ইসরায়েল–নাইজেরিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইসরায়েল–নাইজেরিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র ইসরায়েল এবং নাইজেরিয়ার অবস্থান নির্দেশ করছে

ইসরায়েল

নাইজেরিয়া

ইসরায়েল–নাইজেরিয়া সম্পর্ক হল ইসরায়েলনাইজেরিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মধ্যেন রয়েছে কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। ইসরায়েলে নিযুক্ত নাইজেরিয় রাষ্ট্রদূত হলেন ডেভিড ওলাদিপো ওবাসা।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইসরায়েলের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পিনহাস সাপির এবং নাইজেরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী জেইউ নুয়োডো, ১৯৫৯।

ইসরায়েল ও নাইজেরিয়া ১৯৬০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।[২]

১৯৬০ এবং ১৯৭০ সালের প্রথম দিকে নাইজেরিয়াসহ উপ-সাহারার কিছু রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। কৃষি, শিক্ষা, ঔষধ এবং প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ বিষয়ে উন্নতি ও আধুনিকায়নের জন্য কয়েকশ ইসরায়েলি বিশেষজ্ঞ ও স্বেচ্ছাসেবক, কৃষক, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, সমাজসেবক এবং প্রকৌশলীদের পাঠানো হয় এই অঞ্চলে। যাদের পাঠানো হয়, তারা সবাই ইসরায়েলে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন।

১৯৭৩ সালের ইয়ম কিপ্পুর যুদ্ধের পর নাইজেরিয়া ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়। ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাস থেকে ইসরায়েল নাইজেরিয়ার আবুজায় দূতাবাস পরিচালনা করে আসছে। একইসাথে নাইজেরিয়াও ইসরায়েলের তেল আবিবে একটি দূতাবাস পরিচালনা করে আসছে।[২] পঞ্চাশটিরও বেশি ইসরায়েলি কোম্পানি নাইজেরিয়াতে নির্মাণ, অবকাঠামো তৈরি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, যোগাযোগ, তথ্য-প্রযুক্তি এবং কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে কর্মসূচী পরিচালনা করছে। পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলে ৫,০০০টিরও বেশি নাইজেরিয় কোম্পানি কাজ করে চলেছে।[৩] ইসরায়েলি এক্সপোর্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন ইনস্টিটিউট, দ্য নাইজেরিয়ান-ইসরায়েলি চেম্বার অব কমার্স (এনআইসিসি) এবং দ্য ইসরায়েল-আফ্রিকা চেম্বার অব কমার্স প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা ও বাণিজ্যের পরিবর্ধন করে চলেছে।

২০০৬ সালে আবুজাতে একটি নাইজেরিয়-ইসরায়েলি ফোরামের উদ্বোধন হয়। ঐ বছরেই দুইদেশেরই পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রীবর্গ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। স্মারক অনুযায়ী ইসরায়েল ও নাইজেরিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং অন্যান্য দুইদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করতে সম্মত হয়। ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে জেরুজালেমে প্রথম দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।[৪]

২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি গুডলাক জোনাথন প্রথম নাইজেরিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইসরায়েল সফর করেন। তিনি সেখানকার পবিত্রস্থানে যান, এবং সেইসাথে দ্বিপাক্ষিক আকাশপথে গমনাগমন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সাথে মিলিতভাবে চুক্তিস্বাক্ষর করেন।[৫]

ইসরায়েলে নিযুক্ত নাইজেরিয় রাষ্ট্রদূত সোহেল বোনেহ বলেন, ইসরায়েলি নির্মাণপ্রতিষ্ঠান নাইজেরিয়ার একটি পরিচিত শব্দ।[১]

২০১৪ সালের জুনমাসে ইসরায়েলি কিশোর অপহরণের পর তাকে মৃত অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার আগে নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রপতি গুডলাক জোনাথন ইসরায়েলের নেতানিয়াহুকে লেখেন:

"...আমি আপনাকে নিশ্চিত করছি যে আমরা আপনার সাথে সমব্যথী, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যেকোন রাষ্ট্র বা জাতির বিরুদ্ধে সংঘটিত জঙ্গিবাদ প্রকৃতপক্ষে আমার সাধারণ মানবতারই বিরুদ্ধতা। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে এই কাপুরুষোচিত কাজের নিন্দাজ্ঞাপন করছি এবং অতিদ্রুত অপহরণকারীদের কাছ থেকে শিশুটির নিঃশর্ত মুক্তি কামনা করি।[৬]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Striving for Better Relations"জেরুজালেম পোস্ট 
  2. "Israel's Diplomatic Missions Abroad"ইসরায়লি এমএফএ। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-২৬ 
  3. "Nigeria: Israel's Staunchest African Ally-Global Agenda"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০৭ 
  4. "Israel-Nigeria relations" 
  5. "Peres hosts Nigerian president for first-ever state visit" 
  6. "Nigerian leader decries 'dastardly' kidnapping of teens"টাইমস অব ইসরায়েল। ২৯ জুন ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:নাইজেরিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক