আলাপ:কৃষ্ণ
আলোচনা যোগ করুনএই পাতাটি কৃষ্ণ নিবন্ধের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনার জন্য আলাপ পাতা। | |||
| নিবন্ধ সম্পাদনার নীতিমালা
|
উইকিপ্রকল্প হিন্দুধর্ম | ||||||||||||||
|
নিবন্ধের লেখা এবং গল্প/কাহিনীর আধিক্য
[সম্পাদনা]নিবন্ধটির লেখা কৃষ্ণের বিষয়ে গল্প-কাহিনীতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কাহিনীগুলো এখানকার বদলে উইকিসংকলনেই যথোপযুক্ত। উদাহরণ হিসাবে ইংরেজি উইকির ভুক্তিটি দেখা যেতে পারে -- ওখানে কিন্তু প্রচলিত কাহিনী পুনরাবৃত্তির বদলে সংক্ষেপে কৃষ্ণের জীবনী এক অনুচ্ছেদে, এবং তার পর কৃষ্ণের সম্পর্কে অন্যান্য তথ্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই ভুক্তিটি অবিলম্বে পুনর্লিখন করা দরকার। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৬:৪৭, ১২ মার্চ ২০০৯ (ইউটিসি)
yes you are right 103.148.98.49 (আলাপ) ০৭:৩১, ২ মার্চ ২০২১ (ইউটিসি)
কৃষ্ণ
[সম্পাদনা]জয়ন্ত ভাই বলেছেন যে আমি vandalism করছি। মনসা নিবন্ধে আমি যা লিখেছি তা পুরান অনুসারে শতকরা একশত ভাগ সত্য। এই তথ্যটুকুর উল্লেখ প্রয়োজন কারন এই জন্যই মনসার নাম হয়েছে পদ্মা। আর আপনি Vandalism বলছেন কারন জিনিসটি আধুনিক সুসভ্য সমাজের দৃষ্টিকোন থেকে অথবা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে খুব একটা সুরুচিকর না। কিন্তু কোন পৌরানিক চরিত্রেরই বিশ্বকোষীয় ব্যাখ্যা ধর্মীয় ভাবাবেগ দিয়ে করা উচিত না, সম্পূর্ন লৌকিক দৃষ্টিকোন দিয়ে করা উচিত। কথাটা কৃষ্ণের ক্ষেত্রে বেশী করে সত্য কারন পৌরানিক ব্যাখ্যায় শ্রীকৃষ্ণ সত্যই ছিলেন কামুক, বহুগামী এবং অত্যধিক ইন্দ্রিয়পরায়ন। গোকুলে অবস্থানকালে প্রতিটি গোপীর সঙ্গে তার দৈহিক মিলন তো হয়েই ছিল তারপর দ্বারকায় ১৬১০৮ রমনীকে তিনি সম্ভোগ করে প্রত্যেকের গর্ভে দশটি পুত্রসন্তান লাভ করেছিলেন। এছাড়া মহাভারতের অন্যান্য বহু চরিত্রের মতই (যেমন অর্জুন) শ্রীকৃষ্ণ যেস্থানেই ভ্রমণার্থ অথবা অন্য কোন কারনে যেতেন সেখানেই তিনি কোন না কোন রমণীর সঙ্গে সহবাসে লিপ্ত হতেন। কেবলমাত্র পঞ্চদশ ষোড়শ শতকে ভারতে বৈষ্ণবধর্ম এবং ভক্তিবাদের সূচনালগ্ন থেকে ধর্মপ্রচারকগণ নিজেদের স্বার্থে নানাভাবে এগুলির অপব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। এমনকী শ্রীকৃষ্ণের শৃঙ্গারকেও বৈষ্ণব সাহিত্যে নিষ্কাম রতিক্রিয়া বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গোকুলে শ্রীকৃষ্ণের অন্যতম সঙ্গিনী (মেনে নিতে আপত্তি থাকলেও আসলে শয্যাসঙ্গিনী) রাধিকাকে শ্রীকৃষ্ণের এক স্ত্রী রুক্মিনীরই অংশ বলে চালানোর অপচেষ্টা হয়েছে। কৃষ্ণকে যেনতেনপ্রকারেণ দেবত্ব পাইয়ে দেবার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের অন্যান্য অনেক অসাধারন গুণ ছিল। তিনি ছিলেন অসামান্য বলবান বীর এবং ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন কূটনীতিক। কিন্তু যেটা তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য (সেটা আধুনিক সমাজে যতই দৃষ্টিকটূ হোক) সেটার প্রতিও সমান গুরুত্ব আরোপ করা হবে না কেন। শ্রীকৃষ্ণের জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে sensuality। