আরবি ধ্বনিবিজ্ঞান
যেখানে অনেক ভাষার বিভিন্ন উপভাষা ধ্বনিতত্ত্বগতভাবে পার্থক্যযুক্ত, সেখানে আধুনিককালে কথ্য আরবি ভাষাকে বরং একটি ধারাবাহিক রূপভেদের (continuum of varieties) মাধ্যমে বোঝানো হয়।[১] এই নিবন্ধটি প্রধানত আধুনিক মানক আরবি (Modern Standard Arabic বা MSA)-র ধ্বনিতত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করে। MSA হলো এমন একটি মানক রূপ, যা আরবি ভাষাভাষী অঞ্চলগুলোর শিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি লেখ্য রূপে প্রিন্ট মিডিয়া এবং কথ্য রূপে সংবাদ, বক্তৃতা ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় ব্যবহৃত হয়।[২]
আধুনিক মানক আরবিতে ২৮টি ধ্বনিমূলক ব্যঞ্জনধ্বনি (consonant phoneme) ও ৬টি স্বরধ্বনি (vowel phoneme) রয়েছে। এর মধ্যে চারটি "জোরযুক্ত ধ্বনি" (pharyngealized consonant) রয়েছে, যেগুলি তাদের জোরহীন রূপের সঙ্গে বৈপরীত্য তৈরি করে। আধুনিক উপভাষাগুলোর অনেকগুলোতে কিছু ধ্বনি মিশে গেছে (coalesced), আবার কিছু নতুন ধ্বনির আবির্ভাব ঘটেছে বিদেশি শব্দ গ্রহণ (loanword) বা ধ্বনিমূল বিভাজনের (phonemic split) মাধ্যমে। ধ্বনিমূলের দৈর্ঘ্য (length) একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যা ব্যঞ্জনধ্বনি ও স্বরধ্বনি উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।[৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রোটো-সেমিটিক ভাষার ২৯টি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে মাত্র একটি ধ্বনি বিলুপ্ত হয়েছে: */ʃ/, যা /s/-এর সঙ্গে মিশে গেছে। অপরদিকে */ɬ/ পরিবর্তিত হয়ে /ʃ/ হয়েছে (দেখুন: Semitic languages#Phonology)।[৪] আরও কিছু ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণে পরিবর্তন ঘটেছে, তবে তারা স্বতন্ত্রতা বজায় রেখেছে। মূল */p/ ধ্বনি নমনীয় হয়ে /f/-এ পরিণত হয়েছে এবং */ɡ/ – যা ইসলামের পূর্ববর্তী যুগে গ্রিক ভাষায় আরবি শব্দের প্রতিলিপিতে নিয়মিতভাবে দেখা যায়[৫] – কুরআনের সময়ের মধ্যে /ɡʲ/ বা /ɟ/-এ পরিণত হয় এবং পরবর্তীতে মুসলিম বিজয়োত্তর সময়ে ও আধুনিক মানক আরবিতে (MSA) /d͡ʒ/, /ɡ/, /ʒ/ অথবা /ɟ/ হিসেবে উচ্চারিত হয় (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: Arabic phonology#Local variations)।[৬] মূল voiceless alveolar lateral fricative */ɬ/ ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে /ʃ/-এ রূপান্তরিত হয়েছে।[৭]
এর জোরযুক্ত রূপ /ɬˠ~ɮˤ/ আরবদের দৃষ্টিতে আরবি ভাষার সবচেয়ে অস্বাভাবিক ধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হতো। তাই ধ্বনিটির জন্যই শাস্ত্রীয় আরবি لُغَةُ ٱلضَّادِ (luɣatu‿ḍ-ḍād, অর্থাৎ "দ্বাদ-এর ভাষা") নামে পরিচিত। অধিকাংশ আধুনিক উপভাষায় এটি জোরযুক্ত বিস্ফোরক ধ্বনি /dˤ/-এ পরিণত হয়েছে, যেখানে পরবর্তীকালীনতা (laterality) বিলুপ্ত হয়েছে[৭] অথবা কোনও ধরনের গলার বা পেছনের অংশের উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য (pharyngealization বা velarization) ছাড়াই /d/-এ রূপ নিয়েছে। এই দ্বাদ-এর প্রাচীন /ɮˤ/ উচ্চারণ আজও মেহরি ভাষায় টিকে আছে এবং একইসাথে অনুরূপ একটি ধ্বনি /ɮ/ অন্যান্য আধুনিক দক্ষিণ আরবীয় ভাষায় বিদ্যমান।
আরও কিছু পরিবর্তন ঘটেছিল বলেও ধারণা করা হয়। শাস্ত্রীয় আরবির উচ্চারণ সম্পূর্ণরূপে রেকর্ড করা হয়নি, ফলে প্রোটো-সেমিটিক ধ্বনিতন্ত্রের বিভিন্ন পুনর্গঠন পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধ্বনিগত মান প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি উদাহরণ হলো জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো: আধুনিক আরবিতে এগুলি গলার মাধ্যমে উচ্চারিত (pharyngealized) হলেও, ৮ম শতকে এগুলি হয়তো পেছনের অংশ থেকে (velarized) অথবা প্রোটো-সেমিটিকে গলার ঝাঁকুনিযুক্ত (glottalized) ধ্বনি ছিল।[৭]
/j/ ও /w/ ধ্বনির মাঝে স্বরধ্বনি থাকলে তাদের হ্রাস (reduction) অনেক ক্ষেত্রে ঘটে, যা অনেক "দুর্বল মূলবিশিষ্ট" (third-weak) ক্রিয়াপদের জটিলতার কারণ। তবে প্রাচীন অ্যাক্কাডীয় প্রতিলিপিতে আরবি নামগুলোতে এই হ্রাস দেখা যায় না, যা ইঙ্গিত করে যে খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের শুরুর দিকে এ পরিবর্তন ঘটেনি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
রেকর্ডকৃত শাস্ত্রীয় আরবি ছিল একটি কাব্যিক কইনে (koine), যা সচেতনভাবে পুরাতন রূপ বজায় রাখা উপভাষার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছিল। এটি মূলত আরব উপদ্বীপের পশ্চিম অংশের সেইসব গোত্রের ভাষা থেকে নেওয়া হয়, যাদের উপভাষাগুলো ছিল সবচেয়ে রক্ষণশীল। মুহাম্মদের সময়ে এবং তার আগেও এমন অনেক উপভাষা প্রচলিত ছিল যেখানে অনেক পরিবর্তন ঘটেছিল—যেমন অধিকাংশ কণ্ঠ্যধ্বনি (glottal stop) বিলুপ্তি, ক্রিয়া ও বিশেষণের প্রত্যয় (case ending) হ্রাস, এবং দ্বিস্বরবর্ণ /aj/ ও /aw/-এর একমাত্র স্বরবর্ণে পরিবর্তন (যেমন /eː/, /oː/)। এই পরিবর্তনের বেশিরভাগই আধুনিক আরবির নানা উপভাষায় দেখা যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
