লুজাইন আল হাথলুল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
লুজাইন আল-হাথলুল
لجين الهذلول
জন্ম (1989-07-31) ৩১ জুলাই ১৯৮৯ (বয়স ৩৪)
মাতৃশিক্ষায়তনব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়[১]
পরিচিতির কারণসৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের দাবিতে আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীফাহাদ আল-বুতাইরি (২০১৪–২০১৮)

লুজাইন আল-হাথলুল ( আরবি: لجين الهذلول; জন্ম: ৩১ জুলাই ১৯৮৯) একজন সৌদি নারী অধিকার কর্মী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক রাজনৈতিক বন্দী। তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক।[২] আল-হাথলুলকে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অপরাধে একাধিকবার গ্রেপ্তার ও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অপহরণের পর, "রাজ্যকে অস্থিতিশীল করার" অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মীর সাথে ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বামী, সৌদি স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা ফাহাদ আল-বুতাইরিকেও জোর করে জর্ডান থেকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো হয় এবং গ্রেফতার করা হয়।[৩][৪][৫]

২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।[৬][৭]

নারী অধিকার আন্দোলন (২০১৪–২০১৭)[সম্পাদনা]

আল-হাথলুল নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের জন্য আন্দোলন এবং সৌদি পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থার বিরোধিতা করার জন্য পরিচিত।[৮] ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তার গাড়িতে সৌদি আরব যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে ৭৩ দিন আটক রাখা হয়।[৯][১০][১১][১২][১৩][১৪][১৫] সংযুক্ত আরব আমিরাতের লাইসেন্স থাকার পরও সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে।[১৬] আল-হাথলুল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবে নারীদের অন্তর্ভুক্তকারী প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।[১৭][১৮]

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও ১৪,০০০ ব্যক্তির সাথে আল-হাথলুল, বাদশাহ সালমানের কাছে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন।[৮] ২০১৭ সালের ৪ জুন, তাকে দামামের বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেপ্তারের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি, যদিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাস করে যে এটি তার মানবাধিকার আন্দোলন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য। এসময় আল-হাথলুলকে কোন আইনজীবী দেওয়া হয়নি ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের অনুমতিও দেওয়া হয়নি।[১৯]

আটক এবং নির্যাতন (২০১৮–২০২০)[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের মার্চ মাসে লুজাইন আল-হাথলুলকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপহরণ করে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়, যেখানে তাকে কিছুদিনের জন্য আটক রাখার পর তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।[২০] ২০১৮ সালের ১৫ মে, আল-হাথলুলকে আরো কয়েকজন আন্দোলনকর্মীর সাথে পুনরায় আটক করা হয়।[২১][২২]

২০১৮ সালের জুন মাসে, আল-হাথলুল আটক থাকা অবস্থায়, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার প্রদান করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, নারী অধিকার আন্দোলনের জন্য আটক আল-হাথলুল এবং আরও বেশ কয়েকজন নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে।[২৩] লুজাইন আল-হাথলুলের বোন আলিয়ার মতে, (যিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাস করেন), লুইজেনের বিরুদ্ধে প্রহার, বৈদ্যুতিক শক এবং জলপীড়ন ইত্যাদি নির্যাতন কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই ঘটনাগুলো ২০১৮ সালের মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের আচার অনুযায়ী নারী হিসেবে তার বোনকে নির্যাতন করা হবে না বলে তিনি আশা করেছিলেন।[২৪] লুজাইন আল-হাথলুলকে তিন মাস পরিবারের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি ব্যতীত কারাগারে আটকে রাখা হয়। যখন তিনি জানতে পারেন যে অন্যান্য বন্দীদেরকে তাদের পরিবারকে ফোন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি একই সুবিধার দাবিতে ৬ দিনের অনশন ধর্মঘট পালন করেন। এরপর তাকে তার পিতামাতার সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।[২৫]

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩০টি দেশ কারাবন্দী নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথলুলকে মুক্তি দেয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানায়।[২৬] ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের শেষে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন।[২৭] একই বছরের ১০ নভেম্বর, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন যে সৌদি আরব নভেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথলুলকে মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপের মুখে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হয়, যেহেতু তিনি এক সপ্তাহ ব্যাপী অনশন ধর্মঘট পালন করছিলেন।[২৮]

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, রিয়াদে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হওয়ার তাকে সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।[২৯] ২৯ নভেম্বর, সাতজন ইউরোপীয় দূত লুজাইন আল-হাথলুল সহ আরো পাঁচজন নারী অধিকার কর্মীকে দীর্ঘকাল আটকে রাখার নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। তারা হাথলুলের মুক্তি দাবি করেন।[৩০]

২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আল-হাথলুলকে পাঁচ বছর আট মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।[৩১] কিন্তু ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।[৭][৩২]

