বিষয়বস্তুতে চলুন

অশোক চট্টোপাধ্যায় (লেখক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অশোক চট্টোপাধ্যায়
জন্ম(১৮৯৮-০২-০৬)৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮
এলাহাবাদ আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশ বৃটিশ ভারত
মৃত্যু১ অক্টোবর ১৯৮২(1982-10-01) (বয়স ৮৪)
ছদ্মনামমধুকরকুমার কাঞ্জিলাল
পেশাঅধ্যাপনা
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানস্কটিশ চার্চ কলেজ
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়

অশোক চট্টোপাধ্যায় (৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৮ - ১ অক্টোবর, ১৯৮২) ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক এবং প্রাবন্ধিক। বাংলা সাহিত্য সাপ্তাহিক শনিবারের চিঠির প্রতিষ্ঠাতা ও মূল স্বত্বাধিকারী ছিলেন তিনি। [][]

জন্ম ও শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

অশোক চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম বৃটিশ ভারতের আগ্রা ও অবধের যুক্তপ্রদেশের অধুনা উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে তথা প্রয়াগরাজে পিতার কর্মস্থলে। তিনি ঊনবিংশ শতকের প্রখ্যাত সাহিত্যিক এবং প্রবাসীমডার্ন রিভিউ পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় ও মাতা মনোরমা দেবীর কনিষ্ঠ সন্তান। তার পৈতৃক নিবাস ছিল অধুনা পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার পাঠকপাড়ায়। সুলেখিকা শান্তা দেবীসীতা দেবী ছিলেন তার অগ্রজা। অশোক চট্টোপাধ্যায় কলকাতার সিটি কলেজ থেকে আই.এ পাশ করে স্কটিশ চার্চ কলেজে অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে বি.এ পড়েন। সেসময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি বেঙ্গল কমান্ড অধীনস্থ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী - 'বেঙ্গল লাইট হর্স' বাহিনীতে নাম লেখান। তখন থেকেই তিনি মুষ্টিযুদ্ধ, ক্রিকেট, হকি প্রভৃতি খেলার প্রতি বিশেষ আগ্রহী হন। পরে উচ্চ শিক্ষার্থে ইংল্যান্ডে যান। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ট্রাইপস পরীক্ষা পাশ করে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফেরেন। []

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

পিতার শুরু করা প্রবাসী পত্রিকার সহ-সম্পাদকের কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি প্রবাসীমডার্ন রিভিউ দুই পত্রিকারই সম্পাদক হন। পরে তিনি ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই নিজের মালিকানায় যোগানন্দ দাস ও সজনীকান্ত দাসের উদ্যোগে শনিবারের চিঠি নামের সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। যোগানন্দ দাস ছিলেন প্রথম প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন এবং তারপর সম্পাদক হন সজনীকান্ত দাস। পত্রিকাটির খ্যাতি ও অখ্যাতি ছিল বিভিন্ন সাহিত্যচিন্তা ও সাহিত্যিকদের প্রতি আক্রমণাত্মক ভূমিকার জন্য। [] অশোক চট্টোপাধ্যায়ের লেখা অনেক ব্যঙ্গ গল্প ও কবিতা এই পত্রিকায়, প্রবাসীআনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছে। বহু প্রবন্ধও লিখেছেন নানা পত্রপত্রিকায় অনেকগুলি ছদ্মনামে। তবে শেষে তিনি শুধু মধুকরকুমার কাঞ্জিলাল নামেই পরিচিত হন। তিনি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন এবং শিল্পকলার বিশেষজ্ঞ ছিলেন। ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে স্যার জর্জ স্ট্যানলি রিডার ইন এসথেটিক্স নিযুক্ত করে। ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল লেবার কনফারেন্সে যোগ দেন। []

খেলাধূলার জগতেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি ভারতীয় মুষ্টিযুদ্ধ সংঘ, বেঙ্গল অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন, বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, স্কুল অফ ফিজিক্যাল কালচার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন।[]

জীবনাবসান

[সম্পাদনা]

অশোক চট্টোপাধ্যায় ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দের ১ লা অক্টোবর পরলোক গমন করেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ৪৯,৫০ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
  2. শিশিরকুমার দাশ (২০১৯)। সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী। সাহিত্য সংসদ, কলকাতা। পৃষ্ঠা ২০৩। আইএসবিএন 978-81-7955-007-9