দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অব ইন্ডিয়া (বই)
লেখক | স্বামী প্রভবানন্দ |
---|---|
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | দর্শন; আধ্যাত্মিকতা |
প্রকাশক | অ্যালেন অ্যান্ড আনউইন; বেদান্ত প্রেস; অন্যান্য |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৬২; ১৯৭৯; অন্যান্য |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | 374 |
আইএসবিএন | ০-৮৭৪৮১-০৩৫-৩ |
ওসিএলসি | ৬৭৫৭২২১২ |
দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া হল স্বামী প্রভবানন্দের (১৮৯৩-১৯৭৬) একটি বই। স্বামী প্রভবানন্দ ছিলেন বেদান্ত সোসাইটি, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষ (১৯৩০-আমৃত্যু)। বইটি প্রথমে ১৯৬২ সালে ডাবলসডে থেকে প্রকাশিত হয়। পরে একই শিরোনামে হার্ডকভার, পেপারব্যাক ও সাউন্ড রেকর্ডিং-এ বিভিন্ন সংস্করণে প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন ম্যাগাজিন[১] ও পেশাগত জার্নালে[২][৩][৪][৫] এই বইটির সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৯ সালের সংস্করণে হাডসন স্মিথের একটি মুখবন্ধ প্রকাশিত হয়।[৬]
বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]
একটি আট পৃষ্ঠার মুখবন্ধের পর দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া বইটি পাঁচটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত।
- বেদ ও উপনিষদ্। এখানে কয়েকটি অধ্যায়ে বেদের একটি সাধারণ পরিচয় দেওয়া হয়েছে। সংহিতা, ব্রাহ্মণ ও আরণ্যকের বিবরণের পর উপনিষদ্ বিষয়ে একটি দীর্ঘ অধ্যায় রয়েছে।
- অন্যান্য হিন্দু ধর্মগ্রন্থ। রামায়ণ, মহাভারত ও যোগবশিষ্ঠের মতো অপর ধর্মগ্রন্থগুলির প্রথাগত গুরুত্ব কয়েকটি অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে। ভগবদ্গীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে। স্মৃতি, পুরাণ ও তন্ত্র নিয়েও কয়েকটি অধ্যায় রয়েছে।
- জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে একটি করে অধ্যায় রয়েছে।
- ষড় দর্শন। হিন্দু দর্শনের আস্তিক শাখার ছয়টি বিভাগ সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা রয়েছে; ন্যায় ও বৈশেষিক; সাংখ্য; পতঞ্জলির যোগসূত্র; পূর্ব মীমাংসা; এবং ব্রহ্মসূত্র (যা বেদান্ত সূত্র নামেও পরিচিত)।
- বেদান্ত এবং এই শাখার শ্রেষ্ঠ দার্শনিকগণ। গৌড়পাদ, আদি শঙ্কর, ভাস্কর, যমুনা, রামানুজ, নিম্বার্ক, মধ্ব, বল্লভ, চৈতন্য ও রামকৃষ্ণ পরমহংস সম্পর্কে কয়েকটি অধ্যায় রয়েছে।
বইটিতে একটি গ্রন্থপঞ্জি ও নির্ঘণ্ট রয়েছে। বইটির মুখবন্ধে স্মিথ লেখেন,
many virtues is the way it integrates the variety in the Indian heritage which, left to itself, can be bewildering. Even Buddhism and Jainism, technically considered by Hindus to be unorthodox, are here shown to be authentic expressions of the basic Indian vision. Or the Six Systems of Indian Philosophy; often regarded as competitors, they are here shown to complement one another.... Indian thought as it emerges in the reading of this book is... pre-disciplinary in the rich and holistic way that Biblical, Chinese and early Greek thought are. (p. 9)[৬]
প্রভাব[সম্পাদনা]
সমালোচনা[সম্পাদনা]
বুকস অ্যাব্রড (পরবর্তীকালেওয়ার্ল্ড লিটারেচার টুডে নামে নামাঙ্কিত) পত্রিকার সমালোচক লিখেছেন, “সাম্প্রতিক কালে এই বিষয়টি যখন অতিরিক্ত পাশ্চাত্য ভাষ্যে ভারাক্রান্ত তখন দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া এই বিষয়টি সম্পর্কে ভারতীয় ধারণাটি স্পষ্ট করে দিয়েছে।” আরও বলা হয়েছে, “প্রভবানন্দ ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের বিষয়টিকে ‘প্রত্যক্ষ অন্তর্দৃষ্টি’র ধারণায় দেখিয়েছেন, অপ্রত্যক্ষ অনুমানের পথে যাননি... তাঁর নিজস্ব অনুবাদ, যদিও তা এই বইতে অল্পই রয়েছে, তা এক অসামান্য কাব্যিক ক্ষমতার পরিচায়ক।” (পৃ. ১০১)[১]
