প্রকৌশলে নারীদের ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০০৯ সালের বে এরিয়া "মেকার ফেয়ার" কনফারেন্সে অডিওড্যাক্ট কম্পিউটার প্রোগ্রামার জেরি এলসওয়ার্থ

প্রকৌশলে নারীদের ইতিহাস পেশা হিসেবে প্রকৌশল বা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ইতিহাসের চেয়েও পুরনো। পেশা হিসেবে প্রকৌশল এর স্বীকৃতি লাভের পূর্বে, প্রকৌশল দক্ষতাসম্পন্ন নারীগণ উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতেন যেমন আলেকজান্দ্রিয়ার হাইপেশিয়া (৩৫০ বা ৩৭০ – ৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যিনি হাইড্রোমিটার বা এক প্রকার ঘনত্ব পরিমাপক যন্ত্র উদ্ভাবন করেন। অষ্টম শতাব্দী হতে পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইসলামিক স্বর্ণযুগের সময় অনেক মুসলিম নারী উদ্ভাবক ও প্রকৌশলী ছিলেন যেমন দশম শতাব্দীর জ্যোতির্বিজ্ঞানী মারিয়াম আল আস্তুরলাবি[১]

উনবিংশ শতকে, যে সকল নারীরা প্রকৌশল কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের অনেকেরই গণিত বা বিজ্ঞানের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল। যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই অ্যাডা লাভেলেস বা হার্থা মার্কস আরিজনের মত প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের যোগ্য ছিলেন না। রিতা ডি মোরাসেস সারমেন্টো ছিলেন ইউরোপের প্রথম নারী যিনি ১৮৯৬ সালে প্রকৌশল বিভাগে একাডেমিক ডিগ্রি লাভ করেন । তবে এর আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলেতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে এলিজাবেথ ব্র্যাগ (১৮৭৬ সালে) এবং জুলিয়া মর্গ্যান (১৮৯৪ সালে) এই বিষয়ে তাদের স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করেন। [২]

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, কয়েকজন নারী প্রকৌশল পাঠ্যসূচিতে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তারা সাধারণত তাদের পুরুষ সহপাঠীদের কৌতূহলে পরিণত হতেন। অ্যালিস পেরি (১৯০৬) এবং এলিস লিওনিদা (১৯১২) প্রকৌশলে প্রথম ইউরোপীয় স্নাতক ডিগ্রীধারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের ফলে প্রকৌশল দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তির গুরুতর অভাব সৃষ্টি হয়, কারণ পুরুষদের সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছিল। জেনারেল ইলেকট্রিক এ গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ডিগ্রীধারী মহিলাদের জন্য চাকরির পাশাপাশি প্রকৌশল প্রশিক্ষণ এবং কার্টিস-রাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে "কার্টিস-রাইট ক্যাডেটস" ("ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটস", যেমন, রোজেলা ফেন্টন) ছিল। [৩] কোম্পানিটি একটি প্রকৌশল পাঠ্যক্রম তৈরির জন্য কর্নেল, পেন স্টেট, পার্ডু; মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়; টেক্সাস ইউনিভার্সিটি; আরপিআই এবং আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সাথে অংশীদারত্ব গঠন করে, যা শেষ পর্যন্ত ৬০০ এরও বেশি নারীকে তালিকাভুক্ত করে। কোর্সটি দশ মাস স্থায়ী হয় এবং প্রাথমিকভাবে বিমান নকশা এবং উৎপাদনের উপর মনোনিবেশ করে। [৪]

ক্যাথলিন ম্যাকনালটি (১৯২১ – ২০০৬), এনিয়াক এর মূল প্রোগ্রামারদের মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। জর্জিয়া টেক ১৯৫২ সালে মহিলা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে আরম্ভ করে। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ( এমআইটি ) ১৮৭৩ সালে তাদের প্রথম নারী ছাত্র, এলেন স্যালো রিচার্ডসকে (১৮৪২ – ১৯১১) স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করে। প্যারিসের ইকোল পলিটেকনিক ১৯৭২ সালে নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা শুরু করে। ১৯৮০ সালে আমেরিকাতে মহিলাদের বি.এ./বি.এস. ডিগ্রি প্রদানের সংখ্যা ৪৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত, কম্পিউটার বিজ্ঞানে বি.এ. বা বি.এস. ডিগ্রি অর্জনকারী মহিলাদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ কমেছে।

