আলাপ:পাঞ্জশির প্রদেশ

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

“পানশির প্রদেশ” নামে স্থানান্তর[সম্পাদনা]

@Zaheen: ভাই, এই অঞ্চলটি বাংলায় ঐতিহাসিকভাবে “পানশির” নামে পরিচিত। সৈয়দ মুজতবা আলির লেখাতেও এই নাম পাওয়া যায়। এছাড়া সাম্প্রতিককালের খবরেও (প্রথম আলো দ্রষ্টব্য) এই নামটি ব্যবহৃত হচ্ছে। (আনন্দবাজার ইত্যাদি ব্যতিক্রম; সেগুলোতে হিন্দির অনুকরণে পাঞ্জশির, পঞ্জশির ইত্যাদি ব্যবহৃত হচ্ছে।) বর্তমান এই নিবন্ধটি “পানশির প্রদেশ” নামে স্থানান্তরের প্রস্তাব করছি। — Meghmollar2017আলাপ০৯:৪৭, ২০ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

Meghmollar2017, দেখছি। প্রাথমিকভাবে পাঞ্জশির সঠিক প্রতিবর্ণীকরণ বলেই মনে হচ্ছে, কেননা আরবি-ফার্সি লিপিভিত্তিক পশতু বর্ণমালায় লেখা নামে স্পষ্টতই পে-নুন-জিম = পাঞ্জ লেখা। পাঞ্জ মানে "পাঁচ", শির মানে "সিংহ", পাঞ্জশির = পাঁচ সিংহ। খুবই সহজ সরল ব্যুৎপত্তি। ফার্সি আর পশতু ভাষার যার ন্যূনতম জ্ঞান আছে, সে বুঝবে এখানে পাঞ্জ হবে, পান নয়। এখন বাংলায় কীভাবে "পানশির" ঢুকল আর কীভাবে জিমটা ঝরে গেল, সেটা আগ্রহের বিষয়। আফগানিস্তানে নিশ্চয়ই আরও অনেক ব্যক্তি ও স্থাননাম আছে যেগুলিতে পাঞ্জ কথাটা আছে, সেগুলিকে তো ঢালাওভাবে "পান" লেখা যাবে না। এভাবে করলে উইকিপিডিয়ার মতো বিশ্বকোষীয় ওয়েবসাইটে পশতু নামের প্রতিবর্ণীকরণের সামঞ্জস্য ও নির্ভরযোগ্যতা কমে যাবে। এমনকি পাকিস্তানেও ফার্সিজাত শব্দ "পাঞ্জাব" আছে --- পাঞ্জ (পাঁচ) + অব (পানি) = পাঁচ পানি (পাঁচ নদীর দেশ)। আমরা তো জিম ফেলে দিয়ে "পানাব" লিখি না। আরও ঘেঁটে দেখি কি করা যায়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ১০:৫৩, ২০ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Zaheen: ভাই, প্রতিবর্ণীকরণের এই বিষয়ে আমি অবগত আছি। তবুও আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোর দিকে এবং ঐতিহাসিক ব্যবহারের জন্য সাহিত্যিক কর্মগুলোর দিকে; বিশেষ করে দেশে বিদেশে গ্রন্থে আপনি ভালো উল্লেখ পাবেন। — Meghmollar2017আলাপ১১:৫৫, ২০ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
Meghmollar2017, যে প্রতিবর্ণীকরণ সঠিক উচ্চারণের কাছাকাছি, আমার মতে সেটাকেই সাধারণ নিয়মে নিবন্ধের শিরোনামে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। সৈয়দ মুজতবা আলী-র দেশে বিদেশে বই ছাড়া এবং ঐ বইয়ে তাঁর করা এই "পানশির" প্রতিবর্ণীকরণটি নিয়ে আর কোনও চিন্তাভাবনা না করে সমস্ত ভাষাতাত্ত্বিক যুক্তিপাত শিকেয় তুলে হুবহু সেটিকে গ্রহণকারী ডেরিভেটিভ সাহিত্য বা পত্রপত্রিকার রচনার লেখকরা ছাড়া আর কোথাও কি আরও কোনও লেখক স্বাধীনভাবে এই ধ্বনিতাত্ত্বিক ও বানানতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ত্রুটিপূর্ণ "পানশির" প্রতিবর্ণীকরণ করেছেন? নাকি এটা কেবলই সৈয়দ মুজতবা আলীর মস্তিষ্কপ্রসূত একটি প্রতিবর্ণীকরণ? সৈয়দ মুজতবা আলীর কোনও দোষ নেই, উনি তো আর বিশ্বকোষ বা রেফারেন্স গ্রন্থ লিখতে যান নি, উনি নিজ কানে যা শুনেছেন, নিজ বুদ্ধিতে যা বুঝেছেন, তা তাঁর ভ্রমণ বিষয়ক গল্পকাহিনীতে লিখেছেন, সেটা ওনার শৈল্পিক অধিকার। এখন উইকিপিডিয়াতে সেই প্রতিবর্ণীকরণকে সর্বাগ্রগণ্য রেফারেন্স প্রতিবর্ণীকরণ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত কি না, তাই হল প্রশ্ন। বিশেষ বিশেষ সংবাদপত্রের ক্ষেত্রেও প্রতিবর্ণীকরণ বিষয়ে কোনও নিয়ম কানুন বা মানদণ্ড না থাকতে পারে, সুতরাং তারাও কেউ কেউ মুজতবা আলীকে অন্ধ অনুসরণ করে "পানশির" লিখতে পারেন ও এই ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবর্ণীকরণটিকে জিইয়ে রাখতে পারেন, সেটা তাদের এখতিয়ার। কিন্তু আমার মতে বিশ্বকোষের মতো একটা আকরগ্রন্থের ক্ষেত্রে প্রতিবর্ণীকরণের মানদণ্ড আরও উঁচু হওয়া উচিত। নিবন্ধকে "পানশির প্রদেশ"-এ স্থানান্তর করলে সেই মানদণ্ড নিচু হয়ে যাবে। তবে "পানশির" উল্লেখ করা যাবে না, এমন কথাও বলছি না। নিবন্ধের ভেতরে বিকল্প প্রচলিত বানান হিসেবে দেশে বিদেশে ও অন্যান্য তথ্যসূত্রসহ "পানশির" উল্লেখ থাকতেই পারে। তাহলে কোনও ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৭:১৭, ২১ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Zaheen: ভাই, দুঃখজনকভাবে, মনে হচ্ছে, আপনি সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো লেখককে অবমূল্যায়ন করছেন। আমার যতটুকু জানা আছে, তিনি এই ভাষায় যথেষ্ট ভালো ধারণা রাখতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আপাতত আমার কাছে নেই। এটা উনার “মস্তিষ্কপ্রসূত” নাকি এর আরও রেফারেন্স আছে, অন্য কেউ ব্যবহার করেছেন কিনা, তা আমার জানা নেই। তবে, আমি সন্ধান অবশ্যই করবো। আপনাকে আপনার সময়ের জন্য ধন্যবাদ। — Meghmollar2017আলাপ০৭:৫৮, ২১ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
Meghmollar2017, না, আপনার এরকম "মনে হওয়া" ঠিক নয়। আমি লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীকে কোনোই অবমূল্যায়ন করছি না। আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষাজ্ঞান বা সাহিত্যিক দক্ষতা বিচার নয়। আমাদের এখানে আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে উইকিপিডিয়াতে আফগানিস্তানের একটি স্থানের নামের শিরোনাম কী হবে। ঘটনাচক্রে সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর একটি রচনায় এই স্থানটির একটি প্রতিবর্ণীকরণ ব্যবহার করেছিলেন। সেটি পশতু ভাষার প্রতিবর্ণীকরণের কোনও রেফারেন্স গ্রন্থ ছিল না, বরং একটি ভ্রমণকাহিনী ছিল। সেই বানানের প্রসঙ্গ আপনিই এখানে টেনে এনেছেন, আমি না। সৈয়দ মুজতবা আলীর আফগানিস্তানের স্থাননাম বিষয়ক এই বিশেষ শব্দটির প্রতিবর্ণীকরণটি যে ধ্বনিতাত্ত্বিক ও বানানতাত্ত্বিকভাবে ভুল, সেটা শুধু আমার কাছে কেন, ভাষা ও প্রতিবর্ণীকরণ নিয়ে কাজ করা যেকোনও যুক্তিবাদী মানুষের কাছেই খুবই স্পষ্ট প্রতীয়মান হবে। আমার কথা খুবই স্পষ্ট। পাঞ্জশির-এ স্পষ্টতই পে-নুন-জিম আছে; "পানশির" প্রতিবর্ণীকরণ তাহলে বানানগতভাবে ভুল। আমি সেটা উল্লেখ করলে লেখক হিসেবে সৈয়দ মুজতবা আলীর অবমূল্যায়ন হয় না। উনি কী মনে করে পানশির লিখেছিলেন, সেটা ওনার ব্যাপার। হয়ত স্থানীয়রা পাঞ্জশির বলার সময় জিমটা খুব হালকা উচ্চারণ করত, তাই ওনার মনে হয়েছিল হয়ত পানশির-ই ঠিক উচ্চারণ। ওনার মাথায় কী চলছিল, সেটা নির্ণয় করার জায়গা এই আলাপ পাতা না। ওনার পশতু ভাষাজ্ঞান ভালো না খারাপ, সেটা নির্ণয় করার স্থান এই আলাপ পাতা না। পশতু শব্দের প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রতিবর্ণীকরণ দেববাক্যের মতো মাথা পেতে মেনে নিতে হবে, এই মতের সাথে আমি একমত নই।