কুরআনের লেখনপদ্ধতির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এতে মুহাম্মদের নিজস্ব মক্কান উপভাষার কিছু রূপ টিকে রয়েছে, যেগুলি পরবর্তীতে বিরামচিহ্ন বা সংকেতের মাধ্যমে শুদ্ধ শাস্ত্রীয় রূপে সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের নিচে যে রূপগুলি দেখা যায় তার মধ্যে রয়েছে কণ্ঠ্যধ্বনি বিলুপ্তি এবং কিছু চূড়ান্ত ধ্বনি-ধারার ভিন্ন বিকাশ, বিশেষ করে যেখানে /j/ ধ্বনি ছিল। যেমন: চূড়ান্ত /-awa/ ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে শাস্ত্রীয় আরবির /aː/ হয়েছে, তবে /-aja/ ধ্বনিটি ভিন্নভাবে বিকাশ লাভ করে সম্ভবত /eː/-তে পরিণত হয়েছে (পুনরায় /aː/ নয়)। এই পরিবর্তন থেকেই আলিফ মাকসুরাহ (restricted alif)-এর উৎপত্তি, যেখানে একটি অক্ষর /j/ নির্দেশ করতে পারে, কিন্তু এই প্রসঙ্গে এটিকে আলিফ-এর একটি রূপ হিসেবে ধরা হয় এবং ধ্বনি /aː/ নির্দেশ করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ঐতিহাসিক বিকাশ
[সম্পাদনা]আরবি ভাষার ধ্বনিতত্ত্ব শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পরিবর্তিত হয়েছে, যা ভাষাগত সংস্পর্শ এবং ঐতিহাসিক সম্প্রসারণের ফলে ঘটেছে। শাস্ত্রীয় আরবির ধ্বনিতত্ত্বগত বৈশিষ্ট্যসমূহ আধুনিক উপভাষাগুলিতে বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, যার একটি বড় কারণ হলো বিজয় ও বাণিজ্যের মাধ্যমে আরবি ভাষার প্রসার।[৯] এই পরিবর্তনের ফলে একদিকে যেমন শাস্ত্রীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর কিছু সংরক্ষণ হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন উপভাষায় গুরুত্বপূর্ণ নতুনত্বও সৃষ্টি হয়েছে।
সাহিত্যিক আরবি
[সম্পাদনা]আরবি ভাষার "অপচারিত" কথ্য উপভাষাগুলি ঘরে শেখা হয় এবং সেগুলিই আরবি ভাষাভাষীদের মাতৃভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়। অপরদিকে "আনুষ্ঠানিক" আধুনিক মানক আরবি (Modern Standard Arabic বা MSA) বিদ্যালয়ে শেখানো হয়। যদিও অনেকেই এই ভাষায় মাতৃভাষাসদৃশ দক্ষতা অর্জন করেন, তা সত্ত্বেও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি কোনো ব্যক্তির প্রকৃত মাতৃভাষা নয়।
এই দুটি রূপেই লিখিত ও মৌখিক ব্যবহার সম্ভব, তবে কথ্য উপভাষাগুলি খুব কমই লিখিত হয়, আর MSA সাধারণত আনুষ্ঠানিক পরিসরে বলা হয়—যেমন রেডিও ও টেলিভিশন সম্প্রচার, আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা, সংসদীয় আলোচনা এবং বিভিন্ন উপভাষাভাষী ব্যক্তিদের মধ্যকার যোগাযোগে।
সাহিত্যিক ভাষা মৌখিকভাবে ব্যবহৃত হলেও, তা সাধারণত কেবল প্রস্তুত করা পাঠ পাঠের সময় বা বিভিন্ন উপভাষাভাষীদের মধ্যে যোগাযোগের সময় বিশুদ্ধ রূপে উচ্চারিত হয়। যখন কেউ তাৎক্ষণিকভাবে (extemporaneous) কথা বলেন, যেমন স্বাভাবিক আলোচনায়, তখন তারা কঠোর সাহিত্যিক ভাষা থেকে কিছুটা সরে colloquial রূপের দিকে ঝোঁকে।
এভাবে কথ্য আরবির মধ্যে একটি ধারাবাহিক রূপান্তর লক্ষ্য করা যায়: একদিকে প্রায় বিশুদ্ধ MSA, তারপর এমন রূপ যেখানে MSA-এর ব্যাকরণ ও শব্দভান্ডার ব্যবহার হয় কিন্তু কথ্য ভাষার প্রভাব বিদ্যমান, এরপর এমন রূপ যেখানে কথ্য ভাষা ব্যবহৃত হলেও কিছু MSA শব্দ ও ব্যাকরণিক গঠন প্রবেশ করে, এবং অবশেষে এমন রূপ যা প্রায় সম্পূর্ণ কথ্য হলেও কিছু "খসখসে প্রান্ত" (অতি অপচারিত বা শাস্ত্রীয় ভাষার সঙ্গে অমিল অংশ) মসৃণ করে ব্যবহার করা হয়।
ব্যবহৃত নির্দিষ্ট রূপটি নির্ভর করে বক্তার সামাজিক শ্রেণি, শিক্ষার মাত্রা এবং আলাপচারিতার আনুষ্ঠানিকতার উপর। একটি সাক্ষাৎকারের মতো পরিস্থিতিতে একই আলোচনার মধ্যেই ভাষার রূপ পরিবর্তিত হতে পারে—শুরুতে প্রায় বিশুদ্ধ MSA থেকে ধীরে ধীরে আরও কথ্য ও মিশ্র রূপে রূপান্তর ঘটে, যখন বক্তা সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সঙ্গে আরও স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এই ধরনের পরিবর্তন আরবি ভাষাভাষী বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান দ্বিভাষিকতার (diglossia) একটি বৈশিষ্ট্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

যদিও আধুনিক মানক আরবি একটি একক ভাষা হিসেবে বিবেচিত হয়, তবুও এর উচ্চারণ এক দেশ থেকে আরেক দেশে এবং এক অঞ্চলের মধ্যেও কিছুটা ভিন্ন হয়। কোনো ব্যক্তির MSA উচ্চারণ প্রায়শই তার কথ্য উপভাষার উচ্চারণভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়, যদিও সেগুলিকে সাধারণত কিছুটা মৃদু করে উপস্থাপন করা হয়। তাই "আরবি ধ্বনিতত্ত্ব" নিয়ে আলোচনা করতে হলে কথ্য উপভাষার উচ্চারণ এবং সেই একই ব্যক্তির MSA উচ্চারণ আলাদা করে বোঝা জরুরি।
