আলাপ:বংশাণুবিজ্ঞান

পাতাটির বিষয়বস্তু অন্যান্য ভাষায় নেই।
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জন্মগত এবং জেনেটিক (বংশগতিজনিত) এক নয়। জন্মগত মানে congenital, যা জেনেটিকও (genetic অর্থাৎ ডিএনএ বাহিত) বা এপিজেনেটিক (epigenetic অর্থাৎ ডিএনএ ছাড়া অন্য কোন ভাবে বংশানুক্রমিত) হতে পারে বা ভ্রুণের বৃদ্ধি বা বিকাশ জনিতও (developmental in utero) হতে পারে। জন্মগত হৃদরোগ (congenital heart diseases) ইত্যাদির অধিকাশই ভ্রুণের বিকাশজনিত, বংশগতিজনিত নয়--সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ২১:৩৪, ১০ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জেনেটিক হলেই আবার জন্মগত হতে হবে তাও নয়। অনেক রোগই (বিশেষ করে যেগুলি অটোজোমাল ডমিনান্ট) শুরু হয় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে। so genetic is not even a subset of congenital!--সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ২১:৩৭, ১০ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

সপ্তর্ষিদা, আমার মনে হয় আপনি প্রথম লাইনের "জন্মগত পার্থক্য সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান" - পড়ে কথাটি বলছেন। আমি ভুক্তিটিতে লেখা শুরু করার আগে এতে কেবল এই বাক্যটিই ছিল। অবশ্য জিনতত্ত্বের টার্মগুলো সম্বন্ধে আপনার মত আমার অতোটা জ্ঞান নেই (উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ্যবই পর্যন্তই আমার দৌড়), তাই অনেকগুলো টেকনিক্যাল টার্ম বাংলাতে লিখতে পারিনি, যদিও আমার মনে হয় আমরা বিজ্ঞানের পরিভাষা তৈরির ক্ষেত্রে ইংরেজি থেকে শব্দ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারি। আপনি নিবন্ধটি পড়ে পরামর্শ ও টেকনিক্যাল টার্মগুলোর ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে তা নিবন্ধটির মানোন্নয়নে সহায়ক হবে।ফয়সল ০২:৫০, ১১ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

"প্রজাতিকরণ" নয়, "প্রজাত্যায়ন"[সম্পাদনা]

নিবন্ধটিতে speciation এর বাংলা খুব সম্ভবত "প্রজাতিকরণ" করা হয়েছে। আমি বাংলা একাডেমীর বিজ্ঞানকোষে দেখলাম এর বাংলা করা হয়েছে "প্রজাত্যায়ন"। আমার মনে হয় আমাদের এই শব্দটাই ব্যবহার করা উচিত। বিবর্তন সম্পর্কিত অন্য নিবন্ধগুলোতেও পারলে এই সংশোধনী কাজটি সম্পাদন করতে হবে।পৃথ্বী (আলাপ) ১৭:৩১, ২৬ জুন ২০১০ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

জিনতত্ত্ব[সম্পাদনা]

জিনতত্ত্ব সম্পর্কে জানার আমার খুবই আগ্রহ রয়েছএ Kanonps (আলাপ) ১১:৫৭, ১৩ মে ২০১৫ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

নিবন্ধ শিরোনাম / ‘Genetics’-এর বাংলা পরিভাষা[সম্পাদনা]

ইংরেজি ‘Heredity’-এর বাংলা ‘বংশগতি’ আর ‘Heredity’ নিয়ে বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তা হচ্ছে ‘Genetics’। আমি যতোদূর জানি, বাংলাতে জীবিবিজ্ঞান বইগুলোতে ব্যবহৃত পরিভাষাটি ‘বংশগতিবিদ্যা’ যা আমরা আমাদের বাংলা উইকিপিডিয়ার অন্যান্য চর্চা অনুযায়ী ‘বংশগতিবিজ্ঞান’ রাখতে পারি, কিন্তু ‘বংশাণুবিজ্ঞান’-এর প্রচলন আমার জানামতে খুব-ই কম। জাহিন ভাই, আপনার কী মত? — তানভির২০:৪২, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]

তানভির, এটা ঠিক যে "বংশগতিবিদ্যা" অনেক জায়গাতেই প্রচলিত। এটাও ঠিক যে Genetics আর Heredity-র বিজ্ঞান বলতে মোটা দাগে মূলত একই জিনিসকে বোঝায় অর্থাৎ এগুলি প্রায় সমার্থক, কিন্তু বংশগতিবিদ্যা বললে আধুনিককালে এই বিজ্ঞানে যে পরিবর্তনগুলি এসেছে, তা ঠিকমত ধরা যায় না। অন্য ভাষায় বলতে গেলে বংশগতিবিদ্যা হল পুরাতন আমলের পরিভাষা। ব্যাখ্যা করি। জিন বা বংশাণু আবিষ্কারের বহু শতাব্দী আগেই Heredity নিয়ে বিজ্ঞানচর্চা শুরু হয়, যখন বংশগতির একক বংশাণু তথা জিনের ভৌত-রাসায়নিক-আণবিক প্রকৃতি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কোনও ধারণাই ছিল না। যেমন গ্রেগর মেন্ডেলকে যদিও আধুনিক বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয়, কিন্তু তিনি এখন আর আধুনিক নেই, তিনি সেই ১৮৬০-এর দশকের মানুষ, সুতরাং প্রত্যক্ষভাবে বংশাণু বা জিনের অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিছুই জানতেন না; তিনি এগুলিকে অদৃশ্য factor হিসেবে উল্লেখ করেন। ২০শ শতকে এসে এই factor-এর আনুষ্ঠানিক পরিভাষা দেওয়া হয় Gene এবং এ সংক্রান্ত বিজ্ঞানের নাম দেওয়া হয় Genetics। তারও পরে বিংশ শতাব্দীর ২য় অর্ধে এসে ডিএনএ তথা জিনের আণবিক কাঠামো আবিষ্কৃত হয়। এখন বর্তমান আধুনিক যুগে এসে Genetics তাই সামগ্রিক দৃষ্টিতে বংশগতির বিজ্ঞান হলেও এর মূল ফোকাস আর "বংশগতি" নেই, বরং বংশগতির অতিক্ষুদ্র একক জিন তথা বংশাণুর গঠন, কাঠামো, বৈচিত্র্য, পরিবর্তন, প্রকৌশল, প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে তাত্ত্বিক গবেষণা ও ব্যবহারিক প্রয়োগ বর্তমানে এই বিজ্ঞানের অধীত বিষয় (যার সামগ্রিক উচ্চস্তরের ফলশ্রুতি হল "বংশগতি")। অর্থাৎ বর্তমানে মোটা দাগের বংশগতি নয়, বরং সুক্ষ্ম বংশাণু নিয়ে অধ্যয়নই বর্তমানে এই বিজ্ঞানের লক্ষ্য। বিজ্ঞানীরা আর Heredity নিয়ে সরাসরি গবেষণা করেন না, বরং Gene নিয়ে গবেষণা করেন। এজন্য ইংরেজিতে যেহেতু Gene কথাটাকে Genetics-এর মধ্যে রাখা হয়েছে, ঠিক একইভাবে বাংলাতেও "বংশাণু" কথাটাকে "বংশাণুবিজ্ঞান" পরিভাষার মধ্যে রাখলে জ্ঞানের এই ক্ষেত্রের বর্তমান যে হাল, তা সঠিকভাবে প্রকাশ পায়। ঠিক এই কারণেই বাংলাতেও ইদানিং অনেকে জিনতত্ত্ব, জিনবিদ্যা, এই বাংলিশ পরিভাষাগুলি দিয়ে ব্যাপারটা ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছেন; কিন্তু সেগুলি ঠিক সম্পূর্ণ বাংলা নয়। এখন যেহেতু সম্পূর্ণ বাংলা পরিভাষা বংশাণুবিজ্ঞান কথাটা হাতের কাছে পাওয়া গেছে, তাই বাংলাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেটাই ব্যবহার করা শ্রেয় বলে মনে করি। "বংশাণুবিজ্ঞান" আমার উদ্ভাবন নয়, সংসদ বিজ্ঞান পরিভাষা কোষ থেকে নেওয়া, এবং আমার মতে উপরে যে যুক্তিগুলি দিলাম, সেই অনুযায়ী এটা যথার্থ একটা পরিভাষা। তবে এটা ঠিক যে পুরাতন "বংশগতিবিদ্যা" পরিভাষাকে সম্মান দেখিয়ে প্রথম লাইনে উল্লেখ করে রাখা যায়। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২১:৫২, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
আরেকটা ব্যাপার হল "বংশগতিবিদ্যা"-র পরিবর্তে "বংশাণুবিজ্ঞান" আমার পছন্দের হলেও "বংশগতি" ধারণাটা একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। ইংরেজিতে অনেক সময় "Genetic" বলতে "Hereditary" বোঝায়, এবং এই দুইটি বিশেষণ দিয়েই "বংশগতি-সংক্রান্ত"--এরকম সামগ্রিক একটা অর্থ বোঝায়; সেক্ষেত্রে "বংশাণু-সংক্রান্ত" লিখলে ভাল অনুবাদ হবে না, বরং "বংশগতীয়" নামের বাংলা বিশেষণ ব্যবহার করাই শ্রেয়। মোদ্দা কথা হল যদি সামগ্রিক অর্থ বোঝায় তাহলে "বংশগতি", "বংশগতীয়" এই জাতীয় পরিভাষা, এবং যদি অতিক্ষুদ্র মাপের জিন নিয়ে কোনও কিছু বোঝায়, তাহলে "বংশাণু", "বংশাণুগত", ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার করা যায়। খানিকটা জটিল হলেও অর্থের দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন হবে। --অর্ণব (আলাপ | অবদান) ২২:০৬, ৩০ অক্টোবর ২০১৯ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]