জীবন ও তার বৈচিত্র্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জীবন ও জীবের বংশবিস্তার

পৃথিবী সকল প্রকার সজীব বস্তুর উৎপত্তি, গঠন, প্রকৃতি, জীবন প্রক্রিয়া, পরিবেশের সঙ্গে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা, স্থায়িত্ব, বংশবিস্তার প্রত্যেকের সঙ্গে জীবজগৎ জড়িত। জীবদেহ বিভিন্ন জৈব ও অজৈব বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত, কিন্তু গঠন ও কার্যগত জড় বস্তুসমূহের ঐক্যবদ্ধ ও বিশেষ এক ভৌত রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় নতুন বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, যা হল জীবন। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা যেভাবে জীবনের সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল - বৃদ্ধি, প্রজনন, পরিব্যক্তি, বিবর্তন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী প্রোটোপ্লাজমীয় বস্তুকে জীবন বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

জীবনের লক্ষণ[সম্পাদনা]

জীবনের প্রধান লক্ষণ বা ধর্ম গুলি হল-

প্রজননে সক্ষমতা[সম্পাদনা]

প্রত্যেক জীব অপত্য জীব সৃষ্টি করে বংশবিস্তার করে এবং প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখে। জীবের বংশবিস্তার করাকে প্রজনন বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বিপাক[সম্পাদনা]

জীবকোষে যে অনবরত রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটেছে তাদের সমষ্টিগত ফলকে বিপাক বলে। যে বিপাক গঠনমূলক অর্থাৎ, যে ক্ষেত্রে জীবদেহের শুষ্ক ওজন বাড়ে তাকে উপচিতি বিপাক বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যেমন - সালোকসংশ্লেষ ও পুষ্টি। যে বিপাকের ফলে জীবদেহের শুষ্ক ওজন কমে তাকে অপচিতি বিপাক বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যেমন - শ্বসন ও রেচন। অপচিতি বিপাক বেশি হলে জীবদেহের বৃদ্ধি হয়।

উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া[সম্পাদনা]

লজ্জাবতী গাছ

জীবমাত্র উত্তেজনায় সাড়া দেয়। জীবের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে উত্তেজিতা বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

প্রোটোপ্লাজমীয় সংগঠন[সম্পাদনা]

কোষের অভ্যন্তরে অংশ অর্ধস্বচ্ছ আঠালো এবং জেলির ন্যায় অর্ধতরল,কলয়ডালধর্মী সজীব পদার্থকে প্রোটোপ্লাজম বলে।প্রোটোপ্লাজমই কোষের তথা দেহের সকল মৌলিক জৈবিক কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকে।এ জন্যই প্রোটোপ্লাজমকে জীবনের ভিত্তি বলা হয়।এককোষী ও বহুকোষী সমস্ত জীবদেহই প্রোটোপ্লাজমীয় কোষ দিয়ে গঠিত। প্রোটোপ্লাজমকে প্রাণের ভৌত ভিত্তি বলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বৃদ্ধি[সম্পাদনা]

খাদ্যগ্রহণ ও খাদ্যের আত্তীকরণের মাধ্যমে প্রোটোপ্লাজম সংশ্লেষিত হয়, ফলে জীব দেহের শুষ্ক ওজন বৃদ্ধি পাওয়াকে বৃদ্ধি বলা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]