চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ
অন্যান্য নাম | চাঁদপুর মহিলা কলেজ |
---|---|
নীতিবাক্য | জ্ঞানই শক্তি |
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ২৪ আগস্ট ১৯৬৪ |
প্রতিষ্ঠাতা | হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী |
অধিভুক্তি | জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমান[১] |
উপাধ্যক্ষ | অধ্যাপক আবুল খায়ের খান |
শিক্ষার্থী | ১৪,০০০+ |
ঠিকানা | কলেজ রোড, নাজিরপাড়া , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | CGMC |
ওয়েবসাইট | chgmc |
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার একটি পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এককভাবে নারী শিক্ষায় জেলার প্রথম কলেজ হিসেবে এটি পরিচিত। এ কলেজটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রতিষ্ঠার পটভূমি
[সম্পাদনা]চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর হয় ২৪ আগস্ট ১৯৬৪ সালে । [২]
সরকারি করণ
[সম্পাদনা]১৯৮৪ সালে কলেজটি সরকারি করণ করা হয়।
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]কলেজে ২৮ জন শিক্ষকসহ মোট ২৪০০ শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম চলছে। নারীদের কলেজ হিসেবে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ কলেজ আঙ্গিনায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী বসবাসের উপযোগী করে তিনটি হোস্টেল রয়েছে।
অনুষদ ও বিভাগসমুহ
[সম্পাদনা]১৯৬৯ সালে বিএ এবং বিবিএস কোর্স চালু করা হয়। ১৯৮৪ সালে, কলেজ জাতীয়করণ এবং এইভাবে একটি সরকারি কলেজ হয়ে ওঠে। ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষে বাংলা ও ইতিহাসে এবং ২০০৯ -১০ সালে ইংরেজি ও সমাজকল্যাণে সম্মাননা কোর্স শুরু হয়। একই বছরে (২০০৯-১০) এইচএসসি স্তরের বিজনেস স্টাডিজও চালু করা হয়।
উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি
[সম্পাদনা]স্নাতক (পাস) শ্রেণি
[সম্পাদনা]স্নাতক (সম্মান) শ্রেণি
[সম্পাদনা]কলেজটিতে ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। সেগুলো হলো -
একাডেমিক সুযোগ সুবিধা
[সম্পাদনা]কলেজটিতে বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। যেমন একাডেমিক ভবন, গ্রন্থাগার ইত্যাদি। এছাড়া এখানে পড়াশুনার পাশাপাশি মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বৃত্তির ব্যবস্থা।
একাডেমিক ভবন
[সম্পাদনা]কলেজটিতে মোট পাঁচটি ভবন রয়েছে।
- মূল ভবন
- একাডেমিক ভবন
- ভবন-২
- ভবন-৩
- বিজ্ঞান ভবন
লাইব্রেরি
[সম্পাদনা]মূল ভবনে একটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অবস্থিত। এখানে ছাত্র এবং ছাত্রীদের আলাদা রুমে পড়ার সুযোগ রয়েছে। ১৫০ (প্রায়) শিক্ষার্থী একসাথে পড়তে ও বই সংগ্রহ করতে পারে। গ্রন্থাগারে ২০০০+ বই সংগৃহীত আছে। নিয়মিত জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক সমূহ সংগ্রহ করা হয়।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
[সম্পাদনা]কলেজের সুযোগ সুবিধা
[সম্পাদনা]কলেজটিতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে হোস্টেল এবং ছাত্রছাত্রীদের খেলার জন্য রয়েছে এক বিশাল খেলার মাঠ।
হোস্টেল
[সম্পাদনা]ছাত্রীদের জন্য রয়েছে দুটি হল।
- চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রী নিবাস
- শেখ হাসিনা ছাত্রী নিবাস (১২তলা বিশিষ্ট হল নির্মাণাধীন)
খেলার মাঠ
[সম্পাদনা]কলেজের নিজস্ব একটি মাঠ রয়েছে।
মসজিদ
[সম্পাদনা]সহশিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে:
- বি. এন. সি. সি. - ময়নামতি রেজিমেন্ট এর অধীনে এই কলেজে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর-এর একটি পুরুষ প্লাটুন রয়েছে।
- রোভার স্কাউট - বাংলাদেশ স্কাউটস-এর অধীনে এই কলেজে একটি রোভার স্কাউট ইউনিট রয়েছে।
- রেড ক্রিসেন্ট - বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি-এর অধীনে এই কলেজে একটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট রয়েছে।
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম
[সম্পাদনা]প্রাক্তন শিক্ষার্থী
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "পদোন্নতির আদেশ" (পিডিএফ)। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল সাইট। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৯।
- ↑ "চাঁদপুর সরকারি মহিল কলেজ"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৯।