অটল সুড়ঙ্গ

স্থানাঙ্ক: ৩২°২৩′৫৪″ উত্তর ৭৭°০৮′৫১″ পূর্ব / ৩২.৩৯৮২° উত্তর ৭৭.১৪৭৫° পূর্ব / 32.3982; 77.1475
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অটল সুড়ঙ্গ[১]
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অবস্থানহিমাচল প্রদেশ, ভারত
স্থানাঙ্ক৩২°২৩′৫৪″ উত্তর ৭৭°০৮′৫১″ পূর্ব / ৩২.৩৯৮২° উত্তর ৭৭.১৪৭৫° পূর্ব / 32.3982; 77.1475
অবস্থাসক্রিয়
পথলেহ-মানালি মহাসড়ক
শেষসিসু
ক্রিয়াকলাপ
নির্মাণ শুরু২৮ জুন ২০১০
পরিচালকসীমান্ত সড়ক সংস্থা
যানবাহনমোটরযান
কারিগরি বৈশিষ্ট্য
দৈর্ঘ্য৯.০২ কিলোমিটার (৫.৬০ মা)
লেন সংখ্যাদুই (প্রতিটি দিক এক)
কার্যকর গতিবেগ৪০–৮০ কিমি/ঘ (২৫–৫০ মা/ঘ)
প্রস্থ১০ মিটার (৩৩ ফু)

রোটাং সুড়ঙ্গটি একটি মহাসড়ক সুড়ঙ্গ হিসাবে নির্মাণ করা হচ্ছে,[২] যা লেহ-মানালি মহাসড়কে হিমালয়ের পূর্বাঞ্চলীয় পীর পাঞ্জল রেঞ্জে রোহাটং পাসের অধীনে। ৮.৮ কিলোমিটার (৫.৫ মাইল) দৈর্ঘ্যের সাথে ভারতের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম (ভারতের দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ হল ৯.২৮ কিলোমিটার লম্বা চেনানি-নাশ্রী টানেল বা উধমপুরের পাটনিটপ টানেল) এবং এটি মানালি এবং কিলং এর দূরত্বে ৬০ কিলোমিটার (৩৭.৩ মাইল) হ্রাস করবে।[৩] সুড়ঙ্গটি ৩,১০০ মিটার (১০,১৭১ ফুট) উচ্চতায় অবস্থিত, তবে রোহাটং পাস ৩,৯৭৮ মিটার (১৩,০৫১ ফুট) উচ্চতায় এবং মানালি থেকে ৫১ কিমি (৩২ মাইল) দূরত্বে অবস্থিত। ২০১৭ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ও উত্তর থেকে বিস্ফোরণ শেষ হওয়ার পর সুড়ঙ্গের উৎখনন সম্পন্ন হয় এবং ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ সুড়ঙ্গটি জনসাধারণের জন্য খোলা হতে পারে।

লাদাখে যাওয়ার জন্য দুটি পথ রয়েছে। একটি হল লেহ-মানালি মহাসড়, যা ২০১৯ সালে রোটাং সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যাত্রা করবে। রোটাং পাসটি শীতের মাসগুলিতে ভারী তুষারপাত এবং ধসের কারণে বছরে মাত্র চার মাসের জন্য সড়ক যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সুড়ঙ্গ পথের মধ্যমে শীতকালের সময়ে খোলা রাখা হবে মহাসড়কটি। লেহের অন্য পথটি হল শ্রীনগর-দ্রাস-কার্গিল-লেহ মহাসড়, যা জজী লা পাসের মাধ্যমে লাদাখে পৌচ্ছায়, তবে এই পথটিও বছরে প্রায় চার মাস ধরে তুষার দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। জোজি লা পাসের অধীনে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই দুটি পথ সাব-সেক্টর পশ্চিম (আকসাই চিনের মুখোমুখি) এবং সিয়াচেন হিমবাহের সামরিক সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অবস্থান[সম্পাদনা]