স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে, শীর্ষস্থানীয় ১০০ প্রভাবশালী আরব নারীর তালিকায়, আল-হাথলুল তৃতীয় স্থানে ছিলেন।[৩৩][৩৪][৩৫][৩৬] ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পেন আমেরিকার পক্ষ থেকে তাকে ২০১৯ সালের পেন আমেরিকা/বারবে ফ্রিডম টু রাইট পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।[৩৭] আল-হাথলুল, ২০১৯ সালে টাইম পত্রিকার সেরা ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান লাভ করেন।[৩৮] তাকে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্যও মনোনীত করা হয়েছিল।[৩৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'She's really a force': UBC graduate among women's rights activists detained in Saudi Arabia | CBC News"CBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  2. "Concern grows for UBC grad after report Saudi Arabia tortured activists | CBC News"CBC (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  3. Hubbard, Ben (২০১৮-১০-০৮)। "'Our Hands Can Reach You': Khashoggi Case Shakes Saudi Dissidents Abroad (Published 2018)"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  4. "Saudi Arabia: Reveal Fate of Jamal Khashoggi"Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১০-১১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  5. Kristof, Nicholas (২০১৯-০১-২৬)। "Opinion | She Wanted to Drive, So Saudi Arabia's Ruler Imprisoned and Tortured Her (Published 2019)"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  6. "Top Saudi women's rights activist released from prison"NBC News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  7. "Loujain al-Hathloul: Saudi women's rights activist released from prison"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  8. "Saudi Arabia: Women's Rights Advocates Arrested"Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৫-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  9. "Saudi Women Released After Defying Driving Ban"Time। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  10. Mackey, Robert (২০১৫-০২-১৩)। "Saudi Women Free After 73 Days in Jail for Driving (Published 2015)"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  11. "The Saudi women jailed for driving have reportedly been released from prison"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  12. Omran, Ahmed Al (২০১৫-০২-১২)। "Saudi Arabia Releases Two Women Drivers From Jail"Wall Street Journal (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0099-9660। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  13. "Saudi women drivers 'freed from jail'"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  14. Specia, Megan। "Women who defied Saudi Arabia's driving ban freed after months in jail"Mashable (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  15. "Saudi women who defied driving ban 'freed from jail' - France 24"web.archive.org। ২০১৮-০৩-৩১। Archived from the original on ২০১৮-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  16. Murphy, Brian (২০১৫-১২-১০)। "Once jailed for defying a driving ban, this Saudi woman is now standing for office"The Sydney Morning Herald (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  17. France-Presse, Agence (২০১৫-১১-২৯)। "Two disqualified as first Saudi women begin campaign for election"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  18. Richard Spencer, Middle East Editor। "Saudi Arabian women voted for the first time but still can't drive. Should we be celebrating?"The Telegraph (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  19. "Saudi Arabia jails woman who defied female driving ban"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৬-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  20. "Loujain al-Hathloul deserves her freedom. They all deserve freedom"رصيف 22। ২০১৯-০৩-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  21. "Rights activists arrested ahead of Saudi driving ban reversal"The National (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  22. Clarke, Sarah El Sirgany and Hilary। "Saudi Arabia arrests female activists weeks before lifting of driving ban"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  23. "WebCite query result"www.webcitation.org। ২০১৯-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  24. al-Hathloul, Alia (২০১৯-০১-১৩)। "Opinion | My Sister Is in a Saudi Prison. Will Mike Pompeo Stay Silent? (Published 2019)"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  25. "Saudi Arabia: Prominent Detainees Held Incommunicado"Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৯-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  26. Welle (www.dw.com), Deutsche। "UN slams Saudi Arabia in rare rebuke | DW | 15.09.2020"DW.COM (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  27. "Loujain al-Hathloul: UN experts alarmed by jailed Saudi activist's health"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  28. "Saudi Arabia considers clemency for female activists ahead of G20"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  29. Hubbard, Ben (২০২০-১১-২৫)। "Saudi Activist Who Fought For Women's Right to Drive Is Sent to Terrorism Court"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  30. CNN, Angela Dewan, Sarah Sirgany and Tamara Qiblawi। "European envoys urge Saudi Arabia to release women's rights activists"CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  31. "Saudi activist Loujain al-Hathloul jailed for 5 years, 8 months"France 24 (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১২-২৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  32. "Saudi women's rights activist Loujain al-Hathloul released from prison"the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  33. "The 100 Most Powerful Arab Women 2015 in Culture and Society - Arabianbusiness"web.archive.org। ২০২০-০২-১০। Archived from the original on ২০২০-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  34. "These are the 20 most powerful Arab women - and you've probably only heard of one of them"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৩-০৬। ২০১৫-০৩-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  35. "21 Saudis among 100 most powerful Arab women"Arab News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৩-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  36. "From a retail tycoon to Amal Clooney: meet the Arab World's most powerful women"www.albawaba.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  37. "Nouf Abdulaziz, Loujain Al-Hathloul, Eman Al-Nafjan"PEN America (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  38. "The 100 Most Influential People of 2019"TIME (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-২০ 
  39. Welle (www.dw.com), Deutsche। "Saudi Arabia jails women's rights activist Loujain al-Hathloul | DW | 28.12.2020" (ইংরেজি ভাষায়)। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]