প্রবেশদ্বার:মালদ্বীপ
মালদ্বীপ (/ˈmɔːldivz/ MAWL-deevz; ধিবেহী: ދިވެހިރާއްޖެ, প্রতিবর্ণী. Dhivehi Raajje, ধিবেহী উচ্চারণ: [diʋehi ɾaːd͡ʒːe]), আনুষ্ঠানিকভাবে মালদ্বীপ প্রজাতন্ত্র (ধিবেহী: ދިވެހިރާއްޖޭގެ ޖުމްހޫރިއްޔާ, প্রতিবর্ণী. Dhivehi Raajjeyge Jumhooriyyaa, ধিবেহী উচ্চারণ: [diʋehi ɾaːd͡ʒːeːge d͡ʒumhuːɾijjaː]) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত ভারত মহাসাগরের একটি দ্বীপ দেশ। এর রাজধানীর নাম মালে। দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক জোট সার্ক এর সদস্য। অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ দেশ বিশ্বের সবচেয়ে নিচু দেশ। পর্যটনের জন্য বিখ্যাত এ দেশের সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র দুই দশমিক তিন মিটার এবং গড় উচ্চতা মাত্র এক দশমিক পাঁচ মিটার। এক হাজার দুই শ’রও বেশি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। মালদ্বীপ নামটি সম্ভবত "মালে দিভেহী রাজ্য" হতে উদ্ভূত যার অর্থ হল মালে অধিকৃত দ্বীপরাষ্ট্র। কারো কারো মতে সংস্কৃত 'মালা দ্বীপ' অর্থ দ্বীপ-মাল্য বা 'মহিলা দ্বীপ' অর্থ নারীদের দ্বীপ হতে মালদ্বীপ নামটি উদ্ভূত। প্রাচীন সংস্কৃতে যদিও এরকম কোনও অঞ্চলের উল্লেখ পাওয়া যায় না। তবে প্রাচীন সংস্কৃতে লক্ষদ্বীপ নামক এক অঞ্চলের উল্লেখ রয়েছে। লক্ষদ্বীপ বলতে মালদ্বীপ ছাড়াও লাক্কাদ্বীপ পুঞ্জ অথবা চাগোস দ্বীপপুঞ্জকেও বোঝানো হয়ে থাকতে পারে। অপর একটি মতবাদ হল তামিল ভাষায় 'মালা তিভু' অর্থ দ্বীপমাল্য হতে মালদ্বীপ নামটি উদ্ভূত । (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...) নির্বাচিত নিবন্ধ -মালদ্বীপের ইতিহাস বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরের এলাকা সহ আশেপাশের অঞ্চলের ইতিহাসের সাথে জড়িত; এবং আধুনিক রাষ্ট্রটি ২৬টি প্রাকৃতিক প্রবালপ্রাচীর নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে ১১৯৪টি দ্বীপ রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে, ভারত মহাসাগরের প্রধান সামুদ্রিক পথে অবস্থানের কারণে মালদ্বীপের একটি কৌশলগত গুরুত্ব ছিল। মালদ্বীপের নিকটতম প্রতিবেশী হল ব্রিটিশ ভারত মহাসাগরীয় এলাকা, অর্থাৎ শ্রীলঙ্কা ও ভারত। যুক্তরাজ্য, শ্রীলঙ্কা এবং কিছু ভারতীয় রাজ্যের সাথে মালদ্বীপের বহু শতাব্দী ধরেই সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। এই দেশগুলি ছাড়াও, মালদ্বীপবাসীরা আচেহ এবং অন্যান্য অনেক রাজ্যের সাথেও বাণিজ্য করত, যা বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া। মালদ্বীপ কড়ি খোলস প্রধান উত্স সরবরাহ করেছিল, তারপরে এটি এশিয়া জুড়ে এবং পূর্ব আফ্রিকার উপকূলের কিছু অংশে মুদ্রা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। সম্ভবত মালদ্বীপ প্রাচীন ভারতের কলিঙ্গদের দ্বারা প্রভাবিত ছিল, তারা ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে প্রথম দিককার সমুদ্র ব্যবসায়ী ছিল এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের জন্য দায়ী ছিল। মালদ্বীপের বিভিন্ন স্থানে পুঁতে রাখা চীনা চীনামাটির তৈরি বাসনপত্রের স্তূপ থেকে দেখা যায় যে চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাণিজ্য যোগাযোগ ছিল। ১৪১১ এবং ১৪৩০ সালে, চীনা অ্যাডমিরাল চেং হো 鄭和 মালদ্বীপ সফর করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে তাইপেই ভিত্তিক চীনা জাতীয়তাবাদী সরকার যখন মালেতে একটি দূতাবাস খুলেছিল তখন চীনারা মালদ্বীপে একটি কূটনৈতিক