রোটাং সুড়ঙ্গ ঠিক রোটাং পাস অধীনে নয়; এটা রোটাং পাসের সামান্য পশ্চিমে অবস্থিত। রোটাং পাস যাওয়ার পথে মানালি থেকে ১০ কিমি উত্তরে বা রোটাং পাসের ৪০ কিলোমিটার আগে পাল্চন নামক স্থানে বাঁ দিকের পথ ধরে রোটাং সুড়ঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তে পৌচ্ছাতে হয়। সোলাং গ্রাম অতিক্রম করার পর, আরও ১০ কিমি পরে ধুন্দি অবস্থিত। সুড়ঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তটি বায়াস নদী অতিক্রম করে ধুন্দির উত্তরে ৩২.৩৬৫২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭.১৩৩০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত।

সুড়ঙ্গের উত্তর প্রান্ত টেলিং গ্রামের কাছে লেহ-মানালি মহাসড়কে ৩২.৪২৮৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৭.১৬৪২ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এই স্থানটি গ্রামাফু থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত, যা বিদ্যমান মহাসড়কের রোহাটং পাসের পরে প্রথম গ্রাম।

প্রকল্পের অগ্রগতি[সম্পাদনা]

টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৮.৮ কিমি।

  • ২৮ জুন ২০১০ তারিখে ভিত্তি প্রস্ত স্থাপন করা হয়েছিল।[৪]
  • ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের হিসাব জানুয়ারি অনুসারে সুড়ঙ্গের ২.৫ কিমি খনন সম্পন্ন হয়েছিল।[৫]
  • ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সুড়ঙ্গটির ৩.৫ কিলোমিটার খনন সম্পূর্ণ হয়ে ছিল।[৬]
  • ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর: হঠাৎ খারাপ আবহাওয়ার কারণে রোটাং লা অবরুদ্ধ হয়ে পরে। এই সময় লাহৌলে আটকে পড়া লোকেদের উদ্ধারের জন্য সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা হয়েছিল।[৭]
  • ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে বা ২০১৯ সালের শেষের দিকে সুড়ঙ্গটি উদ্বোধন করা হবে।[৮]
  • জানুয়ারি ২০১৯: ৯০% কাজ সম্পন্ন। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সুড়ঙ্গটির উদ্বোধন করার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।[৯]

প্রতিবন্ধকতা[সম্পাদনা]

শীতকালে ভারী তুষারপাতের সময় খনন চালিয়ে যাওয়া সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল। সড়ঙ্গ তৈরি করার জন্য খনন উভয় প্রান্ত থেকে করা হয়। যাইহোক, রোটাং পাসটি শীতকালে বন্ধ হয়ে গেলে সুড়ঙ্গের উত্তর প্রান্তে প্রবেশযোগ্যতা ছিল না এবং খনন কাজ শুধুমাত্র দক্ষিণ প্রান্ত থেকে করা হত। সমগ্র সুড়ঙ্গের প্রায় এক-চতুর্থাংশ উত্তর প্রান্ত থেকে খনন করা হয়েছিল এবং দক্ষিণ প্রান্ত থেকে তিন-চতুর্থাংশ সুড়ঙ্গ খনন করা হয়েছিল। সুড়ঙ্গের দিকে যাওয়ার পথে ৪৬ টির বেশি হিমবাহের স্থান ছিল। [34

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Atal Tunnel renamed as 'Atal Tunnel, Rohtang'"Times of India। ১৩ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২০ 
  2. Polgreen, Lydia "Digs Under Top of the World". New York Times
  3. "Importance of Rohtang Tunnel for Lahaul & Pangi resident"। The News Himachal। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৭-২৯ 
  4. "Engineering marvel: India's highest tunnel to see light of day in October"। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। 
  5. "Working 24X7 to see light at the end of Rohtang"। The New Indian Express। ১৬ জানুয়ারি ২০১২। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১২ 
  6. "Rivulet gushes out during Rohtang tunnel digging"। dailypioneer.com। ৫ জুন ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১২ 
  7. https://www.tribuneindia.com/news/himachal/210-rescued-from-koksar-lahaul-valley/658678.html
  8. https://himachal.punjabkesari.in/himachal-pradesh/news/2-minister-of-jairam-cabinet-reached-manali-visit-the-rohtang-tunnel-921857
  9. https://www.jagran.com/himachal-pradesh/shimla-modi-will-not-inaurgarte-rohtang-tunnel-18824411.html

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]