের দিগন্তে’, ‘বিজ্ঞান আন্দোলন’। দেশি- বিদেশি বিভিন্ন জার্নালে তার লেখা শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।[]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]
  • ২০১২ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার
  • বিজ্ঞানে অবদানের জন্য ড. মনিরুজ্জামান স্বর্ণপদক
  • বিজ্ঞানবিষয়ক লেখালেখির জন্য ড. কুদরত-ই-খুদা স্বর্ণপদক
  • দেশে বিজ্ঞানকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে মার্কেন্টাইল ব্যাংক স্বর্ণপদক []

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

তিনি ১৬ জুলাই ২০২০ রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে মস্তিষ্কজনিত রোগে ভুগছিলেন। বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]