রূপা বাজওয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
রূপা বাজওয়া
জন্ম১৯৭৬ (বয়স ৪৭–৪৮)[১]
অমৃতসর
ভাষাইংরেজি
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

রূপা বাজওয়া (জন্ম ১৯৭৬ সাল) হলেন একজন ভারতীয় লেখক যিনি উত্তর ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে থাকেন এবং কাজ করেন। তাঁর জন্মস্থানও অমৃতসর।[২] পাশাপাশি তিনি ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন শহর ও শহরতলীতেও যাতায়াত করে থাকেন। তিনি গ্রিনজেন ক্যাভর পুরস্কার, কমনওয়েলথ পুরস্কার এবং ভারতের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত একজন ইংরেজি ভাষার লেখক।

উপন্যাস সমূহ[সম্পাদনা]

২০০৪ সালে, তিনি তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য শাড়ি শপ প্রকাশ করেছিলেন, উপন্যাসটি তাঁর শহর অমৃতসরকে নিয়ে লেখা। এই কাহিনীর নায়ক রামচাঁদ একটি শাড়ির দোকানের কর্মচারী এবং সেই দোকানে উচ্চবিত্ত মহিলারা শাড়ি কিনতে আসে। এই উপন্যাসে তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে আচরণ ও সম্পর্কের পার্থক্যকে তুলে ধরেছেন।[৩] উপন্যাসটি লেখকদের প্রশংসিত সমালোচনা জিতেছিল, পর্যালোচকরা তাঁকে ভারতের 'নতুন সাহিত্যিক সন্ধান' বলে সম্বোধন করেন।[৪] দ্য শাড়ি শপ উপন্যাসটি ২০০৪ সালে অরেঞ্জ প্রাইজ ফর ফিকশন পুরস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিল। উপন্যাসটি ২০০৫ সালের জুনে সেরা প্রথম উপন্যাসের জন্য ২৪তম গ্রিনজেন ক্যাভর পুরস্কার জিতেছিল। সেই বছরেই উপন্যাসটি কমনওয়েলথ পুরস্কারও পায়। ২০০৬ সালে এটি ভারতের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ইংরেজি জিতেছিল।

দ্য শাড়ি শপ বেশ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে, এগুলির মধ্যে আছে: ফরাসি (লে ভেন্ডিউর দে শাড়িস ), ওলন্দাজ (দে শাড়িভিঙ্কেল ) এবং সার্বীয় (প্রোডাভনিকা শাড়িজা ) ভাষা।

২০১২ সালের এপ্রিলে, রূপা বাজওয়ার দ্বিতীয় উপন্যাস টেল মি এ স্টোরি প্রকাশিত হয়েছিল। এটি প্রকাশের পর জনমানসে চরম প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল। কিছু মহলে এটির প্রশংসামূলক সমালোচনা করা হয়েছিল, একই সাথে এটি নতুন দিল্লির সাহিত্য সমাজের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল, যেহেতু এই উপন্যাসের একটি অংশে এই সব লোকজনকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল।[৫]

বর্তমানে রূপা বাজওয়া তাঁর তৃতীয় উপন্যাস নিয়ে কাজ করছেন।[৬][৭][৮]

পত্রিকায় লেখা[সম্পাদনা]

যদিও বাজওয়া একটি শিখ পরিবার থেকে এসেছেন, তবুও তিনি একটি ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে শিখ সম্বন্ধীয় একটি বিতর্কিত প্রবন্ধ লিখেছিলেন, যেটির শিরোনাম ছিল "ডার্ক থিংস ডু হ্যাপেন ইন গুরুদ্বারাস সামটাইমস"।[৯] এর ফলে তাঁর প্রচুর সমালোচনা করা হয়েছিল এবং তাঁকে ঘৃণাপূর্ণ পত্র পাঠানো হয়েছিল।

রূপা বাজওয়া দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য ট্রিবিউন, টাইম আউট এবং ইন্ডিয়া টুডে তে অন্যান্য অনেক পছন্দের বিষয় নিয়ে লেখেন।

রূপার লেখা[সম্পাদনা]

- ২০০৪ দ্য শাড়ি শপ
- ২০১২ টেল মি এ স্টোরি

আরো পড়ার জন্য[সম্পাদনা]

  • বাজওয়ার পুরস্কার প্রাপ্ত-উপন্যাস, দ্য শাড়ি শপ সম্পর্কিত উত্তর-ঔপনিবেশিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য, কেতকী দত্ত-সম্পাদিত সাহিত্য আকাদেমি অ্যাওয়ার্ড উইনিং ইংলিশ কালেকশনস: ক্রিটিক্যাল ওভারভিউ অ্যান্ড ইনসাইটস বইতে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিনাকী রায়ের "মাল্টিকালচারাল ডিফারেন্সেস: এ ব্রিফ রিরিডিং অফ রূপা বাজওয়া'স দ্য শাড়ি শপ" পড়তে পারেন, (নতুন দিল্লি: অথারস প্রেস, ২০১৪, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭২৭৩-৭২৮-৩), পৃষ্ঠা- ২৭২-৮৬

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bajwa, Rupa 1976-"। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০ 
  2. "BAJWA, Rupa 1976-"। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০ 
  3. Sood, Ashima। "THE EMIGRANT AND THE NATIVE: the Indias of Akhil Sharma and Rupa Bajwa"। Another Subcontitent। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১২ 
  4. "RUPA BAJWA"। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০ 
  5. http://www.goodreads.com/book/show/13631169-tell-me-a-story
  6. Singh, Roopinder (২২ মে ২০০৪)। "Write recipe"The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১২ 
  7. http://www.dnaindia.com/lifestyle/review_book-review-tell-me-a-story_1682029
  8. http://www.thehindu.com/arts/books/article3483287.ece[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  9. Bajwa, Rupa (৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Dark Things Do Happen in Gurdwaras Sometimes"Sikh Times। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১২