জোশো বুশি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঠের টুকরো ব্যবহারে একটি ফিগার আনার পদ্ধতি 'ইয়োসেগি".

জোশো বুশি; Jōchō Busshi (মৃত্যুঃ ১০৫৭ খ্রিস্টাব্দ),জোশো বুশি ছিলেন হাইন যুগের একজন অমর ভাস্কর। জোশো- অনেকগুলো কাঠের টুকরো ব্যবহারে একটি ফিগার আনার পদ্ধতি 'ইয়োসেগি' (yosegi) পদ্ধতিকে জনপ্রিয় করে তোলেন। বুদ্ধের চিত্রাবলী'র মাধ্যমে ধর্মানুশাসন পুনঃসংজ্ঞায়িত করাও তার একটি উল্লেখযোগ্য কাজ। তার জনপ্রিয় কর্মপদ্ধতি জাপানে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তী দেড়'শত বছর (১৫০ বছর) জাপানের ভাস্কর্যকে সংজ্ঞায়িত করে। শিল্প ইতিহাসিবেত্তা'গণের ভাষায়; জোশো হলেন- 'নতুন প্রকরণের ভাস্করাচার্যের মধ্যে প্রথম।' এবং 'এখন পর্যন্ত জাপানে জন্মানো উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্নদের মধ্যে অন্যতম।

পেশা[সম্পাদনা]

জোশো বুশি নারা'র (Nara) কোফুকু- জি (Kōfuku-ji) টেম্পল (মন্দির) এর শিক্ষকতা করতেন। কিয়োতো'তে জোশোর (Kyoto) একটি স্টুডিও ছিল। ১০২০ সাল নাগাদ জোশো একজন খ্যাতিমান শিল্পী হিসেবে পরচিতি লাভ করেন। এ সময় জোশো হোযোজি (Hōjōji) টেম্পল সাজানোর দায়িত্ব পান। সুযোগটি আসে হাইন যুগের (Heian period) ফুজিওয়ারা শাসনকালের (Fujiwara Regent) ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ শাসক ফুজিওয়ারা নো মিশিনাগা'র (Fujiwara no Michinaga) তরফ থেকে। জোশো'র এই সময়কার কর্মপ্রচেষ্টা তাকে হক্কিও (Hokkyō; Master of the Dharma Bridge) উপাধি এনে দেয় যা একজন ভাস্করের জন্য খুবই বিরল প্রশংসা। পরবর্তীতে কোফুকু- জি'তে কাজ করার সুবাদে হো-গেন (Hōgen; Master of the Dharma Eye) উপাধি লাভ করেন; যা ছিল আরোও বিশাল সম্মানসূচক। জশো অঅথবা জশো'র স্কুল'ই তমিনো'র (Tomino-o) জরুরি- জি (Jōruri-ji) টেম্পলে আমিদা ফিগার তৈরি করে। Michinaga's son, Fujiwara no Yorimichi, gave Jōchō his next commission মিশিনাগা'র পুত্র- ফুজিওয়ারা নো ইয়োরিমিশি'র (Fujiwara no Yorimichi) মাধ্যমে জোশো তার আরেকটি অমর কাজ পান। এবারের কাজ ছিল বায়োদো-ইন ফিনিক্স হল ( (Byōdō-in Phonix Hall) টেম্পলে আমিদা মূর্তি নির্মাণ। উজি প্রদেশের এই কাজটি (কিয়োতো) ১০৫২ সালের পর শেষ হয়। বর্তমানে পাওয়া জোশো'র কাজগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে পুরোনো। এছাড়াও একই জায়গায় জোশো'র আরোও অনেক কাজ সংরক্ষিত আছে। জাপানের শিল্প ইতিহাসের প্রথম প্রমাণসাধ্য উদাহরণ হিসেবে জোশো এবং তার স্টুডিও সর্বজনবিদিত। জাপানের শিল্প উত্তরধিকার সূত্রে কৃত হবার ফলে শিল্পকর্মে জাপানের অবস্থান বেশ শক্ত হয়েছে। জোশো'র কাজের পদ্ধতি তার পুত্র কাকুজো (Kakujo), পৌত্র ইনযো ও রাইযো (Injo and Raijo), প্রপৌত্র কোজো (Kōjo) এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে কোকেই (Kōkei) কর্তৃক চলে (প্রথা/ চল) আসছিল। এই স্কুলটি কামাকুরা (Kamakura) যুগের ভাস্কর্যে আমূল পরিবিবর্তন আনে।

শৈলী[সম্পাদনা]

ভাস্কর্যের ইয়োসেগি (yosegi) পদ্ধতি জনপ্রিয়করণে জোশোর ভূমিকা প্রবল ছিল। যদিও এ পদ্ধতি তলের ডিটেইলের কাজের জন্য খুবই সীমাবদ্ধ মাধ্যম; কিন্তু এই ইয়োসেগি মাধ্যমের- সীমাবদ্ধতার মাঝেই একজন শিল্পীকে তার বার্তা প্রেরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতো। যার ফলে জাপানের শিল্পকর্মে আরোও নিখুঁত এবং অতি সূক্ষ্ণ করে তোলে এবং ইয়োসেগি পদ্ধতির উপযোগিতা পাওয়া যায়।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১০৫৭ সালে জোশো বুশিও মৃত্যবরণ করেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Mason, Penelope (2005). History of Japanese Art. 2nd ed, rev. by Dinwiddie, Donald. Upper Saddle River, New Jersey: Pearson Education Inc.
  • Noma, Seiroku (2003). The Arts of Japan: Ancient and Medieval. Kodansha International.

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]