ডিহর প্রত্নক্ষেত্র

স্থানাঙ্ক: ২৩°০৭′১০″ উত্তর ৮৭°২২′০০″ পূর্ব / ২৩.১১৯৪৪° উত্তর ৮৭.৩৬৬৬৭° পূর্ব / 23.11944; 87.36667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ডিহর
ডিহর প্রত্নক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
ডিহর প্রত্নক্ষেত্র
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
অবস্থানডিহর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
স্থানাঙ্ক২৩°০৭′১০″ উত্তর ৮৭°২২′০০″ পূর্ব / ২৩.১১৯৪৪° উত্তর ৮৭.৩৬৬৬৭° পূর্ব / 23.11944; 87.36667
ধরনবসতি
ইতিহাস
প্রতিষ্ঠিত২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ[১]
সংস্কৃতিনব্যপ্রস্তর সংস্কৃতিপ্রারম্ভিক কৃষি সংস্কৃতি[১]
স্থান নোটসমূহ
খননের তারিখ১৯৮৩–৮৪, ১৯৮৪–৮৫, ১৯৯৩–৯৪, ২০০৮–০৯ ও ২০১২–১৩
অবস্থাধ্বংসাবশেষ
মালিকানাসরকারি
জনসাধারণের প্রবেশাধিকারহ্যাঁ

ডিহর প্রত্নক্ষেত্র হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমায় অবস্থিত নব্যপ্রস্তর সংস্কৃতি ও প্রারম্ভিক কৃষি সংস্কৃতির স্থানগুলির মধ্যে একটি। কার্বন ১৪ পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে, বসতিটির নির্মাণ কাজ প্রায় ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে (৪৭০০ বছর আগে) শুরু হয়েছিল।[১] ডিহরবাসীদের প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার এবং পরবর্তীকালে পণ্যদ্রব্যের বাণিজ্যিকীকরণের (প্রাগৈতিহাসিক বিনিময় ব্যবস্থা) মাধ্যমে সঞ্চিত আর্থিক নিরাপত্তা মৃৎশিল্প তৈরিতে ও হাড়ের কাজ করার ক্ষেত্রে শৈল্পিক উৎকর্ষকে প্ররোচিত করেছিল।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব দফতর ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে ডিহর গ্রামে প্রাগৈতিহাসিক বসতিটি আবিষ্কার করেছিল। ডিহরে খননকার্য দুটি পর্যায়ে চলেছিল, প্রথম পর্যায়ে ১৯৮৩–৮৪, ১৯৮৪–৮৫ ও ১৯৯৩–৯৪ খ্রিস্টাব্দ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০০৮–০৯ ও ২০১২–১৩ খ্রিস্টাব্দে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।

খননকার্যের সময় বাটি, কৃষ্ণ-লোহিত মৃৎপাত্র ও ক্ষুদ্রাকৃতির পাত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও খননকার্যে মানব কঙ্কালের অবশেষ পাওয়া গিয়েছে।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রারম্ভিক সময়ে (প্রাক-ধাতু পর্যায়) ডিহরবাসীরা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই সময়ে তারা ধাতুর ব্যবহার সম্পর্কে অবগত ছিল না। তারা মূলত পাথর থেকে তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জাম ব্যবহার করত। কৃষির মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি পশুপালনের অস্তিত্ব ছিল। এই পরিবর্তন নিশ্চিতভাবে দীর্ঘায়িত শিকার-সংগ্রহের মধ্যামে জীবিকা নির্বাহের কৌশল পরিত্যাগের পরে অর্জিত হয়েছিল।

অনুমান করা হয়, তারা ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের আশেপাশে ধাতুর ব্যবহার শুরু করেছিল। ডিহরে ১৩০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ধাতুর (লোহা) ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।

প্রারম্ভিক ঐতিহাসিক সময়কালে জনসংখ্যা ও এলাকা সহ বসতির বৈশিষ্ট্য দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। দৃশ্যত, আনুমানিক ১০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে উত্তর-দক্ষিণ অক্ষ বরাবর বসতির স্থানান্তর হয়েছিল।

মল্ল যুগের (খ্রিস্টীয় ১০ম থেকে ১৭তম শতক) শেষের দিকে এই অঞ্চলের জনবসতিগুলি তাদের পূর্বের সীমানার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল, এবং একটি উদীয়মান রাজনৈতিক-ধর্মীয় চেতনার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল। শাসক কর্তৃপক্ষ ও শাসিতদের মধ্যেকার সম্পর্কের বৈধতা স্বরূপ ডিহরের আগের বসতির কাঠামোগত ঢিবি বা অবশেষের উপরে দুটি শিব মন্দির একটি তৈরি করা হয়েছিল।

কালানুক্রম[সম্পাদনা]

ডিহর থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী, সময়কালকে ছয়টি সাংস্কৃতিক পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ধাতুর ব্যবহার অনুপস্থিত ছিল, তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ধাতুর ব্যবহার শুরু হয়; এই পর্যায় দুটিতে প্রারম্ভিক কৃষি সংস্কৃতি ও কালো-লাল মৃৎপাত্র সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল ছিল। তৃতীয় পর্যায়টি প্রারম্ভিক ঐতিহাসিক যুগের অন্তর্গত ছিল। এই পর্যায়ে কালো-লাল মৃৎপাত্র সংস্কৃতি বিদ্যমান ছিল। চতুর্থ পর্যায়টি প্রারম্ভিক ভারতীয় মধ্যযুগের অন্তর্গত ছিল। পঞ্চম ও ষষ্ঠ পর্যায় দুটি যথাক্রমে মধ্যযুগীয় প্রাক-মল্ল শাসন ও মল্ল শাসনকালের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

পর্যায় সময় ঘটনা
প্রথম পর্যায় ২৭০০–১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ প্রারম্ভিক কৃষি সংস্কৃতি ও কালো-লাল মৃৎপাত্র সংস্কৃতি
দ্বিতীয় পর্যায় ১৫০০-৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ প্রারম্ভিক কৃষি সংস্কৃতি ও কালো-লাল মৃৎপাত্র সংস্কৃতি
তৃতীয় পর্যায় প্রারম্ভিক ঐতিহাসিক
চতুর্থ পর্যায় মধ্যযুগ
পঞ্চম পর্যায় প্রাক-মল্ল যুগ
ষষ্ঠ পর্যায় মল্ল যুগ

প্রত্নতত্ত্ব[সম্পাদনা]

ডিহর গ্রামে চারটি ঢিবি প্রাচীনকাল থেকে অবস্থান করছিল। গ্রামের লোকেরা ঢিবিগুলির উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত ছিল। এই ঢিবিগুলিতে প্রাচীন মন্দির রয়েছে, এবং গ্রামবাসীদের দ্বারা মন্দিরগুলিতে পূজার্চনা করা হয়।[২][৩] পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় জরিপ অন্বেষণ ও খননের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। ঢিবিগুলিতে অনুসন্ধান করতে করতেই এই বসতির আবিষ্কার হয়। ডিহরে প্রথম ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দ এবং সর্বশেষ ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে খনন করা হয়েছিল, যা বাংলার প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি সংস্কৃতিকে ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত প্রসারিত করেছিল। এই স্থানটি দ্বারকেশ্বর নদের উত্তর তীরে মধ্যযুগীয় মল্ল রাজ্যের রাজধানী বিষ্ণুপুর থেকে ৬ কিলোমিটার (৩.৭ মাইল) দূরে অবস্থিত।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা দাবি করেন যে বসতিটি পশ্চিমবঙ্গের প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি ও কৃষ্ণ-লোহিত মৃৎপাত্র সংস্কৃতির একটি কেন্দ্র ছিল।[৪] হীরাপুর ঢিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনার কার্বন ১৪ পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, ডিহর হল আধুনিক পশ্চিমবঙ্গে আবিষ্কৃত প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি সংস্কৃতির প্রত্নতাত্ত্বি বসতিগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীনতম। ডিহরের চারটি ঢিবির মধ্যে হীরাপুর ঢিবি থেকে সবচেয়ে প্রাচীন নমুনা পাওয়া গিয়েছে, যা ৪৭০০ বছরের পুরাতন।[৪] প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি সংস্কৃতি ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে বিদ্যমান ছিল,[৪] যা প্রাক-হরপ্পা, হরপ্পা ও পরবর্তী-হরপ্পা সময়কালের সমসাময়িক ছিল।

সভ্যতা[সম্পাদনা]

