বিষয়বস্তুতে চলুন

টেলিভিশনের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
"History of television" পাতাটির "Electronic television" অনুচ্ছেদ অনুবাদ করে যোগ করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা বিষয়বস্তুঅনুবাদ অনুচ্ছেদঅনুবাদ
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:


ইলেক্ট্রনিক টেলিভিশনের অগ্রগতিতে (ছবি ডিসেক্টর, ক্যামেরা টিউব এবং পুনরুৎপাদনের জন্য [[ক্যাথোড রশ্মি নল|ক্যাথোড রে টিউব]] সহ) টেলিভিশনের প্রভাবশালী রূপ '''যান্ত্রিক টেলিভিশন''' যুগের সমাপ্তি হয়। যান্ত্রিক টিভি সাধারণত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ছবি তৈরি করতে পারে। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এটি টেলিভিশনের প্রধান ধরন ছিল। ১৯৩৯ সালে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই যান্ত্রিক টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
ইলেক্ট্রনিক টেলিভিশনের অগ্রগতিতে (ছবি ডিসেক্টর, ক্যামেরা টিউব এবং পুনরুৎপাদনের জন্য [[ক্যাথোড রশ্মি নল|ক্যাথোড রে টিউব]] সহ) টেলিভিশনের প্রভাবশালী রূপ '''যান্ত্রিক টেলিভিশন''' যুগের সমাপ্তি হয়। যান্ত্রিক টিভি সাধারণত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ছবি তৈরি করতে পারে। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এটি টেলিভিশনের প্রধান ধরন ছিল। ১৯৩৯ সালে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই যান্ত্রিক টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।
== ইলেকট্রনিক টেলিভিশন ==
[[File:Ferdinand_Braun.jpg|বাম|থাম্ব|137x137পিক্সেল|[[Ferdinand Braun|ফার্দিনান্দ ব্রাউন]]]]
১৮৯৭ সালে, ইংরেজ [[পদার্থবিজ্ঞানী]] [[জে. জে. থমসন]] তার তিনটি বিখ্যাত পরীক্ষায় ক্যাথোড রশ্মিকে বিচ্যুত করতে সক্ষম হন, যা আধুনিক [[ক্যাথোড রশ্মি নল|ক্যাথোড রশ্মি নলের]] (ক্যাথোড-রে টিউব বা সিআরটি) মূল কাজ। সিআরটি-এর প্রাচীনতম সংস্করণটি ১৮৯৭ সালে জার্মান পদার্থবিদ [[কার্ল ফের্ডিনান্ড ব্রাউন|কার্ল ফার্ডিনান্ড ব্রাউন]] আবিষ্কার করেছিলেন এবং এটি ''ব্রাউন টিউব'' নামেও পরিচিত। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://babel.hathitrust.org/cgi/pt?id=wu.89048352892;view=1up;seq=568|শিরোনাম=Ueber ein Verfahren zur Demonstration und zum Studium des zeitlichen Verlaufs variabler Ströme|শেষাংশ=Braun|প্রথমাংশ=Ferdinand|তারিখ=1897|কর্ম=Annalen der Physik und Chemie 3rd series|পাতাসমূহ=552–559|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://archive.today/20141217172841/http://babel.hathitrust.org/cgi/pt?id=wu.89048352892;view=1up;seq=568|আর্কাইভের-তারিখ=2014-12-17}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|বছর=2007|প্রকাশক=Advameg, Inc.|শিরোনাম=Cathode Ray Tube|ইউআরএল=http://www.discoveriesinmedicine.com/Bar-Cod/Cathode-Ray-Tube-CRT.html|সংগ্রহের-তারিখ=27 April 2008|ওয়েবসাইট=Medical Discoveries}}</ref> ব্রাউন সর্বপ্রথম একটি ডিসপ্লে ডিভাইস হিসাবে সিআরটি ব্যবহার করার ধারণা করেছিলেন। <ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Flat-Panel Displays and CRTS|শেষাংশ=Lehrer|প্রথমাংশ=Norman, H.|তারিখ=1985|প্রকাশক=[[Van Nostrand Reinhold|Van Nostrand Reinhold Company Inc.]]|পাতাসমূহ=138–176|অধ্যায়=The Challenge of the Cathode-Ray Tube|doi=10.1007/978-94-011-7062-8_6|আইএসবিএন=978-94-011-7062-8}}</ref> এটি ছিল একটি কোল্ড-ক্যাথোড [[ডায়োড]], যাফসফর-কোটেড স্ক্রীনের সাথে ক্রুকস টিউবের পরিবর্তনের মাধ্যমে সংঘটিত হতো। ''ব্রাউন টিউব'' ২০ শতকের দিকে টেলিভিশনের ভিত্তি হয়ে ওঠে। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Karl Ferdinand Braun|ইউআরএল=https://www.lindahall.org/about/news/scientist-of-the-day/karl-ferdinand-braun}}</ref> ১৯০৬ সালে [[জার্মান জাতি|জার্মান]] প্রফেসর ম্যাক্স ডিকম্যান একটি ক্যাথোড রশ্মি টিউব সফলভাবে একটি প্রদর্শনকারী যন্ত্র হিসাবে প্রকাশ করেছিলেন, তার পরীক্ষামূলক ফলাফল ১৯০৯ সালে ''[[সাইন্টিফিক আমেরিকান|সায়েন্টিফিক আমেরিকান]]'' জার্নাল দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল <ref name="Dieckmann-CRT">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Max Dieckmann|তারিখ=1909-07-24|শিরোনাম=The problem of television, a partial solution|ইউআরএল=http://www.nature.com/scientificamerican/journal/v68/n1751supp/pdf/scientificamerican07241909-61supp.pdf|পাতাসমূহ=61–62|doi=10.1038/scientificamerican07241909-61supp}}
</ref> ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের [[রয়েল সোসাইটি|রয়্যাল সোসাইটির]] সহযোগী অ্যালান আর্কিবল্ড ক্যাম্পবেল-সুইনটন বৈজ্ঞানিক [[নেচার|''জার্নাল'' নেচারে]] একটি চিঠি প্রকাশ করেন যাতে তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে [[ক্যাথোড রশ্মি নল]] (বা "ব্রাউন" টিউব) ব্যবহার করে ট্রান্সমিটিং ও রিসিভিং ডিভাইস হিসেবে "দূরবর্তী বৈদ্যুতিক চিত্র" দেখা যায়। <ref name="Swinton_DEV1">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Campbell-Swinton|প্রথমাংশ=A. A.|তারিখ=1908-06-18|শিরোনাম=Distant Electric Vision (first paragraph)|ইউআরএল=https://zenodo.org/record/1429503|পাতা=151|doi=10.1038/078151a0|doi-access=free}}
</ref> <ref name="Swinton_DEV2">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Campbell-Swinton|প্রথমাংশ=A. A.|তারিখ=1908-06-18|শিরোনাম=Distant Electric Vision|ইউআরএল=https://zenodo.org/record/1429503|পাতা=151|doi=10.1038/078151a0|doi-access=free}}
</ref> তিনি ১৯১১ সালে লন্ডনে প্রদত্ত একটি বক্তৃতায় তার দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেন এবং ''[[দ্য টাইমস]]'' <ref>"Distant Electric Vision", ''The Times'' (London), Nov. 15, 1911, p. 24b.</ref> ও ''রন্টজেন সোসাইটির জার্নালে'' রিপোর্ট করেন। <ref name="Swinton_Braid">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Bairdtelevision|শিরোনাম=Alan Archivald Campbell-Swinton (1863–1930)|ইউআরএল=http://www.bairdtelevision.com/swinton.html|সংগ্রহের-তারিখ=2010-05-10|ওয়েবসাইট=Biography}}
</ref> <ref name="Swinton-Rontgen">{{Harvp|Shiers|Shiers|1997|page=56}}</ref> ১৯২৬ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত ''[[নেচার|প্রকৃতির]]'' কাছে একটি চিঠিতে, ক্যাম্পবেল-সুইন্টন জিএম মিনচিন এবং জেসিএম স্ট্যান্টনের সাথে পরিচালিত কিছু "সামান্য সফল" গবেষণার ফলাফলও ঘোষণা করেছিলেন। তারা একটি সেলেনিয়াম-প্রলিপ্ত ধাতব প্লেটের উপর একটি চিত্র প্রদান করে একটি বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করার চেষ্টা করেছিল যা একই সাথে একটি ক্যাথোড রশ্মি দ্বারা স্ক্যান করা হয়েছিল। <ref name="Swinton_ET1">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Campbell-Swinton|প্রথমাংশ=A. A.|তারিখ=1926-10-23|শিরোনাম=Electric Television (abstract)|পাতা=590|doi=10.1038/118590a0|doi-access=free}}
</ref> <ref name="Burns-Swinton">{{Harvp|Burns|1998}}</ref> এই পরীক্ষাগুলি মার্চ ১৯১৪ সালে জিএম মিনচিনের মৃত্যুর পূর্বে করা হয়েছিল। <ref name="Minchin">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=G|প্রথমাংশ=R. A.|তারিখ=1914-04-02|শিরোনাম=Prof. G. M. Minchin, F.R.S.|ইউআরএল=https://zenodo.org/record/1429585|পাতাসমূহ=115–116|doi=10.1038/093115a0|doi-access=free}}
</ref> পরবর্তীতে ১৯৩৭ সালে [[ইএমআই]] থেকে এইচ. মিলার ও জেডব্লিউ স্ট্রেঞ্জ, <ref name="Miller-Strange">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Miller|প্রথমাংশ=H.|শেষাংশ২=Strange|প্রথমাংশ২=J. W.|তারিখ=1938-05-02|শিরোনাম=The electrical reproduction of images by the photoconductive effect|পাতাসমূহ=374–384|doi=10.1088/0959-5309/50/3/307}}
</ref> এবং আরসিএ থেকে এইচ. ল্যামস এবং এ. রোস দ্বারা দুটি ভিন্ন দল দ্বারা একই ধরনের পরিক্ষা করা হয়েছিল। <ref name="Iams-Rose-1937">
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Iams|প্রথমাংশ=H.|শেষাংশ২=Rose|প্রথমাংশ২=A.|তারিখ=August 1937|শিরোনাম=Television Pickup Tubes with Cathode-Ray Beam Scanning|পাতাসমূহ=1048–1070|doi=10.1109/JRPROC.1937.228423}}
</ref> উভয় দলই মূল ক্যাম্পবেল-সুইন্টনের সেলেনিয়াম-কোটেড প্লেটের সাথে "খুবই ক্ষীণ" চিত্র প্রেরণে সফল হয়েছিল। যদিও অন্যরা ক্যাথোড রশ্মি নলকে রিসিভার হিসেবে ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল, তবে এ দল দুটি এটিকে ট্রান্সমিটার হিসেবে ব্যবহার করেছিল, যে ধারণাটি অভিনব ছিল। <ref>Abramson, Albert, ''Zworykin, Pioneer of Television'', p. 16.</ref> জন বি. জনসন এবং ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিকের হ্যারি ওয়েনার ওয়েইনহার্ট হট ক্যাথোড (গরম ক্যাথোড) ব্যবহার করার জন্য প্রথম সিআরটি করেছিলেন এবং ১৯২২ সালে এটি একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই প্রারম্ভিক ইলেকট্রনিক ক্যামেরা টিউবগুলি (ইমেজ ডিসেক্টরের মতো) একটি খুব হতাশাজনক ও মারাত্মক ত্রুটির শিকার হয়েছিল। ত্রুটিটি হলো তারা যে বিষয়টি স্ক্যান করেছিল এবং প্রতিটি পয়েন্টে যা দেখা গিয়েছিল তা স্ক্যানিং সিস্টেমটি অতিক্রম করার সাথে সাথে কেবলমাত্র আলোর ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে দেখা গিয়েছিল। একটি ব্যবহারিক কার্যকরী ক্যামেরা টিউবের জন্য একটি ভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতির প্রয়োজন ছিল, যা পরে চার্জ - স্টোরেজ ক্যামেরা টিউব নামে পরিচিত হয়। এটি একটি নতুন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ১৯২৬ সালে হাঙ্গেরিতে আবিষ্কৃত ও পেটেন্টপ্রাপ্ত হয়েছিল, যা ১৯৩০ সালের দিকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও পরিচিত হয়েছিল <ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=v4QlDwAAQBAJ|শিরোনাম=The Electronics Revolution: Inventing the Future|শেষাংশ=J.B Williams|বছর=2017|প্রকাশক=[[Springer Nature]]|পাতা=29|আইএসবিএন=9783319490885}}</ref>