পরিভাষা[সম্পাদনা]

যদিও প্রকৌশলী এবং প্রকৌশল এই শব্দগুলি মধ্যযুগীয় কাল থেকে প্রচলিত, এদের বর্তমান অর্থের ব্যবহার শুরু হয় উনিশ শতকের সাম্প্রতিকতম সময়ে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, প্রকৌশলী এমন একজন ব্যক্তি যিনি বিভিন্ন কাঠামো, কলকব্জা, যন্ত্র, ব্যবস্থা, উপকরণ এবং প্রক্রিয়া ডিজাইন এবং নির্মাণের জন্য প্রকৌশলের নীতিগুলি ব্যবহার করেন - অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক, গাণিতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন ও প্রয়োগ করেন । প্রকৌশলের প্রধান শাখাগুলির মধ্যে রয়েছে পুরকৌশল, সামরিক প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, রসায়ন প্রকৌশল, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল, মহাকাশ প্রকৌশল, কম্পিউটার প্রকৌশল, এবং জৈবচিকিৎসা প্রকৌশল । [৫]

উদ্ভাবক[সম্পাদনা]

পেশা হিসেবে প্রকৌশল এর স্বীকৃতি লাভের পূর্বে, প্রকৌশল দক্ষতাসম্পন্ন নারীগণ উদ্ভাবক হিসেবে স্বীকৃতি দাবি করতেন। প্রাচীন নারী উদ্ভাবকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আলেকজান্দ্রিয়ার হাইপেশিয়া (৩৫০ বা ৩৭০ – ৪১৫ খ্রিষ্টাব্দ), যাকে হাইড্রোমিটার বা এক প্রকার ঘনত্ব পরিমাপক যন্ত্র উদ্ভাবনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাবিথা বাবিত (১৭৮৪ – ১৮৫৩) ছিলেন একজন আমেরিকান যন্ত্রবিদ, যিনি প্রথম বৃত্তাকার করাত আবিষ্কার করেছিলেন। সারাহ গাপ্পি (১৭৭০ – ১৮৫২) ছিলেন একজন ইংরেজ মহিলা যিনি সেতুর ভিত্তি স্থাপনের একটি নকশা পেটেন্ট করেছিলেন। মেরি ডিক্সন কিয়েস (১৭৫২– ১৮৩৭) ছিলেন প্রথম আমেরিকান মহিলা যিনি ১৮০৯ সালে খড়ের একটি বুনন পদ্ধতির পেটেন্ট লাভ করেন। [৬]

ঊনবিংশ শতাব্দী: প্রযুক্তিগত পেশায় প্রবেশ[সম্পাদনা]

ঊনবিংশ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের সাথে সাথে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের জন্যই নতুন নতুন প্রযুক্তি-ভিত্তিক পেশা চালু হয়েছিল। ১৮৩০ এবং ১৮৪০-এর দশকের লোয়েল, ম্যাসাচুসেটস-এর নারী মিল শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নতির জন্য সারাহ বেগলি (১৮০৬-?) কে স্মরণ করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রথম মহিলা টেলিগ্রাফ অপারেটরদের একজন হিসেবেও তার নাম উল্লেখযোগ্য। ১৮৬০-এর দশকে মাথিল্ড ফিবিগার (১৮৩০-১৮৭২) নামে একজন ড্যানিশ ঔপন্যাসিক এবং নারী অধিকারবিদ আইনজীবী, ডেনিশ স্টেট টেলিগ্রাফ সিস্টেমের একজন টেলিগ্রাফ অপারেটর হিসেবে যোগ দেন।

অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং উনবিংশ শতকের শুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকৌশল বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যদান শুরু হয়। ১৭৯৪ সালে ফ্রান্সের ইকোল পলিটেকনিক সামরিক প্রকৌশল ও পুরকৌশল শেখানোর জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়; এর অনুকরণে ১৮১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমি একটি পাঠ্যক্রম চালু করে। রেনসেলার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (আরপিআই) ১৮২৮ সালে পুরকৌশল পড়ানো শুরু করে। যদিও, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনটিই তাদের প্রতিষ্ঠাকালে নারী শিক্ষার্থী ভর্তি করায়নি। [৭]

ঊনবিংশ শতকে, যে সব নারী প্রকৌশল কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন তাদের অনেকেরই গণিত বা বিজ্ঞানের উপর প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল। লর্ড বায়রনের কন্যা অ্যাডা লাভলেসকে (১৮১৫-১৮৫২) চার্লস ব্যাবেজের প্রথম অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিনের ব্যাপারে সহযোগিতা করার আগে গণিত বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল। হার্থা মার্কস আর্টন (১৮৫৪-১৯২৩) ছিলেন একজন ব্রিটিশ প্রকৌশলী ও উদ্ভাবক, যিনি বৈদ্যুতিক আর্ক প্রজ্বলনের বিকাশে সহায়তা করেছিলেন। তিনি ১৮৮০ সালে ক্যামব্রিজে গণিত বিষয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। কিন্তু তাকে সেই সময় ডিগ্রী দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, কারণ তখন সেখানে নারীদেরকে শুধুমাত্র সমাপ্তি সার্টিফিকেট প্রদান করা হত। এর ফলে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান, এবং ১৮৮১ সালে তাকে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একইভাবে, মেরি এঙ্গেল পেনিংটন (১৮৭২-১৯৫২) নামে একজন আমেরিকান রসায়নবিদ এবং হিমায়ন প্রকৌশলী ১৮৬২ সালে পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়নে বি.এস ডিগ্রি অর্জনের সমস্ত শর্ত পূরণ করলেও তাকে কেবলমাত্র দক্ষতার সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

এলিজাবেথ ব্র্যাগ এবং জুলিয়া মর্গান আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে প্রথম নারী হিসেবে যথাক্রমে, পুরকৌশল (১৮৭৬) এবং যন্ত্র প্রকৌশল (১৮৯৪) বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মর্গান এর অর্জনের একই বছরে, বার্থা ল্যামে ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক হন। রিতা দ্য মোরাইস সারমেন্টো (১৮৭২-১৯৩১) ইউরোপে প্রথম মহিলা হিসেবে প্রকৌশল ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি একাডেমিয়া পলিটিকিকাতে দো পোর্টোতে গণপূর্ত পুরকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য ভর্তি হন, এবং বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করে ১৮৯৪ সালে তা শেষ করেন। দুই বছর পর, তাকে তার পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে কাজের সক্ষমতার স্বীকৃতিস্বরূপ "সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্টিফিকেট অফ ক্যাপাবিলিটি" দেওয়া হয়, যদিও তিনি কখনও পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেননি। যার অর্থ তিনি ইউরোপের প্রথম আনুষ্ঠানিক এবং সম্পূর্ণ স্বীকৃত নারী প্রকৌশলী ছিলেন। সমসাময়িক অন্যান্য নারী প্রকৌশলীদের মধ্যে আছেন তিনজন ড্যানিশ মহিলা: অ্যাগনেস ক্লিংবার্গ, বেটজি মায়ার এবং জুলি এরেনহোল্ট, যারা পলিটেকনিক লেরেনস্টাল্টে (বর্তমানে ড্যানমার্কস টেকনিস্কে ইউনিভার্সিটেট) থেকে ১৮৯৭ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে পর্যন্ত স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। [৮]