এই দুটি রূপের মধ্যে সম্পর্ক থাকলেও, তারা এক নয়। উদাহরণস্বরূপ, আদর্শ আরবির /d͡ʒ/ ধ্বনি বিভিন্ন আধুনিক উপভাষায় ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়, যেমন [d͡ʒ ~ ʒ ~ ɟ ~ ɡʲ ~ ɡ]। যেসব ভাষাভাষীর কথ্য উপভাষায় d͡ʒ বা ʒ ধ্বনি থাকে, তারা সাধারণত MSA বলার সময়ও একই উচ্চারণ ব্যবহার করেন। এমনকি কায়রোবাসীর মতো ব্যক্তিরা, যাদের মিশরীয় আরবিতে ɡ প্রচলিত, তারাও MSA বলার সময় ɡ উচ্চারণ করেন।
আরেকটি উদাহরণ হলো: অনেক উপভাষায় একটি বিশেষ ধরনের স্বরধ্বনি ঐক্য (vowel harmony) লক্ষ্য করা যায়, যেখানে কোনো "জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি" আশেপাশের স্বরধ্বনিকে পশ্চাদ্দেশ (backed) উচ্চারণে প্রভাবিত করে। যেমন, নিম্নস্বরধ্বনি /aː/ পশ্চাদ্দেশ হয়ে [ɑ(ː)] রূপে এবং অন্য ক্ষেত্রে অগ্রদেশ হয়ে [æ(ː)] রূপে উচ্চারিত হয়।
অনেক উপভাষায় এই পশ্চাদ্দেশ স্বরধ্বনিগুলি বিস্তৃতভাবে শব্দের অন্য অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মিশরীয় আরবিতে এই প্রভাব প্রায় পুরো শব্দজুড়ে ছড়িয়ে যায়, এমনকি উপসর্গ ও প্রত্যয়েও, যদিও সেগুলি মূল জোরযুক্ত ধ্বনি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করলেও।
এই উপভাষাগুলোর বক্তারা MSA বলার সময়েও এই স্বরধ্বনি ঐক্য প্রয়োগ করে থাকেন, তবে সাধারণত উপভাষার তুলনায় কম পরিসরে। যেসব উপভাষায় স্বরধ্বনি ঐক্যের বিস্তার অত্যন্ত ব্যাপক, সেসব বক্তারা MSA-তে মাঝারি মাত্রার বিস্তার করেন। আবার যেসব উপভাষায় ঐক্য তুলনামূলকভাবে সীমিত, সেসব বক্তারা MSA-তে কেবল কাছাকাছি স্বরধ্বনিগুলির মধ্যে ঐক্য বজায় রাখেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
স্বরধ্বনি
[সম্পাদনা]

আধুনিক মানক আরবিতে ছয়টি স্বরধ্বনিমূল (vowel phoneme) রয়েছে, যেগুলি তিনটি সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘ স্বরধ্বনির যুগল গঠন করে: /a, aː, i, iː, u, uː/। অনেক কথ্য উপভাষায় /oː/ ও /eː/-ও অন্তর্ভুক্ত হয়। আধুনিক মানক আরবিতে দুটি দ্বিস্বরবর্ণ (diphthong) রয়েছে, যা সংক্ষিপ্ত /a/ এবং অর্ধস্বরধ্বনি /j/ ও /w/ এর সংমিশ্রণে গঠিত।
বিভিন্ন উপভাষায় allophony (অলফোনিক পার্থক্য) দেখা যায়, যা প্রায়শই শব্দের মধ্যবর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির দ্বারা প্রভাবিত হয়। সাধারণ কিছু নিয়ম নিচে উল্লেখ করা হলো:
- /a, aː/:
- [rˤ], /q/ অথবা জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি (যা সাধারণত গলার পেছনের অংশ থেকে উচ্চারিত হয়) যেমন /sˤ/, /dˤ/, /tˤ/, /ðˤ/, /ɫ/, এবং পশ্চিম এশীয় অঞ্চলে /ħ/, /ʕ/, কখনও /χ/, /ʁ/—এসবের পরিবেশে /a/ পশ্চাদ্দেশ হয়ে [ɑ] হয়ে যায়।[১০]
- ইরাক ও পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে শব্দশেষে [ɐ] উচ্চারণ হতে পারে।[১০]
- অধিকাংশ ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবেশে [æ] রূপে অগ্রদেশ হয়ে থাকে:
- অগ্ন্যস্তম্ভীয় ব্যঞ্জনধ্বনি যেমন /m/, /b/, /f/;
- সাধারণ মাথার দিকের ব্যঞ্জনধ্বনি, যেমন: /θ/, /ð/, /n/, /t/, /d/, /s/, /z/, /l/, /ʃ/, /d͡ʒ/;
- glottal consonant যেমন /h/, /ʔ/;
- /j/, /k/, /w/;[১১]
- উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় [æ] ও [ɑ] অলফোন ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়, যেমন [a ~ ɑ ~ ɛ] অথবা [a ~ ä];
- উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকায় æ উচ্চারণ উন্নীত হয়ে ɛ বা e রূপে পরিগৃহীত হয়।
- /i, iː, u, uː/:
- উত্তর আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় /i/ ধ্বনিটি [ɪ ~ e ~ ɨ] রূপে এবং /u/ [ʊ ~ o ~ ʉ] রূপে প্রকাশ পেতে পারে, বিশেষ করে জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি এবং /q/, /r/, /ħ/, /ʕ/-এর সংস্পর্শে।
- মিশরে সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনি /i/ ও /u/ প্রাথমিক বা মধ্য অংশে [e] ও [o] রূপে ব্যবহৃত হয়। কিছু উপভাষায় /i~ɪ/ এবং /u~ʊ/ সম্পূর্ণভাবে [e] ও [o]-তে রূপান্তরিত হয়। দীর্ঘ স্বরধ্বনি /aː, iː, uː/ শব্দশেষে প্রায়ই সংক্ষিপ্ত বা দুর্বল রূপে উচ্চারিত হয়: /aː/ → [æ ~ ɑ], /iː/ → [i], /uː/ → [o ~ u]।
উদাহরণ শব্দাবলি
[সম্পাদনা]| সংক্ষিপ্ত | দীর্ঘ | |||
|---|---|---|---|---|
| i | عِدْ /ʕid/ | "প্রতিশ্রুতি দাও!" | عِيد /ʕiːd/ | "ঈদ" |
| u | عُدّ /ʕudd/ | "গণনা করো" | عُود /ʕuːd/ | "উদ (বাদ্যযন্ত্র)" |
| a | عَدّ /ʕadd/ | "গণনা করেছিল" | عَاد /ʕaːd/ | "ফিরে এল" |
| aj | عَيْن /ʕajn/ | "চোখ" | ||
| aw | عَوْد /ʕawd/ | "প্রত্যাবর্তন" | ||
তবে স্বরধ্বনি পশ্চাদ্দেশের নিয়মগুলো আরও জটিল এবং এ বিষয়ে একটি সর্বজনস্বীকৃত মানও নেই, কারণ "প্রতিষ্ঠিত রূপ" (prestige form) সম্পর্কেও মতানৈক্য রয়েছে।[১৩] দক্ষ বক্তারাও প্রায়শই তাদের মাতৃভাষার পশ্চাদ্দেশের নিয়ম MSA-তে প্রয়োগ করেন। উদাহরণস্বরূপ, কায়রোর আরবিতে জোরযুক্ত ধ্বনির প্রভাব পুরো শব্দজুড়ে পড়ে, কিন্তু কিছু সৌদি বক্তার ক্ষেত্রে এই প্রভাব কেবল পার্শ্ববর্তী স্বরধ্বনিগুলির উপর সীমিত থাকে।[১৪] লেভান্টীয় উপভাষায় ডান ও বামদিকে প্রভাবের বিস্তারে সামান্য অসমতা দেখা যায়।[১৪][১৫]