ট্রান্সমিটিং বা "ক্যামেরা" টিউব থেকে কম বৈদ্যুতিক আউটপুট হওয়ার ফলে আলোর প্রতি কম সংবেদনশীলতার সমস্যাটি ১৯২৪ সালের শুরুতে হাঙ্গেরীয় প্রকৌশলী কালমান তিহানি দ্বারা চার্জ-স্টোরেজ প্রযুক্তির প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। <ref name="IEC_Tihanyi">[http://www.iec.ch/about/history/techline/swf/temp.xml Kálmán Tihanyi (1897–1947)] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150924033236/http://www.iec.ch/about/history/techline/swf/temp.xml|তারিখ=September 24, 2015}}, ''IEC Techline'', International Electrotechnical Commission (IEC), 2009-07-15.</ref> ১৯২৬ সালে, তিহানি সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক স্ক্যানিং ও ডিসপ্লে উপাদানগুলি ব্যবহার করে এবং স্ক্যানিং (বা "ক্যামেরা") টিউবের মধ্যে "চার্জ স্টোরেজ" তত্ত ব্যবহার করে একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রণয়ন করেছিলেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=[[UNESCO|United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO)]]|শিরোনাম=Hungary – Kálmán Tihanyi's 1926 Patent Application 'Radioskop'|ইউআরএল=http://portal.unesco.org/ci/en/ev.php-URL_ID=23240&URL_DO=DO_TOPIC&URL_SECTION=201.html|সংগ্রহের-তারিখ=22 February 2008|ওয়েবসাইট=Memory of the World}}</ref> <ref name="US2133123" /> <ref name="US2158259" /> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=Bairdtelevision.com|শিরোনাম=Vladimir Kosma Zworykin, 1889–1982|ইউআরএল=http://www.bairdtelevision.com/zworykin.html|সংগ্রহের-তারিখ=17 April 2009}}</ref> তার যন্ত্রটি প্রতিটি স্ক্যানিং চক্র জুড়ে টিউবের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জ ("ফটোইলেক্ট্রন") জমাকারী একটি ক্যামেরা টিউব ছিল। ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে [[হাঙ্গেরি|হাঙ্গেরিতে]], রেডিওস্কপ নামের একটি টেলিভিশন সিস্টেম হিসেবে যন্ত্রটির প্রথম পেটেন্ট আবেদনে করা হয়েছিল। <ref name="Radioskop">[http://www.unesco.org/new/en/communication-and-information/flagship-project-activities/memory-of-the-world/register/full-list-of-registered-heritage/registered-heritage-page-4/kalman-tihanyis-1926-patent-application-radioskop/ "Kálmán Tihanyi's 1926 Patent Application 'Radioskop'"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121025055406/http://www.unesco.org/new/en/communication-and-information/flagship-project-activities/memory-of-the-world/register/full-list-of-registered-heritage/registered-heritage-page-4/kalman-tihanyis-1926-patent-application-radioskop/|তারিখ=October 25, 2012}}, ''Memory of the World'', United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization ([[জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা|UNESCO]]), 2005, retrieved 2009-01-29.</ref> ১৯২৮ সালের পেটেন্ট আবেদনে আরও পরিমার্জন করার পর, <ref name="IEC_Tihanyi" /> ১৯৩০ সালে ব্রিটেনে তিহানির পেটেন্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়, <ref name="abstract1928">[http://v3.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_V3&FT=D&date=19301111&CC=GB&NR=313456A&KC=A Tihanyi, Koloman, ''Improvements in television apparatus''] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20221204171044/https://worldwide.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_EP&FT=D&date=19301111&CC=GB&NR=313456A&KC=A|তারিখ=December 4, 2022}}. European Patent Office, Patent No. GB313456. Convention date UK application: 1928-06-11, declared void and published: 1930-11-11, retrieved: 2013-04-25.</ref> এবং তাই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও তার এ যন্ত্রটি ১৯৩১ সালে আরসিএ এর "আইকনোস্কোপ" এর নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৩৯ সালের মে পর্যন্ত তিহানির ট্রান্সমিটিং টিউবের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয় নি। তার রিসিভিং টিউবের পেটেন্ট পরবর্তী অক্টোবরে দেওয়া হয়েছিল। উভয় পেটেন্ট আরসিএ তাদের অনুমোদনের পূর্বে ক্রয় করে নেয়। <ref name="US2133123">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Patent US2133123 - Television apparatus|ইউআরএল=https://www.google.com/patents?id=FD8BAAAAEBAJ&dq=2,133,123|ইউআরএল-অবস্থা=dead|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130521051210/http://www.google.com/patents?id=FD8BAAAAEBAJ&dq=2,133,123|আর্কাইভের-তারিখ=May 21, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=December 11, 2015}}</ref> <ref name="US2158259">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Patent US2158259 - Television apparatus|ইউআরএল=https://www.google.com/patents?id=lx1mAAAAEBAJ&dq=2,158,259|ইউআরএল-অবস্থা=dead|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20130521062420/http://www.google.com/patents?id=lx1mAAAAEBAJ&dq=2,158,259|আর্কাইভের-তারিখ=May 21, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=December 11, 2015}}</ref> তিয়ানি-এর চার্জ স্টোরেজ ধারণাটি আজ অবধি টেলিভিশনের ইমেজিং ডিভাইসগুলির গঠনের মূল নীতি হিসাবে রয়ে গেছে। <ref name="Radioskop" />
[[File:Philo_Farnsworth_1924_yearbook.png|থাম্ব|১৯২৪ সালে ফিলো ফার্নসওয়ার্থ]]
২৫ ডিসেম্বর, ১৯২৬-এ, কেনজিরো তাকায়ানাগি জাপানের হামামাতসু ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাই স্কুলে একটি নিপকো ডিস্ক স্ক্যানার এবং [[ক্যাথোড রশ্মি নল|সিআরটি]] ডিসপ্লে স্থাপন করে ৪০-লাইন রেজোলিউশনের একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন।। <ref name="nhk.or.jp">[https://web.archive.org/web/20160101180643/http://www.nhk.or.jp/strl/aboutstrl/evolution-of-tv-en/p05/ ''Kenjiro Takayanagi: The Father of Japanese Television''], NHK (Japan Broadcasting Corporation), 2002, retrieved 2009-05-23.</ref> তবে তাকায়নাগি এটির পেটেন্টের জন্য আবেদন করেননি। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Milestones:Development of Electronic Television, 1924-1941|ইউআরএল=http://www.ieeeghn.org/wiki/index.php/Milestones:Development_of_Electronic_Television,_1924-1941|সংগ্রহের-তারিখ=December 11, 2015}}</ref>

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯২৭-এ, ফিলো ফার্নসওয়ার্থের ইমেজ ডিসেক্টর ক্যামেরা টিউব [[সান ফ্রান্সিস্কো|সান ফ্রান্সিসকোতে]] তার গবেষণাগারে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শন করে, যেটি ছিল সাধারণ সরল রেখা। <ref name="Postman">[https://web.archive.org/web/20000531100005/http://www.time.com/time/time100/scientist/profile/farnsworth.html Postman, Neil, "Philo Farnsworth"], ''The TIME 100: Scientists & Thinkers'', TIME.com, 1999-03-29, retrieved 2009-07-28.</ref> <ref name="sfmuseum">[http://www.sfmuseum.org/hist10/philo.html "Philo Taylor Farnsworth (1906–1971)"] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110622033654/http://www.sfmuseum.org/hist10/philo.html|তারিখ=June 22, 2011}}, ''The Virtual Museum of the City of San Francisco'', retrieved 2009-07-15.</ref> ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৮ সাল নাগাদ, ফার্নসওয়ার্থ প্রেসে প্রদর্শনের জন্য যথাযথভাবে সিস্টেমটি তৈরি করেছিলেন। এটিকে সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক টেলিভিশন প্রদর্শনী হিসেবে গণ্য করা হয়। <ref name="sfmuseum" /> ১৯২৯ সালে, টেলিভিশন সিস্টেমটিতে থাকা সবশেষ যান্ত্রিক অংশ মোটর জেনারেটর বাদ দিয়ে সিস্টেমটিকে আরও উন্নত করা হয়েছিল। <ref>Abramson, Albert, ''Zworykin, Pioneer of Television'', p. 226.</ref> সেই বছর, ফার্নসওয়ার্থ তার সিস্টেমে প্রথম জীবন্ত মানুষের ছবি প্রেরণ করেন। <ref>[http://db3-sql.staff.library.utah.edu/lucene/Manuscripts/null/Ms0648.xml/complete The Philo T. and Elma G. Farnsworth Papers] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20080422211543/http://db3-sql.staff.library.utah.edu/lucene/Manuscripts/null/Ms0648.xml/complete|তারিখ=April 22, 2008}}</ref>

[[File:Zworykin_kinescope_1929.jpg|থাম্ব|ভ্লাদিমির জোওরিকিন ইলেকট্রনিক টেলিভিশন প্রদর্শন করছেন (১৯২৯)]]
রুশ-মার্কিন উদ্ভাবক ভ্লাদিমির জোওরিকিনও ছবি তৈরি এবং প্রদর্শনের জন্য ক্যাথোড রশ্মি নল নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন। ১৯২৩ সালে ওয়েস্টিংহাউস ইলেকট্রিকের জন্য কাজ করার সময়, তিনি একটি ইলেকট্রনিক ক্যামেরা টিউব তৈরি করতে শুরু করেন। কিন্তু ১৯২৫ সালের একটি প্রদর্শনে, চিত্রটি ম্লান, কম বৈসাদৃশ্যপূর্ণ, নিম্নমানের এবং স্থির ছিল। <ref>Abramson, Albert, ''Zworykin, Pioneer of Television'', University of Illinois Press, 1995, p. 51. {{আইএসবিএন|0-252-02104-5}}.</ref>