আনুষ্ঠানিক প্রকৌশল ডিগ্রী লাভ না করা নারীরাও ঊনবিংশ শতকের প্রকৌশল কর্মকাণ্ডের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত ছিলেন। এমিলি ওয়ারেন রোব্লিং, ব্রুকলিন সেতুর নির্মাণ পরিচালনাকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৮৮৩ সালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সেতুটি অতিক্রম করেন। [৯] রোব্লিংয়ের স্বামী ওয়াশিংটন রোবলিং, ব্রুক্লিন সেতুর প্রধান প্রকল্প প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করতেন, কিন্তু তিনি ডিকম্প্রেশন সিকনেসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বামীর অসুস্থতার পরে, এমিলি ওয়ারেন রোবলিং তার স্বামীর প্রকল্পের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন উপাদানের বৈশিষ্ট্য, তারের নির্মাণ, ক্যাটেনারী রেখার হিসাব এবং অন্যান্য আরও অনেক বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেন। [৯]

বিংশ শতক: প্রকৌশল কার্যক্রমে প্রবেশ[সম্পাদনা]

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে, কিছু সংখ্যক মহিলা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তি হন, কিন্তু তারা সাধারণত তাদের পুরুষ সহপাঠীদের কৌতূহলে পরিণত হতেন। নোরা স্ট্যান্টন ব্লাচ বার্নি (১৮৮৩-১৯৭১), যিনি হ্যারিয়ট স্ট্যান্টন ব্লাচের কন্যা এবং এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টনের নাতনী, প্রথম নারী হিসেবে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরকৌশলে ১৯০৫ একটি ডিগ্রী লাভ করেন এবং একই বছরে সালে তিনি আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সের জুনিয়র সদস্য হিসেবে গৃহীত হন। তবে, বারো বছর ধরে একজন প্রকৌশলী, স্থপতি এবং প্রকৌশল পরিদর্শক হিসাবে কাজ করার পরও, সহযোগী সদস্য পদে পদোন্নতির জন্য তার অনুরোধ অস্বীকার করা হয়েছিল। অলিভ ডেনিস (১৮৮৫-১৯৫৭), যিনি ১৯২০ সালে কর্নেল থেকে পুরকৌশলে স্নাতক হওয়া দ্বিতীয় নারী, প্রাথমিকভাবে বাল্টিমোর ও ওহাইও রেলপথের একজন নকশাকার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। তবে, সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ারের পদ তৈরি হওয়ার পরে তিনি সেই পদে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বহাল হন।

ক্লেওন বেনেস্ট ১৯০৮ সালে রয়্যাল অটোমোবাইল ক্লাবের যান্ত্রিক পরীক্ষা লন্ডন ইনস্টিটিউটের সিটি অ্যান্ড গিল্ডস মোটর-ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন [১০] এবং [১০] ১৯১০ সালে পোর্টসমাউথ মিউনিসিপাল কলেজে তাপীয় ইঞ্জিনের পরীক্ষায় অংশ নেন। সি গ্রিফ পেশাদারী নাম ব্যবহার করে তিনি বেশ কয়েকটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন এবং মেফেয়ারে একটি উপদেষ্টা ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। [১১][১২] এলিস পেরি ইউরোপের প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত মহিলা প্রকৌশলীদের মধ্যে একজন, যিনি গালওয়ের কুইন্স কলেজ থেকে 1১৯০৮ সালে প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। [১৩] এলিসা লিওনিদা জাম্ফিরেসকিউ (১৮৮৭-১৯৭৩), বিজ্ঞানে মহিলাদের বিরুদ্ধে কুসংস্কারের কারণে, বুখারেস্ট, রোমানিয়ার স্কুল অফ ব্রিজেস এন্ড রোডস কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হন। তবে, ১৯০৯ সালে, বার্লিনে রয়েল একাডেমি অব টেকনোলজিতে তাকে গ্রহণ করা হয়। তিনি ১৯২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন এবং সম্ভবত বিশ্বের প্রথম নারী প্রকৌশলী হয়ে ওঠেন। [১৪]

