আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্র

الجمهورية العربية الإسلامية (আরবি)
আল-জুমহুরিয়া আল-আরাবিয়া আল-ইসলামিয়া
আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা
পতাকা
প্রচলিত ভাষাআরবি
ধর্ম
ইসলাম
সরকারমিত্রসংঘ (দে জুরি, বাস্তবায়িত হয় নি)
ঐতিহাসিক যুগআরবীয় স্নায়ুযুদ্ধ
আয়তন
• মোট
১৯,২৩,৬১০ কিমি (৭,৪২,৭১০ মা)
বর্তমানে যার অংশতিউনিসিয়া
লিবিয়া

আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্র (আরবি: الجمهورية العربية الإسلامية আল-জুমহুরিয়া আল-আরাবিয়া আল-ইসলামিয়া) ছিল ১৯৭৪ সালে তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ার একটি প্রস্তাবিত একীকরণ, যা লিবিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান মুয়াম্মর গাদ্দাফি এবং তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি হাবিব বুরগিবা-এর সম্মতিতে গৃহীত হয়েছিল।

পরবর্তীতে মরক্কো এবং আলজেরিয়া-কে প্রস্তাবিত একত্রীকরণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু একত্রীকরণ প্রস্তাবনাটি কখনই বাস্তবায়িত হয়নি।

আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ার মধ্যে একীভূতকরণের প্রচেষ্টা ঐতিহাসিক এবং আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল। তিউনিসিয়া, মরক্কো এবং আলজেরিয়ার সংবিধানে অন্তর্নিহিত মাগরেবি ঐক্যের আদর্শে মাগরেবি আঞ্চলিক রাজনীতির ভূমিকা রয়েছে,[১] যদিও এই আদর্শের বিপরীতে রয়েছে এই অঞ্চলের প্রধান দুই শক্তি, মরক্কো এবং আলজেরিয়ার স্বার্থের দ্বন্দ্ব। তিউনিসিয়ার পণ্ডিত হাবিব স্লিমের মতে, "যদি শুধুমাত্র আলজেরিয়া থাকত এবং মরক্কো না থাকত, অথবা শুধু মরক্কো থাকত এবং আলজেরিয়া না থাকত, তবে মাগরিব অঞ্চল বলে কোনকিছু থাকত না। প্রধান শক্তি আমাদের সবাইকে গ্রাস করত। মাগরিবের জন্য এই অঞ্চলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির পারস্পারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রয়োজন রয়েছে।"[২] এইভাবে মাগরেবের মধ্যে একীকরণের প্রচেষ্টা প্রায়শই এই অঞ্চলের একটি বা উভয় প্রধান শক্তির সাথে ভারসাম্য বজায় রাখার উপায় হিসেবে দেখা দেয়।

উপরন্তু, সর্ব-আরববাদ আরব বিশ্বের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে। মুয়াম্মর গাদ্দাফি এই মতাদর্শের একজন সুপরিচিত প্রবক্তা ছিলেন, ফলে মিশর, সিরিয়া, সুদান এবং তিউনিসিয়ার মতো বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্রের সাথে একত্রীকরণের জন্য তিনি কাজ করেছিলেন। তিনি মধ্য-আফ্রিকান রাষ্ট্র চাদ-এর সাথেও ঐক্যের চেষ্টা করেছেন। তিউনিসিয়া প্রাথমিকভাবে গাদ্দাফির উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণ ছিল, কিন্তু লিবিয়ার নেতা ১৯৭১ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিস সফর করেন,[৩] এবং শেষ সফরের সময় তিউনিস শহরে একটি মিছিলে লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার মধ্যে একটি ঐক্যকে সমর্থন করার কথা বলেছিলেন৷[৪] নিজের বাড়িতে রেডিওতে গাদ্দাফির লাইভ বক্তৃতা শুনে প্রেসিডেন্ট বুরগিবা মিছিলে ছুটে আসেন, যেখানে গাদ্দাফিকে বক্তৃতা শেষ করতে দেওয়ার পর তিনি মঞ্চে আসেন এবং এই ধারণার বিরোধিতা করেন যে "আরবরা কখনও ঐক্যবদ্ধ ছিল, দ্রুত আরব ঐক্য গঠন সংক্রান্ত গাদ্দাফির সমস্ত ধারণাকে খারিজ করে দিয়েছিলেন এবং এমনকি লিবিয়ানদেরকে তাদের নিজস্ব জাতীয় ঐক্যের অভাব এবং পশ্চাৎপদতার বিষয়ে দায়ী করেছিলেন।"[৪] দৃঢ় লিবিয়া-মিশর সম্পর্ক মাগরেব নেতাদের চিন্তায় ফেলেছিল, যারা তাদের পূর্ব সীমান্তে মিশর এর নৈকট্যকে ভয় করত, ফলে লিবিয়াকে মিশরীয় প্রভাব থেকে দূরে টেনে আনতে তারা কাজ করেছিল।[৫] আলজিয়ার্স-এ অনুষ্ঠিত জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন-এর চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলনে বুরগিবা আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া এবং লিবিয়াকে একীভূত করে "উত্তর আফ্রিকা যুক্তরাষ্ট্র" গঠনের আহ্বান জানান, যা তিনি "একটি অনির্দিষ্ট সময়কাল ধরে ধাপে ধাপে সংঘটিত হবে" বলে প্রস্তাব করেছিলেন।[৬][৭]

