যাত্রা (ভারতীয় দর্শন)

কেদারনাথের উদ্দেশ্য তীর্থযাত্রা

যাত্রা (সংস্কৃত: यात्रा) হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মে, সাধারণত তীর্থযাত্রাকে বোঝায় যেমন পবিত্র নদীর সঙ্গম, পবিত্র পর্বত, হিন্দু মহাকাব্যের সাথে সম্পর্কিত স্থান যেমন মহাভারত ও রামায়ণ, এবং অন্যান্য পবিত্র তীর্থস্থান। পবিত্র স্থান পরিদর্শন তীর্থযাত্রী দ্বারা বিশ্বাস করা হয় আত্মশুদ্ধি এবং ঈশ্বরের কাছাকাছি আনতে। যাত্রা নিজেই গন্তব্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ, এবং ভ্রমণের কষ্টগুলি নিজের মধ্যে ভক্তির কাজ হিসাবে কাজ করে।

যাত্রা হল পবিত্র স্থানের তীর্থযাত্রা, সাধারণত দলবদ্ধভাবে করা হয়। যাত্রি যারা যাত্রা করেন তার জন্য শব্দ। বৈদিক হিন্দু ধর্মশাস্ত্র অনুসারে, যাত্রীকে পায়ে যাত্রা করা উচিত, যাকে পদযাত্রা বলা হয়, আদর্শভাবে খালি পায়ে তপস্যা যেখানে তীর্থযাত্রীর ছাতা বা যানবাহন ছাড়াই ভ্রমণ করা উচিত; যাইহোক, অনেক যাত্রী এই নিয়মগুলি অনুসরণ করেন না।

বর্তমান সময়ে, যাত্রাগুলি অত্যন্ত সংগঠিত বিষয়, বিশেষায়িত পর্যটন সংস্থাগুলি যাত্রীদের খাদ্য সরবরাহ করে। রাজ্য সরকারগুলি কখনও কখনও বার্ষিক যাত্রা, সংখ্যা নির্ধারণ, যাত্রীদের নিবন্ধন এবং যাত্রী ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে জড়িত থাকে। হিন্দুদের পবিত্র মাস শ্রাবণ হল বার্ষিক কাঁওড় যাত্রার সময়, শিবের বার্ষিক তীর্থস্থান যা কাঁওড়ী নামে পরিচিত, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার, গোমুখী এবং গঙ্গোত্রীর হিন্দু তীর্থস্থানগুলি গঙ্গা নদী থেকে জল পেতে করে। ২০০৩ সালে, ৫৫ লক্ষ (৫.৫ মিলিয়ন) তীর্থযাত্রী হরিদ্বার পরিদর্শন করেছিলেন। অন্যান্য তীর্থ তীর্থস্থান হল চারধাম যাত্রা, যার মধ্যে বদ্রীনাথ, কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী রয়েছে; জম্মু ও কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রা।