|
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভারী ধ্বনি-অক্ষরযুক্ত শব্দের শেষাংশে জোর (stress) পড়ে।[১২]
সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনি /u/-র বিভিন্ন অলফোন হতে পারে: [u, ʊ, o, o̞, ɔ]। উদাহরণস্বরূপ, قُلْت ('আমি বললাম') /ˈqult/ উচ্চারিত হতে পারে [ˈqʊlt], [ˈqolt], বা [ˈqɔlt]। এই রূপান্তর প্রায়শই complementary distribution-এ ঘটে এবং অর্থগত পার্থক্য সৃষ্টি করে না, তবে কিছু ক্ষেত্রে ঋণশব্দে এগুলি পৃথক ধ্বনিমূল হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
একইভাবে /i/ ধ্বনির অলফোনগুলিও [i, ɪ, e, e̞, ɛ] রূপে প্রকাশ পেতে পারে। যেমন, مِن ('থেকে') উচ্চারিত হতে পারে [ˈmɪn], [ˈmen], বা [ˈmɛn]। এগুলিও মূলত পরিপূরক পরিবেশে ব্যবহৃত হয়, তবে কিছু বিদেশি শব্দে পৃথক ধ্বনিমূল হিসেবে উপস্থিত হতে পারে।
দীর্ঘ মধ্য স্বরধ্বনি /eː/ ও /oː/ অধিকাংশ উপভাষায় ধ্বনিমূল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে মাঘরিবীয় আরবিতে এগুলি যথাক্রমে /iː/ ও /uː/-এর সঙ্গে একীভূত হয়েছে। যেমন, "রং" অর্থে لون সাধারণত মাশরেকীয় উপভাষায় /loːn/ উচ্চারিত হলেও মাঘরিবীয় উপভাষায় /luːn/ বলা হয়। এই ধ্বনিগুলি আধুনিক মানক আরবিতেও কিছু উপভাষাগত শব্দ, ঋণশব্দ বা বিদেশি নামের মাধ্যমে প্রবেশ করেছে, যেমন: روما /ˈroːma/ ('রোম') এবং شيك /ˈʃeːk/ ('চেক')।[১৬]
বিদেশি শব্দে সাধারণত দীর্ঘ স্বরধ্বনির ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়, কারণ ইউরোপীয় লিপিতে প্রতিটি স্বরধ্বনি আলাদা অক্ষরে লেখা হয় এবং এর প্রভাব আরবি ভাষার ঋণশব্দে পড়ে। এসব শব্দে /eː/ ও /oː/ যথাক্রমে ي ও و দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এবং শব্দের শুরুতে أ, إ সহ ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে, ঋণশব্দের উচ্চারণ অনেকটাই বক্তার মাতৃভাষা বা উপভাষার উপর নির্ভর করে।[১৭]
ব্যঞ্জনধ্বনি
[সম্পাদনা]সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক পরিবেশেও আরবি উচ্চারণ বক্তার ভাষাগত পটভূমির উপর নির্ভর করে।[১৮] যদিও ২৮টি ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা ও ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য আরবি ভাষাভাষী অঞ্চলজুড়ে মোটামুটি সুনির্দিষ্ট, তবে উচ্চারণের ভিন্নতা বিদ্যমান।
আরবি ভাষা ইউভুলার, ফ্যারিঞ্জিয়াল এবং ফ্যারিঞ্জিয়ালাইজড (বা "জোরযুক্ত") ধ্বনিতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ। জোরযুক্ত করোনাল ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি—যেমন /sˤ/, /dˤ/, /tˤ/, ও /ðˤ/—তাদের পার্শ্ববর্তী অজোরযুক্ত করোনাল ব্যঞ্জনধ্বনিকে প্রভাবিত করে, অর্থাৎ তাদের উপর জোরের সংক্রমণ ঘটে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ج (জীম) অক্ষরের আদর্শ উচ্চারণ অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়। আরব উপদ্বীপ, ইরাক, লেভান্তের কিছু অংশ, উত্তর-মধ্য আলজেরিয়া এবং মিশরের কিছু অংশে এটি সাধারণত [d͡ʒ] উচ্চারিত হয়। কুরআন পাঠ, আরব বিশ্বের বাইরে সাহিত্যিক আরবির শিক্ষাদানে, এবং অনেক ভাষায় (যেমন: জর্জিয়ান, মালয়, ফারসি, তুর্কি ও উর্দুতে) আরবি ঋণশব্দে এই উচ্চারণটাই সবচেয়ে ব্যবহৃত।
অন্যান্য উচ্চারণের মধ্যে রয়েছে:
- [ʒ] — লেভান্ত, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা ও আরব উপদ্বীপের কিছু অঞ্চলে;
- [ɡ] — মিশরে (এবং ইয়েমেন ও ওমানের উপকূলীয় কিছু অঞ্চলে উপভাষায়), তবে এটি MSA-তে ব্যবহৃত হয় না;
- [ɟ] — সুদান, ইয়েমেন ও ওমানের কিছু অংশে।
দ্রষ্টব্য: নিচের ছক ও টীকা আধুনিক মানক আরবির ব্যঞ্জনধ্বনিমূল (MSA phonemes) নিয়ে আলোচনা করে, অঞ্চলভেদে কথ্য উপভাষা নয়।
| ল্যাবিয়াল | ডেন্টাল | ডেন্টি-অ্যালভিওলার | পোস্ট-অ্যালভিওলার / প্যালেটাল | ভেলার | ইউভুলার | ফ্যারিঞ্জিয়াল | গ্লটাল | |||
|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
| সাধারণ | জোরযুক্ত[ক] | |||||||||
| নাসাল | م /m/ | ن /n/ | ||||||||
| আবদ্ধ ধ্বনি (Plosive) | voiceless | ب /b/ | ت /t/ | ط /tˤ/ | ك /k/ | ق /q/ | أ /ʔ/ | |||
| voiced | د /d/ | ض /dˤ/ | ج /d͡ʒ/[খ] | (ɡ)[গ] | ||||||
| ঘর্ষণ ধ্বনি (Fricative) | voiceless | ف /f/ | ث /θ/ | س /s/ | ص /sˤ/ | ش /ʃ/ | خ /x/ ~ /χ/ | ح /ħ/ | هـ /h/ | |
| voiced | ذ /ð/ | ز /z/ | ظ /ðˤ/[ঘ] | غ /ɣ/ ~ /ʁ/ | ع /ʕ/ | |||||
| কম্পনধ্বনি (Trill) | ر /r/ [ঙ] | |||||||||
| সান্নিধ্যধ্বনি (Approximant) | ل /l/ | (ɫ)[চ] | ي /j/ | و /w/ | ||||||
- ↑ জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের পশ্চাৎভাগ ফ্যারিঞ্জসের দিকে এগিয়ে যায় (দেখুন pharyngealization). ইরাকি ও উপসাগরীয় বক্তারা সাধারণত এগুলিকে velarization সহ উচ্চারণ করেন।[১৯]
