ইচ্ছাশক্তি
ইচ্ছাশক্তি (সংস্কৃত: इच्छाशक्ति) হল সংস্কৃত পরিভাষা যা স্বাধীন ইচ্ছা, ইচ্ছা, সৃজনশীল ইচ্ছাকে অনুবাদ করে। এটি শক্তির নীতি, ঐশ্বরিক নারী শক্তির ধারণার মধ্যে প্রকাশের প্রতি প্ররোচনা হিসেবে কাজ করে।[১] কর্মশক্তি ও জ্ঞানশক্তির সাথে,[২] এটিকে হিন্দুধর্মে শক্তির তিনটি দিক গঠন করার জন্য বর্ণনা করা হয়েছে, যাকে তন্ত্রে মহাবিশ্বের বিবর্তনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।[৩] শৈবধর্মে, ইচ্ছশক্তি শিবের পাঁচটি শক্তির একটির প্রতিনিধিত্ব করে, অন্যগুলো আদিশক্তি, পরমশক্তি, কর্মশক্তি ও জ্ঞানশক্তি।[৪]
বিবরণ[সম্পাদনা]
অনেক হিন্দু দেবীকে দেব এর শক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে,[৫] কখনও কখনও কর্মশক্তি হিসেবে, যেমন বিষ্ণুর জন্য লক্ষ্মী,[৬] বা ইচ্ছাশক্তি হিসেবে, যেমন শিবের জন্য পার্বতীকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।[৭] আবার একজন দেব এর জন্য একাধিক ঐশ্বরিক ও পার্থিব সঙ্গীকে কর্মশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি হিসাবে নির্দিষ্ট করা হয়, যেমন কৃষ্ণের জন্য রুক্মিণী ও রাধা,[৮] এবং মুরুগানের জন্য দেবসেনা ও বল্লী।[৯]
সীতা উপনিষদে, লক্ষ্মীর তিনটি রূপ, যাকে শ্রী, ভূমী ও নীলা বলে বর্ণনা করা হয়েছে, তাকে ইচ্ছশক্তির তিনটি রূপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য অনুমান করা হয়েছে এবং যথাক্রমে শুভ, পবিত্রতা এবং সূর্য, চন্দ্র ও অগ্নির প্রতিনিধিত্ব করেছে।[১০][১১]
যোগ দর্শনে, ইদনাদী (ইচ্ছাশক্তি) এবং পিঙ্গলনাদী (কর্মশক্তি) যখন সুষুম্নানাদী (জ্ঞানশক্তি)-এ শক্তি প্রবাহিত হতে দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ Feuerstein, Georg (২০২২-০৮-১৬)। The Encyclopedia of Yoga and Tantra (ইংরেজি ভাষায়)। Shambhala Publications। পৃষ্ঠা 155। আইএসবিএন 978-1-61180-185-9।
- ↑ Sherma, Rita D.; Bilimoria, Purushottama (২০২০-১০-০৫)। Contemplative Studies and Hinduism: Meditation, Devotion, Prayer, and Worship (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 978-1-000-19506-4।
- ↑ Woodroffe, Sir John (২০১৪-০১-০১)। Principles of Tantra: Part I and II (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-81-7822-454-1।
- ↑ Stutley, Margaret (২০১৯-০৪-০৯)। The Illustrated Dictionary of Hindu Iconography (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 260। আইএসবিএন 978-0-429-62425-4।
- ↑ Rajan, K. V. Soundara (১৯৮৮)। Secularism in Indian Art (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 978-81-7017-245-1।
- ↑ Hudson, D. Dennis (২০০৮-০৯-২৫)। The Body of God: An Emperor's Palace for Krishna in Eighth-Century Kanchipuram (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press, USA। পৃষ্ঠা 474। আইএসবিএন 978-0-19-536922-9।
- ↑ Bhattacharyya, Haridas (১৯৯৪)। The Foundations of Living Faiths: An Introduction to Comparative Religion (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 240। আইএসবিএন 978-81-208-1147-8।
- ↑ Manring, Rebecca J. (২০১১-০৬-২৯)। The Fading Light of Advaita Acarya: Three Hagiographies (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 978-0-19-983786-1।
- ↑ Shulman, David Dean (২০১৪-০৭-১৪)। Tamil Temple Myths: Sacrifice and Divine Marriage in the South Indian Saiva Tradition (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-1-4008-5692-3।
- ↑ Dalal, Roshen (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6।
- ↑ Dalal, Roshen (২০১৯-০১-০৬)। The 108 Upanishads: An Introduction (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 287। আইএসবিএন 978-93-5305-377-2।