খ্রিস্টিয়ান কান্ট্রি লেখে, “যেহেতু ভারত নিজেকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে, তাই সবচেয়ে দরকারি হয়ে পড়েছিল এদেশের ধর্মীয় দর্শনে কি ধরনের আস্তিকতা ও নাস্তিকতা রয়েছে তা আমাদের জানানো। [প্রভবানন্দের বইটি] এটি বোধগম্য সমীক্ষা; এই বইটির পাঠকের কাছে এই বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা নেই।” (পৃ. ৬১৯)[৭]
পাবলিশার্স উইকলি,[৮] লিখেছে, এই বইতে “স্বামী প্রভবানন্দ, [যিনি] ভারতীয় ধর্ম ও দর্শন বিষয়ে একজন প্রামান্য লেখক [এবং] যাঁর বইগুলি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়, তিনি ভারতে বিকাশিত বিভিন্ন ধারার ধর্মীয় চিন্তার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। (পৃ. ৪৭)
অ্যাকাডেমিক জার্নাল ফিলোজফি লিখেছে, “স্বামী প্রভবানন্দ ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সম্পর্কে একটি মনোহারী ও প্রামাণ্য বই লিখেছেন। এই বইতে তিনি বৈদিক প্রথা ও এর সিদ্ধান্ত বেদান্তের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই ঐতিহ্যের বর্ণনা দিয়েছেন।” (পৃ. ৩৭৬)[৪] সমালোচকের মতে, “সমগ্র বইটিতে সারল্য ও দৃঢ়প্রত্যয়ের অনুভূতি রয়েছে... বিজ্ঞান, জড়বাদ, প্রকৃতিবাদ ও এই ধরনের অন্যান্য আধ্যাত্মিক ‘পরিপূর্ণতা’গুলির প্রতি আঘাত না থাকায় বইটি আমার বিশেষ ভাল লেগেছে।” (পৃ. ৩৭৬-৭৭)[৪]
হিবার্ট জার্নাল-এর সমালোচক লিখেছেন, “রামকৃষ্ণ সংঘের সদস্য এই লেখক রামকৃষ্ণের আদর্শের প্রতি সত্যনিষ্ঠ থেকেছেন। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি অত্যন্ত ক্যাথোলিক। সেই কারণেই বইটি সহমর্মিতা ও বোধগম্যতায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অবিশেষজ্ঞ পাঠক এটিকে ভারতের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য সম্পর্কে একটি ভাল ও নির্ভরযোগ্য বই হিসেবে গ্রহণ করবেন। কিন্তু এটি ভারতীয় দর্শন ও ধর্মের মনোযোগী পাঠকের কাছেও ব্যবহারযোগ্য। কারণ এতে সেই প্রাচীন দেশের সামগ্রিক আধ্যাত্মিক চিন্তা ও অনুশীলনের বিবরণ রয়েছে।” (পৃ. ৩৪৯-৫০)[৫]
অন্যান্য[সম্পাদনা]
প্রভবানন্দের শিষ্য তথা বিশিষ্ট সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার ইশারউড সংক্রান্ত একটি বইতে (২০০৬) অ্যান্টনি কপলে দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া বইটির কথা আলোচনা করেছেন।[৯] কপলে লিখেছেন, প্রভবানন্দ ভারতীয় দর্শনের উপর দুটি বই লিখেছেন, বেদিক রিলিজিয়ন অ্যান্ড ফিলোজফি (১৯৩৭) ও দ্য স্পিরিচুয়াল হেরিটেজ অফ ইন্ডিয়া (১৯৬২)। কপলের মতে, দ্বিতীয় বইটিতে “নাস্তিক দর্শন সম্পর্কে অধিকতর বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে তার মধ্যে আস্তিক দর্শনের কথাও লেখা হয়েছে। তিনি দেখেছেন, তন্ত্রের শিক্ষা উপনিষদের অনুরূপ। এখানে চিরন্তন নারীর কথা আছে; আছে নারীরূপা ঈশ্বর মহাশক্তির কথা, যা পরব্রহ্মের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন... তিনি সেই সঙ্গে যোগের মনস্তত্ত্বের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, তিনি ফ্রডের দুটি মূল প্রকৃতি ইরোস ও থ্যানাটোসের ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই দুটিকে এখানে বলা হয়েছে বাঁচার ইচ্ছা ও মরার ইচ্ছা – স্পষ্টতই আমেরিকায় মনোবিশ্লেষণের প্রথার পরিপ্রেক্ষিতে প্রভবানন্দ ফ্রডকে উপেক্ষা করতে পারেননি। এটিকে তিনি যোগ করেছেন যোগ মনস্তত্ত্ব ব্যাখ্যায়।” (পৃ. ২৩৮-৩৯)[৯]
সংস্করণসমূহ[সম্পাদনা]
- London: Allen and Unwin in 1962.