- ↑ এই ধ্বনিটি অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে [d͡ʒ], [ʒ], [ɡ], বা [ɟ] হিসেবে উচ্চারিত হয়।[২০]
- ↑ মিশরে এটি আদর্শ রূপ, আর অন্যত্র ঋণশব্দে বা উপভাষাগত শব্দে ব্যবহৃত হয়।
- ↑ মিশর ও লেবাননে অনেক সময় এটি [zˤ] রূপে উচ্চারিত হয়।[২১]
- ↑ একটি কম্পন [r] বা কখনও একধ্বনি আলতো ঝাঁকুনি [ɾ] হিসেবে উচ্চারিত হতে পারে। মিশর ও লেভান্তে উভয় রূপে বৈকল্পিকতা বিদ্যমান।
- ↑ /ɫ/ সাধারণত শুধুমাত্র الله শব্দে (উচ্চারণ: /ʔaɫˈɫaːh/) ব্যবহৃত হয়। কিছু ক্ষেত্রে ঋণশব্দে পাওয়া যায়।[২২] এটি নীলনদের উপত্যকায় অনুপস্থিত কিন্তু ইরাকে বেশি ব্যবহৃত হয়।[২৩]
দীর্ঘ (geminate বা দ্বিগুণ) ব্যঞ্জনধ্বনিগুলি সংক্ষিপ্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মতোই উচ্চারিত হয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়। এগুলিকে আরবিতে "মুশাদ্দাদাহ" (mushaddadah অর্থাৎ "জোরযুক্ত") বলা হয় এবং এগুলি shaddah চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত হয়।
দীর্ঘ ব্যঞ্জনধ্বনির পর বিরতি থাকলে একটি অতিরিক্ত epenthetic ধ্বনি [ə] শোনা যায়,[১২] যদিও এটি মূলত পশ্চিম এশীয় অঞ্চলেই বেশি প্রচলিত।
ধ্বনিসংযোজনের নিয়ম (Phonotactics)
[সম্পাদনা]আধুনিক মানক আরবির শব্দতালিতে (syllable) মাত্র পাঁচ ধরনের গঠন অনুমোদিত:[২৪]
- CV (হালকা) — ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি
- CVV (ভারী) — ব্যঞ্জনধ্বনি + দীর্ঘ স্বরধ্বনি
- CVC (ভারী) — ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
- CVVC (অতি-ভারী)
- CVCC (অতি-ভারী)
আধুনিক মানক আরবির শব্দগঠনে কোনো শব্দ স্বরধ্বনি দিয়ে শুরু হতে পারে না, আবার দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি একসঙ্গে শুরুতেও আসতে পারে না।[২৪] যদি কোনো শব্দ ব্যঞ্জনধ্বনির গুচ্ছ (consonant cluster) দিয়ে শুরু হয়, তাহলে তার আগে সাধারণত একটি অতিরিক্ত /ʔi/ ধ্বনি যোগ হয় (উচ্চারণের শুরুতে)। অথবা, যদি তার আগে এমন একটি শব্দ থাকে যার শেষ ব্যঞ্জনধ্বনিতে শেষ হয়েছে, তাহলে /i/ ব্যবহার হয়। তবে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে—যেমন: من /min/ এবং ـهم /-hum/—যেখানে পরবর্তী শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জনধ্বনির গুচ্ছ থাকলেও সেগুলোর সঙ্গে যথাক্রমে /a/ ও /u/ ধ্বনির মাধ্যমে যুক্ত হয়। যদি পূর্ববর্তী শব্দ দীর্ঘ স্বরধ্বনিতে শেষ হয়, তাহলে সেই স্বরধ্বনিটি সংক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
অতি-ভারী শব্দতালি সাধারণত শব্দের শেষে অনুমোদিত হয়,[২৪] তবে এর একটি ব্যতিক্রম হলো যখন একটি দীর্ঘ স্বরধ্বনির পরে দ্বিগুণ ব্যঞ্জনধ্বনি (geminate) আসে, তখন মধ্য-অংশে CVVC শব্দতালি গঠিত হতে পারে। এটি সাধারণত ধাতু I-এর বর্তমান কর্তা-বাচক বিশেষ্য (active participles) এর মধ্যে দেখা যায়, যেমন: مادة /maːd.da/ ('বস্তু, উপাদান'), كافة /kaːf.fa/ ('সম্পূর্ণ')।
বিরতির রূপে (pausal form), শেষের দ্বিগুণ ব্যঞ্জনধ্বনি একটি ব্যঞ্জনধ্বনির মতো আচরণ করে। কিন্তু যখন পরবর্তী শব্দ থাকে বা উচ্চারণে স্বরচিহ্ন (vocalization) যুক্ত থাকে, তখন দ্বিগুণ ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি পৃথক শব্দতালিতে পরিণত হয়। যেমন:
- سام /saːm(.m)/ — 'বিষাক্ত'
- جاف /d͡ʒaːf(.f)/ — 'শুষ্ক'
- عام /ʕaːm(.m)/ — 'সার্বজনীন'
- خاص /χaːsˤ(.sˤ)/ — 'ব্যক্তিগত'
- حار /ħaːr(.r)/ — 'গরম, ঝাল'[২৪]
আধুনিক ঋণশব্দে অনেক সময় এই ধ্বনিসংযোজন নিয়ম ভঙ্গ করা যায়, যেমন শব্দের শুরুতে ব্যঞ্জনধ্বনির গুচ্ছ থাকার অনুমতি। এ ক্ষেত্রে প্রায়শই একটি অতিরিক্ত /i/ ধ্বনি প্রথম ব্যঞ্জনধ্বনির পরে যোগ হয়, বা শব্দের অভ্যন্তরেই একটি পুনরাবৃত্ত স্বরধ্বনি যোগ করা হয়। যেমন:
- استاد /(i)s.taːd/ — "স্টেডিয়াম"
- فلورنسا /f(i).loː.ran.saː/ — "ফ্লোরেন্স"
আবার কিছু ঋণশব্দে দ্বিগুণ ব্যঞ্জনধ্বনি ছাড়াই মধ্য অংশে CVVC গঠন দেখা যায়, যেমন:
- روسيا /ruːs.jaː/ — "রাশিয়া"
- سوريا /suːr.jaː/ — "সিরিয়া"
এসব শব্দকে আরবি ধ্বনিসংযোজন নিয়মের সঙ্গে আরও খাপ খাওয়ানোর জন্য /ruː.si.jaː/, /suː.ri.jaː/ রূপেও রূপান্তর করা যায়।[২৪]
শব্দে জোর (Stress)
[সম্পাদনা]আরবি ভাষায় শব্দে জোর (stress) কোথায় পড়বে, তা উপভাষাভেদে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়। এই বিষয়টি ভাষাতাত্ত্বিকদের গবেষণা ও বিতর্কের একটি প্রধান ক্ষেত্র।[২৫]:২৯৯১
আরবিতে শব্দতালিকে (syllable) তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়:
হালকা (Light): খোলা শব্দতালি যাতে একটি সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনি থাকে (যেমন CV), উদাহরণ: وَ (wa, "এবং")
- ভারী (Heavy):
- খোলা শব্দতালি যাতে একটি দীর্ঘ স্বরধ্বনি থাকে (CVV), যেমন: سَافَرَ (sā.fara, "সে ভ্রমণ করেছিল")
