তারা বাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

তারা বাইন
Lesser spiny eel
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: Chordata
শ্রেণী: Actinopterygii
বর্গ: Synbranchiformes
পরিবার: Mastacembelidae
গণ: Macrognathus
প্রজাতি: M. aculeatus
দ্বিপদী নাম
Macrognathus aculeatus
(Bloch, 1786)
প্রতিশব্দ

Rhyncobdella aculeata (non Günther, 1861)[১]
Rhyncobdella ocellata Cuvier, 1832[১]
Mastacembelus aculeatus (Bloch, 1786)[২]
Rhynchobdella aculeata (Bloch, 1786)[৩]
Macroganthus aculeatus (Bloch, 1786)[২]
Macrognathus aculeatum (Bloch, 1786)[৪]
Macrognathus aculeata (Bloch, 1786)[৫]
Rhyncobdella aculeata (Bloch, 1786)[১]
Ophidium aculeatum Bloch, 1786[২]

তারা বাইন (বৈজ্ঞানিক নাম: Macrognathus aculeatus) (ইংরেজি: Lesser spiny eel) হচ্ছে Mastacembelidae পরিবারের Macrognathus গণের[৬][৭] একটি স্বাদুপানির মাছ

বর্ণনা[সম্পাদনা]

দেহ লম্বা। বাংলাদেশে সৰ্বোচ্চ ২৪ সেমি দৈর্ঘ্যের এই মাছ পাওয়া গিয়েছে। দেহের উপরিভাগের রঙ সবুজাভ বা বাদামী-ধূসর বর্ণের হয়।[৮]

স্বাভাব এবং আবাসস্থল[সম্পাদনা]

তারা বাইন পানির তলদেশ থেকে খাবার সংগ্রহ করে খায়। সাধারণত গলিত ও পচা খাবার এবং কীটপতঙ্গের লার্ভা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। বর্ষাকালে এদের প্রজনন কাল। সাধারণত জলজ আগাছা উপর ডিম পাড়ে। এরা পুকুর, ডােবা, বিল, খাল, প্লাবন ভূমি এবং নদীর নরম কাদাযুক্ত স্থানে থাকতে পছন্দ করে। আবার জোয়ার-ভাটা প্রভাবিত অঞ্চলে কম লােনাপানিতেও পাওয়া যায়। স্রোতযুক্ত পানি যেমন-ঝর্ণা বা নদীই এদের পছন্দের আবাসস্থান।[৮]

বিস্তৃতি[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে প্রাপ্ত বাইন মাছ

এই মাছ বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, পাকিস্তান, মায়ানমার দেশে পাওয়া যায়। মালয় দ্বীপপুঞ্জ, সিরিয়া এবং পশ্চিম আফ্রিকার স্বাদু এবং ঈষৎ লােনাপানি উভয় স্থানে বাস করে।[৮]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব[সম্পাদনা]

তারা বাইন বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। শীতকালে এই মাছ জালে অধিক পরিমাণে ধরা পড়ে এবং বাজারেও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। খাদ্য হিসেবে খুবই মূল্যবান। আবার অ্যাকুরিয়াম ব্যবসায়ও এই মাছের বেশ চাহিদা থাকে।[৮]

বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থা এবং সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি এখন আশঙ্কাজনক হিসাবে চিহ্নিত।[৮]

মন্তব্য[সম্পাদনা]

যদিও এই মাছ পুকুরেই প্রজনন করে, তথাপি প্রাণদিত প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এই মাছ তাদের খাদ্যাভাসের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে পরিবেশের ভারসম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আবার গলিত ও পচা খাবার খেয়ে পানি বিশােধনে সহায়তা করে।[৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Smith, H.M. (1945) The fresh-water fishes of Siam, or Thailand., Bull. U.S. Natl. Mus. 188:633 p.
  2. Roberts, T.R. (1989) The freshwater fishes of Western Borneo (Kalimantan Barat, Indonesia)., Mem. Calif. Acad. Sci. 14:210 p.
  3. Eschmeyer, W.N. (ed.) (2001) Catalog of fishes. Updated database version of December 2001., Catalog databases as made available to FishBase in December 2001.
  4. Gopakumar, K. (ed.) (1997) Biochemical composition of Indian food fish., Central Institute of Fisheries Technology, India. 44 p.
  5. Suvatti, C. (1981) Fishes of Thailand., Royal Institute of Thailand, Bangkok. 379 p.
  6. FishBase. Froese R. & Pauly D. (eds), 2011-06-14
  7. Bisby F.A., Roskov Y.R., Orrell T.M., Nicolson D., Paglinawan L.E., Bailly N., Kirk P.M., Bourgoin T., Baillargeon G., Ouvrard D. (red.) (2011)। "Species 2000 & ITIS Catalogue of Life: 2011 Annual Checklist."। Species 2000: Reading, UK.। ১৮ জুন ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 24 september 2012  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. সাহা, বিমল কান্তি (অক্টোবর ২০০৯)। "স্বাদুপানির মাছ"। আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; আবু তৈয়ব, আবু আহমদ; হুমায়ুন কবির, সৈয়দ মোহাম্মদ; আহমাদ, মোনাওয়ার। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ২৩ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৮৫–২৮৬। আইএসবিএন 984-30000-0286-0 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)