১৯৩৩ সালে তিহানির চার্জ স্টোরেজ তত্ত্বের উপর নির্ভর করে আরসিএ একটি উন্নত ক্যামেরা টিউব প্রবর্তন করে। <ref name="NewYorkTimes">
{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.nytimes.com/1933/06/27/archives/humanlike-eye-made-by-engineers-to-televise-images-iconoscope.html|শিরোনাম=Human-like eye made by engineers to televise images. 'Iconoscope' converts scenes into electrical energy for radio transmission. Fast as a movie camera. Three million tiny photo cells 'memorize', then pass out pictures. Step to home television. Developed in ten years' work by Dr. V. K. Zworykin, who describes it at Chicago.|শেষাংশ=Lawrence, Williams L.|তারিখ=June 27, 1933|কর্ম=The New York Times|পাতা=1}}</ref> <ref>{{Harvp|Shiers|Shiers|1997}}</ref> ফার্নসওয়ার্থ একটি অনন্য "মাল্টিপ্যাক্টর" যন্ত্রের উদ্ভাবনের মাধ্যমে তার ইমেজ ডিসেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে এর কাজ শুরু করেছিলেন এবং ১৯৩১ সালে এটি প্রদর্শন করেছিলেন। <ref name="Everson1">{{Harvp|Everson|1949|pages=137–141}}</ref> এই ছোট টিউবটি একটি সংকেতের শক্তি ৬০ গুণ বা তার চেয়েও বেশি বাড়াতে পারে। <ref name="Everson2">{{Harvp|Everson|1949|page=139}}</ref> এটি ইলেকট্রনিক্সের সমস্ত ক্ষেত্রে দুর্দান্তভাবে কাজ করে। মাল্টিপ্যাক্টরের সাথে একটি সমস্যা ছিল যে, এটি একটি অসন্তোষজনক হারে জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। <ref name="Everson3">{{Harvp|Everson|1949|page=141}}</ref>

[[File:Bundesarchiv_Bild_183-K0917-501,_Prof._Manfred_v._Ardenne.jpg|ডান|থাম্ব|১৯৩৩ সালে [[মানফ্রেড ফন আর্ডেন|ম্যানফ্রেড ফন আরডেন]]]]
[[বার্লিন|বার্লিনে]] ১৯৩১ সালের আগস্টে বার্লিন রেডিও শোতে, [[মানফ্রেড ফন আর্ডেন|ম্যানফ্রেড ভন আরডেন]] জনসম্মুখে একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন। এটিতে ট্রান্সমিশন ও সংকেত গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই সিআরটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ছিল প্রথম কোনো সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক টেলিভিশন ট্রান্সমিশন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Manfred von Ardenne|ইউআরএল=https://www.vonardenne.biz/ja/company/history/manfred-von-ardenne/}}</ref> আর্ডেন ক্যামেরা টিউব তৈরি না করে স্লাইড ও ফিল্ম স্ক্যান করার জন্য একটি ফ্লাইং-স্পট স্ক্যানার হিসাবে সিআরটি ব্যবহার করেছিলেন। <ref>Albert Abramson, ''Zworykin: Pioneer of Television'', University of Illinois Press, 1995, p. 111.</ref> আরডেন ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৩ সালে তার প্রথম টেলিভিশন ছবির ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম হন।তারপরে ১৯৩৪ সালে তিনি পাবলিক টেলিভিশন পরিষেবার জন্য পরীক্ষা চালানো শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে, বার্লিনে বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী টেলিভিশন পরিষেবা চালু হয়েছিল। ফার্ন্সেসেন্ডার পল নিপকো স্টেশন দ্বারা বার্লিন থেকে সমগ্র জার্মানি জুড়ে [[১৯৩৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক|১৯৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের]] সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। <ref name="dw">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=[[Deutsche Welle]]|শিরোনাম=22.3.1935: Erstes Fernsehprogramm der Welt|ইউআরএল=http://www.kalenderblatt.de/index.php?what=thmanu&lang=de&manu_id=1737&sdt=20090322&maca=de-podcast_kalenderblatt-1086-xml-mrss|সংগ্রহের-তারিখ=27 July 2015}}</ref> <ref name="computer">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=22 March 2015|প্রকাশক=Computer Bild|শিরোনাম=Es begann in der Fernsehstube: TV wird 80 Jahre alt|ইউআরএল=http://www.computerbild.de/artikel/avf-News-Fernseher-Es-begann-in-der-Fernsehstube-TV-wird-80-Jahre-alt-11525963.html|ইউআরএল-অবস্থা=dead|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190121012410/https://www.computerbild.de/artikel/avf-News-Fernseher-Es-begann-in-der-Fernsehstube-TV-wird-80-Jahre-alt-11525963.html|আর্কাইভের-তারিখ=January 21, 2019|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2017}}</ref>

ফিলো ফার্নসওয়ার্থ ২৫ আগস্ট, ১৯৩৩ সালে [[ফিলাডেলফিয়া|ফিলাডেলফিয়ার]] ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউটে এবং তার পর দশদিনের জন্য একটি লাইভ ক্যামেরা ব্যবহার করে বিশ্বে প্রথমবারের মতো জনসাধারণর কাছে সর্ব-ইলেকট্রনিক টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন। <ref>"[https://books.google.com/books?id=yt8DAAAAMBAJ&pg=PA838 New Television System Uses 'Magnetic Lens'] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20221204171031/https://books.google.com/books?id=yt8DAAAAMBAJ&pg=PA838|তারিখ=December 4, 2022}}", ''Popular Mechanics'', Dec. 1934, p. 838–839.</ref> <ref name="Burns370">{{Harvp|Burns|1998}}</ref>

ব্রিটেনে আইজ্যাক শোয়েনবার্গের নেতৃত্বে [[ইএমআই]] প্রকৌশলী দল ১৯৩২ সালে একটি নতুন ডিভাইসের পেটেন্টের জন্য আবেদন করে, যাকে তারা "দ্য এমিট্রন" নাম দেয়। <ref name="GB406353">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Tedham|প্রথমাংশ=William F.|শেষাংশ২=McGee|প্রথমাংশ২=James D.|প্রকাশক=United Kingdom Intellectual Property Office|শিরোনাম=Improvements in or relating to cathode ray tubes and the like|ইউআরএল=http://v3.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_V3&FT=D&date=19340226&CC=GB&NR=406353A&KC=A|সংগ্রহের-তারিখ=2010-02-22|ওয়েবসাইট=Patent No. GB 406,353 (filed May 1932, patented 1934)}}</ref> <ref name="US2077442">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Tedham|প্রথমাংশ=William F.|শেষাংশ২=McGee|প্রথমাংশ২=James D.|প্রকাশক=United States Patent Office|শিরোনাম=Cathode Ray Tube|ইউআরএল=https://www.google.com/patents/about?id=BYNaAAAAEBAJ|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-10|ওয়েবসাইট=Patent No. 2,077,422 (filed in Great Britain 1932, filed in USA 1933, patented 1937)}}</ref> এটি [[ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন|বিবিসির]] জন্য ইএমআই-এর তৈরি করা প্রধান ক্যামেরা হয়ে ওঠে। ১৯৩৬ সালের নভেম্বরে, এমিট্রন ব্যবহার করে আলেকজান্দ্রা প্রাসাদের স্টুডিওতে ৪০৫-লাইনবিশিষ্ট টেলিভিশনের সম্প্রচার পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এটির সংকেত ভিক্টোরিয়ান ভবনের একটি টাওয়ারের উপরে একটি বিশেষভাবে নির্মিত একটি স্তম্ভ থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম সাধারণ হাই-ডেফিনিশন টেলিভিশন পরিষেবা। <ref name="Burns576">{{Harvp|Burns|1998}}</ref>