গ্রাফিক্যাল ক্যালকুলেটরের আবিষ্কারক এডিথ ক্লার্ক ১৯১৮ সালে এমআইটির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে ডিগ্রী অর্জনকারী প্রথম মহিলা ছিলেন। [১৫] এছাড়াও তিনি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সে (বর্তমান আইইইই) ভর্তি হওয়া প্রথম নারী ছিলেন। তিনি অস্টিনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন, যেখানে তিনি প্রকৌশল বিভাগের একমাত্র মহিলা শিক্ষক ছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নারীদের প্রকৌশল কার্যক্রম[সম্পাদনা]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশের ফলে প্রকৌশল প্রতিভার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর অভাব সৃষ্টি হয়েছিল, কারণ পুরুষেরা তখন যুদ্ধে যোগ দান করে এবং সে সময়েই যুদ্ধোপকরণ, রণতরী, এবং বিমানের উৎপাদনের চাহিদা তুমুলভাবে বেড়ে যায়। ইউ এস অফিস অফ এডুকেশন, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের কয়েকটি কোর্স শুরু করে যা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই উন্মুক্ত ছিল।

মহিলাদের জন্য বেসরকারি কর্মসূচির মধ্যে জেনারেল ইলেকট্রিকে, গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের ডিগ্রীধারী মহিলাদের জন্য চাকরির পাশাপাশি প্রকৌশল প্রশিক্ষণ এবং কার্টিস-রাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের কার্টিস-রাইট ক্যাডেটস [৪] [১৬] (উদাহরণস্বরূপ, রোজেলা ফেন্টন) অন্তর্ভুক্ত ছিল। [৩] প্রতিষ্ঠানটি কর্নেল, পেন স্টেট, পার্ডু, মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস ইউনিভার্সিটি, আরপিআই এবং আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে একটি প্রকৌশল পাঠ্যক্রম তৈরি করে যা ক্রমান্বয়ে ৬০০ এরও বেশি নারী ভর্তি করে। কোর্সটি দশ মাস স্থায়ী ছিল এবং প্রাথমিকভাবে বিমানের নকশা এবং উৎপাদনের উপর জোর দেয়। [৪]

থেলমা এস্ট্রিন (১৯২৪-২০১৪), ১৯৪২ সালে স্টিভেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে তিন মাস প্রকৌশল সহকারী কোর্সে অংশ নেন এবং উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি, এমএসসি এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি পরবর্তীতে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও জৈব প্রকৌশলের জগতে অগ্রণী হয়ে ওঠেন [সন্দেহপূর্ণ ]

লোইস গ্রাহাম (১৯২৫-২০১৩) ১৯৪৬ সালে যুদ্ধের সময়ের একটি ত্বরিত প্রোগ্রামের মাধ্যমে, রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন [১৭] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে যন্ত্র প্রকৌশলে পিএইচডি লাভ করেন (এমএস '৪৯, পিএইচডি '৫৯)। [১৮]

যুদ্ধপরবর্তী যুগ[সম্পাদনা]

১৯৪৩ সালে ইউনাইটেড স্টেটস আর্মি ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির জন্য আর্টিলারি ফায়ারিং নকশা হিসাব করতে একটি ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরির জন্য পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর স্কুল অফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ একটি গোপন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পটি ১৯৪৬ সালে সম্পন্ন হয়, এবং ইলেকট্রনিক নিউমারিক্যাল ইন্টিগ্রেটার এন্ড কম্পিউটার বা এনিয়াক নামে হিসাবে পরিচিত হয়েছিল।