ডিহরের লোকেরা বাংলা ও নিন্ম গাঙ্গেয় উপত্যকার সভ্যতায় বসতি স্থাপন, ধাতুবিদ্যা ও মৃৎশিল্পের ক্ষেত্রে অবদান রেখেছিল। অলঙ্কার তৈরিতেও অবদান রেখেছিল, তারা প্রারম্ভিক সময় কালে হাড়ের দ্বারা ও পরবর্তীতে ধাতু দ্বারা অলঙ্কার তৈরি করেছিল।

ধাতুবিদ্যা ও গহনা[সম্পাদনা]

ডিহরের লোকেরা প্রথমে তামা, এবং পরবর্তীতে লোহার ব্যবহার শুরু করেছিল। মালভূমির পরিবেশ, এবং বনবাসী ও বনভূমি অঞ্চলে প্রাচীন ধাতব কাজের ঐতিহ্য অবশ্যই ডিহরের পরিস্থিতিকে প্রভাবিত ও নির্দেশিত করেছিল। ছোটনাগপুর মালভূমি সম্ভাব্য ধাতু উৎস হিসাবে কাজ করেছিল। শ্রমিকরা তামার থেকে রিং ও দণ্ড তৈরি করতেন। সম্ভবত এই দণ্ডগুলি চোখের কোলিরিয়াম প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হত।[২]

মনসাতলা ঢিবি থেকে একটি ভাঙা নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সম্ভবত এটি জলজ উদ্ভিদ সংগ্রহের জন্য বা বুশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য ব্যবহৃত একটি সরঞ্জাম হিসাবে চিহ্নিত করা হত। এই ক্ষয়প্রাপ্ত নমুনাটির যথেষ্ট বেধ রয়েছে, ব্যাস ৫.৬ সেমি। ওজন ও আকৃতি অনুযায়ী, এটিকে একটি "ভারী-শুল্ক" সরঞ্জাম হিসাবে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেয়। শুধুমাত্র একজন দক্ষ ধাতু কর্মীই এমন একটি বিস্তৃত সরঞ্জাম তৈরি করতে সক্ষম হবেন, যা ডিহরের কারিগরদের দক্ষ কারিগরী প্রদর্শনকারী করে।[২]

শিল্পকলা[সম্পাদনা]

টেরাকোটা বা পোড়া মাটি পুঁতি, বিবিধ খেলার বস্তু, পোড়ামাটির চাকতি ও পশু মূর্তি ডিহরে পাওয়া গেছে। প্রাণী বা মানুষের মূর্তির কোনো সম্পূর্ণ নমুনা পাওয়া যায়নি। লাল রঙের একটি অজ্ঞাত প্রাণী মূর্তির পাওয়া গিয়েছে, যার শরীরের পিছনের অংশে দুটি পা একটি তির্যক অবস্থায় রয়েছে। পশু মূর্তির আরও কিছু খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। সবগুলোই লাল রঙের। লাল রঙে একটি মানব মূর্তিটির খণ্ডিত অংশ পাওয়া গেছে।

শিল্পীরা লাল ও কালো রঙয়ের মৃৎপাত্রের উপর নকশা চিত্রিত করেছিল। সাদা ও ক্রিম উভয় রঙই ব্যবহার করা হয়েছে। সিরামিকের থালাগুলির সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ অংশটি সাদা রঙে আঁকা সোজা ও কাত সমান্তরাল স্ট্রোকের সারি সহ দুটি তির্যকভাবে চলমান নকশা দ্বারা ভরাট করার প্রচলন ছিল। বাইরের পৃষ্ঠে সমান্তরাল স্ট্রোকের একটি সারি দ্বারা আবর্তিত পাপড়ির মতো মোটিফগুলির একটি ব্যান্ড আঁকা হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলংকারিক উপাদানগুলি মৃৎপাত্রের ঘাড়ের কাছাকাছি এবং যেখান থেকে পাত্রের ভিত্তির দিকে ঢাল শুরু হয় সেই সীমানা রেখার নীচে প্রয়োগ করা হয়েছিল। ডিহর থেকে প্রাপ্ত সিরামিকগুলি গঙ্গা উপত্যকার রাজা নলের ঢিবি, মালহার, লাহুরাদেওয়া, ঝুসি, নারহান, আগিয়াবীর ও সেনুয়ারের মতো প্রত্নক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত সিরামিকগুলি সঙ্গে তুলনীয়।

চাষাবাদ ও খাদ্য[সম্পাদনা]

