সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ
অন্যান্য নাম | বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজ |
---|---|
ধরন | সরকারি কলেজ |
স্থাপিত | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৩[১] |
ইআইআইএন | ১২৭৪৮৫ |
অধ্যক্ষ | ইসমাইল হোসেন সরকার[২] |
উপাধ্যক্ষ | হামিদুর রহমান |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪৮ |
শিক্ষার্থী | আনু. ৬৭৪৪+ |
স্নাতক | ৩,৬৭৬ |
স্নাতকোত্তর | ৬০০ |
ঠিকানা | পূর্ব শালবন, রংপুর সদর , , ৫৪০৪ , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর (৩.৬৪ একর) |
ভাষা | বাংলা |
সংক্ষিপ্ত নাম | স.বে.র.ক |
অধিভুক্তি | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৮৫-?) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর |
ওয়েবসাইট | www |
সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর বাংলাদেশের রংপুর শহরের পূর্ব শালবনে অবস্থিত একটি সরকারি কলেজ। যা বেগম রোকেয়া মহিলা কলেজ নামেও পরিচিত। বর্তমানে এখানে উচ্চমাধ্যমিক, ব্যাচেলর ডিগ্রি (পাস), ব্যাচেলর ডিগ্রি অনার্স এবং মাস্টার্স ফাইনাল কোর্স চালু আছে।[৩] এর সব আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৩ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি রংপুর অঞ্চলে নারী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরিচালনা কমিটির সভায় কলেজটির নাম বেগম রোকেয়া কলেজ পাশ করা হয়। কলেজটি ৩.৬৬ একর জমির উপর স্থাপিত। এই জমিটি বরদা সুন্দরী নামক জমিদারের পরিত্যাক্ত সম্পত্তি ছিল। ১৯৬৩ সালে বে-সরকারি ভাবে ডিগ্রী (পাস) এবং উচ্চ মাধ্যমিক কোর্সের বিজ্ঞান এবং মানবিক শাখা নিয়ে কলেজটির যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৯ সালের ৭ই মে কলেজটি সরকারিকরণের[৪] পর ১৯৮৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ৬ টি মানবিক বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি) অনার্স পাঠদানের মঞ্জুরী প্রাপ্ত হয় এবং ১৯৯৫ সালে উক্ত ৬ টি বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মাস্টার্স শেষ পর্ব কোর্স চালুর অনুমতি পায়।
উপলব্ধ কোর্স
[সম্পাদনা]উচ্চমাধ্যমিক
[সম্পাদনা]- বিজ্ঞান
- মানবিক
- বাণিজ্য
ব্যাচেলর ডিগ্রি (পাস) কোর্স
[সম্পাদনা]- বিএ (পাস)
- বিএসএস (পাস)
- বিএসসি (পাস)
ব্যাচেলর ডিগ্রি অনার্স কোর্স
[সম্পাদনা]- বাংলা
- ইংরেজি
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
মাস্টার্স ফাইনাল কোর্স
[সম্পাদনা]- বাংলা
- ইংরেজি
- ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি
- দর্শন
- রাষ্ট্রবিজ্ঞান
- অর্থনীতি
ভর্তি ও আসন
[সম্পাদনা]উচ্চমাধ্যমিক
[সম্পাদনা]একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির প্রক্রিয়া সাধারণত অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত হয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর আই.ই.আই.এম.এস. ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হয়। আবেদন ফি পরিশোধের পর শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কলেজ বাছাই করতে পারে। মেধাতালিকা প্রকাশের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি নিশ্চিত করতে হয় এবং ভর্তি ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বরপত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
অনার্স
[সম্পাদনা]জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে শিক্ষার্থীদের nu.ac.bd/admissions ওয়েবসাইটে অনলাইন আবেদন করতে হয়, যেখানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার তথ্য প্রদান করতে হয়। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি প্রদান করতে হয়, যা মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধাতালিকা প্রকাশ করে, যার মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পান। ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফি পরিশোধ করতে হয় এবং এসএসসি ও এইচএসসি সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয়।
আসন