এনিয়াকের পূর্বে, মার্কিন সেনাবাহিনী কামানের গতিপথ নির্ণয় করার জন্য গণিতে প্রশিক্ষিত নারীদেরকে নিযুক্ত করে। এ কাজে তারা প্রথমে যান্ত্রিক ডেস্ক ক্যালকুলেটর এবং পরে ভানভেরার বুশ দ্বারা তৈরি ডিফারেনশিয়াল অ্যানালাইজার ব্যবহার করে। ১৯৪৫ সালে, এই গণনাকারীদের মধ্যে ক্যাথলিন ম্যাকনাল্টি (১৯২১-২০০৬), এনিয়াকের মূল প্রোগ্রামারদের মধ্যে একজন হিসেবে ফ্রান্সেস স্পেন্স (১৯২২-), বেটি হোলবার্টন (১৯১৭-২০০১), মারলিন ওয়েস্কফ, রুথ লিচারম্যান (১৯২৪-১৯৮৬), এবং বেটি জিন জেনিংস (১৯২৪-২০১১) এর সাথে যোগ দেন। পরে ম্যাকনাল্টি, হোলবার্টন, এবং জেনিংস ১৯৫০ এর দশকের প্রথম দিকে রিমিংটন র‍্যান্ড কর্পোরেশনের তৈরি প্রথম বাণিজ্যিক কম্পিউটার ইউনিভাকে (UNIVAC) কাজ করেন।

১৯৪৬ সালে, হ্যাটি স্কট পিটারসনকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রী অর্জন করা প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলা বলে মনে করা হয়। [১৯]

১৯৫০-১৯৭০ এর দশকে প্রকৌশল বিদ্যালয়গুলিতে সহশিক্ষার প্রতি বিরোধ[সম্পাদনা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ এবং মহাকাশ প্রতিযোগিতার কারণে ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে অতিরিক্ত প্রশিক্ষিত প্রকৌশলীদের জন্য চাহিদা তৈরি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রকৌশল বিদ্যালয় যা পূর্বে কেবল পুরুষ ছাত্রদের ভর্তি করত তারা স্বেচ্ছায় সহশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। আরপিআই ১১৬ বছর ধরে একটি পুরুষ সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান হিসাবে থাকার পর, ১৯৪০-এর দশকে অল্প সংখ্যক মহিলা শিক্ষার্থীকে ভর্তি করতে শুরু করে। জর্জিয়া টেক ১৯৫২ সালে কেবলমাত্র যে সকল বিষয় অন্যান্য রাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হত না সেগুলোতে মহিলা প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা শুরু করে। ১৯৬৮ সালে জর্জিয়ার টেক সমস্ত কোর্সে নারীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেয়। [২০][২১]

১৮৭৩ সালে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) অ্যালেন স্যালো রিচার্ডস (১৮৪২-১৯১১) প্রথম মহিলা শিক্ষার্থী হিসেবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন, পরে তিনি এমআইটি তে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। যাইহোক, ১৯৬০ এর দশকে, মহিলা ছাত্রীদের আবাসন সমস্যার কারণে এমআইটি অল্প সংখ্যক মহিলা প্রকৌশলী ছাত্রীকে ভর্তি করে। ১৯৬৪ সালে ক্যাম্পাসের প্রথম মহিলা ছাত্রাবাস ম্যাককর্মিক হলের নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর নারী ছাত্রীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ১৯৬০ ও ১৯৭০ এর দশকের শেষের দিকে নারীবাদের দ্বিতীয় তরঙ্গ আন্দোলনের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে এমআইটির মিলেড্রেড ড্রেসেলহাউস এবং শিলা উইডনল সহ অন্যান্য নারী অনুষদ সদস্যরা, সক্রিয়ভাবে নারী প্রকৌশল শিক্ষাকে প্রচার করতে শুরু করেন। [২২]

প্যারিসের ইকোল পলিটেকনিক ১৯৭২ সালে প্রথম নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে শুরু করে।

মার্গারেট হ্যামিলটন ১৯৭০ এর দশকে তার কম্পিউটার ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। এমআইটি ইন্সট্রুমেন্টেশন ল্যাবরেটরির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক হ্যামিলটন অ্যাপোলো-১১ মিশনের জন্য অন-বোর্ড নির্দেশিকা কোড লেখার জন্য বিখ্যাত। [২৩]

১৯৮০-১৯৯০ এর দশক[সম্পাদনা]

