স্যামুয়েল মরিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্যাম মরিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামস্যামুয়েল মরিস
জন্ম২২ জুন, ১৮৫৫
হোবার্ট, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১
আলবার্ট পার্ক, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৩৫)
১ জানুয়ারি ১৮৮৫ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২০
রানের সংখ্যা ১৪ ৫৯১
ব্যাটিং গড় ১৪.০০ ১৭.৯০
১০০/৫০ ০/০ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ১০* ৬৪*
বল করেছে ১৩৬ ১৮০৬
উইকেট ৩১
বোলিং গড় ৩৬.৫০ ২৬.০৯
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/৭৩ ৫/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ১৩/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

স্যামুয়েল মরিস (ইংরেজি: Samuel Morris; জন্ম: ২২ জুন, ১৮৫৫ - মৃত্যু: ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১) হোবার্ট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিংশৈলী প্রদর্শন করতেন স্যাম মরিস নামে পরিচিত স্যামুয়েল মরিস।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

তার মাতা এলিজাবেথে ম্যাকগুইনেসে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত তাসমানীয় ছিলেন। পিতা আইজাক মরিসে বার্বাডোসের অধিবাসী হিসেবে ১৮৪০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ উদগীরনের সময়কালে চলে আসেন। ১৮৫৫ সালে তাসমানিয়ার হোবার্টে জন্মগ্রহণকারী স্যাম মরিস ডেলসফোর্ডে ক্রিকেট খেলেন। এরপর ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যে মেলবোর্নে চলে যান। ভিক্টোরিয়ায় মেলবোর্নভিত্তিক সেন্ট কিল্ডা ক্লাবে খেলেন।

১৮৮১-৮২ মৌসুম থেকে ১৮৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত স্যামুয়েল মরিসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শুরুতে তিনি উইকেট-রক্ষণের দিকে অগ্রসর হয়েছিলেন। এছাড়াও মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন তিনি। জাতীয় দল থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর পরবর্তী আট বছরে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে নিয়মিতভাবে খেলেন। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে আঠারো খেলায় অংশ নেন।

স্যামুয়েল মরিস এ খেলার প্রকৃত ও পরীক্ষিত অনুসারী। ক্রিকেটার হিসেবে তার চমৎকার রেকর্ড রয়েছে। ১৯০৯ সালে তার সম্মাননায় আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলা আয়োজন করা হয়েছিল।[১]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন স্যামুয়েল মরিস। ১ জানুয়ারি, ১৮৮৫ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর আর তিনি কোন টেস্টে অংশ নেননি। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। তার ফিল্ডিংও বেশ দর্শনীয় ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব অর্জন করেছেন।[২] পরবর্তীতে দুইজন ব্যক্তির একজন হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বংশোদ্ভূত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস তার সাথে নিজেকে যুক্ত করেছেন। ১৮৮৪-৮৫ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেকে ঘটা নয়জন অস্ট্রেলীয়দের অন্যতম ছিলেন। প্রথম টেস্ট শেষে প্রবেশদ্বারে অর্জিত অর্থ নিয়ে খেলোয়াড়দের মতানৈক্যের ফসলস্বরূপ দল নির্বাচকমণ্ডলী পুরোপুরি নতুন দলকে মাঠে নামাতে বাধ্য হলে তার এ সুযোগ হয়। খেলায় তিনি দুই উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে ইংল্যান্ডের দলনেতা আর্থার শ্রিউসবারিবিলি বার্নস তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ঐ খেলায় তার দল ১০ উইকেটে পরাজয়বরণ করেছিল। এরপর আর তাকে টেস্ট দলে রাখা হয়নি।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৮৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ৩০ বছর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় কিউরেটরের দায়িত্বে ছিলেন। মন্ডের পান্ট রোড ওভাল, মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও দক্ষিণ মেলবোর্নের মাঠ কর্মকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। জীবনের শেষদিকে অন্ধত্বের কবলে পড়েন তিনি। চোখের সমস্যার কারণে এ দায়িত্ব পালন করা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। ১৯১০ সালে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান।

২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৩১ তারিখে ৭৬ বছর বয়সে ভিক্টোরিয়ার আলবার্ট পার্ক এলাকায় স্যামুয়েল মরিসের দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. ""SAM" MORRIS TESTIMONIAL."The Argus। Melbourne: National Library of Australia। ২৫ নভেম্বর ১৯০৯। পৃষ্ঠা 4। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুন ২০১৫ 
  2. "Behind the eight-ball"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]