হাই ডেফিনিশন মেকানিক্যাল স্ক্যানিং সিস্টেমের তুলনায় আমেরিকান আইকনোস্কোপের শব্দের মান খারাপ ছিল, সিগন্যালে অধিক ত্রুটি ছিল এবং এটির ফলাফল হতাশাজনক ছিল। <ref name="Winstor-media">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=K_RpAAAAIAAJ&q=%22american+iconoscope%22+noisy|শিরোনাম=Misunderstanding media|শেষাংশ=Winston, Brian|বছর=1986|প্রকাশক=Harvard University Press|পাতাসমূহ=60–61|আইএসবিএন=978-0-674-57663-6|সংগ্রহের-তারিখ=2010-03-09}}</ref> <ref name="Winstor-history">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=TZOF_1GZRmYC&q=american+iconoscope+noisy+|শিরোনাম=Media technology and society. A history: from the telegraph to the Internet|শেষাংশ=Winston, Brian|বছর=1998|প্রকাশক=Routledge|পাতা=105|আইএসবিএন=978-0-415-14230-4|সংগ্রহের-তারিখ=2010-03-09}}</ref> আইজ্যাক শোয়েনবার্গের তত্ত্বাবধানে [[ইএমআই]] দল বিশ্লেষণ করেছিল যে কীভাবে আইকনোস্কোপ (বা এমিট্রন) একটি ইলেকট্রনিক সংকেত তৈরি করে। তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এর বাস্তব কার্যকারিতা তাত্ত্বিক সর্বাধিক কার্যের মাত্র ৫%। <ref name="Alexander">
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=qRhx3UmYBz0C&q=super+emitron|শিরোনাম=The inventor of stereo: the life and works of Alan Dower Blumlein|শেষাংশ=Alexander|প্রথমাংশ=Robert Charles|বছর=2000|প্রকাশক=Focal Press|পাতাসমূহ=217–219|আইএসবিএন=978-0-240-51628-8|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-10}}</ref> <ref name="Burns-Blumlein">
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=B2z2ONO7nBQC&q=blumlein+mcgee+cps+emitron+decelerating+zero|শিরোনাম=The life and times of A D Blumlein|শেষাংশ=Burns|প্রথমাংশ=R. W.|বছর=2000|প্রকাশক=IET|পাতা=181|আইএসবিএন=978-0-85296-773-7|সংগ্রহের-তারিখ=2010-03-05}}</ref> তারা ১৯৩৪ সালে সুপার-এমিট্রন এবং সিপিএস এমিট্রন নামে দুটি নতুন ক্যামেরা টিউব বিকাশ ও পেটেন্ট করে এই সমস্যার সমাধান করেছিল। <ref name="GB442666">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Lubszynski|প্রথমাংশ=Hans Gerhard|শেষাংশ২=Rodda|প্রথমাংশ২=Sydney|প্রকাশক=United Kingdom Intellectual Property Office|শিরোনাম=Improvements in or relating to television|ইউআরএল=http://v3.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_V3&FT=D&date=19360212&CC=GB&NR=442666A&KC=A|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15|ওয়েবসাইট=Patent No. GB 442,666 (filed May 1934, patented 1936)}}</ref> <ref name="GB446661">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Blumlein|প্রথমাংশ=Alan Dower|শেষাংশ২=McGee|প্রথমাংশ২=James Dwyer|প্রকাশক=United Kingdom Intellectual Property Office|শিরোনাম=Improvements in or relating to television transmitting systems|ইউআরএল=http://v3.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_V3&FT=D&date=19360504&CC=GB&NR=446661A&KC=A|সংগ্রহের-তারিখ=2010-03-09|ওয়েবসাইট=Patent No. GB 446,661 (filed August 1934, patented 1936)}}</ref> <ref name="GB446664">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=McGee|প্রথমাংশ=James Dwyer|প্রকাশক=United Kingdom Intellectual Property Office|শিরোনাম=Improvements in or relating to television transmitting systems|ইউআরএল=http://v3.espacenet.com/publicationDetails/biblio?DB=EPODOC&adjacent=true&locale=en_V3&FT=D&date=19360505&CC=GB&NR=446664A&KC=A|সংগ্রহের-তারিখ=2010-03-09|ওয়েবসাইট=Patent No. GB 446,664 (filed September 1934, patented 1936)}}</ref> সুপার-ইমিট্রন পুর্বের এমিট্রন ও আইকনোস্কোপ টিউবগুলির তুলনায় দশ থেকে পনের গুণ বেশি সংবেদনশীল ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে এই অনুপাতটি যথেষ্ট বেশি ছিল। <ref name="Alexander" /> এটি সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালের যুদ্ধবিরতি দিবসে বিবিসি দ্বারা বৈশ্বিক সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। <ref name="Alexander2">
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=qRhx3UmYBz0C&q=emitron+cenotaph+armistice|শিরোনাম=The inventor of stereo: the life and works of Alan Dower Blumlein|শেষাংশ=Alexander|প্রথমাংশ=Robert Charles|বছর=2000|প্রকাশক=Focal Press|পাতাসমূহ=216|আইএসবিএন=978-0-240-51628-8|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-10}}</ref> ১৯৩৯ সালে [[নিউ ইয়র্ক শহর|নিউ ইয়র্কে]] প্রথমবারের মতো অপর একটি ভবনের ছাদে স্থাপিত ক্যামেরা থেকে সরাসরি একটি রাস্তার দৃশ্য সম্প্রচার করা সম্ভব হয়।
[[File:1939_RCA_Television_Advertisement.jpg|বাম|থাম্ব|১৯৩৯ সালে আরসিএ দ্বারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে পরীক্ষামূলক টেলিভিশন সম্প্রচারের শুরুর বিজ্ঞাপন]]
অন্যদিকে, ১৯৩৪ সালে, জোওরিকিন জার্মান লাইসেন্সধারী কোম্পানি টেলিফুঙ্কেনের সাথে কিছু পেটেন্ট অধিকার ভাগ করে নেয়। <ref name="Inglis">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=xiu4AAAAIAAJ&q=image-iconoscope+telefunken|শিরোনাম=Behind the tube: a history of broadcasting technology and business|শেষাংশ=Inglis|প্রথমাংশ=Andrew F.|বছর=1990|প্রকাশক=Focal Press|পাতা=172|আইএসবিএন=978-0-240-80043-1|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15}}</ref> তারা যৌথ সহযোগিতায় "ইমেজ আইকনোস্কোপ" (জার্মানিতে "সুপারিকোনোস্কোপ") তৈরি করতে সক্ষম হন। এই টিউবটি মূলত সুপার-ইমিট্রনের অনুরূপ।
[[Category:Articles with unsourced statements from May 2010]]
ইউরোপে সুপার-ইমিট্রন এবং ইমেজ আইকনোস্কোপের উৎপাদন এবং বাণিজ্যিকীকরণ জোওরিকিন ও ফার্নসওয়ার্থের মধ্যে পেটেন্ট যুদ্ধের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, কারণ ডায়কম্যান এবং হেল একটি পেটেন্ট জমা দিয়ে চিত্র বিচ্ছেদক আবিষ্কারের জন্য জার্মানিতে অগ্রাধিকার পেয়েছিলেন। ইমেজ আইকনোস্কোপ (সুপারিকোনোস্কোপ) ১৯৩৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ইউরোপে পাবলিক সম্প্রচারের জন্য মানসম্পন্ন যন্ত্র হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এটির বিকল্প হিসেবে ভিডিকন এবং প্লাম্বিকন টিউব প্রকাশিত হয়। জার্মান কোম্পানি হেইম্যান ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিক গেমসের জন্য সুপারিকোনোস্কোপ তৈরি করেছিল, <ref name="Heimann1">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Gittel|প্রথমাংশ=Joachim|তারিখ=2008-10-11|প্রকাশক=Jogis Röhrenbude|শিরোনাম=Spezialröhren|ইউআরএল=http://www.jogis-roehrenbude.de/Roehren-Geschichtliches/Spezialroehren/Spezialroehren.htm|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15|ওয়েবসাইট=photographic album}}</ref> <ref name="ETM">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|প্রকাশক=Early Television Foundation and Museum|শিরোনাম=TV Camera Tubes, German "Super Iconoscope" (1936)|ইউআরএল=http://www.earlytelevision.org/prewar_camera_tubes.html|ইউআরএল-অবস্থা=dead|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110617080126/http://www.earlytelevision.org/prewar_camera_tubes.html|আর্কাইভের-তারিখ=June 17, 2011|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15|ওয়েবসাইট=photographic album}}</ref> পরবর্তীতে হেইম্যান ১৯৪০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এটি তৈরি ও বাণিজ্যিকীকরণ করেছিলেন, <ref name="Heimann2">
{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Gittel|প্রথমাংশ=Joachim|তারিখ=2008-10-11|প্রকাশক=Jogis Röhrenbude|শিরোনাম=FAR-Röhren der Firma Heimann|ইউআরএল=http://www.jogis-roehrenbude.de/Roehren-Geschichtliches/Spezialroehren/Ikonoskop_Heimann/Heimann.htm|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15|ওয়েবসাইট=photographic album}}</ref> অবশেষে ডাচ কোম্পানি [[ফিলিপস]] ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে ইমেজ আইকনোস্কোপ এবং মাল্টিকন তৈরি এবং বাণিজ্যিকীকরণ করে। <ref name="Multicon" /> <ref name="Philips">
{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.jogis-roehrenbude.de/Roehren-Geschichtliches/Spezialroehren/Ikonoskop_Heimann/5854_Philips_Iconoscop-1958.pdf|শিরোনাম=electronic tube handbook|বছর=1958|প্রকাশক=Philips|অধ্যায়=5854, Image Iconoscope, Philips|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20060903223404/http://www.jogis-roehrenbude.de/Roehren-Geschichtliches/Spezialroehren/Ikonoskop_Heimann/5854_Philips_Iconoscop-1958.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=2006-09-03|ইউআরএল-অবস্থা=live|সংগ্রহের-তারিখ=2010-01-15}}</ref>