নারীদের জন্য অধিকতর প্রকৌশল প্রোগ্রাম খোলার ফলে, প্রকৌশল কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত নারীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৮০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত প্রকৌশলে বিএ / বিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারীদের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। যদিও, ১৯৮৪-১৯৯৪ এই সময়ে কম্পিউটার প্রকৌশলে বিএ / বিএস ডিগ্রি লাভ করা নারীদের সংখ্যা ২৩ শতাংশ হ্রাস পায় (১৯৮৪ সালে ৩৭ শতাংশ স্নাতক থেকে ১৯৯৪ সালে ২৮ শতাংশ)। এই অবস্থাটি ১৯৯৭ সালে কলোরাডো স্কুল অব মাইনস এর গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ ট্রেসি ক্যাম্প এর একটি গবেষণাপত্র থেকে "দ্যা ইনক্রেডিবল শ্রিঙ্কিং পাইপলাইন" নামে পরিচিত হয়।

গবেষণাপত্রে উল্লেখিত এই ঘটনার কারণসমূহের মধ্যে কয়েকটি হল:

  • কেবলমাত্র পুরুষদের জন্য কম্পিউটার গেমস এর উন্নয়ন, ডিজাইন এবং বাজারজাত করা;
  • অনেকের মধ্যে এমন একটি ধারণা প্রচলিত ছিল যে কম্পিউটার বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা "হ্যাকার /আঁতেল / সমাজবিরোধী" ব্যক্তিত্বের হয়ে থাকে;
  • কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য;
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে অনুসরণীয় ব্যক্তিত্বের অভাব। [২৪]

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

যুক্তরাষ্ট্র[সম্পাদনা]

ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৌশল বিষয়ে বিএ / বিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারীদের সংখ্যা শতকরা ১৯৬৬ সালে ০.৪ শতাংশ থেকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০২ সালে ২০.৯ শতাংশে শীর্ষে পৌঁছায় এবং তারপর ২০০৮ সালে সামান্য কমে ১৮.৫ শতাংশ হয়। । তবে, "দ্যা ইনক্রেডিবল শ্রিঙ্কিং পাইপলাইন" এ নারীদের শিক্ষার যে ধারা চিহ্নিত হয়েছিল তা অব্যাহত রয়েছে। গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিএ / বিএস ডিগ্রিপ্রাপ্ত নারীদের হার ১৯৮৫ সালে শতকরা ৩৯.৫ শতাংশে উন্নীত হয় এবং ২০০৮ সালে তা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়ে ২৫.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

নারীদের প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদানের হার শতকরা ১৯৬৬ সালে ০.৬ শতাংশ থেকে ২০০৮ সালে ক্রমান্বয়ে বেড়ে ২২.৯ শতাংশ হয়। একই সময়ে প্রকৌশল বিভাগের ডক্টরেট ডিগ্রিতে সম্মানিত নারীদের হার ০.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২১.৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। [২৫]

অস্ট্রেলিয়া[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলিয়ার প্রকৌশলীদের মাত্র ৯.৬% নারী এবং প্রকৌশল ডিগ্রি কোর্সে নারীদের অংশগ্রহণের হার ১৯৯০ এর দশকের পর থেকে প্রায় ১৪% অবধি রয়ে গেছে। [২৬]

যুক্তরাজ্য[সম্পাদনা]

প্রযুক্তি প্রকৌশলে মহিলা স্নাতকের হার ১৯৮৪ সালে ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৪.৬ শতাংশ হয়েছে। [২৭][২৮] অন্যদিকে শিল্পক্ষেত্রে নারী প্রকৌশলীদের অনুপাত এখনও কম, প্রায় ১১.৮% – যা ইইউয়ের মধ্যে সর্বনিম্ন। [২৮]