জেরবা ঘোষণা[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালের ১১ জানুয়ারী বুরগিবা এবং গাদ্দাফি জেরবা ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন, যাতে রাষ্ট্র দুটিকে "আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্র" নামক একটি একক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য প্রতিশ্রুতি ছিল।[৮] চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল জেরবা (Djerba) দ্বীপে ফলে এটি "জেরবা ঘোষণা" বা "জেরবা চুক্তি" নামে পরিচিতি পায়।[৮] এই বিষয়ে ভোট দেওয়ার জন্য দেশ দুটিতে গণভোটের সময় নির্ধারণ করা হয়। গাদ্দাফির পক্ষ থেকে অন্য রাষ্ট্রের সাথে ঐক্য অর্জনের চেষ্টার স্বতঃস্ফূর্ত কৌশলটি মিশরের সাথে পূর্ববর্তী একত্রীকরণের প্রচেষ্টার চেয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করে, যেখানে দীর্ঘ আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।[৯] এটা হতে পারে যে বুরগিবা লিবিয়া এবং তিউনিসিয়ার মধ্যে একত্রীকরণের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন, কারণ তিনি একটি আঞ্চলিক মিত্র চেয়েছিলেন এবং লিবিয়াকে মিশর থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন।[১০]

একত্রীকরণের চুক্তিটি পর্যবেক্ষকদের কাছে বিস্ময়কর ছিল, কারণ ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে তিউনিসে গাদ্দাফির বক্তৃতার ফলে উদ্ভূত উত্তেজনার কারণে মনে করা হয়েছিল যে বুরগিবা এই ধারণাটিকে সমর্থন করেননি। সমর্থনের এই পরিবর্তনটি সেই সময়ে লিবিয়ায় কাজ করা ৩০,০০০ তিউনিসিয়ানদের উপস্থিতির কারণে প্রভাবিত হতে পারে, যা তিউনিসিয়ার অর্থনীতিতে সহায়তা করছিল।[১১] যেহেতু তিউনিসিয়া উদ্বৃত্ত শ্রম, এক বিলিয়ন বিদেশী ঋণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অভাবে ভুগছিলো, সম্পদে ধনী কিন্তু স্বল্প শ্রমিক সংবলিত লিবিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ঐক্য একটি আকর্ষণীয় বিকল্প হিসেবে দেখে দিয়েছিল।[১২] কেন বুরগিবা ঐক্যে সম্মত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তা পুরোপুরি জানা যায়নি, তবে এটি জানা যায় যে জেরবা চুক্তিকে তিউনিসিয় ও আলজেরীয়রা সন্দেহের চোখে দেখছিল। সেইসাথে রাষ্ট্রদুটির বাইরেও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিকভাবে এই চুক্তির বিষয়ে সন্দেহ ছিল।[৯]

আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্রের "একক সংবিধান, একক সেনাবাহিনী এবং একক রাষ্ট্রপতি" থাকার কথা ছিল৷[১১] চুক্তির অধীনে, বুরগিবা রাষ্ট্রপতি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু গাদ্দাফি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাখতে চেয়েছিলেন।[১৩] জেরবা ঘোষণার পূর্বে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে "বাণিজ্য, শুল্ক, বিনিয়োগ, অভিবাসী কর্মীদের জন্য প্রবিধান, সামাজিক নিরাপত্তা এবং একটি যৌথ শিপিং কোম্পানির সৃষ্টি" ইস্যুতে একক ও পৃথক বিষয় নিয়ে কাজ করে এমন একাধিক চুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল,[১১] তবে চুক্তিগুলোতে রাষ্ট্র দুটির মধ্যে একত্রীকরণের বিষয়টি প্রকাশ্যে উল্লেখ করা হয়নি। বুরগিবার বাইরে ঐক্যের জন্য সমর্থন তিউনিসিয়ার সরকারের মধ্যে অন্যদের কাছ থেকে এসেছে, এই ভেবে যে এটি তিউনিসিয়ার অর্থনীতিকে আরও উপকৃত করবে; সবচেয়ে বিশিষ্ট সমর্থক ছিলেন তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ মাসমুদি[১১]

একত্রীকরণটি কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল তা বিতর্কিত, কিছু সূত্র দবি করে যে এটি এক মাস স্থায়ী হয়েছিল, আবার অন্য কিছু সূত্র দাবি করে যে এটি মাত্র এক দিন স্থায়ী হয়েছিল এবং তৃতীয় কিছু সূত্র ইঙ্গিত করে যে এটি কয়েক দিন স্থায়ী হয়েছিল৷[১৪] যদিও জানা যায় যে তিউনিসিয়া চুক্তিটি স্বাক্ষর করার পরপরই পুনর্বিবেচনা করে, কারণ তিউনিসিয়া একত্রীকরণ থেকে অর্জিত অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে চেয়েছিল ঠিকই, কিন্তু সার্বভৌমত্বের বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত ছিল না।[১৫] ফলে, তিউনিসিয়ার সমাজতান্ত্রিক পিএসডি দল একত্রীকরণের পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল এই বলে যে ব্যবস্থাটি যথেষ্ট পরিষ্কার ছিল না এবং রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে গঠন করা হবে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয় নি। বুরগিবা আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্র গঠনের বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন।[১৫] ফলশ্রুতিতে ১৯৭৪ সালের ১২ জানুয়ারি ঘোষিত তিউনিসিয়ায় গণভোট স্থগিত করা হয়। বুরগিবা কর্তৃক চুক্তি থেকে তিউনিসিয়াকে অপসারণের পর, একত্রীকরণের সবচেয়ে বড় সমর্থক, তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসমুদিকে বরখাস্ত করা হয়।[১৫]

চুক্তিটি বাতিল হওয়ার পূর্বে গাদ্দাফি ভেবেছিলেন যে এই অঞ্চলের মধ্যে একটি একত্রীকরণ, আঞ্চলিক একত্রীকরণ এবং শেষ পর্যন্ত আরব বিশ্বের একত্রীকরণের দিকে নিয়ে যাবে।[১৬] একত্রীকরণের সূচনা এবং পতনের পরে, লিবিয়ার সাথে একত্রীকরণের ঘোষণা করার ফলে বুরগাবির সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা ও তিউনিসিয়ার নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।[১৭] বেচির বেন ইয়াহমেদ, একজন তিউনিসিয়ার সাংবাদিক উল্লেখ করেছেন, "আমার জন্য, তিনি [বুরগুইবা] জানুয়ারী, ১৯৭৪ সালে জেরবাতে মারা যান, যখন গাদ্দাফির সাথে কয়েক মিনিটের মুখোমুখি বৈঠকের সময়, তিনি হোটেলের স্টেশনারিতে স্বাক্ষর করেছিলেন একত্রীকরণের সেই বিখ্যাত সনদ।"[১৮]

জেরবা ঘোষণার ব্যর্থতা[সম্পাদনা]

মতাদর্শগত পার্থক্যের ফলস্বরূপ, একীভূতকরণটি কেমন হবে তা নিয়েও যথেষ্ট মতভিন্নতা ছিল। বুরগিবা মনে করেছিলেন, তৎকালীন সময়ের এক দশক পরে গঠিত আরব মাগরেব ইউনিয়ন এর মত, রাষ্ট্রগুলো নিজেরা বিলুপ্ত হবে না বরং তাদের সীমানা "কার্যকরী একীকরণ" এর মাধ্যমে "সহযোগীভাবে প্রবেশযোগ্য" হয়ে উঠবে।[১৯] বিপরীতভাবে, গাদ্দাফি লিবিয়া এবং তিউনিসিয়াকে আরব ইসলামী প্রজাতন্ত্রে সম্পূর্ণ একীভূত করতে আগ্রহী ছিলেন। তিনি লিবিয়াকে একটি আঞ্চলিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে একটি বিপ্লবী আন্দোলন হিসেবে দেখেছিলেন। গাদ্দাফি মনে করতেন যে তারা একই জনগোষ্ঠীর অংশ এবং সীমানা শুধুমাত্র অভিজাত শাসকশ্রেণি এবং সাম্রাজ্যবাদী দখলদারদের দ্বারা সৃষ্ট বিভাজনের একটি মাধ্যম।[১৯]