সেই সময়ে আমেরিকান টেলিভিশন সম্প্রচারে বিস্তৃত আকারের বিভিন্ন বাজার ছিল। সেগুলো প্রোগ্রামিং এবং আধিপত্যের জন্য বিরল ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। ১৯৪১ সালে একটি চুক্তি করা হয়েছিল এবং এর ভিত্তিতে প্রতিযোগী পক্ষগুলো একত্রিত হয়। <ref name="Everson4">{{Harvp|Everson|1949}}</ref> উদাহরণস্বরূপ, আরসিএ, নিউ ইয়র্ক এলাকায় শুধুমাত্র আইকনোস্কোপ ব্যবহার করেছিল, কিন্তু ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতে ফার্নসওয়ার্থ ইমেজ ডিসেক্টর ব্যবহার করেছে। <ref name="TheHistoryofTV2">{{Harvp|Abramson|1987}}</ref> ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে, আরসিএ ফার্নসওয়ার্থের পেটেন্ট প্রাপ্তির জন্য ফার্নসওয়ার্থ টেলিভিশন এবং রেডিও কর্পোরেশনের রাজস্ব পরবর্তী দশ বছরে পরিশোধ করতে সম্মত হয়। <ref name="Schatzkin187-8">Schatzkin, Paul (2002), ''The Boy Who Invented Television''. Silver Spring, Maryland: Teamcom Books, pp. 187–8. {{আইএসবিএন|1-928791-30-1}}.</ref> এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে, আরসিএ তাদের সিস্টেমে ফার্নসওয়ার্থ প্রযুক্তির সবচেয়ে ভালো জিনিসগুলোকে একীভূত করে। <ref name="TheHistoryofTV2" /> ১৯৪১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫২৫-লাইনবিশিষ্ট টেলিভিশন আবিস্কার করেছিল। <ref>"Go-Ahead Signal Due for Television", ''The New York Times'', April 25, 1941, p. 7.</ref> <ref>"An Auspicious Beginning", ''The New York Times'', August 3, 1941, p. X10.</ref>

বিশ্বের প্রথম ৬২৫-লাইনবিশিষ্ট মানসম্পন্ন টেলিভিশন ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৯৪৬ সালে এটি জাতীয়করণ ওঠে। <ref name="60TH_ANNIVERSARY_OF_625">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ভাষা=Russian|শিরোনাম=On the beginning of broadcast in 625 lines 60 years ago|ইউআরএল=http://625.625-net.ru/files/587/511/h_665921be9883776271895912fb8bb262|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160304131236/http://625.625-net.ru/files/587/511/h_665921be9883776271895912fb8bb262|আর্কাইভের-তারিখ=March 4, 2016|ওয়েবসাইট=625 magazine}}</ref> ৬২৫-লাইন স্ট্যান্ডার্ডে প্রথম সম্প্রচার ১৯৪৮ সালে মস্কোতে হয়েছিল। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=Spring 1993|শিরোনাম=M.I. Krivocheev – an engineer's engineer|ইউআরএল=http://www.ebu.ch/en/technical/trev/trev_255-portrait.pdf|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20041230091501/http://www.ebu.ch/en/technical/trev/trev_255-portrait.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=2004-12-30|ওয়েবসাইট=EBU Technical Review}}</ref> প্রতি ফ্রেমে ৬২৫ লাইনের ধারণাটি পরবর্তীকালে ইউরোপীয় সিসিআইআর স্ট্যান্ডার্ডে প্রয়োগ করা হয়েছিল। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=February 21, 2007|শিরোনাম=In the Vanguard of Television Broadcasting|ইউআরএল=http://cra.ir/FTD/Static/RRC/RRCFile10.pdf|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070221210300/http://cra.ir/FTD/Static/RRC/RRCFile10.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=February 21, 2007}}</ref>

১৯৩৬ সালে, কালমান তিহানি প্রথম [[সমতল ছবির পর্দা|ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপ্লে]] সিস্টেম "প্লাজমা ডিসপ্লের"নীতি বর্ণনা করেন। <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=IEEE Johnstown – Analog to Digital Television Transition Trivia Challenge|ইউআরএল=http://ewh.ieee.org/r2/johnstown/downloads/20090217_IEEE_JST_Trivia_Answers.pdf|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110605125905/http://ewh.ieee.org/r2/johnstown/downloads/20090217_IEEE_JST_Trivia_Answers.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=June 5, 2011}}</ref> <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Kalman Tihanyi's plasma television, invented in the 1930s|ইউআরএল=http://www.scitech.mtesz.hu/52tihanyi/flat-panel_tv_en.pdf|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070702200523/http://www.scitech.mtesz.hu/52tihanyi/flat-panel_tv_en.pdf|আর্কাইভের-তারিখ=July 2, 2007}}</ref>

১৯৭৮ সালে, জেমস পি. মিচেল, সম্ভাব্য প্রাথমিক সময়ের একরঙা ফ্ল্যাট প্যানেল [[এলইডি ডিসপ্লে]] প্রোটোটাইপ ও প্রদর্শন করেন। এটির সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিল আরসিএ-কে প্রতিস্থাপন করা।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}

০৯:২২, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

একটি পরিবার টিভি দেখছে (১৯৫৮)

টেলিভিশনের ধারণা ১৯ শতকের শেষের দিকে এবং ২০ শতকের প্রথম দিকে একাধিক ব্যক্তির কাজের মাধ্যমে এসেছে। রেডিও সিস্টেমে চলনশীল চিত্রের প্রথম ব্যবহারিক ট্রান্সমিশনটি যান্ত্রিক ঘূর্ণায়মান ছিদ্রযুক্ত ডিস্ক ব্যবহার করে একটি দৃশ্যকে সময়-পরিবর্তনশীল সংকেতে স্ক্যান করে চিত্রিত করা হয়েছিল, যা মূল চিত্রের অনুমানের ভিত্তিতে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে টেলিভিশনের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ছবি স্ক্যান করার ও প্রদর্শনের সর্ব-ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিগুলি আধুনিক হতে থাকে।

কারিগরিভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সংকেত মান ব্যবহার করে বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে প্রেরিত চিত্রগুলিতে রঙ যোগ করার জন্য বেশ কয়েকটি ভিন্ন মান তৈরি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টেলিভিশন সম্প্রচার দ্রুত সম্প্রসারিত হয়, যা বিজ্ঞাপন, প্রচার ও বিনোদনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম হয়ে ওঠে।[১]

টেলিভিশন সম্প্রচারগুলি সম্প্রচার কেন্দ্র থেকে ভিএইচএফ এবং ইউএইচএফ রেডিও সিগন্যাল দ্বারা, পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী উপগ্রহ থেকে মাইক্রোওয়েভ সংকেত দ্বারা, বা কেবল টিভির মাধ্যমে পৃথক গ্রাহকদের কাছে তারযুক্ত ট্রান্সমিশন দ্বারা পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। অনেক দেশ বর্তমানে মূল এনালগ রেডিও ট্রান্সমিশন পদ্ধতি থেকে দূরে সরে গেছে এবং এখন ডিজিটাল টেলিভিশন মান ব্যবহার করে। কিছু দেশ অতিরিক্ত সম্প্রচার বৈশিষ্ট্য প্রদান ও আরও লাভজনক সেবা প্রদানের জন্য রেডিও স্পেকট্রাম ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে। টেলিভিশন প্রোগ্রামিং ইন্টারনেটের মাধ্যমেও প্রেরণ করা যেতে পারে।

টেলিভিশন সম্প্রচারকারীরা সাধারণত বিজ্ঞাপনের অর্থ দ্বারা আয় করে এবং কিছু দেশে গ্রাহকদের থেকে লাইসেন্স ফি নিয়ে অর্থায়িত হয়। কিছু পরিষেবা, বিশেষত কেবল বা স্যাটেলাইট দ্বারা বাহিত পরিষেবাগুলো, অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সদস্যতার দ্বারা অর্থায়িত হয়।

টেলিভিশন সম্প্রচার অব্যাহত প্রযুক্তিগত উন্নয়ন যেমন দীর্ঘ দূরত্বের মাইক্রোওয়েভ নেটওয়ার্ক দ্বারা সমর্থিত, যা বিস্তৃত ভৌগলিক এলাকায় প্রোগ্রামিং বিতরণের উপযুক্ত। ভিডিও ধারণ পদ্ধতিতে প্রোগ্রামিং সম্পাদনা এবং পরবর্তী ব্যবহারের জন্য পুনরায় সেটি চালানো হয়। ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু প্রদর্শন পদ্ধতির সীমাবদ্ধতার কারণে ভোক্তাদের কাছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।

যান্ত্রিক টেলিভিশন

১৯ শতকের গোড়ার দিকে ফ্যাকসিমাইল ট্রান্সমিশন সিস্টেমের মাধ্যমে যান্ত্রিকভাবে গ্রাফিক্স স্ক্যান করার পদ্ধতির সূচনা হয়। স্কটিশ উদ্ভাবক আলেকজান্ডার বেইন ১৮৪৩ থেকে ১৮৪৬ সালের মধ্যে ফ্যাসিমাইল মেশিন আবিষ্কার করেছিলেন। ইংরেজ পদার্থবিদ ফ্রেডরিক বেকওয়েল ১৮৫১ সালে এটির একটি কার্যকরী পরীক্ষামূলক সংস্করণ প্রদর্শন করেন। টেলিগ্রাফ লাইনে কাজ করা প্রথম ব্যবহারিক ফ্যাকসিমাইল সিস্টেমটি ১৮৫৬ সালে ইতালীয় ধর্মযাজক জিওভান্নি ক্যাসেলি দ্বারা বিকশিত এবং ব্যবহার করা হয়েছিল।[২][৩][৪]

ইংরেজ বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী উইলবি স্মিথ, ১৮৭৩ সালে সেলেনিয়াম মৌলের ফটোকন্ডাক্টিভিটি আবিষ্কার করেন। এটি ১৮৯৫ সালের প্রথম দিকে ফোন লাইনের মাধ্যমে স্থির ছবি পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে পরিচিত টেলিফটোগ্রাফির দ্বার উন্মোচিত করে দেয়। তারপর ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ক্যানিং ডিভাইস এবং শেষ পর্যন্ত টিভি ক্যামেরার আবির্ভাব ঘটে। এগুলো স্থির এবং চলনশীল উভয় ধরনের চিত্র গ্রহণে সক্ষম ছিল।

