দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ
দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | ডিপোক, পশ্চিম জাভা, ইন্দোনেশিয়া |
ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ৬°২৩′০৩″ দক্ষিণ ১০৬°৪৬′১৯″ পূর্ব / ৬.৩৮৪০৯৮° দক্ষিণ ১০৬.৭৭২০০৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইসলামী, পারস্য, ভারতীয় |
সম্পূর্ণ হয় | ২০০৬ |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ২০,০০০[১] |
গম্বুজসমূহ | ৫ |
গম্বুজের ব্যাস (বাহিরে) | ২০ মিটার |
মিনার | ৬ |
মিনারের উচ্চতা | ৪০ মিটার |
দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ যা গোল্ডেন ডোম মসজিদ (মসজিদ কুবাহ এমাস) নামেও পরিচিত,[২] ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার ডিপোক শহরের রায়া স্ট্রিটের ধারে নির্মিত একটি মসজিদ। এই মসজিদ কমপ্লেক্সটি মুসলমানদের উপাসনালয় হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের জন্য একটি পর্যটন স্থান এবং গম্বুজগুলো সোনার তৈরি যা অনেক লোককে আকর্ষণ করে। জায়গাটির বিশালতা এবং জনসাধারণের প্রবেশযোগ্যতার কারণে, প্রায়শই এটি পরিবারের জন্য ছুটির গন্তব্য বা বিশ্রাম নেওয়ার স্থান।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মসজিদটি এইচজে. দিয়ান জুরিয়াহ মায়মুন আল রশিদ, একজন ব্যবসায়ী দ্বারা নির্মিত হয়, যিনি ১৯৯৬ সালে মসজিদটির জন্য জমি ক্রয় করেন। এর নির্মাণকাজ ২০০১ সালে শুরু হয় এবং ২০০৬ এর শেষের দিকে শেষ হয়। ২০০৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বছরের দ্বিতীয় ঈদ, ঈদ-উল-আযহার সময় এই মসজিদটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়। ৫০ হেক্টর এলাকাসহ, ভবনটি ৬০ × ১২০ মিটার বা প্রায় ৮০০০ বর্গ মিটার এলাকা দখল করেছে। মসজিদটি প্রায় ২০,০০০ মুসল্লিকে স্থান দিতে সক্ষম।[৩] ৫০,০০০ বর্গ মিটার এলাকার উপর নির্মিত মসজিদটিকে প্রায়শই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।[৪]
স্থাপত্যশৈলী
[সম্পাদনা]মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ, একটি প্রধান গম্বুজ এবং দুটি ছোট গম্বুজ রয়েছে। পুরো গম্বুজটি দুই থেকে তিন মিলিমিটারের মতো পুরু সোনার প্রলেপ দিয়ে আবৃত এবং স্ফটিক মোজাইক দ্বারা সজ্জিত, যা মসজিদের সবচেয়ে অনন্য বৈশিষ্ট্য। মূল গম্বুজটির আকার ভারতের তাজমহলের গম্বুজটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। গম্বুজটির নিচের ব্যাস ১৬ মিটার এবং উচ্চতা ২৫ মিটার। অন্য ছোট গম্বুজগুলোর ব্যাস ৬ মিটার এবং উচ্চতা ৮ মিটার।
মসজিদের ভিতরে সরাসরি ইতালি থেকে আমদানিকৃত ৮ টন ওজনের ঝাড়বাতি রয়েছে।[৫][৬] এছাড়াও ইমামের বাসভবনের উপরে সুসজ্জিত কারুকাজটি ১৮ ক্যারেট সোনা দ্বারা তৈরি। দ্বিতীয় তলায় বেড়ার পাশাপাশি মসজিদের ছাদে সুসজ্জিত ক্যালিগ্রাফি রয়েছে। এর পরিবেশ শান্ত এবং উষ্ণ রাখার জন্য প্রার্থনা হল ক্রিমের মূল উপাদানসহ একবর্ণ রঙিন নকশায় সজ্জিত। এই উপাদানটি মার্বেলের তৈরি যা তুরস্ক এবং ইতালি থেকে আমদানিকৃত।
সাধারণভাবে এর স্থাপত্যশৈলীর নকশাটি মধ্যপ্রাচ্যের গম্বুজ, মিনার, স্মারকস্তম্ভ এবং জ্যামিতিক কারুকাজগুলোর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। মসজিদটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো প্রবেশপথের তোরণ এবং জ্যামিতিক সজ্জা এবং স্মারকস্তম্ভ যা এর অলঙ্কার স্বরূপ।
ভেতরের চত্বর ৪৫ × ৫৭ মিটার যেখানে ৮,০০০ মুসল্লির স্থান সংকুলান হয়। এর ষড়ভুজাকার ছয়টি মিনার রয়েছে যেগুলোর উচ্চতা ৪০ মিটার। মিনার ছয়টি ইতালি থেকে আমদানিকৃত ধূসর গ্রানাইট পাথর দ্বারা সজ্জিত। এর শীর্ষে গম্বুজ রয়েছে যা ২৪ ক্যারেট সোনার মোজাইক দিয়ে আবৃত। মিনারগুলোর গম্বুজের আকৃতি ফার্সি ও ভারতীয় শৈলীর অনুরূপ। পাঁচটি গম্বুজ ইসলামের স্তম্ভের প্রতিনিধিত্ব করে, যার সবগুলো ইতালি থেকে আমদানিকৃত ২৪ ক্যারাট স্বর্ণের মোজাইক দ্বারা আবৃত।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Masjid Berkubah Emas"। Pikiran Rakyat। ১৯ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Masjid Kubah Emas"। Eramuslim (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০১।
- ↑ "Masjid Berkubah Emas"। ২০০৮-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Masjid Berkubah Emas Dibangun di Depok"। Kompas। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Menjadi Kaya dengan Bersedekah - Pontianak Post Online"। archive.vn। ২০০৭-০৭-১৬। ২০০৭-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
- ↑ "Masjid Kubah Emas, Sebuah Ikon Keagamaan"। archive.vn। ২০০৭-০৬-১২। Archived from the original on ২০০৭-০৬-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- (ইন্দোনেশিয় ভাষায়) "প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট - দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ" - http://www.kubah-emas.com/
- "উইকিম্যাপিয়ায় দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ"
- (ইন্দোনেশিয় ভাষায়) "ডিপোকের দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ"
- (ইন্দোনেশিয় ভাষায়) "wisataNet.com এ দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- (ইন্দোনেশিয় ভাষায়) "SCTV.com এ দিয়ান আল-মাহরি মসজিদ"[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]