অফিস স্থাপনকারী প্রথম দেশ হয়ে ওঠে। এই অফিসটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দূতাবাস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ১৬শ শতকের পরে, যখন ঔপনিবেশিক শক্তি ভারত মহাসাগরের বেশিরভাগ বাণিজ্য দখল করে, তখন প্রথমে পর্তুগিজ, তারপর ওলন্দাজ এবং ফরাসিরা মাঝে মাঝে স্থানীয় রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছিল। যাইহোক, এই হস্তক্ষেপের অবসান ঘটে যখন ১৯শ শতকে মালদ্বীপ ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয় এবং মালদ্বীপের রাজাদের স্ব-শাসনের একটি ভাল অংশ দেওয়া হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
জাতীয় বিষয় -মালে (ধিবেহী: މާލެ; /ˈmɑːleɪ/, locally [ˈmaːle]) হল মালদ্বীপের রাজধানী ও সর্বাধিক জনবহুল শহর। এ শহরের জনসংখ্যা ১৩৩৪১২ এবং আয়তন ৯.২৭ বর্গ কিলোমিটার (৩.৫৮ বর্গ মাইল)। এটি পৃথিবীর অন্যতম সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভৌগোলিকভাবে শহরটি উত্তর মালা অ্যাটল(কাফু অ্যাটল) এর দক্ষিণে অবস্থিত। প্রশাসনিকভাবে শহরটিতে একটি কেন্দ্রীয় দ্বীপ, একটি বিমানবন্দর এবং মালে সিটি কাউন্সিল পরিচালিত আরোও দুটি দ্বীপ রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে এটি ছিল রাজা শাসিত দ্বীপ। যেখানে প্রাচীন রাজবংশ শাসন করত আর সেখানেই প্রাসাদটি অবস্থিত। শহরটিকে তখন মহল বলা হত। পূর্বে এটি দুর্গ ও দরজা দ্বারা সুরক্ষিত একটি শহর ছিল.১৯৪৮ সালে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হবার পরই রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম নাসির এর শাসনকালে শহরটিকে পুনঃনির্মাণ করা হয় এবং রাজপ্রাসাদ(গনদুয়ারা),সুরম্য দুর্গসমূহ(কোশি) এবং ঘাঁটিসমূহ(বুড়ুজ) ধ্বংস করা হয়। তবে মালে ফ্রাইডে মসজিদ রয়ে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জমি ভরাটকরণ অভিযানের মাধ্যমে দ্বীপটিকে যথেষ্ট পরিমাণ বর্ধিত করা হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে মালে রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও মাইলফলক ঘটনাবলির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত জীবনী -
মালদ্বীপের সংস্কৃতি -মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Maldives national football team, ধিবেহী: ދިވެހިރާއްޖޭ ގައުމީ ފުޓްބޯލް ޓީމް) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মালদ্বীপের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম মালদ্বীপের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৮৬ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ২৭শে আগস্ট তারিখে, মালদ্বীপ প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; রেউনিওঁয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মালদ্বীপ সেশেলসের কাছে ৯–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। ১২,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে লাল স্নেপার নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন মার্টিন কোপমান এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নিউ রেডিয়েন্টের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় আকরাম আব্দুল ঘানি। (সম্পূর্ণ নিবন্ধ...)
নির্বাচিত চিত্র-মালদ্বীপ সম্পর্কিত বিভিন্ন নিবন্ধে ব্যবহৃত চিত্র
নির্বাচিত তালিকা
আপনি যা করতে পারেন
সম্পর্কিত প্রবেশদ্বারবিষয়
বিষয়শ্রেণীসমূহউপবিষয়শ্রেণী দেখার জন্য [►] ক্লিক করুন
উইকিমিডিয়া |