[সম্পাদনা]উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একাদশ শ্রেণীতে আসন সংখ্যা: বিজ্ঞান ৪০০, মানবিক ৪৬০, ব্যবসায় শিক্ষা ১৫০।[৫]
ফলাফল ও র্যাংকিং
[সম্পাদনা]- মোট পরিসংখ্যান
- মোট অংশগ্রহণ: ১১,৮২০ জন
- পাস করেছে: ১০,০৯৯ জন
- ফেল করেছে: ১৭২১ জন
- এ+ পেয়েছে: ১৫১৬ জন
- পাশের হার: ৮৫.৪৪%
- এ+ হার: ১২.৮৩%
- গড় পরিসংখ্যান
- গড়ে অংশগ্রহণ: ৭৩৮.৭৫ জন
- গড়ে পাস করেছে: ৬৩১.১৯ জন
- গড়ে ফেল করেছে: ১০৭.৫৬ জন
- গড়ে এ+ পেয়েছে: ৯৪.৭৫
- গড়ে বোর্ড র্যাংক: ২০.২৫
- গড়ে জাতীয় র্যাংক: ৪৫৯
- রংপুর জেলার মধ্যে: ৮ম
- রংপুর বিভাগের মধ্যে: ২৩ তম
- দিনাজপুর বোর্ডের মধ্যে: ১৭ তম
- বাংলাদেশের মধ্যে (জাতীয়): ২২৯ তম
অর্জন সমূহ
[সম্পাদনা]একাডেমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রসারে বিশেষ অবদানের জন্য কলেজটি ১৯৮৮ এবং ২০০২ সালে রংপুর জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খ্যাতি অর্জন করে। ২০০৮ সালে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিষয়ে ১৭ জন, দর্শন বিষয়ে ০৪ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ০১ জন; ২০০৭ সালে ইসলামের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি বিষয়ে ০৭ জন, ২০০৬ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ০২ জন শিক্ষার্থী প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সাহিত্য এবং সংস্কৃতি পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য এবং সংস্কৃতি প্রতিযোগিতা ২০০৭, ২০০৮, ২০০৯ এ দেশাত্নবোধক, নজরুল গীতিতে অঞ্চল পর্যায়ে প্রথম, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম স্থান অর্জন করে। ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশ আয়োজিত ৫ম বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ২০১১ এ বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ চ্যাম্পিয়ন। জাতিসংঘ নারী বিষয়ক সংস্থা ইউএন উইমেন এবং বিডিএফ আয়োজিত নারীর প্রতি সহিংসতা আর নয় শীর্ষক সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১১ এর এ কলেজ রংপুর বিভাগে চ্যাম্পিযন হয়। FPAB আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০০৯, ২০১০ এ জেলা পর্যায়ে ১ম, ২য় এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অর্জন করে। ২০১১ সালে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রোকেয়া ফোরাম, রংপুর আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এ কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী আয়োজিত নজরুল গীতি ২০১১ প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায় এ কলেজ ১ম, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ম এবং জাতীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অর্জন করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
ক্রীড়া পর্যায়ে ১৯৯৫ সালে কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল টীমে এ কলেজের ০৩ জন কৃতি ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল।[৭]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ GOVT. BEGUM ROKEYA COLLEGE - 3206 এনইউ.ইনফো
- ↑ "আরও ১২ সরকারি কলেজে নতুন অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ"। ৮ অক্টোবর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "National University :: College Details"। www.nubd.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১১-০৩।
- ↑ "GOVT. BEGUM ROKEYA COLLEGE, RANGPUR"। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ "সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ, রংপুর, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সেকশনভিত্তিক শিক্ষার্থীর তথ্য ২০২৪"। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো।
- ↑ ক খ "govt-begum-rokeya-college-rangpur"। sohopathi। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ সরকারি বেগম রোকেয়া কলেজ,রংপুর।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন