নয়াবাদ মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সংশোধন |
→বৈশিষ্ট্য: হালনাগাদ করা হল |
||
৯৯ নং লাইন: | ৯৯ নং লাইন: | ||
তিন [[গম্বুজ]] বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে ১২.৪৫মিটার x ৫.৫মিটার আকারের চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। দেয়ালগুলির পুরুত্ব ১.১০ মিটার। [[উত্তর]] ও [[দক্ষিণের]] দেয়ালে একটি করে জানালা রয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালে মোট তিনটি মিম্বার রয়েছে যেগুলি মসজিদের তিনটি প্রবেশ দরজা বরাবর তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিম্বারটি আকারে বড়(উচ্চতা ২৩০ মিটার এবং প্রস্থ্য ১.০৮ মিটার) এবং অপর দুটি মিম্বার একই আকারের।<ref name="ReferenceA">[[আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া]] লেখক; ''প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি'' (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ১১৪, ISBN 984-70112-0112-0</ref> |
তিন [[গম্বুজ]] বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে ১২.৪৫মিটার x ৫.৫মিটার আকারের চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। দেয়ালগুলির পুরুত্ব ১.১০ মিটার। [[উত্তর]] ও [[দক্ষিণের]] দেয়ালে একটি করে জানালা রয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালে মোট তিনটি মিম্বার রয়েছে যেগুলি মসজিদের তিনটি প্রবেশ দরজা বরাবর তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিম্বারটি আকারে বড়(উচ্চতা ২৩০ মিটার এবং প্রস্থ্য ১.০৮ মিটার) এবং অপর দুটি মিম্বার একই আকারের।<ref name="ReferenceA">[[আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া]] লেখক; ''প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি'' (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ১১৪, ISBN 984-70112-0112-0</ref> |
||
মসজিদটা তৈরির সময় যে সকল টেরাকেটা বা পোড়ামাটির কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছিল তার অধিকাশংই এখন নেই এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলিও সম্পূর্ণ অক্ষত নেই। এখানে বর্তমান মোট |
মসজিদটা তৈরির সময় যে সকল টেরাকেটা বা পোড়ামাটির কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছিল তার অধিকাশংই এখন নেই এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলিও সম্পূর্ণ অক্ষত নেই। এখানে বর্তমান মোট ১০৫ টি টেরাকোটা অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলি আয়তক্ষেত্রাকার এবং আকার ০.৪০মিটার x০.৩০ মিটার। |
||
[[চিত্র:Noyabaad Mosque (3).jpg|right|thumb| মসজিদের পাশের কবর]] |
[[চিত্র:Noyabaad Mosque (3).jpg|right|thumb| মসজিদের পাশের কবর]] |
০৪:২৪, ১১ মে ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
নয়াবাদ মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
জেলা | দিনাজপুর জেলা |
অবস্থান | |
অবস্থান | দিনাজপুর জেলা, বাংলাদেশ |
দেশ | বাংলাদেশ |
স্থাপত্য | |
প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৭৯৩ |
বিনির্দেশ | |
গম্বুজসমূহ | ৪ |
উপাদানসমূহ | ইট, টেরাকোটা ও টাইল |
নয়াবাদ মসজিদ বাংলাদেশের দিনাজপুর শহর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে কাহারোল উপজেলার নয়াবাদ গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটির পাশ দিয়ে চলে গেছে ঢেপা নদী। ১.১৫ বিঘা জমির উপর এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
ইতিহাস
মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য, ১২০০ বঙ্গাব্দে(ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে, ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে কান্তনগর মন্দির তৈরির কাজে আগত মুসলমান স্থপতি ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে।[২]
বৈশিষ্ট্য
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার কোনে ১২.৪৫মিটার x ৫.৫মিটার আকারের চারটি অষ্টভুজ মিনার রয়েছে। দেয়ালগুলির পুরুত্ব ১.১০ মিটার। উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালে একটি করে জানালা রয়েছে। পশ্চিম পাশের দেয়ালে মোট তিনটি মিম্বার রয়েছে যেগুলি মসজিদের তিনটি প্রবেশ দরজা বরাবর তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিম্বারটি আকারে বড়(উচ্চতা ২৩০ মিটার এবং প্রস্থ্য ১.০৮ মিটার) এবং অপর দুটি মিম্বার একই আকারের।[৩]
মসজিদটা তৈরির সময় যে সকল টেরাকেটা বা পোড়ামাটির কারুকার্য ব্যবহার করা হয়েছিল তার অধিকাশংই এখন নেই এবং যেগুলি রয়েছে সেগুলিও সম্পূর্ণ অক্ষত নেই। এখানে বর্তমান মোট ১০৫ টি টেরাকোটা অবশিষ্ট রয়েছে। এগুলি আয়তক্ষেত্রাকার এবং আকার ০.৪০মিটার x০.৩০ মিটার।
মসজিদটির পাশে একটি কবর রয়েছে। তবে কবর বা মসজিদে কোন অংশেই এটি সম্পর্কিত কোন তথ্য দেয়া নেই। তবে কথিত আছে যে এটি মসজিদের কোন নির্মাণ শ্রমিকের কবর।
চিত্রশালা
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের সম্মুখভাগ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের উত্তর পশ্চিম দিক থেকে দৃশ্য
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের দক্ষিণ দিক
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের ভেতরের অলঙ্করণ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের সম্মুখভাগ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদ দক্ষিণ পূর্ব হতে
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের সৌন্দর্য
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের অলঙ্করণ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের বহিঃ ডিজাইন
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের বহিঃ ডিজাইন
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের গম্বুজ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের মিম্বর
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের সম্মুখভাগ
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদ দক্ষিণ পশ্চিম হতে
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদ দক্ষিণ পশ্চিম হতে
-
নয়াবাদ প্রাচীন মসজিদের উত্তর পশ্চিম দিক থেকে
আরও দেখুন
- বাংলাদেশের মসজিদের তালিকা
- রংপুর বিভাগের মসজিদের তালিকা
- সীতাকোট বিহার
- অরুণ ধাপ
- চোর চক্রবর্তীর ঢিবি
- ঘোড়াঘাট দুর্গ
- বার পাইকের গড়
তথ্যসূত্র
- ↑ "রংপুর বিভাগের পুরাকীর্তি"। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। http://www.archaeology.gov.bd/। সংগ্রহের তারিখ ৩rd August ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য);|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "নয়াবাদ মসজিদ"। http://amazingdinajpur.com/। ৭ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৪, ২০১৬।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া লেখক; প্রশ্নোত্তরে বাঙলাদেশের প্রত্নকীর্তি (প্রথম খন্ড); ঝিনুক প্রকাশনী; তৃতীয় মুদ্রণঃ মার্চ ২০১৩; পৃষ্ঠা- ১১৪, ISBN 984-70112-0112-0
বহিঃসংযোগ
- নয়াবাদ মসজিদ, বাংলাপিডিয়া
- স্টার হেরিটেজ, ডেইলি স্টার পত্রিকা, ২৪ নভেম্বর, ২০০৩