এ বি এম আবুল কাসেম
এবিএম আবুল কাসেম মাস্টার | |
---|---|
চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ জুন ১৯৯৬ – ২৯ জুলাই ২০০১ | |
পূর্বসূরী | এল. কে. সিদ্দিকী |
উত্তরসূরী | এল. কে. সিদ্দিকী |
চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | মুস্তফা কামাল পাশা |
উত্তরসূরী | মাহফুজুর রহমান মিতা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৯ জাফরাবাদ গ্রাম, দক্ষিণ সলিমপুর, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত, (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ২৪ নভেম্বর ২০১৫ স্কয়ার হাসপাতাল, ঢাকা, বাংলাদেশ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত(১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) পাকিস্তান(১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সন্তান | ৫ ছেলে ১ মেয়ে |
এবিএম আবুল কাসেম মাস্টার ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি সাবেক প্যানেল স্পিকার ও চট্টগ্রাম-২ ও চট্টগ্রাম -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।[১][২]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]আবুল কাসেম ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৯ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সলিমপুরের জাফরাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আব্দুল জলিল ও মাতা মৃত আমেনা বেগম।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]এবিএম আবুল কাসেম মাস্টার চট্টগ্রামের কাট্টলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সহ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন।[৩][৪] ১৯৭৫ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চার বার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৩ থেকে মোট দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে স্পিকারের অনুপস্থিতিতে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া ধর্ম ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।[৫][৬]
সমালোচনা
[সম্পাদনা]কাসেমের ছেলে এস এম আল মামুন ২০০৯ সালের অক্টোবর সীতাকুণ্ড উপজেলায় শিপ ব্রেকিং সংস্থা ইউনিক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের জন্য জাহাজ ভাঙা সংস্থার কাছ থেকে জমি দখলের চেষ্টা করেন। তার ছেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে এই ঘটনাটি সংবাদ প্রকাশ হওয়া আটকানোর চেষ্টা করছে।[৭][৮] পরে কাশেম তার ছেলের কাজের জন্য ক্ষমা চান।[৯]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]এবিএম আবুল কাসেম মাস্টার ২৪ নভেম্বর ২০১৫ সালে ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান।[১০] কয়েক দফা জানাজা শেষে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সলিমপুরের জাফরাবাদ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "৭ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "৯ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা"। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৭।
- ↑ ড. মাহফুজুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
- ↑ "সাবেক সাংসদ আবুল কাশেম মাস্টারের মৃত্যুবার্ষিক কাল"। Ekushey TV। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৪।
- ↑ "Into the electoral fray from behind bars"। Dhaka Tribune। ১৯ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "5th Annual Convention of Self Help Organization of PWD's held to celebrate UNCRPD"। ypsa.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "MP's son 'grabs' land of 4 ship-breakers"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Aide of MP's sons held in assault case"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "MP 'sorry' for assault, landgrab bid by sons"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Obituary"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ব্যুরো, নিজস্ব প্রতিবেদক ও চট্টগ্রাম; ডটকম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "সাবেক এমপি কাসেম মাস্টারের কফিনে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা"। bangla.bdnews24.com। ২০১৯-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৪।