- বন্ধ শব্দতালি যাতে একটি সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনির পরে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি থাকে (CVC), যেমন: مِن (min, "থেকে"), كَتَبْتُ (ka.tab.tu, "আমি লিখেছি")
- অতি-ভারী (Super-heavy):
- একটি দীর্ঘ স্বরধ্বনির পরে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি (CVVC), যেমন: باب (bāb, "দরজা"), مادٌّ (mād.dun, "প্রসারিত", টেমপ্লেট:Gcl)
- একটি সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনির পরে দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি (CVCC), যেমন: بِنْت (bint, "মেয়ে"), অথবা দীর্ঘ স্বরধ্বনি + দ্বিগুণ ব্যঞ্জনধ্বনি (CVVCiCi), যেমন: مادّ (mādd, "প্রসারণ")
- শাস্ত্রীয় আরবিতে জোরের নিয়ম
শব্দে জোর কোথায় পড়বে, তা নিয়ে কিছু মতভেদ থাকলেও একটি সাধারণ নিয়ম প্রচলিত আছে: যদি শব্দের শেষ থেকে দ্বিতীয় শব্দতালি (penultimate syllable) বন্ধ হয়, তাহলে সেখানে জোর পড়ে; অন্যথায়, শেষ থেকে তৃতীয় শব্দতালিতে (antepenult)।[২৬]
Janet Watson-এর মতে, আরও নির্ভুলভাবে নিচের নিয়মগুলো প্রযোজ্য:[২৫]:৩০০৩
১. যদি শব্দের শেষাংশে অতি-ভারী শব্দতালি থাকে, সেখানে জোর পড়ে:
- كِتاب /ki.ˈtaːb/ ("বই")
- ماد /ˈmaːdd/ ("প্রসারণ")
- شَرِبْت /ʃa.ˈribt/ ("আমি/তুমি পান করেছো")
২. নইলে, সবচেয়ে ডানদিকে থাকা, কিন্তু শেষ নয়—এমন ভারী শব্দতালিতে জোর পড়ে:
- دَرَسْنا /da.ˈras.naː/ ("আমরা শিখেছি")
- صابُونٌ /sˤaː.ˈbuː.nun/ ("সাবান")
- مَكْتَبة /ˈmak.ta.bah/ ("গ্রন্থাগার")
- مادٌّ /ˈmaːd.dun/ ("প্রসারণ", টেমপ্লেট:Gcl)
- مَكْتَبةٌ /ˈmak.ta.ba.tun/ ("গ্রন্থাগার")
৩. উপরের দুটি প্রয়োগযোগ্য না হলে, জোর পড়ে antepenult বা একমাত্র syllable-এ:
- كَتَبَ /ˈka.ta.ba/ ("সে লিখেছিল")
- আধুনিক উপভাষাগুলিতে জোর
আধুনিক আরবি উপভাষাগুলিতে ১ ও ২ নম্বর নিয়ম সাধারণত রক্ষা করা হয়। তবে উপরের দুটি অবস্থার অনুপস্থিতিতে আচরণ উপভাষাভেদে পরিবর্তিত হয়:
ফিলিস্তিনি উপভাষা: ৩ নম্বর নিয়ম পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়ায়—অন্যথায়, প্রথম শব্দতালিতে জোর
- كَتَب /ˈkatab/ ("সে লিখেছিল")
- زَلَمة /ˈzalamah/ ("লোক")
কায়রো উপভাষা (প্রাথমিক নিয়ম, কিছু ব্যতিক্রম সহ):[২৫]:২৯৯৩, ৩০০৪
১. জোর পড়ে অতি-ভারী শেষাংশে। ২. নইলে, জোর পড়ে ভারী penult-এ। ৩. নইলে, জোর পড়ে penult বা antepenult-এ, যেটি ডান দিক থেকে সবচেয়ে কাছাকাছি ভারী syllable থেকে জোড়সংখ্যক দূরত্বে অবস্থিত। যদি কোনো ভারী syllable না থাকে, তাহলে শব্দের শুরু থেকে হিসাব করা হয়।
আধুনিক মানক আরবির আঞ্চলিক রূপভেদ
[সম্পাদনা]কথ্য আরবির উপভাষাগুলি কেবল ব্যাকরণে নয়, উচ্চারণেও শাস্ত্রীয় আরবি ও আধুনিক মানক আরবি থেকে পৃথক। এই পার্থক্য প্রতিটি দেশ বা অঞ্চলে মানক আরবির কথ্য রূপকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ব্যঞ্জনধ্বনি
[সম্পাদনা]আধুনিক মানক আরবিতে ج (জীম) অক্ষরের আদর্শ উচ্চারণ অঞ্চলভেদে পরিবর্তিত হয়। সবচেয়ে প্রচলিত রূপ হলো [d͡ʒ], যা আরব উপদ্বীপ, লেভান্তের কিছু অংশ, ইরাক, উত্তর-মধ্য আলজেরিয়া এবং মিশরের কিছু অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়। এটি আরব বিশ্বের বাইরেও সাহিত্যিক আরবির আদর্শ রূপ হিসেবে শেখানো হয় এবং বিভিন্ন ভাষায় (যেমন: জর্জিয়ান, মালয়, ফারসি, তুর্কি, উর্দু) আরবি ঋণশব্দে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য উচ্চারণের মধ্যে রয়েছে:
- [ʒ] — উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা, লেভান্তের অধিকাংশ অঞ্চল, ও আরব উপদ্বীপের কিছু অংশে।
- [ɡ] — প্রধানত মিশরে (তবে ইয়েমেন ও ওমানের উপকূলীয় অঞ্চলে উপভাষাগত রূপে ব্যবহৃত হয়, MSA-তে নয়)।
- [ɟ] — সুদানে ব্যবহৃত হয়।
MSA-তে /ɡ/ কিছু উপভাষাগত ও ঋণশব্দে একটি গৌণ ধ্বনিমূল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আধুনিক উপভাষাগুলিতে এটি একটি স্বাভাবিক ধ্বনিমূল বা অলফোন (allophone), যা কখনও /q/ (যেমন: আরব উপদ্বীপ, উত্তর আফ্রিকা), আবার কখনও /d͡ʒ/-এর পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহৃত হয় (যেমন: মিশর, ইয়েমেন, ওমান)। লেভান্তের শহুরে উপভাষাগুলিতে এটি কেবল ঋণশব্দে ব্যবহৃত একটি বিদেশি ধ্বনি হিসেবে ধরা হয়।
ض অক্ষরটির আদর্শ উচ্চারণ [dˤ] হলেও, ইতিহাসে এটি ছিল [ɮˤ]। এখনো কিছু পুরনো ও বিচ্ছিন্ন উপভাষায় এই প্রাচীন উচ্চারণ টিকে আছে।[২৭]
ধ্বনি মিশ্রণ ও ভুল উচ্চারণ
আঞ্চলিক উপভাষার প্রভাব অনেক সময় MSA-র উচ্চারণে ধ্বনি মিশ্রণ বা বিভ্রান্তি ঘটায়:
- যারা তাদের উপভাষায় ض ও ظ-কে একীভূত করে [ðˤ] হিসেবে উচ্চারণ করেন, তারা প্রায়শই MSA-তে ض-কেও ভুলবশত [ðˤ] বলেন (যেমন: ضار “ক্ষতিকর” → [ðˤaːr])।[২৮]
- ظ (/ðˤ/) কিছু এলাকায় [zˤ] হিসেবে উচ্চারিত হয়, যেমন মিশর, সুদান ও লেবাননে (যেমন: محافظة → [mu.ħaː.fa.zˤah])।[২৯]
- অনেক বক্তা, যাদের উপভাষায় /θ/ ও /ð/ নেই, তারা এসব ধ্বনিকে যথাক্রমে /t/, /d/, অথবা /s/, /z/-এর সঙ্গে মিশিয়ে ফেলেন।