আমার কথা খুব পরিস্কার। পশতু ব্যক্তি, বস্তু ও স্থাননামের প্রতিবর্ণীকরণ সম্পর্কে উইকির নিজস্ব নীতিমালা থাকা উচিত। আর সেখানে বিশেষ ব্যতিক্রম হিসেবে কোনও বিখ্যাত সাহিত্যিকের বহুযুগ আগে করা প্রতিবর্ণীকরণ যুক্তি দিয়ে বিচার না করে অন্ধের মতো মেনে নিতে হবে, এরকম কোনও ঢালাও উপনিয়ম থাকা উচিত নয়। পশতু ভাষার একটি স্থাননামের প্রতিবর্ণীকরণ করার জন্য আমাদেরকে বহু দশক আগে ফেরত গিয়ে কোনও বিখ্যাত লেখকের রচনা হয়ে ঘুরে আসতে হবে না। বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগে দুটো মাউস ক্লিক দিলেই পশতু ভাষার বর্ণমালা, ধ্বনিতত্ত্ব, বানানতত্ত্ব, উচ্চারণ, কোন স্থানের বানান ও উচ্চারণ কী, তা খুব সহজেই জানা সম্ভব। সবচেয়ে মজার কথা হল, বর্তমানে আলোচ্য পাঞ্জশির বানান ও উচ্চারণ জানার জন্য পশতু ভাষার বিশাল বিশেষজ্ঞ হওয়া লাগে না, আফগানিস্তানে যাওয়াও লাগে না। পাঞ্জ=পাঁচ আর শির=সিংহ - এই দুটো শব্দের পশতু জানলেই পানির মত সহজে পাঞ্জশির-এর ব্যুৎপত্তি বোঝা সম্ভব। কেউ যদি তারপরেও নিজের ভাষাতাত্ত্বিক যুক্তিবোধ শিকেয় তুলতে চান এবং কোনও লেখকের খ্যাতিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিবর্ণীকরণের মতো সুক্ষ্ম ব্যাপার সমাধান করতে চান, সেটা তার ব্যাপার। আমি এ ব্যাপারে একমত নই। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৮:৪২, ২১ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
আমি আরও একটু ঘাঁটলাম। ব্যাপারটা আসলেই একটু সুক্ষ্ম। ইউটিউবে পাঞ্জশিরের উপরে আফগানি প্রচারকেন্দ্রগুলি থেকে যে ভিডিওগুলি দেখলাম, সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় আফগানরা দ্রুত কথ্য ভাষায় পাঞ্জশিরের জিমটাকে খুব হালকাভাবে উচ্চারণ করে, তাই কান খাড়া করে না শুনলে মনে হবে পানশির বলছে। যেমন এই ভিডিওটির ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড অবস্থানে দুইজন স্থানটির নাম উচ্চারণ করছেন, যেখানে শুনে মনে হতে পারে পাঞ্জশির না, বরং পানশির বলছে। আবার, এই আফগানি সংবাদ চ্যানেলটির এই ভিডিওটির ৯-১০ সেকেন্ড অবস্থানেও মনে হতে পারে পাঞ্জশিরের জ বাদ দিয়ে শুধু পানশির বলছে। আসলে দ্রুত কথ্য উচ্চারণে লিখিত অনেক বর্ণ ঝরে যায় বা হালকা হয়ে যায়, এটা তারই আরেকটা উদাহরণ। সুতরাং কেউ যদি বানান না দেখে বা ভাষাতাত্ত্বিক সুক্ষ্ম জ্ঞান না খাটিয়ে সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান প্রয়োগ করে শুধু শুনে প্রতিবর্ণীকরণ করতে যায়, তাহলে তার কাছে "পানশির" ঠিক মনে হবে। আমার মনে হয় সৈয়দ মুজতবা আলীর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। কিন্তু বানানগত (পে-নুন-জিম) ও রূপমূলতাত্ত্বিক (morphological অর্থাৎ পাঞ্জ + শির) বিশ্লেষণ করে প্রতিবর্ণকরণ করতে গেলে পাঞ্জশির-ই ঠিক। ইংরেজিতে প্রতিবর্ণীকরণে তাই মূল পশতু বানানকে সম্মান করে Panjshir লেখা হয়, অর্থাৎ j সহ। কিন্তু পাশ্চাত্যের আরেক ভাষা ফরাসি ভাষাতে জ উচ্চারণটাকে বাদ দিয়ে শোনা উচ্চারণকে প্রাধান্য দিয়ে "Panchir" প্রতিবর্ণীকরণ করা হয় ও "পঁশির" উচ্চারণ করা হয়। জার্মান ভাষাতে "জ" ধ্বনি/বর্ণ সংরক্ষণ করা হয় ও লেখা হয় Pandjschir, যেখানে dj=জ, ও sch=শ। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ০৯:১৮, ২১ আগস্ট ২০২১ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]