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন পুরুষোত্তম এবং বহুরমণীসম্ভোগেই ছিল তাঁর পৌরুষের পূর্ণ প্রকাশ। কোন ঐতিহাসিক ব্যক্তির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে লাম্পট্য থাকলে তা প্রকাশে উইকিপিডিয়ার কোন আপত্তি না থাকলে পৌরানিক চরিত্রের বেলায় ব্যাপারটা কেন আলাদা হবে। তাছাড়া পুরানে শ্রীকৃষ্ণের এই বহুগামিতাকে কোথাও দোষ বলে উল্লেখ করা হয় নাই। শ্রীকৃষ্ণের পুত্ররা এবং অন্যান্য যাদবরাও বহুপত্নীক ছিলেন, যদিও এদের সকলের চাইতে শ্রীকৃষ্ণের পত্নীসংখ্যাই ছিল সর্বাধিক। সুতরাং পৌরানিক এই সত্যটুকু স্বীকার করে নিতে আমাদের দ্বিধা কোথায়। এই বহুস্ত্রীগমনের মধ্যে দিয়েই আমাদের কাছে শ্রীকৃষ্ণ পরিপূর্ণ সুন্দর হয়ে উঠেছেন। বহু নারীর সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের এই নিরন্তর প্রেমলীলা থেকে তাঁকে অনর্থক পৃথক করার চেষ্টা করলে জনমানসে অঙ্কিত তাঁর চিরসুন্দর মূর্তিটিই হারিয়ে যাবে। গোপবালাদের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের লীলামধুর সম্পর্কের যে বর্ণনা তাকে বিনষ্ট করার কোন অধিকার আমাদের নাই। যতই এই সম্পর্কের ভিতরে কামগন্ধ বা শৃঙ্গাররস থাকুক তাকে সঙ্গে নিয়েই আমাদের চলতে হবে। এতে শ্রীকৃষ্ণের ধর্মীয় মাহাত্ম্য কিছুমাত্র কমবে তো না, বরং বৃদ্ধি পাবে। গোপীগণ রমণীমোহন দেহের অধিকারী সুপুরুষ শ্রীকৃষ্ণের অপার্থিব রূপে মুগ্ধ হয়ে তাঁর সঙ্গসুখপ্রার্থী ছিলেন। তারা স্বেচ্ছায় শ্রীকৃষ্ণের কাছে তাদের শরীর মন সব কিছু দিয়ে দিয়েছিলেন। সেই কারনে এবং নিজস্ব কামনাকে তৃপ্ত করতেই শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে মিলিত হতেন। এই দৈহিক মিলন নিষ্কাম ছিলনা কিন্তু নিষ্পাপ ছিল। শুধুমাত্র ভিক্টোরিয় মানসিকতার বশবর্তী হয়ে একে নিষিদ্ধ করতে চাইলে আমাদের সংস্কৃতির এক অমূল্য সম্পদকে হারাব আমরা। শ্রীকৃষ্ণ গোপবালাদের সঙ্গে শৃঙ্গারলীলা (amorous sport) না করলে তাঁকে কী আমরা শ্যামসুন্দর, গোপিনীবল্লভ, বহুবল্লভ, রাধারমণ এই সমস্ত অপূর্ব নামে ডাকতে পারতাম। আফনি আমাকে block করে দিতেই পারেন কিন্তু এভাবে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়কে সভ্য সমাজের নিয়ম মেনে জোর করে অস্বীকার বা অগ্রাহ্য করে কী আমাদের গৌরব খুব একটা বাড়বে।--শ্রিল শ্রিযুক্ত বাবু প্রভাত কুমার বন্দোপাধ্যায় ১০:২৩, ৪ মে ২০০৯ (ইউটিসি)