কৃষ্ণনগরের পুতুল
কৃষ্ণনগরের পুতুল | |
---|---|
উৎপত্তিস্থল | কৃষ্ণনগর, নদিয়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত |
উপাদান | পোড়ামাটি |
আকৃতি | মনুষ্য মূর্তি |
রং | পোড়ামাটির উপর বিভিন্ন রং |
ব্যবহার | ঘর সাজানো |
কৃষ্ণনগরের পুতুল বা কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল পশ্চিমবঙ্গ-এর নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের এক জগৎ বিখ্যাত মৃৎ শিল্প এবং এটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রধান কুটির শিল্প।কৃষ্ণনগরের পুতুল প্রধানত তৈরি হয় কৃষ্ণনগরের পার্শবর্তী অঞ্চল ঘূর্নীতে।[১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এক সময় নদীয়া রাজা ছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। বিদ্যোৎসাহী, সংস্কৃতিবান হিসেবে তার খ্যাতি ছিল। তাঁর সময় মাটির মূর্তি নির্মাণের জন্য নাটোর (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে শিল্পীরা আসতেন। এরপর রাজপৃষ্ঠপোষকতায় এই শিল্পীরা ঘুর্নী এলাকায় বসতি গড়ে তোলে। ক্রমশ কৃষ্ণনগরের পুতুল প্রসিদ্ধি পেতে থাকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বর্তমানে কৃষ্ণনগরে প্রায় ৪০০ মৃৎ শিল্পী পরিবার আছে এর মধ্যে শুধু ঘূর্নীতে আছে ২০০ পরিবার।
পুতুল নির্মাণ
[সম্পাদনা]কৃষ্ণনগরের পুতুল প্রধানত মাটির দ্বারা তৈরি করা হয়। জলঙ্গী নদীর পাড় থেকে মূর্তি বা পুতুল নির্মাণের বিশেষ মাটি সংগ্রহ করা হয়। এরপর এই মাটি পুতুল নির্মাণের উপযোগী করে তোলা হয়। এই মাটি থেকে শিল্পী তার নিজের হাতের কারুকার্যে পুতুল নির্মাণ করে। প্রথমে পুতুলটি রৌদে শুকিয়ে নেওয়া হয় তারপর রং করে বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করা হয়[২]।
চাহিদা
[সম্পাদনা]কৃষ্ণনগরের পুতুলের চাহিদা বিশ্বজোড়া। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই পুতুল রপ্তানি করা হয়। দেশের বাইরে প্রধানত ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকাতে পুতুল রপ্তানি করা হয়।[২] তবে সরকারি তরফ থেকে এর প্রচার কম। ফলে এর বিপণন কম হচ্ছে। শিল্পীরা আর্থিক সহযোগীতা না পেয়ে বা উপযুক্ত প্রচারের অভাবে মার খাচ্ছেন[৩]। এছাড়া অনেক সময় নিম্নমানের মাটির পুতুল "কৃষ্ণনগরের পুতুল" বলে চালিয়ে দেয় অসৎ ব্যবসায়ীরা।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ তারাপদ সাঁতারা (২০০০)। পশ্চিমবঙ্গের লোকশিল্প ও শিল্পী সমাজ। কলকাতা: লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র।
- ↑ ক খ "The man who rescues folls"। দ্য হিন্দু। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Man maketh the tools.."। Gaatha। ৩১ আগস্ট ২০১১। ৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৭।