আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি এন্ড ট্রান্সফিউশন
আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি এন্ড ট্রান্সফিউশন হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাগার ও রক্ত সঞ্চালন কেন্দ্র। এটি ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনন্য সাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানটিকে “চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয়।[১] আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির বর্তমান কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল নিশাত জোবাইদা।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি এন্ড ট্রান্সফিউশন ১৯৫১ সালে “আর্মি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরী” (Army Pathological Laboratory - APL) নামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো হলোঃ[৩]
- কেন্দ্রীয় রেফারেল পরীক্ষাগার হিসাবে সেবা প্রদান করা;
- সাধারণভাবে পুরো জাতিকে এবং বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ডায়াগনিস্টিক পরীক্ষাগার সুবিধা প্রদান করা;
- একটি প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সেবা দান করা;
- বিদেশে মিশনে, তথা, জাতিসংঘ বাহিনীতে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান করা।
পুরস্কার ও সম্মননা
[সম্পাদনা]চিকিৎসা ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে দেশের “সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার”[৪][৫][৬] হিসাবে পরিচিত “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রদান করা হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে।[১]
উল্লেখ্য, এর প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে পরিচিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদুর রহমান চৌধুরী (১ জুন ১৯২৮ - ২৪ জুন ১৯৯৯)-ও চিকিৎসা সেবা ও গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে “স্বাধীনতা পুরস্কার” প্রচলনকালীনই “চিকিৎসাবিদ্যায় স্বাধীনতা পুরস্কার” লাভ করেন।[১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের তালিকা"। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "দেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি"। Bangla Tribune। ২০১৮-০৯-৩০। ২০২১-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৭।
- ↑ "Affiliated Colleges / Academies / Institution"। Bangladesh University of Professionals (BUP)। ২ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ সানজিদা খান (জানুয়ারি ২০০৩)। "জাতীয় পুরস্কার: স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ০৯ অক্টোবর ২০১৭।
স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য); ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য) - ↑ "স্বাধীনতা পদকের অর্থমূল্য বাড়ছে"। কালেরকন্ঠ অনলাইন। ২ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "এবার স্বাধীনতা পদক পেলেন ১৬ ব্যক্তি ও সংস্থা"। এনটিভি অনলাইন। ২৪ মার্চ ২০১৬। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৭।