- মিশর ও লেবাননের অনেক বক্তা MSA-র /q/-কে /k/ হিসেবে উচ্চারণ করেন।
- ইয়েমেনের কিছু বক্তা MSA-তে /q/ ধ্বনিকে /g/ হিসেবে উচ্চারণ করেন, যেমন: لقد قلت لهم → /la.gad gul.tu la.hum/।
বিদেশি ধ্বনিমূল
/p/, /v/, /t͡ʃ/, /t͡s/ প্রভৃতি বিদেশি ধ্বনিমূল আরবিতে প্রয়োজনানুসারে ব্যবহার হয়, বিশেষত ঋণশব্দে বা বিদেশি নাম উচ্চারণে। /p/ ও /v/-এর জন্য কখনো কখনো পার্সি লিপির অক্ষর যেমন: ﭖ, ﭪ ব্যবহৃত হলেও, MSA-তে সাধারণভাবে ب ও ف ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- نوفمبر / نوڤمبر — /nofember, novambar/ ("নভেম্বর")
- كاپريس / كابريس — /kaːpriːs, kaːbriːs/ ("ক্যাপ্রিস")
/t͡ʃ/ (যেমন 'চ' ধ্বনি) অনেক ঋণশব্দে দেখা যায়। যেমন:
- سندوتش / ساندوتش ('স্যান্ডউইচ')
- মিশরীয় আরবিতে এটি [tʃ] হিসেবে বিবেচিত হয় এবং প্রায়শই [e] ধ্বনি প্রবেশ করিয়ে উচ্চারণ করা হয়: [teʃ]
- ইরাকি ও উপসাগরীয় উপভাষায় এটি একটি স্বাভাবিক ধ্বনি হিসেবে ব্যবহৃত হয়[৩০]
- সাধারণত تش (তা-শীন) দিয়ে এই ধ্বনিটি প্রকাশ করা হয়, যেমন: تشاد /t͡ʃaːd/ ("চাদ")
স্বরধ্বনি
[সম্পাদনা]- /a/ ও /aː/ ধ্বনির বিভিন্ন অলফোন অঞ্চলভেদে স্পষ্টভাবে পৃথক। জোরযুক্ত ধ্বনির আশেপাশে এটি পশ্চাদ্দেশ [ɑ(ː)] হয়ে যায়, অন্য ক্ষেত্রে অগ্রদেশ [æ(ː)], [ɛ(ː)] রূপে উচ্চারিত হয়। এই বৈষম্য বিশেষ করে শহরাঞ্চলের উপভাষায় বেশি, যেখানে ঋণশব্দের প্রভাবে এই অলফোনগুলি ধীরে ধীরে স্বতন্ত্র ধ্বনিমূল হয়ে উঠছে।
- জোরযুক্ত ধ্বনির প্রভাব (emphasis spreading) অনেক উপভাষায় শব্দজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন: কায়রোতে একটি জোরযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনি পুরো শব্দে প্রভাব ফেলতে পারে, আর লেভান্তে এই প্রভাব মাঝামাঝি। মাঘরিবীয় আরবিতে এমনকি /i/ ও /u/-এরও জোরযুক্ত রূপ দেখা যায় (যেমন: [e], [o])।
- দ্বিস্বরবর্ণ /aj/ ও /aw/ অনেক মাশরেকীয় উপভাষায় একমাত্র স্বরধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়েছে (যেমন: /eː/, /oː/)। এই রূপগুলি MSA-তে ঋণশব্দেও দেখা যায়:
* ملبورن /mil.boːrn/ ("মেলবোর্ন") * سكرتير /sikriteːr/ ("সেক্রেটারি") * روما /roːmaː/ ("রোম") * دكتور /duktoːr/ ("ডাক্তার")[১৬]
- চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত স্বরধ্বনি (বিশেষ করে /i/ ব্যতীত) অনেক উপভাষায় ঝরে যায়, এবং দীর্ঘ স্বরধ্বনি সংক্ষিপ্ত হয়। ফলে শাস্ত্রীয় আরবির বাক্যরূপ ও বিভক্তি চিহ্নগুলো বিলুপ্ত হয়েছে।
- Nisba প্রত্যয় -iyy → -i রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন: عَرَبِيّ (/ʕarabijj/) অনেক বক্তা /ʕarabi/ রূপে উচ্চারণ করেন।
- -ī চূড়ান্ত দীর্ঘ স্বরধ্বনিও সংক্ষিপ্ত হয়: حُبِّي (/ħubbiː/, "আমার ভালোবাসা") → /ħubbi/।
বিতরণ
[সম্পাদনা]আরবিতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ব্যঞ্জনধ্বনি হলো /r/, আর সবচেয়ে কম ব্যবহৃত হলো /ðˤ/। নিচের তালিকাটি ২,৯৬৭টি ত্রৈব্যঞ্জনমূলক শব্দমূল (triliteral roots) বিশ্লেষণ করে তৈরি করা হয়েছে, যা হান্স ভেহরের অভিধান[৩১] থেকে সংগৃহীত। এখানে প্রতিটি ব্যঞ্জনধ্বনি কত শতাংশ মূল শব্দে দেখা যায়, তা দেখানো হয়েছে:
| ধ্বনি | ঘনত্ব (শতাংশে) | ধ্বনি | ঘনত্ব (শতাংশে) | |
|---|---|---|---|---|
| /r/ | ২৪% | /w/ | ১৮% | |
| /l/ | ১৭% | /m/ | ১৭% | |
| /n/ | ১৭% | /b/ | ১৬% | |
| /f/ | ১৪% | /ʕ/ | ১৩% | |
| /q/ | ১৩% | /d/ | ১৩% | |
| /s/ | ১৩% | /ħ/ | ১২% | |
| /j/ | ১২% | /ʃ/ | ১১% | |
| /d͡ʒ/ | ১০% | /k/ | ৯% | |
| /h/ | ৮% | /z/ | ৮% | |
| /tˤ/ | ৮% | /χ/ | ৮% | |
| /sˤ/ | ৭% | /ʔ/ | ৭% | |
| /t/ | ৬% | /dˤ/ | ৫% | |
| /ʁ/ | ৫% | /θ/ | ৩% | |
| /ð/ | ৩% | /ðˤ/ | ১% |
তবে, এই বিতরণ বাস্তব কথাবার্তায় ধ্বনিগুলোর প্রকৃত ব্যবহারের হারকে পুরোপুরি প্রতিফলিত করে না। কারণ, এখানে সর্বনাম, পূর্বসর্গ এবং প্রত্যয় অন্তর্ভুক্ত নয় এবং বিভিন্ন মূল শব্দের ব্যবহারের হারও ভিন্ন হতে পারে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, /t/ অনেক সাধারণ সংযোজক রূপে ব্যবহৃত হয়—যেমন: দ্বিতীয় পুরুষ বা স্ত্রীলিঙ্গ তৃতীয় পুরুষের পূর্বপ্রত্যয়, প্রথম পুরুষ বা স্ত্রীলিঙ্গ তৃতীয় পুরুষের পশ্চাৎপ্রত্যয় এবং Forms VIII ও X-এ মধ্যপ্রত্যয় হিসেবে।
তালিকাটি মূলত কোন ধ্বনিগুলি প্রান্তিক বা কম ব্যবহৃত, তার ধারণা দেয়। লক্ষণীয় যে সবচেয়ে কম ব্যবহৃত পাঁচটি ধ্বনির অক্ষর ফিনিশীয় লিপি থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত নয়, বরং পরবর্তীকালে সংযোজিত হয়েছে। এই অক্ষরগুলো হলো: ḍād, ṯāʾ, ḫāʾ, ẓāʾ, ḏāl এবং ġayn।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ (Kirchhoff ও Vergyri 2005, পৃ. 38)
- ↑ (Kirchhoff ও Vergyri 2005, পৃ. 38–39)
- ↑ (Holes 2004, পৃ. 57)
- ↑ (Lipinski 1997, পৃ. 124)
- ↑ Al-Jallad, 42
- ↑ (Watson 2002, পৃ. 5, 15–16)
