কপিল মুনি মন্দির

স্থানাঙ্ক: ২১°৩৮′১২″ উত্তর ৮৮°০৪′২৪″ পূর্ব / ২১.৬৩৬৫৩৫৭° উত্তর ৮৮.০৭৩৩৩৫৫° পূর্ব / 21.6365357; 88.0733355
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কপিল মুনি মন্দির
কপিল মুনি মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
ঈশ্বরগঙ্গা, কপিল মুনি, সগর রাজা
উৎসবসমূহগঙ্গাসাগর মেলা
অবস্থান
অবস্থানগঙ্গাসাগর
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
দেশভারত
কপিল মুনি মন্দির পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
কপিল মুনি মন্দির
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২১°৩৮′১২″ উত্তর ৮৮°০৪′২৪″ পূর্ব / ২১.৬৩৬৫৩৫৭° উত্তর ৮৮.০৭৩৩৩৫৫° পূর্ব / 21.6365357; 88.0733355
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারী(বহু পুনর্নির্মাণ)
সম্পূর্ণ হয়১৯৭৪ (বর্তমান মন্দির কাঠামো)

কপিল মুনি মন্দির বা কপিল মুনির মন্দির হল ভারতীয় অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির। এটি হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র তীর্থস্থানগুলির মধ্যে একটি এবং কপিল মুনি এখানে তপস্যা করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

প্রাচীন মন্দিরসমূহ[সম্পাদনা]

প্রাচীন মন্দিরসমূহ অস্থায়ী মন্দির ছিল। জনশ্রুতি অনুযায়ী, কপিল মুনির প্রথম মন্দিরটি ৪৩০ খ্রিস্টাব্দে রানী সত্যভামা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।[১] সর্বশেষ অস্থায়ী মন্দিরটি বাঁশ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। বাঁশ দ্বারা নির্মিত মন্দিরটি ৫০-এর দশকের শেষভাবে বা ৬০-এর দশকের প্রথম দিকেই বিনষ্ট হয়েছিল। প্রথম ইটের তৈরি মন্দির ১৯৬১ সালে ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি তৈরি করা হয়েছিল, মন্দিরের ছাউনি বা ছাঁদ অ্যাসবেস্টস দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। মন্দির নির্মাণে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় ১১ হাজার টাকা সাহায্য করেছিলেন। মন্দির নির্মাণের কাজ "এস চক্রবর্তী অ্যান্ড কোং" সম্পন্ন করেছিল। মন্দিরটি বর্তমান মন্দিরের থেকে আকারে ছোট ছিল।[২]

বর্তমান মন্দির: ১৯৭৪–বর্তমান[সম্পাদনা]

নব মন্দিরটি ১৯৭৪ সালে তৈরি করা হয়েছিল।[২] মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গণটি গঙ্গা নদী ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী হওয়ায়, মাঝে মধ্যেই ভরা কোটাল বা ঘূর্ণি ঝড়ের সময়ে মন্দির ও মন্দির প্রাঙ্গণে সাগর ও নদীর জল প্রবেশ করে। বঙ্গোপসাগরে ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে ইয়াস নামে একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় উৎপন্ন ছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে ভরা কোটালের জল কপিলমুনির আশ্রম ও মন্দিরে প্রবেশ করেছিল।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Halder, Mohan; Baksi, Shanto (জানুয়ারি ২০১৪)। "Gangasagar Mela Pilgrimage and Development at the Sagar Island" (ইংরেজি ভাষায়)। Society for Socio-Economic and Ecological Development। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ 
  2. গৌতম চক্রবর্তী (১৪ জানুয়ারি ২০১৮)। "'সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর এক বার'"আনন্দবাজার। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৩ 
  3. "সাগরের কপিলমুণির আশ্রম চত্বরে একবুক জল, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাসিন্দারা"bangla.hindustantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০২৩