কাঞ্চনজঙ্ঘা

স্থানাঙ্ক: ২৭°৪২′০৯″ উত্তর ৮৮°০৮′৪৮″ পূর্ব / ২৭.৭০২৫০° উত্তর ৮৮.১৪৬৬৭° পূর্ব / 27.70250; 88.14667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাঞ্চনজঙ্ঘা
সূর্যোদয়ের সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা, জলপাইগুড়ি থেকে।
সর্বোচ্চ বিন্দু
উচ্চতা৮,৫৮৬ মিটার (২৮,১৬৯ ফুট) [১]
৩য় সারির
সুপ্রত্যক্ষতা৩,৯২২ মিটার (১২,৮৬৭ ফুট) [২]
২৯তম
বিচ্ছিন্নতা১২৪ কিমি (৭৭ মা) উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
তালিকাভুক্তি
  • আট-হাজারী পর্বতশৃঙ্গ
  • সেভেন থার্ড সামিট
  • ভারতের পর্বতের তালিকা
  • নেপালের পর্বতের তালিকা
  • দেশের শীর্ষ বিন্দু (ভারত)
  • সুউচ্চ চূড়া
স্থানাঙ্ক২৭°৪২′০৯″ উত্তর ৮৮°০৮′৪৮″ পূর্ব / ২৭.৭০২৫০° উত্তর ৮৮.১৪৬৬৭° পূর্ব / 27.70250; 88.14667[২]
ভূগোল
কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারত-এ অবস্থিত
কাঞ্চনজঙ্ঘা
কাঞ্চনজঙ্ঘা
নেপাল-ভারত সীমান্তে অবস্থান
অবস্থানতাপ্লেজুং জেলা, মেছি অঞ্চল, নেপাল;
সিকিম, ভারত[২]
মূল পরিসীমাভীমপুর
আরোহণ
প্রথম আরোহণ২৫ মে ১৯৫৫
জো ব্রাউন এবং জর্জ ব্যান্ড
(১ম শীতকালীন আরোহণ ১১ জানুয়ারি ১৯৮৬ জের্জি কুকুচজকা এবং ক্ৰিজটোভ উয়িলিকি)
সহজ পথহিমবাহ/তুষার/বরফে আরোহণ

কাঞ্চনজঙ্ঘা (নেপালি: कञ्चनजङ्घा /কঞ্চনজঙ্ঘা;শুনুন) হিমালয় পর্বতমালার একটি পর্বতশৃঙ্গ। এটি ভারতের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ,[৩] এবং এর উচ্চতা ৮,৫৮৬ মিটার। এটি ভারতের সিকিম রাজ্যের সঙ্গে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে অবস্থিত। হিমালয় পৰ্বতের এই অংশটিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয় বলা হয়। এর পশ্চিমে তামূর নদী, উত্তরে লহনাক চু নদী এবং জংসং লা শৃঙ্গ, এবং পূর্বদিকে তিস্তা নদী অবস্থিত।[১][৪]

কাঞ্চনজঙ্ঘা মাউন্ট এভারেস্টের ১২৫ কি.মি. পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত।[৫] এটা হিমালয়ের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ। এর পাঁচটি মূল শৃঙ্গের মধ্যে তিনটা – মুখ্য, কেন্দ্ৰীয় এবং দক্ষিণ — ভারতের উত্তর সিক্কিম জেলায়, এবং নেপাল সীমান্তে অবস্থিত।[৬] বাকী দুটি শৃঙ্গ নেপালের তাপ্লেজুং জেলায় অবস্থিত।[৭]

কাঞ্চনজঙ্ঘা-মুখ্য ভারতের সৰ্বোচ্চ শৃঙ্গ, এবং একদম পূর্বদিকের পর্বতের মধ্যে ৮,০০০ মিটার (২৬,০০০ ফুট) এর অধিক উচ্চ। পাঁচটি পর্বতচূড়ার কারণে একে "তুষারের পাঁচটি ঐশ্বৰ্য" বলা হয় এবং সিক্কিম এবং দার্জিলিংয়ের স্থানীয় লোকেরা একে পবিত্র মনে করে পূজা করে।[৮]

১৮৪২ সালের আগে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পৃথিবীর সৰ্বোচ্চ শৃঙ্গ বলে ধারণা করা হত, কিন্তু ১৮৪৯ সালে ভারতের বৃহৎ ত্রিকোণমিত্রিক জরীপে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেল যে পিক XV বলে পরিচিত মাউন্ট এভারেস্টই হচ্ছে পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ। আরো কিছু পুনঃনিরীক্ষণ করার পর ১৮৫৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় যে কাঞ্চনজঙ্ঘা পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ।[৩]

১৯৫৫ সালের ২৫ মে মাসে ব্রিটিশ পৰ্বতারোহী দলের সদস্য জোয়ে ব্ৰাউন এবং জৰ্জ ব্যান্ড কাঞ্চনজঙ্ঘা আরোহণ করেন। তাদেরকে সিক্কিমের চজ্ঞাল বা ধৰ্মগুরুর বিশেষ অনুমতি নিতে হয়েছিল এবং এর কোনো মর্যাদাহানি করবে না চুক্তিবদ্ধ করে পৰ্বতারোহণ করেছিল।[৮] এই দলের অন্যান্য সদস্য হল- জন এঞ্জেলো জেকসন এবং টম মেকিনন।[৯] ১৯৮৬ সালের ১১ জানুয়ারি, জেৰ্জি কুকুচজকা এবং ক্ৰিজটোভ উয়িলিকি কাঞ্চনজঙ্ঘা প্ৰথম শীতকালীন আরোহণ করে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

কাঞ্চনজঙ্ঘা শব্দটি শুনে তৎসম কাঞ্চন + জঙ্ঘা মনে হলেও আসলে নামটি সম্ভবতঃ স্থানীয় শব্দ "কাং চেং জেং গা" থেকে এসেছে, যার অর্থ তেনজিং নোরগে তার বই, ম্যান অফ এভারেস্ট (Man of Everest)-এ লিখেছেন "তুষারের পাঁচ ধনদৌলত"। এটির পাঁচ চূড়া আছে তাদের চারটির উচ্চতা ৮, ৪৫০ মিটারের ওপরে। এ ধনদৌলত ঈশ্বরের পাঁচ ভান্ডারের প্রতিনিধিত্ব করে, স্বর্ণ, রূপা, রত্ন, শস্য, এবং পবিত্র পুস্তক।[১০]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-২
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৩
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৪
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৫
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৬
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৭
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৮
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-৯
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১০
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১১
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১২
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১৩
কাঞ্চজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য-১৪


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Carter, H. A. (১৯৮৫)। "Classification of the Himalaya" (পিডিএফ)American Alpine Journal। American Alpine Club। 27 (59): 109–141। 
  2. Jurgalski, E.; de Ferranti, J.; Maizlish, A. (২০০০–২০০৫)। "High Asia II – Himalaya of Nepal, Bhutan, Sikkim and adjoining region of Tibet"। Peaklist.org। 
  3. Gillman, P. (১৯৯৩)। Everest: The Best Writing and Pictures from Seventy Years of Human Endeavour। Boston: Little, Brown and Company। পৃষ্ঠা 208। আইএসবিএন 0316904899 
  4. Freshfield, D. W. (১৯০৩)। Round Kangchenjunga: a narrative of mountain travel and exploration। London: Edward Arnold। 
  5. Dhar, O. N.; Nandargi, Shobha (২০০০)। "An appraisal of precipitation distribution around the Everest and Kanchenjunga peaks in the Himalayas"। Weather55 (7): 223–234। ডিওআই:10.1002/j.1477-8696.2000.tb04065.xবিবকোড:2000Wthr...55..223D 
  6. Gurung, H. and R. K. Shrestha (১৯৯৪)। Nepal Himalaya Inventory। Kathmandu: Ministry of Tourism and Civil Aviation। 
  7. Bhuju, U. R., Shakya, P. R., Basnet, T. B., Shrestha, S. (2007). Nepal Biodiversity Resource Book. Protected Areas, Ramsar Sites, and World Heritage Sites. ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে আইএসবিএন ৯৭৮-৯২-৯১১৫-০৩৩-৫
  8. Kapadia, H. (২০০১)। Across Peaks and Passes in Darjeeling and Sikkim। New Delhi: Indus Publishing Company। আইএসবিএন 8173871264 
  9. Perrin, J. (২০০৫)। "Obituary: John Jackson. Key climber and trainer of British mountaineers"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৩ 
  10. "কাঞ্চনজঙ্ঘা শীর্ষে এই প্রথম দুই বাঙালি মেয়ে"। আনন্দ বাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০১৪