- London: George Allen & Unwin (1962), hardcover, OCLC 67572212, OCLC 460779291, OCLC 1907182 (374 pages)
- Garden City, NY: Doubleday (1963), hardcover, OCLC 269556, ASIN B001OMOO2I, ASIN B000NW9XI0
- Garden City, NY: Anchor (1964), paperback, OCLC 7496498, OCLC 80147018, ASIN B001RQXVTS (374 pages)
- Hollywood, CA: Vedanta Press (1969), paperback, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৪৮১-০২২-৬ (short আইএসবিএন ০-৮৭৪৮১-০২২-১) (374 pages)
- Madras, India: Sri Ramakrishna Math (1977), paperback, OCLC 500503758, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭১২০-১৪৫-৭ (short আইএসবিএন ৮১-৭১২০-১৪৫-৮) (374 pages)
- Hollywood, CA: Vedanta Press (1979), paperback, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮৭৪৮১-০৩৫-৬ (book itself lists only 10-digit আইএসবিএন ০-৮৭৪৮১-০৩৫-৩) (374 pages)
- Enfield, NSW, Australia: Royal Blind Society Student and Special Transcriptions (1996), sound recording, OCLC 221972992
- New Delhi: Cosmos (2003), hardcover, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৭৫৫-৭৪৬-৬ (short আইএসবিএন ৮১-৭৭৫৫-৭৪৬-৭) (361 pages)
- New Delhi, India: Indigo Books (2004), paperback, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৯২-০০৫৬-৩ (short আইএসবিএন ৮১-২৯২-০০৫৬-২) (361 pages)
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ Robert J. Ray (1963). [Untitled - review of Prabhavananda's The Spiritual Heritage of India]. Books Abroad [continued by World Literature Today], v37 n1, p. 101.
- ↑ William Gerber (1964). Untitled - review of Prabhavananda's The Spiritual Heritage of India. Philosophy East and West, v13 n3, pp. 261-262.
- ↑ David G. Bradley (1964).Untitled - review of Prabhavananda's The Spiritual Heritage of India. Journal of Bible and Religion [predecessor of Journal of the American Academy of Religion], v32 n2, pp. 186-187.
- ↑ ক খ গ Dale Riepe (1963). [Untitled - review of Prabhavananda's The Spiritual Heritage of India]. Philosophy, v38 n146, pp376-377. ISSN 00318191 DOI S0031819100058411
- ↑ ক খ A. Basu (১৯৬২)। "Untitled [review of Prabhavananda, the spiritual heritage of India]"। The Hibbert Journal। 60 (239): 349–350।
- ↑ ক খ Huston Smith (1979), Foreword (pp. 5-9) in Swami Prabhavananda (1979). Spiritual Heritage of India, Vedanta Press. আইএসবিএন ০-৮৭৪৮১-০৩৫-৩ (NB: The foreword is signed "Huston Smith, Syracuse University, July 1978")
- ↑ Anonymous (১৯৬৩)। "The spiritual heritage of India"। Christian Century। 80({19}) (19): 619।
- ↑ Publishers Weekly (1964, Oct. 26). The Spiritual Heritage of India. Publishers Weekly, v186 n17, p47.
- ↑ ক খ Antony R. H. Copley (2006). A spiritual Bloomsbury: Hinduism and homosexuality in the lives and writings of Edward Carpenter, E.M. Forster, and Christopher Isherwood. Lanham, MD: Lexington Books. আইএসবিএন ৯৭৮-০-৭৩৯১-১৪৬৪-৩