সর্বশেষ, আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমস্যা ছিল। যেমনটি পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৭৩ সালের পর থেকে লিবিয়া-মিশর সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে। মিশরীয় হুমকির হ্রাসের আলোকে, আলজেরিয়া মনে করে একীভূত হওয়ার আর প্রয়োজন নেই, এমনকি লিবিয়ার সাথে একীভূত হওয়াটা অবাঞ্ছিত এবং তারা তিউনিসিয়ারও লিবিয়ার সাথে একীভূতকরণের পক্ষপাতী ছিল না।[২০] ফলে, প্রজাতন্ত্র গঠনের ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে আলজেরিয়া তিউনিসিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দেয়, যদি তিউনিসিয়া একত্রীকরণে এগিয়ে যায়।[২১] লিবিয়া কর্তৃক তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও ছিল। যাই হোক না কেন, লিবিয়ার সাথে একত্রীকরণ কখনই বাস্তবায়িত হতে পারেনি এবং ফলস্বরূপ দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Aghrout, A. & Sutton, K. (1990). Regional Economic Union in the Maghrib. The Journal of Modern African Studies, 28(1), 115
  2. Deeb, M. J. (1989). Inter-Maghribi Relations Since 1969: A Study of the Modalities of Unions and Mergers. Middle East Journal, 43(1), 22
  3. Wright, J. 2008. The Emergence of Libya. London: Silphium Press, 344-5
  4. Wright, J. 1981. Libya: A Modern History. London: Croom Helm, 165
  5. Deeb, M. J. (1989). Inter-Maghribi Relations Since 1969: A Study of the Modalities, Unions and Mergers. Middle East Journal, 43(1), 23
  6. Deeb, M. J. (1989). Inter-Maghribi Relations Since 1969: A Study of the Modalities of Unions and Mergers. Middle East Journal, 43(1), 24
  7. Africa research bulletin: economic, financial and technical series, Volume 10, 1973
  8. Simons, G. 1993. Libya: The Struggle for Survival. New York: St. Martin's Press, 253
  9. Wright, J. 1981. Libya: A Modern History. London: Croom Helm, 165.
  10. Deeb, M. J. "Socialist People's Libyan Arab Jamahiriya" in The Government and Politics of the Middle East and North Africa. 4th ed. David E. Long and Bernard Reich eds. Boulder, CO: Westview Press, 386. Google Books[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] (April 4, 2008).
  11. Simons, G. 1993. Libya: The Struggle for Survival. New York: St. Martin's Press, 253.
  12. "Broken Engagement". January 28, 1974. Time.
  13. El-Kikhia, M. O. 1997. Libya's Qaddafi: The Politics of Contradiction. Gainesville, FL: University Press of Florida, 121
  14. El-Kikhia, M. O. 1997. Libya's Qaddafi: The Politics of Contradiction. Gainesville, FL: University Press of Florida, 21; Simons, G. 1993. Libya: The Struggle for Survival. New York: St. Martin's Press, 254; Wright, J. 1981. Libya: A Modern History. London: Croom Helm, 166.
  15. Simons, G. 1993. Libya: The Struggle for Survival. New York: St. Martin's Press, 254.
  16. Wright, J. 1981. Libya: A Modern History. London: Croom Helm, 166.
  17. Borowiec, A. 1998. Modern Tunisia: A Democratic Apprenticeship. Westport, CT: Praeger Publishers, 34.
  18. Borowiec, A. 1998. Modern Tunisia: A Democratic Apprenticeship. Westport, CT: Praeger Publishers, 34
  19. Zartman, I. W. (1987). Foreign Relations of North Africa. International Affairs in Africa (Jan), 18.
  20. Deeb, M. J. (1989). Inter-Maghribi Relations Since 1969: A Study of the Modalities of Unions and Mergers. Middle East Journal, 43(1), 26.
  21. Deeb, M. J. (1989). Inter-Maghribi Relations Since 1969: A Study of the Modalities of Unions and Mergers. Middle East Journal, 43(1), 25

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]