বিষয়বস্তুতে চলুন

কোরাগা জাতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কোরাগা হল একটি উপজাতি সম্প্রদায় যারা প্রধানত দক্ষিণ কন্নড়, কর্ণাটকের উদুপি জেলা এবং দক্ষিণ ভারতের কেরালার কাসারগোদ জেলায় বসবাস করে। কর্ণাটকের এই অঞ্চলগুলিকে প্রায়শই তুলুনাড়ু হিসাবে উল্লেখ করা হয়, যা সাধারণত পূর্ববর্তী দক্ষিণ কানারা জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। [] উত্তর কন্নড়, শিমোগা এবং কোডাগুর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও এরা অল্প সংখ্যায় বসবাস করে। [] কোরাগাকে ভারত সরকার একটি তফসিলি উপজাতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। []

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কোরাগাদের মোট সংখ্যা ছিল ১৬,০৭১। [] তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে যা একটি স্বাধীন দ্রাবিড় ভাষা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ। [] এই ভাষা স্থানীয় এলাকার প্রচলিত টুলু, কন্নড়, মালয়ালম ভাষা দ্বারা দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত।

সামাজিক মর্যাদা

[সম্পাদনা]

১৯০১ সালের আদমশুমারি প্রতিবেদনে কোরাগাকে ঝুড়ি প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিক পেশার অন্তর্গত একটি নিচু উপজাতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে কিছু লোক সেসময় মেথর হিসাবে নিযুক্ত ছিল। তারা আজও অস্পৃশ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। তারা হিন্দুদের দ্বারা আচারিকভাবে দূষিত হিসাবে বিবেচিত, কিন্তু অতীতে দাবি করা হয়েছে যে তারা চন্ডাল শ্রেণীর। []তাদের লোককাহিনী দাবি করে যে হুব্বাশিকা নামের তাদের একজন প্রধান ছিল, কিন্তু কদম্ব আখ্যান অনুযায়ী তারা একজন ব্রাহ্মণ মহিলা এবং একজন শূদ্র পিতার বংশধর। [] এডগার থার্স্টন এমটি ওয়ালহাউস ১৮৭৫ সালে লিখেছিলেন যে কাপাটা সহ কোরাগারা ছিল পনেরটি চন্ডাল গোষ্ঠীর মধ্যে সর্বনিম্ন। যাইহোক, থার্স্টন মনে করেন যে তারা প্রকৃতপক্ষে এই অঞ্চলের আদিবাসী ছিল যারা ভারতের উত্তর থেকে আর্যদের আগমনের ফলে ছত্রভঙ্গ ও বিতাড়িত হয়ে দাসে পরিণত হয়েছিল। []

কোরাগারা যে অঞ্চলে বাস করে তা বেশিরভাগই কৃষি জমি এবং বনভূমি নিয়ে গঠিত [] এই উপজাতির লোকেরা ঝুড়ি তৈরির জন্য বনজ পণ্য - প্রধানত, বাঁশ এবং লতা - ব্যবহার করে । [] তারা ঐতিহ্যগতভাবে পাতার তৈরি ঘরে বাস করত, যাদেরকে কপ্পাস বলা হয় এবং তারা পাতায় পোশাক পরিধান করত। [১০] একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে তাদের সরকারের তরফ থেকে তাদের জন্য বিনামুল্য আবাস নির্মাণ করে দেওয়া হয়।[১১] [১২] কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও হয় গৃহহীন বা সরকারী মালিকানাধীন জমিতে বসবাস করে। [১৩]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Patel, H. M. Maralusiddaiah; Srinivas, B. M. (২০০৫)। "Koraga"। Primitive Tribes in Contemporary India: Concept, Ethnography and Demography। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 120–121। আইএসবিএন 978-81-8324-026-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  2. Prabhu, Ganesh (২৭ সেপ্টেম্বর ২০১২)। "Marking a new high for the backward Koraga community"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  3. Patel, H. M. Maralusiddaiah; Srinivas, B. M. (২০০৫)। "Koraga"। Primitive Tribes in Contemporary India: Concept, Ethnography and Demography। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 123। আইএসবিএন 978-81-8324-026-0 
  4. Nanjunda, D. C. (২০১০)। Contemporary Studies in Anthropology: a Reading। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 101। আইএসবিএন 978-81-8324-332-2। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  5. Schmidt, Karl J. (১৯৯৫)। An Atlas and Survey of South Asian History। M.E.Sharpe। পৃষ্ঠা 8আইএসবিএন 9781563243349। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২ 
  6. Ratnagar, Shereen (২০১০)। Being tribal। Primus Books। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 978-93-8060-702-3। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  7. Thurston, Edgar; Rangachari, K. (১৯০৯)। Castes and Tribes of Southern India। Government Press। পৃষ্ঠা 425। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  8. Patel, H. M. Maralusiddaiah; Srinivas, B. M. (২০০৫)। "Koraga"। Primitive Tribes in Contemporary India: Concept, Ethnography and Demography। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 118। আইএসবিএন 978-81-8324-026-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  9. Patel, H. M. Maralusiddaiah; Srinivas, B. M. (২০০৫)। "Koraga"। Primitive Tribes in Contemporary India: Concept, Ethnography and Demography। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 124–125। আইএসবিএন 978-81-8324-026-0। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  10. Thurston, Edgar; Rangachari, K. (১৯০৯)। Castes and Tribes of Southern India। Government Press। পৃষ্ঠা 424–425। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-৩০ 
  11. "Taluk-level meetings to be held for tackling drinking water problem"The Hindu। ৬ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১২ 
  12. Akshatha, M (১৪ এপ্রিল ২০১১)। "Life's good for Badekottu Koraga colony now"Deccan Herald। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১২ 
  13. "Survey: 406 houses of Koragas not fit for living"The Hindu। ৩ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১২