রাণী সর্বাণী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

রাণী সর্বাণী ছিলেন বৃহত্তর রাজশাহীর একটাকিয়া রাজবংশের কন্যা এবং সাঁতোরের হিন্দু রাজা মহারাজা রামকৃষ্ণ সান্যালের পত্নী। মাত্র দশ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয়েছিল সাঁতোরের রাজপরিবারে। ১৭২০ সালে একুশ বছর বয়সে নিঃসন্তান বিধবা হয়ে তিনি পরবর্তী সাতসট্টি বছর অসাধারণ যোগ্যতাসহ রাজ্য শাসন করেন। তাঁর বলবুদ্ধি ও তেজস্বিতা সিংহের ন্যায় ছিল বলে কথিত আছে।[১][২]

কর্মদক্ষতা[সম্পাদনা]

সাঁতোড়ের রাজবংশ স্থানীয় চৌদ্দ পরগণার রাজা ছিলেন। রাজস্ব ছাড়াও তাঁদের সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মুনাফা ছিল; কিন্তু অপব্যয় হেতু মহারাজ রামকৃষ্ণের প্রচুর ঋণ হয়েছিল, এমনকি ভৃত্যদের বেতন ও জ্ঞাতি কুটুম্বদের ভাতাও বাকী পড়েছিল। রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর অল্পবয়সি রমণীর রাজত্ব হওয়ায় কর্মচারীরা রাজসম্পত্তি আত্মসাৎ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু একমাসের মধ্যেই মৃত স্বামীর শ্রাদ্ধের ব্যয় এবং সমস্ত জমিদারীর আয়-ব্যয়ের তিনি হিসাব গ্রহণ করেন এবং অল্পকালের মধ্যেই স্বামীকৃত সব দেনা পরিশোধ করেন।

পূর্বে আমলাদের কাছ থেকে বহুদিন পর পর আয়-ব্যয়ের নিকাশ নেওয়া হত; তাতে হিসাবে অনেক বেনিয়ম হত। রাণী সর্বাণী আমলাদের দৈনিক নিকাশের নিয়ম করেন। এতে রাজস্বের বৃদ্ধি ঘটে। তিনি মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে আট পরগণা নিলামে কিনে সম্পত্তিও বৃদ্ধি করেছিলেন। এছাড়া সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য রাজকোষে তিন কুঠুরী ব্যবস্থা চালু করেছিলেন।[১][২]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বাঙ্গালার সামাজিক ইতিহাস, দুর্গাচন্দ্র সান্যাল, মডেল পাবলিসিং হাউস, ISBN 81-7616-067-9
  2. রাজরাণী জনকণ্ঠ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]. Retrieved June 14, 2018.