মহিলাদের প্রকৌশলে গৃহীত উদ্যোগ[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Salim Al-Hassani. "Women's Contribution to Classical Islamic Civilisation: Science, Medicine and Politics". Retrieved January 5, 2019.
  2. "History of Women Engineers"All Together (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০২ 
  3. "In Memoriam: Pilot and Physics Teacher"। জুলাই–আগস্ট ২০১৩। 
  4. Bix, Amy Sue, "'Engineeresses' Invade Campus: Four decades of debate over technical coeducation." IEEE Technology and Society Magazine, Vol. 19 Nr. 1 (Spring 2000), 21.
  5. "What is engineering and what do engineers do?"National Academy of Engineering website FAQ। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-২১ 
  6. Stanley, Autumn, Mothers and Daughters of Invention: Notes for a Revised History of Invention (Metuchen, NJ and London: Scarecrow Press, 1993).
  7. John H. Lienhard। "No. 1107: Engineering Education"Engines of our Ingenuity। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-২৯ 
  8. "Agnes og Betzy - to pionerer"ida.dk (ডেনীয় ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৪-০২ 
  9. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯ 
  10. "The Chronicle of the Car"The Illustrated London News। London, England। ১৩ জুন ১৯০৮। পৃষ্ঠা 874। Gale Document Number: HN3100205502। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮Gale Group-এর মাধ্যমে। 
  11. অক্সফোর্ড ডিকশনারি অব ন্যাশনাল বায়োগ্রাফি (অনলাইন সংস্করণ)। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস।  (সাবস্ক্রিপশন বা যুক্তরাজ্যের গণগ্রন্থাগারের সদস্যপদ প্রয়োজন।)
  12. Clarsen, Georgine (২০০৮)। Eat My Dust: Early Women MotoristsJohns Hopkins University Press। পৃষ্ঠা 32। আইএসবিএন 978-1-4214-0514-8 
  13. Irish Architectural Archive। "PERRY, ALICE JACQUELINE"Dictionary of Irish Architects 1720-1940। Irish Architectural Archive। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  14. Cociuban, Anca। "Elisa Leonida Zamfirescu – First female engineer in the world"Amazing Romanians। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  15. http://www.engineergirl.org/Engineers/HistoricalEngineers/4399.aspx
  16. "Iowa State University. Department of Military Science Curtiss-Wright Engineering Cadettes Program Records, RS 13/16/4, Archives of Women in Science and Engineering, Iowa State University Library"findingaids.lib.iastate.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৩-০১ 
  17. "Lois Graham, Engineering Education Leader"। Rensselaer Polytechnic Institute। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-১২ 
  18. "In Memoriam – Lois Graham (M.S. ME '49, Ph.D. '59) – IIT Armour College of Engineering | IIT Armour College of Engineering | Illinois Institute of Technology"engineering.iit.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-১২ 
  19. "Hattie Peterson (1913-1993)"Library.ca.gov। California State Library। ৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ এপ্রিল ২০১৭ 
  20. Terraso, David (২০০৩-০৩-২১)। "Georgia Tech Celebrates 50 Years of Women"। Georgia Institute of Technology News Room। ২০০৬-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-১১-১৩ 
  21. Cuneo, Joshua (২০০৩-০৪-১১)। "Female faculty, staff offer professional perspectives"। জানুয়ারি ১০, ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-১৭ 
  22. Bix, "'Engineeresses' Invade Campus," 25-6.
  23. https://medium.com/@verne/margaret-hamilton-the-engineer-who-took-the-apollo-to-the-moon-7d550c73d3fa#.i1blqgw5r
  24. Camp, T., and Gurer, D., "Women in Computer Science: Where Have We Been and Where are We Going?" Proceedings, Women and Technology: Historical, Societal, and Professional Perspectives. IEEE International Symposium on Technology and Society, New Brunswick, NJ, July 1999, 242–3.
  25. "S&E Degrees: 1966–2008"National Center for Science and Engineering Statistics, National Science Foundation। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-০৭ 
  26. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৯ 
  27. "WISE Excellence Awards 2007"Edinburgh Napier University। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৮-১০ 
  28. "Talent 2030 Dashboard – Talent 2030"talent2030.org (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৮ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Bix, Amy Sue. Girls Coming to Tech!: A History of American Engineering Education for Women (MIT Press, 2014)