আমেদি বড় মসজিদ
আমেদি বড় মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা | মসজিদ |
অবস্থা | চালু |
অবস্থান | |
অবস্থান | আমেদি, কুর্দিস্তান অঞ্চল, ইরাক |
ইরাকে অবস্থিত | |
স্থানাঙ্ক | ৩৭°০৫′৩৮″ উত্তর ৪৩°২৯′১৮″ পূর্ব / ৩৭.০৯৩৮৯° উত্তর ৪৩.৪৮৮৩৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | ইসলামি স্থাপত্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১১৭৭ খ্রিষ্টাব্দ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৩০০ জন মুসল্লি |
অভ্যন্তরীণ | ২,০০০ বর্গমিটার (২২,০০০ ফু২) |
মিনার | ১ |
মিনারের উচ্চতা | ৩০ মিটার (৯৮ ফু) |
আমেদি বড় মসজিদ ইরাকের কুর্দিস্তানের আমেদি শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মসজিদ।[১] এটি ১১৭৭ সালে আব্বাসীয় যুগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। এছাড়া মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছিলো।
বর্ণনা[সম্পাদনা]
মসজিদের ৩০ মিটার (৯৮ ফুট) উঁচু ঐতিহাসিক মিনারটি ১৫ শতকে সুলতান হুসেন আল-ওয়ালির শাসনামলে নির্মিত হয়েছিল। মিনারটিতে সর্পিল সিঁড়ি রয়েছে যা একদম উপরে গিয়ে পৌঁছেছে।[২] মিনারটিকে মসুল শহরের আল-নুরির বড় মসজিদের মিনারের সাথে তুলনা করা হয়। কারণ মিনারটি আল-নুরির বড় মসজিদের মিনারের সাথে বিভিন্ন দিক দিয়ে মিল রয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দীতে, মিনারের গম্বুজটি একটি অভিযানের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল এবং পরবর্তীতে এটি আবার সংস্কার করা হয়েছিলো। ১৯৬১ সালে ইরাকি সরকারের বিমান হামলার কারণে মিনারের উপরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। পরে পাথর ব্যবহার করে এটি আবার পুনর্গঠন করা হয়েছিলো।[৩]
মসজিদে হারেম রয়েছে এবং আস্তর, কাদা ও পাথর দিয়ে নির্মিত বেশ কয়েকটি গম্বুজ রয়েছে।[৩] হারেম দুটি বিভাগে বিভক্ত, একটি উপরের অংশ যা সুলতান হুসাইন দ্বারা নির্মিত এবং অন্যটি নীচের অংশ যা মহিলাদের জন্য নামাজের কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মসজিদটির আয়তন ২,০০০ বর্গমিটার (২২,০০০ বর্গফুট) এবং এতে ৩০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।
মসজিদটিতে একটি ঐতিহাসিক মাদ্রাসা রয়েছে যা একসময় শহরের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো। তখন মাদ্রাসায় ফিকহ ও আরবি ভাষাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় দিক সম্পর্কে শিখানো হতো। সুলতান হুসাইন মসজিদটি সংস্কার করেন। মসজিদের দক্ষিণে গম্বুজ সহ একটি মসজিদ ও একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যেখানে ফিকহ সম্পর্কিত কাজগুলি সংরক্ষণ করা হয়েছে।[৪]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "যুল-কিফল ইরাকি আমাদিয়ায় মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের একত্রিত করে"। কিতাবত (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১৮।
- ↑ "হাজার ঘরের শহর আমেদিয়া এর বাসিন্দারা চলে যাচ্ছে"। নিকাশ (আরবি ভাষায়)। জানুয়ারি ১২, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১৮।
- ↑ ক খ "আজ সকালে - উত্তর ইরাকের আমাদিয়া শহর"। আল জাজিরা (আরবি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১১, ২০১৮।
- ↑ ঐতিহ্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক মসজিদ ও মসজিদ নির্দেশিকা (আরবি ভাষায়)। পৃষ্ঠা ২৯২।