কুদ্দুস বয়াতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুদ্দুস বয়াতি
জন্ম২২ জানুয়ারি, ১৯৪৯
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ

আবদুল কুদ্দুস বয়াতি (জন্ম ২২ জানুয়ারি, ১৯৪৯) একজন বাংলাদেশি লোকসঙ্গীত শিল্পী। তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘লোকসঙ্গীতের মহাতারকা’ বলেও সম্বোধন করা হয়।[১] তিনি ১৯৯২ সালে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কর্তৃক নির্মিত বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রচারণার অংশ হিসেবে গাওয়া ‘এই দিন, দিন না আরো দিন আছে’ শিরোনামে একটি গানের মাধ্যমে পরিচিতি পান।[২][৩] কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাবকালীন ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তিনি জাইনা চলেন, মাইনা চলেন গানে অংশ নেন।[৪]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

কুদ্দুস বয়াতি ১৯৪৯ সালে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রাজীবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৫] তার পিতার মাধ্যমে মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন।[৫] আর্থিক অনটনে লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। পরবর্তীতে কাজের সন্ধানে ঢাকা চলে আসেন।[৫] এ সময় কিছুদিন আফজাল হোসেনের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে চারণ সঙ্গীতের প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করেন।[৫]

অ্যালবাম[সম্পাদনা]

এখন পর্যন্ত কদ্দুস বয়াতির দুটি একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে।[৬] এছাড়া তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় বিজ্ঞাপণচিত্র, নাটক ও প্রামাণ্যচিত্রে গান গেয়েছেন।

  • সোনার নূপুর
  • আম খায়ো জাম খায়ো তেঁতুল খায়ো না

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

কুদ্দুস বয়াতি ব্যক্তিগত জীবনে চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ছেলের বিয়ে দিলেন কুদ্দুস বয়াতি"সময় নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "কুদ্দুস বয়াতির নতুন স্বপ্ন"প্রথম আলো। ২৩ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. "উন্নত চিকিৎসার জন্য কুদ্দুস বয়াতিকে বিদেশে নিতে হবে"বাংলানিউজ২৪.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "কুদ্দুস বয়াতির 'জাইনা চলেন, মাইনা চলেন'"বিডিনিউজ২৪.কম। ২৭ মার্চ ২০২০। ২৮ মার্চ ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মার্চ ২০২০ 
  5. "শিল্পীদের যৌবন থাকলে কদর থাকে : কুদ্দুস বয়াতি"রাইজিংবিডি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  6. "এই গান আমার নামডাই বদলাইয়া দিছে : কুদ্দুস বয়াতি"জাগো নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