আইডিয়াল কলেজ
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
---|---|
ধরন | বেসরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ১৯৬৯ |
ইআইআইএন | ১০৭৯৭১ |
চেয়ারম্যান | সৈয়দ রেজাউর রহমান |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক আমজাদ হোসেন |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৮৩ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬০ |
শিক্ষার্থী | ৪০০০+ |
ঠিকানা | ৬৫ সেন্ট্রাল রোড, ধানমন্ডি , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর |
ভাষা | বাংলা |
EIIN | ১০৭৯৭১ |
পোশাকের রঙ | সাদা, কালো এবং আকাশী |
ওয়েবসাইট | www |
আইডিয়াল কলেজ (ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ নামেও পরিচিত) ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত একটি বেসরকারি কলেজ। এখানে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে শিক্ষাদান করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]আইডিয়াল কলেজ ধানমন্ডি, ঢাকা। বতর্মান সেন্ট্রাল রোড (শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনির চৌধুরী সড়ক) ঢাকা-১২০৫ অবস্থিত। ১৯৬৯ এর উত্তাল গণ অভ্যুত্থানের প্রাক্কালে তৎকালীন উপেক্ষিত বাঙালি জাতির জীবনে শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে আদর্শ কলেজ নামক একটি ক্ষণজন্মা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। তৎকালীন কিছুসংখ্যক শিক্ষিত, জ্ঞানী-গুণী, ত্যাগী ও মহৎ ব্যক্তিত্বের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিরলস চেষ্টার ফলশ্রুতিতে এই মহতী উদ্যোগের বাস্তব রূপ পরিগ্রহ করে, অর্থাৎ আদর্শ কলেজ নামক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এই আদর্শ কলেজই পরবর্তী পর্যায়ে সময়ের প্রেক্ষাপটে আইডিয়াল কলেজ হিসাবে নাম ধারন করে শিক্ষার আলোক বর্তীকা বহন করে চলেছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য অধ্যাপক ড. শাহাদত শেখের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আরও বেশ কয়েক জন বিদ্যোৎসাহী শিক্ষক, চিকিৎসক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির জন্ম হয়। সূচনালগ্নে অত্র এলাকার একজন শিক্ষানুরাগী, ত্যাগী ও গুণী ব্যক্তিত্ব জনাব খালেক সাহেবের ১১ নং সেন্ট্রাল রোডের বাড়িতে আদর্শ কলেজের পথচলা শুরু হয়। অত্র এলাকার তৎকালীন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র-শিক্ষক, স্থানীয় এলাকাবাসী, অভিভাবক তথা সাধারণ মানুষ সকলে মিলে এই কলেজটিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রথম পর্যায়ে কলেজটিতে দিবা শাখার পাশাপাশি নৈশ শাখার কার্যক্রমও প্রবর্তিত ছিল। তবে নৈশ শাখায় শুধুমাত্র আইন বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হতো।সে সময় উদারচেতা মনোভাব,পরউপকারী সৎ, সাহসী এক ব্যক্তি ১০নং সেন্ট্রাল রোড নিবাসী পরবর্তীতে যিনি কাটাবনস্থ নাজু মটরের মালিক হিসেবে পরিচিত প্রায়াত নাজির হোসেন নাজু (বীর মুক্তিযোদ্ধা) সর্বপ্রথম সকল বিষয়ে পড়াশোনা এবং দিবা শাখা চালু করার প্রস্তাব পেশ করেন। এবং সাহস সহ সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দেশের নাজুক পরিস্থিতি সহ এতে বেশ কিছু শিক্ষক নিয়োগ ও আর্থিয়কভাবে ব্যায়বহুল এবং কিছু জটিলতা থাকায় উক্ত সিদ্ধান্ত সে সময় গ্রহিত হয় না। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর ১৯৭৩ সালের ৪ঠা জানুয়ারীতে কিছু সংখ্যক তবে পরবর্তীতে বেশ কয়েক বছর পর সকল বিষয়ে পড়াশোনা চালু হয়। যাবৎ এই আইন বিষয়টিকে সাফল্যের সাথে শিক্ষা প্রদান করা। হয়। যার ফলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের আইন অঙ্গনে অনেকেই সাফল্যের সাথে রয়েছেন। ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের পর মালিকানাধীন ৬৫ নং সেন্ট্রাল রোডস্থ করিম রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবসার প্রতিষ্ঠানের বাড়িটি বাংলাদেশ সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। উক্ত সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ এলাকার জনসাধারণ, এম.এ মালেক সাহেব, নাজু, আবু সাঈদ,মন্ঠু, খস্রু, হোসেন সহ ছাত্র-শিক্ষক, কর্মচারীরা সবাই মিলে ৬৫ সেন্ট্রাল রোডের বাড়িটিতে কলেজটিকে স্থানান্তর করা হয়। এখানে কিছুদিন কলেজের কার্যক্রম চালানোর পর সরকারের কাছ থেকে কলেজের জন্য বাড়িটি লিজ নেয়া হয়। পরবর্তীতে এই তীর্থ স্থানটিতে আইডিয়াল কলেজ স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং ১৯৯৮ সনের দিকে কলেজের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট থেকে জমিসহ স্থাপনাটি স্থায়ীভাবে জন্য করে নেয়। সময়ের আবর্তে মাঝে মধ্যে কলেজটি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরাও অর্থসংকটে পড়েছে। অনেক সময় ছাত্র-ছাত্রি সংগ্রহ করতে ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে তথা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও যেতে হয়েছে। তবে আইডিয়াল কলেজকে কেউ নিরাশ করে নাই। বিশেষ করে রাজধানীর পুরাণ ঢাকার ছাত্র-ছাত্রিরা কলেজটিতে ভর্তির জন্য সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা কোক শায়ের দানশীল বা সরকারের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন জটিল সমস্যা সংকুল পরিবেশকে অতিক্রম করা সম্ভব হয়েছে। নিসংকুল নাজুক পরিস্থিতিকে সাফল্যের সাথে অতিক্রম করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রথম পর্যায়ে কলেজটিতে দিবা শাখার পাশাপাশি নৈশ শাখার কার্যক্রমও প্রবর্তিত ছিল। তবে নৈশ শাখায় শুধুমাত্র আইন বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হতো। বেশ কয়েক বছর যাবৎ এই আইন বিষয়টিকে সাফল্যের সাথে শিক্ষা প্রদান করা হয়। যার ফল এই প্রতিষ্ঠান অনেক সুনাম কুড়িয়েছে দেশের মাটিতে।
আইডিয়াল কলেজ ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত যা পাঁচ দশক ধরে টেকসই শিক্ষায় তার অবদান রেখে আসছে। আলোকিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই কলেজে আঠারোটি বিভাগ, ৮৩ জন শিক্ষক এবং প্রায় ষাট জন প্রশাসনিক কর্মচারী রয়েছেন। ১ম বর্ষ ও ২য় বর্ষ সহ এইচএসসি পর্যায়ে, প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী যারা বিজ্ঞান, মানবিক এবং বাণিজ্য শাখা হিসাবে পড়াশোনা করছে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]শিক্ষার্থীরা তাদের একাডেমিক পাঠ্যক্রমের বাইরে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে। [১]
ক্লাব
[সম্পাদনা]- আইডিয়াল কলেজ ডিবেটিং ক্লাব
- আইডিয়াল কলেজ ফটোগ্রাফি ক্লাব
- আইডিয়াল কলেজ বিজ্ঞান ক্লাব
- আইডিয়াল কলেজ সাংস্কৃতিক ক্লাব
- আইডিয়াল কলেজ সি-রোভার স্কাউট
- আইডিয়াল কলেজ ব্লাড ব্যাংক
- আইডিয়াল কলেজ ইংরেজী ক্লাব
- বি.এন.সি.সি (নতুন সংযুক্তি)
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ইউআইইউ আন্তঃকলেজ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ"। Bangla Tribune। ২০২১-০৮-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ আগস্ট ২০২০ তারিখে