জিতেন্দ্রনাথ কুশারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জিতেন্দ্রনাথ কুশারী (১৮৯৩ ― ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬) একজন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজসেবী ও লেখক।[১]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

জিতেন্দ্রনাথ ঢাকার বাহেরক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের বিন্ধ্যবাসিনী স্কুল থেকে ১৯০৯ সালে এন্ট্রান্স পাশ করে কিছুদিন গোয়ালন্দ স্টীমার কোম্পানীতে কাজ করেন। বরিশালের বিখ্যাত ব্ৰজমোহন কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন ও ওই কলেজ থেকে ১৯১৬ সালে বিএ পাশ করে[২] বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকতার কাজ করেন।[৩]

বিপ্লবী জীবন[সম্পাদনা]

ছাত্রজীবন থেকে বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জিতেন্দ্রনাথ কুশারী। নোয়াখালিতে ভারত রক্ষা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে খুলনা জেলায় অন্তরীণ থাকেন। ১৯১৯ সালে মুক্তি পেয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতা গোপন রেখে কলিকাতার শ্ৰীগৌরাঙ্গ প্রেসে কম্পোজিটারের কাজ শেখেন এবং শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীর সারভেন্ট পত্রিকায় সহকারী প্রেস ম্যানেজার হন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলের অন্যতম নেতা হিসাবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে যান ও সিদ্ধেশ্বরী জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে প্রধান শিক্ষকের কাজ করতে থাকেন। তিনি সত্যাগ্ৰহেও যোগ দিয়ে কারাবাস করেন। ১৯২৩ খ্রীষ্টাব্দে বাহেরক সত্যাশ্রম প্ৰতিষ্ঠা করেন। ১৯৩০ ও ১৯৩২ সালে পূনরায় আন্দোলনে যোগ দিয়ে কারারুদ্ধ হন। ১৯৩৭ সালে কংগ্রেসের ঢাকা রাষ্ট্ৰীয় (জেলা) সমিতির সভাপতি হন। ১৯৪২ এ ভারত-ছাড় আন্দোলন চলাকালীন নিরাপত্তা আইনে বন্দী হন বরিশাল থেকে।[৪] স্বাধীনতার পরে ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে শান্তিনিকেতন এবং সেবাগ্রামে অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি সম্মেলনে প্ৰতিনিধিরূপে উপস্থিত থাকেন। ১৯৫০ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। কলকাতায় স্বরাজ পত্রিকার সম্পাদনা ও কোন্নগর নবগ্রামে শিক্ষকতা করতেন। কিছুদিন ধুবুলিয়া ক্যাম্পের কমান্ড্যান্ট ছিলেন তিনি।[৩]

রচিত গ্রন্থ[সম্পাদনা]

  • পথের সন্ধানে
  • গান্ধীজী স্মরণে

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Sāhityika barshapañji। Puśtaka Bipaṇi। 
  2. Saṃbāda-sāmaẏikapatre Bhārata chāṛo āndolana। Paścimabaṅga Bāṃlā Ākādemi। ২০০৪। আইএসবিএন 978-81-7751-113-0 
  3. বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ, প্রথম খন্ড (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৭৬। আইএসবিএন 978-8179551356 
  4. "কংগ্রেস পার্টি, বরিশাল - Barisalpedia"www.barisalpedia.net.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-০৮