ইচ্ছাশক্তি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ইচ্ছাশক্তি (সংস্কৃত: इच्छाशक्ति) হল সংস্কৃত পরিভাষা যা স্বাধীন ইচ্ছা, ইচ্ছা, সৃজনশীল ইচ্ছাকে অনুবাদ করে। এটি শক্তির নীতি, ঐশ্বরিক নারী শক্তির ধারণার মধ্যে প্রকাশের প্রতি প্ররোচনা হিসেবে কাজ করে।[১] কর্মশক্তি ও জ্ঞানশক্তির সাথে,[২] এটিকে হিন্দুধর্মে শক্তির তিনটি দিক গঠন করার জন্য বর্ণনা করা হয়েছে, যাকে তন্ত্রে মহাবিশ্বের বিবর্তনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।[৩] শৈবধর্মে, ইচ্ছশক্তি শিবের  পাঁচটি শক্তির একটির প্রতিনিধিত্ব করে, অন্যগুলো  আদিশক্তি, পরমশক্তি, কর্মশক্তি ও জ্ঞানশক্তি।[৪]

বিবরণ[সম্পাদনা]

অনেক হিন্দু দেবীকে দেব এর শক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে,[৫] কখনও কখনও কর্মশক্তি হিসেবে, যেমন বিষ্ণুর জন্য লক্ষ্মী,[৬] বা ইচ্ছাশক্তি হিসেবে, যেমন শিবের জন্য পার্বতীকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে।[৭] আবার একজন দেব এর জন্য একাধিক ঐশ্বরিক ও পার্থিব সঙ্গীকে কর্মশক্তি ও  ইচ্ছাশক্তি হিসাবে নির্দিষ্ট করা হয়, যেমন কৃষ্ণের জন্য রুক্মিণী ও রাধা,[৮] এবং মুরুগানের জন্য দেবসেনা ও বল্লী[৯]

সীতা উপনিষদে, লক্ষ্মীর তিনটি রূপ, যাকে শ্রী, ভূমীনীলা বলে বর্ণনা করা হয়েছে, তাকে ইচ্ছশক্তির তিনটি রূপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবীর সুরক্ষার জন্য অনুমান করা হয়েছে এবং যথাক্রমে শুভ, পবিত্রতা এবং সূর্য, চন্দ্র ও অগ্নির প্রতিনিধিত্ব করেছে।[১০][১১]

যোগ দর্শনে, ইদনাদী (ইচ্ছাশক্তি) এবং পিঙ্গলনাদী (কর্মশক্তি) যখন সুষুম্নানাদী (জ্ঞানশক্তি)-এ শক্তি প্রবাহিত হতে দেয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Feuerstein, Georg (২০২২-০৮-১৬)। The Encyclopedia of Yoga and Tantra (ইংরেজি ভাষায়)। Shambhala Publications। পৃষ্ঠা 155। আইএসবিএন 978-1-61180-185-9 
  2. Sherma, Rita D.; Bilimoria, Purushottama (২০২০-১০-০৫)। Contemplative Studies and Hinduism: Meditation, Devotion, Prayer, and Worship (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 978-1-000-19506-4 
  3. Woodroffe, Sir John (২০১৪-০১-০১)। Principles of Tantra: Part I and II (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 45। আইএসবিএন 978-81-7822-454-1 
  4. Stutley, Margaret (২০১৯-০৪-০৯)। The Illustrated Dictionary of Hindu Iconography (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। পৃষ্ঠা 260। আইএসবিএন 978-0-429-62425-4 
  5. Rajan, K. V. Soundara (১৯৮৮)। Secularism in Indian Art (ইংরেজি ভাষায়)। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 49। আইএসবিএন 978-81-7017-245-1 
  6. Hudson, D. Dennis (২০০৮-০৯-২৫)। The Body of God: An Emperor's Palace for Krishna in Eighth-Century Kanchipuram (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press, USA। পৃষ্ঠা 474। আইএসবিএন 978-0-19-536922-9 
  7. Bhattacharyya, Haridas (১৯৯৪)। The Foundations of Living Faiths: An Introduction to Comparative Religion (ইংরেজি ভাষায়)। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 240। আইএসবিএন 978-81-208-1147-8 
  8. Manring, Rebecca J. (২০১১-০৬-২৯)। The Fading Light of Advaita Acarya: Three Hagiographies (ইংরেজি ভাষায়)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 106। আইএসবিএন 978-0-19-983786-1 
  9. Shulman, David Dean (২০১৪-০৭-১৪)। Tamil Temple Myths: Sacrifice and Divine Marriage in the South Indian Saiva Tradition (ইংরেজি ভাষায়)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-1-4008-5692-3 
  10. Dalal, Roshen (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 282। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6 
  11. Dalal, Roshen (২০১৯-০১-০৬)। The 108 Upanishads: An Introduction (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Random House India Private Limited। পৃষ্ঠা 287। আইএসবিএন 978-93-5305-377-2 

উপচায়স্থান