আখতার হামিদ খান
![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
ড. আখতার হামিদ খান | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | আখতার হামিদ খান ১৫ জুলাই ১৯১৪ |
মৃত্যু | ৯ অক্টোবর ১৯৯৯ | (বয়স ৮৫)
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
মাতৃশিক্ষায়তন | ম্যাকডানেল কলেজ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | ক্ষুদ্রঋণ, ক্ষুদ্রঋণ, কুমিল্লা মডেল, ওরাঙ্গি পাইলট প্রকল্প |
পুরস্কার | রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, নিশান-এ-ইমতিয়াজ, সিতারা-এ-পাকিস্তান, জিন্নাহ পদক |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পল্লী উন্নয়ন, ক্ষুদ্রঋণ |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী ন্যাশনাল সেন্টার ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট, পাকিস্তান মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি |
যাদেরকে প্রভাবিত করেছেন | শোয়েব সুলতান খান |
আখতার হামিদ খান (উর্দু: اختر حمید خان; ১৫ জুলাই ১৯১৪ - ৯ অক্টোবর ১৯৯৯) একজন পাকিস্তানি সমাজ বিজ্ঞানী ও উন্নয়ন কর্মী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ,পাকিস্তান এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে অংশগ্রহণমূলক পল্লী উন্নয়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আজীবন কাজ করেছেন। তার বিশেষ অবদান ছিল পল্লী উন্নয়নের জন্য একটি ব্যাপক প্রকল্প, কুমিল্লা মডেল (১৯৫৯) প্রতিষ্ঠা। এই পরিকল্পনার জন্য তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন এবং মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি তাকে 'ডক্টরাল' ডিগ্রী প্রদান করে। রেল্ফ শুমেখার তার বইয়ে লিখেছেন: "তার স্কেন্ডিনেভিয়ান সহকর্মীরা এবং অন্যান্য উপদেষ্টারা তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারর জন্য মনোনীত করেছিলেন।"[১]
প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]তিনি ভারতের আগ্রায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৪ সালে তিনি আগ্রা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে (আইসিএস) যোগ দেন। আইসিএস-এর শিক্ষানবিশ হিসেবে তিনি ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য এবং ইতিহাস অধ্যয়ন করেন এবং এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন।[২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৩৬ ব্যাচের আইসিএস কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ১৯৪৩ সালে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের চাকুরির সমাপ্তি ঘটিয়ে ১৯৫০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ-এ অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এ কলেজে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত চাকুরি করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পল্লী উন্নয়নের উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষণ বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ১৯৫৯ সালে তিনি কুমিল্লায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর প্রথম কার্যকরী পরিচালক নিযুক্ত হন। বার্ডের পরিচালক হিসেবে তিনি ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। পল্লী উন্নয়নে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার জন্য তাঁকে সিতারা-ই-পাকিস্তান (১৯৬১) প্রদান করা হয়।১৯৬৩ সালে ড. আখতার হামিদ খান তাঁর কুমিল্লা মডেলের জন্য এশিয়ার নোবেল পুরস্কার খ্যাত ‘র্যামন ম্যাগসেসাই পুরস্কার’ পান। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৬৪ সালে তাঁকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ’ এ ভূষিত করে।বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি পাকিস্তানে চলে যান এবং প্রথমে লায়ালপুরস্থ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও পরে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ফেলো হিসেবে ১৯৭২-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। ১৯৭৩-৭৯ সালে তিনি মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৮-৭৯ সালে তিনি বগুড়ায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সুইডেনের লুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উড্র উইলসন স্কুল, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেন।ইংরেজি, বাংলা, আরবি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি ভাষায় দক্ষ আখতার হামিদ খান বহু নিবন্ধ, প্রতিবেদন ও গ্রন্থ রচনা করেছেন। বার্ড তাঁর লেখাগুলিকে তিনটি খন্ড ডে ওয়ার্কস অব আখতার হামিদ খান (১৯৮২) শিরোনামে প্রকাশ করেছে।[২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Yousaf Nasim, Dr. Akhtar Hameed Khan — An Inspirational Social Scientist,http://akhtar-hameed-khan.8m.com ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে
- ↑ ক খ "কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ: একটি চলমান ইতিহাস– ড. মোঃ রাজু আহাম্মদ"। সাপ্তাহিক আমোদ। ডিসে ২৮, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ডিসে ২৮, ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯১৪-এ জন্ম
- ১৯৯৯-এ মৃত্যু
- কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক
- পাকিস্তানি বিজ্ঞানী
- আগ্রার ব্যক্তি
- মুহাজির ব্যক্তি
- পাকিস্তানি সুন্নি মুসলিম
- মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী
- হিলাল-ই-ইমতিয়াজ প্রাপক
- পাকিস্তান একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সভ্য
- সিতারা-ই-পাকিস্তান প্রাপক
- নিশান-ই-ইমতিয়াজ প্রাপক