- 1 2 3 (Watson 2002, পৃ. 2)
- ↑ "Recently catalogued: an enigma in the Senior Library | Lincoln College Oxford"। lincoln.ox.ac.uk। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০২২।
- ↑ Versteegh, 2014
- 1 2 (Thelwall 1990, পৃ. 39)
- ↑ (Holes 2004, পৃ. 60)
- 1 2 3 (Thelwall 1990, পৃ. 38)
- ↑ (Abd-El-Jawad 1987, পৃ. 359)
- 1 2 (Watson 1999, পৃ. 290)
- ↑ (Davis 1995, পৃ. 466)
- 1 2 Elementary Modern Standard Arabic: Volume 1
- ↑ Teach Yourself Arabic
- ↑ (Holes 2004, পৃ. 58)
- ↑ (Watson 2002, পৃ. 44)
- ↑ (Watson 2002, পৃ. 16)
- ↑ (Watson 2002, পৃ. 19)
- ↑ (Holes 2004, পৃ. 95)
- ↑ (Ferguson 1956, পৃ. 449)
- 1 2 3 4 5 Ryding, Karin C. (২৫ আগস্ট ২০০৫)। A Reference Grammar of Modern Standard Arabic (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৭৭১৫১-১।
- 1 2 3 Watson, Janet C. E. (২০১১)। "Word stress in Arabic"। Marc van Oostendorp (সম্পাদক)। The Blackwell Companion to Phonology। খণ্ড ৫। Oxford: Wiley-Blackwell। পৃ. ২৯৯০–৩০১৯। আইএসবিএন ৯৭৮১৪০৫১৮৪২৩৬।
- ↑ Versteegh, Kees (১৯৯৭)। The Arabic Language। Edinburgh: Edinburgh University Press। পৃ. ৯০।
- ↑ Al-Azraqi. (2019). Delateralisation in Arabic and Mehri. Dialectologia, 23: 1–23. https://raco.cat/index.php/Dialectologia/article/download/366597/460520/
- ↑ Hamdan, Jihad (২০২০)। The Arabic /dˤ/ Revisited: A Critical Review। Zarqa University। পৃ. ২৯।
- ↑ (Watson 2002, পৃ. 19)
- ↑ "The Arabic Sounds I. | Gulf Arabic E-learning System"। www.gulfarabic.com।
- ↑ Wehr, Hans (১৯৯৪)। Dictionary of Modern Written Arabic। J. Milton Cowan কর্তৃক অনূদিত। Spoken Language Services। আইএসবিএন ৯৭৮০৮৭৯৫০০০৩২।
{{বই উদ্ধৃতি}}:|আইএসবিন=মান: চেকসাম পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
গ্রন্থপঞ্জী
[সম্পাদনা]- Abd-El-Jawad, Hassan (১৯৮৭), "Cross-Dialectal Variation in Arabic: Competing Prestigious Forms", Language in Society, ১৬ (3): ৩৫৯–৩৬৭, ডিওআই:10.1017/S0047404500012446, এস২সিআইডি 143839694
- Al Ani, S.H. (১৯৭০), Arabic Phonology: An Acoustical and Physiological Investigation, The Hague: Mouton
- Davis, Stuart (১৯৯৫), "Emphasis Spread in Arabic and Grounded Phonology", Linguistic Inquiry, ২৬ (3), The MIT Press: ৪৬৫–৪৯৮, জেস্টোর 4178907
- Ferguson, Charles (১৯৫৬), "The Emphatic L in Arabic", Language, ৩২ (3): ৪৪৬–৪৫২, ডিওআই:10.2307/410565, জেস্টোর 410565
- Gairdner, W.H.T. (১৯২৫), The Phonetics of Arabic, London: Oxford University Press
- Hans Wehr, (1952) Arabisches Wörterbuch für die Schriftsprache der Gegenwart
- Holes, Clive (২০০৪), Modern Arabic: Structures, Functions, and Varieties, Georgetown University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৯০১-০২২-২
- Kästner, H. (১৯৮১), Phonetik und Phonologie des modernen Hocharabisch, Leipzig: Verlag Enzyklopädie
- Kirchhoff, Katrin; Vergyri, Dimitra (২০০৫), "Cross-dialectal data sharing for acoustic modeling in Arabic speech recognition", Speech Communication, ৪৬ (1): ৩৭–৫১, ডিওআই:10.1016/j.specom.2005.01.004
- Ladefoged, Peter; Maddieson, Ian (১৯৯৬), The Sounds of the World's Languages, Oxford: Blackwell, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৬৩১-১৯৮১৫-৪
- Lipinski, E. (১৯৯৭), Semitic Languages, Leuven: Peters
- McCarthy, John J. (১৯৯৪), "The phonetics and phonology of Semitic pharyngeals", Keating, Patricia (সম্পাদক), Papers in laboratory phonology III: phonological structure and phonetic form, Cambridge: Cambridge University Press, পৃ. ১৯১–২৩৩
- Mion, Giuliano (২০১০), Sociofonologia dell'arabo. Dalla ricerca empirica al riconoscimento del parlante, Rome: Sapienza Orientale
- Neme, Alexis (২০১৩), "Pattern-and-root inflectional morphology: the Arabic broken plural", Language Sciences, ৪০ (2): ২২১–২৫০, সাইটসিয়ারএক্স 10.1.1.697.1138, ডিওআই:10.1016/j.langsci.2013.06.002
- Thelwall, Robin (১৯৯০), "Illustrations of the IPA: Arabic", Journal of the International Phonetic Association, ২০ (2): ৩৭–৪১, ডিওআই:10.1017/S0025100300004266, জেস্টোর 44526807
- Watson, Janet (১৯৯৯), "The Directionality of Emphasis Spread in Arabic", Linguistic Inquiry, ৩০ (2): ২৮৯–৩০০, ডিওআই:10.1162/002438999554066, এস২সিআইডি 57568284
- Watson, Janet C. E. (২০০২), The Phonology and Morphology of Arabic, New York: Oxford University Press