বিজয়পুর, দুর্গাপুর

স্থানাঙ্ক: ২৫°০৯′৫৬″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২৫.১৬৫৫৬° উত্তর ৯০.৬৪৬১১° পূর্ব / 25.16556; 90.64611
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিজয়পুর, দুর্গাপুর
Bijoypur
town
বিজয়পুর, দুর্গাপুর Bijoypur বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
বিজয়পুর, দুর্গাপুর Bijoypur
বিজয়পুর, দুর্গাপুর
Bijoypur
Location in Bangladesh
স্থানাঙ্ক: ২৫°০৯′৫৬″ উত্তর ৯০°৩৮′৪৬″ পূর্ব / ২৫.১৬৫৫৬° উত্তর ৯০.৬৪৬১১° পূর্ব / 25.16556; 90.64611
Country বাংলাদেশ
জেলানেত্রকোনা
সরকার
 • ধরনগণতন্ত্র
উচ্চতা১৬ মিটার (৫২ ফুট)
Languages
 • OfficialGaro
সময় অঞ্চলIST (ইউটিসি+5:30)
Coastline০ কিলোমিটার (০ মা)

বিজয়পুর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। বিজয়পুরের শসারপাড় এলাকায় সাদামাটি পাওয়া যায়; যা সারাদেশে পাঠানো হয়। বিজয়পুরের সাদামাটি বাংলাদেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই)।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে বিজয়পুর গ্রামটি অবস্থিত। বিজয়পুর একটি সীমান্তবর্তী গ্রাম; এখানে বিজিবির সীমান্তফাঁড়ি রয়েছে। এর পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো হচ্ছে মাইজপাড়া, আড়াপাড়া ও বহেরাতলী।

বিবরণ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুরের গোপালপুর সাদামাটির পাহাড়ের জন্য বেশ বিখ্যাত। এই পাহাড়ি মাটিকে কেওলিং বা অ্যালুমিনিয়াম সমৃদ্ধ চিনামাটি বলা হয়। যার রাসায়নিক সংকেত Al²0³.2SiO².2H²O এবং রাসায়নিক নাম হাইড্রেটেড অ্যালুমিনো সিলিকেট। এই মাটি সিমেন্ট কারখানা সহ বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার করা হয়। চীন দেশের মানুষেরা সর্বপ্রথম এই মাটি ব্যবহার করেছিল, এই কারণে একে চিনামাটি বলা হয় ।প্রকৃত পক্ষে এই এলাকার প্রায় সব গ্রামেই সাদা মাটি পাওয়া গেলেও বিজয়পুর বেশি জনপ্রিয় তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যেই।[২] বিজয়পুরের মূল আকর্ষণ সাদামাটির পাহাড় হলেও এখানে নীল পানির জলাশয় দেখা যায়। অনেক উঁচু উঁচু টারশিয়ারী পাহাড়ে সমৃদ্ধ বিজয়পুর। পাহাড়ের পাদদেশে বিভিন্ন রহস্যময় গুহাও চোখে পড়ে: সম্ভবত মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা গুহাগুলোতে অবস্থান নেয়। সীমান্তফাঁড়ির পাশে পাহাড়ে ওঠার ব্যবস্থা রয়েছে; এখান থেকে সোমেশ্বরী নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

যাতায়াত[সম্পাদনা]

দুর্গাপুর সদর ও বিরিশিরি - এই দুটি জায়গাই সোমেশ্বরী নদীর মাধ্যমে বিজয়পুর থেকে বিচ্ছিন্ন। নদী পার হয়ে শিবগঞ্জ থেকে কামারখালী হয়ে বিজয়পুরে যেতে হয়। তাছাড়া সোমেশ্বরী নদী হয়ে নৌকা করেও কামারখালী পর্যন্ত যাওয়া যায়।

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "জিআই সনদ পেলো আরও ছয় পণ্য, ইত্তেফাক, ১৮ জুন ২০২১"। ১৮ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০২১ 
  2. [১][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]