খননকৃত ঢিবিগুলিতে প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি সংস্কৃতির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে, যা বসতিটির বাসিন্দাদের দ্বারা চাষাবাদের ইঙ্গিত প্রদান করে। গৃহপালিত এবং বন্য সহ অনেক প্রাণীর হাড় একটি বিস্তৃত খাদ্য সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া হাড়ের তৈরি সরঞ্জাম, তীরের মাথা ও বর্শা অধিবাসীদের শিকার জীবনের প্রমাণ উত্থাপিত করে।[২]

খননকৃত ডিহর[সম্পাদনা]

প্রত্নক্ষেত্রটি ডিহর গ্রামের চারটি ঢিবি খননের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে, ঢিবিগুলি হল মা ভবানীতলা ঢিবি, হীরাপুর ঢিবি, মনসাতলা ঢিবি ও কালভৈরবতলা ঢিবি। মা ভবানীতলা ঢিবির বিস্তার হল ৩০০ বর্গমিটার।[২]

খাগড়া ছাপযুক্ত কাদামাটির খণ্ড পাওয়া গিয়েছে, যা নলখাগড়া ও কাদামাটি দ্বারা গঠিত কাঠামোর ব্যাপক ব্যবহার প্রতিফলিত করে; অনুমান করা হয়, কাঠামগুলি মূলত গৃহ নির্মাণে ব্যবহার করা হত। নমুনা পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে, প্রাক-ধাতু ও ধাতব যুগের প্রারম্ভিক গ্রামীণ কৃষি সংস্কৃতির পর্যায়গুলিতে নলখাগড়া ও কাদামাটির কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। এই ধরনের কাঠামো তৈরির ঐতিহ্য অনেক দীর্ঘ সময়ের জন্য অব্যাহত ছিল বলে মনে হয়।[২][৩]

কাটা হাড় ও হাড়ের তৈরি সরঞ্জাম, তীরের মাথা এবং বর্শা পাওয়া গিয়েছে। মনসাতলা ঢিবিতে শিল্প বা উৎপাদন কর্মশালায় (কুমার ও ধাতু শ্রমিক) ও চুল্লি দৃশ্যমান। খননকার্যে কাদা বা ঘেঁষা মেঝে ও ছাপানো মাটির খণ্ড পাওয়া গিয়েছে। কালো ও লাল মৃৎপাত্র, হাড়ি, বেসিন, গ্লাস ও ক্ষুদ্র পাত্র মৃৎশিল্পের প্রমান দেয়।[২][৩]

মনসাতলা ঢিবি থেকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে সংরক্ষিত মানব কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে, যা ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ ও রোগ সম্পর্কে খুব ভাল তথ্য প্রদান করে। মানব কঙ্কালটি ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে প্রথম লেখক দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছিল, যেটি সম্ভবত আদি ঐতিহাসিক সময়ের অন্তর্গত। পরীক্ষ লব্ধ ফলাফল অনুযায়ী, কঙ্কালটি একজন পুরুষ ব্যক্তির এবং বয়স প্রায় ৪৫ বছর থেকে ৫০ বছর মধ্যে ছিল। পর্যবেক্ষণে দাঁত ও হাড়ে ক্ষত, এবং প্যাথলজিকাল ক্ষত পরিলক্ষিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত কঙ্কালটি জনসংখ্যা বুঝতে সাহায্য করতে পারে না।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Mondal, Bijan; Chattopadhyay, Rupendra Kumar; Biswas, Pampa; Acharya, Dipsikha। "Excavation at Dihar 2012-2013 : An Interim Report"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  2. Majumder, Shubha; Mushrif-Tripathy, Veena; Acharya, Dipsikha। "Preliminary Studies of Human Skeletal Remains Excavated from Dihar (2012 ‐ 13), District Bankura, West Bengal"। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  3. Tewari, Dr. Rakesh, সম্পাদক (২০১৫)। Indian Archeology 2008-09 - Review (পিডিএফ)। Archaeological Survey of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  4. Bandyopadhyay, KumKum; Chattopadhyay, Rupendra Kumar (১ জানুয়ারি ২০১৫)। "A Preliminary Study of the Worked Bone Industry in the Middle and Lower Ganga Valleys: From the Mesolithic to the Early Historic Periods"Studies in South Asian Heritage (essays in memory of M Harunur Rashid): 242–243। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