নিপকো ডিস্ক

২৩ বছর বয়সী জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পল জুলিয়াস গটলিব নিপকো ১৮৮৪ সালে বার্লিনে নিপকো ডিস্কের সাথে পরিচিত করিয়েছিলেন।[৫] এটিতে একটি স্পিনিং ডিস্ক যার মধ্যে একটি সর্পিল আকারের গর্ত রয়েছে। এর প্রতিটি গর্ত চিত্রটির প্রতিটি অংশ স্ক্যান করে। তবে তিনি কখনই এই যন্ত্রটির কোনো কার্যকরী মডেল তৈরি করতে পারেন নি।[৫] কনস্ট্যান্টিন পারস্কি ২৪ আগস্ট, ১৯০০ সালে প্যারিসের বিশ্ব মেলায় আন্তর্জাতিক বিদ্যুৎ কংগ্রেসের একটি কাগজে টেলিভিশন শব্দটি আবিষ্কার করেছিলেন। পারস্কির এই শব্দটি ইলেক্ট্রোমেকানিকাল প্রযুক্তি পর্যালোচনা করে এবং নিপকো ও অন্যান্যদের কাজের উল্লেখ করে উদ্ভুত হয়েছিল।[৬]

ইমেজ ট্রান্সমিশনের (ছবি প্রেরণ) প্রথম প্রদর্শন করেছিলেন অগাস্টো বিসিরি। তিনি ১৯০৬ সালে একটি ফোটোগ্রাফ ছবি এক ঘর থেকে আরেক ঘরে প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯১৭ সালে, বেশ কয়েকটি স্বাধীন উদ্ভাবকের অন্যান্য সফল প্রচেষ্টার পরে, তিনি লন্ডন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি চিত্র প্রেরণ করে প্রদর্শন করেন।

১৯০৯ সালে জর্জেস রিগনাক্স এবং এ. ফোর্নিয়ার দ্বারা প্যারিসে প্রথমবারের মতো তাৎক্ষণিক ছবির ট্রান্সমিশন প্রদর্শিত হয়েছিল। যান্ত্রিক কমিউটারের সাথে পৃথকভাবে তার দ্বারা যুক্ত ৬৪টি সেলেনিয়াম কোষের একটি ম্যাট্রিক্স, বৈদ্যুতিন রেটিনা হিসাবে কাজ করে। রিসিভারে, এক ধরণের কের সেল থাকে যা আলোকে রূপান্তর করে এবং একটি ঘূর্ণায়মান ডিস্কের প্রান্তে সংযুক্ত কয়েকটি কোণীয় আয়না ডিসপ্লে স্ক্রিনে রূপান্তরিত বিমটিকে স্ক্যান করে। একটি পৃথক সার্কিট এগুলোর ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধারণার প্রমাণ হিসেবে ৮×৮ পিক্সেল রেজোলিউশনের বর্ণমালার পৃথক অক্ষরগুলি স্পষ্টভাবে প্রেরণ করা হয়েছিল। একটি চিত্র হালনাগাদ করে প্রতি সেকেন্ডে "বেশ কয়েকবার" প্রেরণ করে চলনশীলের অনুরূপ চিত্র নির্মিত হয়েছিল।[৭]

১৯১১ সালে, বরিস রোজিং ও তার ছাত্র ভ্লাদিমির জোওরিকিন একটি সিস্টেম তৈরি করেছিলেন যা একটি যান্ত্রিক মিরর-ড্রাম স্ক্যানার ব্যবহার করে। জোওরিকিনের ভাষায়, এটি তারের উপর দিয়ে "ব্রান টিউব" রিসিভারে সঞ্চালন করে। স্ক্যানারে, "সংবেদনশীলতা যথেষ্ট ছিল না এবং সেলেনিয়াম কোষটি খুব পিছিয়ে ছিল" বলে চিত্রগুলিকে চলনশীল করে তোলা সম্ভব ছিল না।[৮]

১৯১৪ সালের মে মাসে, আর্কিবল্ড লো লন্ডনের অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তার টেলিভিশন সিস্টেমের প্রথম প্রদর্শনী করেন। তিনি তার সিস্টেমকে 'টেলিভিস্তা' নাম দেন। এটি বিশ্বব্যাপী পত্রিকায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল এবং এগুলোকে বেতারের মাধ্যমে দেখা শিরোনামে প্রকাশ করা হয়েছিল। এই ঘটনাগুলো হ্যারি গর্ডন সেলফ্রিজকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে ১৯১৪ সালের বৈজ্ঞানিক ও বৈদ্যুতিক প্রদর্শনীতে টেলিভিস্তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।[৯][১০] আর্কিবল্ড লো-এর উদ্ভাবনে একটি ম্যাট্রিক্স ডিটেক্টর (ক্যামেরা) এবং একটি মোজাইক স্ক্রিন (রিসিভার/ভিউয়ার) ব্যবহার করা হয়েছে। এটিতে একটি বিদ্যুৎ-যান্ত্রিক (ইলেকট্রোমেকানিকাল) স্ক্যানিং যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে, যা একটি ঘূর্ণয়মান রোলারকে সেলের সাথে সংযুক্ত করে ক্যামেরাকে বিভিন্ন সংকেত প্রদান করে। রিসিভারেও একটি অনুরূপ রোলার রয়েছে। দুটি রোলার একই সময়ে কাজ করে। এটি ২০ শতকের অন্যান্য টিভি সিস্টেমের বিপরীত ছিল। কিছু ক্ষেত্রে, আধুনিক ডিজিটাল টিভির ৮০ বছর আগে লো-এর কাছে একটি ডিজিটাল টিভি সিস্টেম ছিল। লন্ডনে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছড়িয়ে পরার পর আর্কিবল্ড লো সংবেদনশীল সামরিক কাজে জড়িত হন এবং তাই তিনি ১৯১৭ সাল পর্যন্ত পেটেন্টের কাজ করেননি। "আলোকিক চিত্রের উন্নত বৈদ্যুতিক যন্ত্র" শিরোনামে তার "টেলিভিস্তা" (পেটেন্ট নং ১৯১,৪০৫) অবশেষে ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এটির প্রকাশ সম্ভবত নিরাপত্তার কারণে বিলম্বিত হতে পারে। পেটেন্টে বলা হয়েছে যে স্ক্যানিং রোলারটিতে বিন্যস্ত প্রতিটি সারিতে সেলের সাথে সম্পর্কিত পরিবাহী একটি সারি আছে এবং রোলারটি ঘোরানোর সাথে সাথে প্রতিটি সেলের নমুনা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। রিসিভারের রোলারটিও একইভাবে তৈরি করা হয়েছিল। লুপসের রিপোর্টে জানানো হয়, "রিসিভারটি স্টিলের পাতলা স্ল্যাটের মধ্য দিয়ে সমবর্তিত আলোর উত্তরণ দ্বারা চালিত বেশ কয়েকটি সেল দিয়ে গঠিত। রিসিভারের বস্তুটি এবং রোলারটি একটি মোটর দ্বারা চালিত হয়। প্রতি মিনিটে ৩,০০০ আবর্তন এবং আলোর ফলস্বরূপ বৈচিত্রময় আলোকরশ্মি একটি সাধারণ পরিবাহী তারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় এবং ট্রান্সমিটারটি এই আলোকে একটি চিত্র হিসেবে রূপান্তর করে। পেটেন্টে বলা হয়েছে "প্রতিটি... স্থানের মধ্যে আমি একটি সেলেনিয়াম সেল স্থাপন করেছি"। একটি তরল অস্তরক সেলগুলো ঢেকে রাখা হয়। রোলারটি বিন্যস্ত সারির উপর দিয়ে ঘুরার সময় এই মাধ্যমের মাধ্যমে প্রতিটি সেলের সাথে সংযুক্ত থাকে। লো বলেন, সিস্টেমের প্রধান ঘাটতি হল আলোক তরঙ্গকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য ব্যবহৃত সেলেনিয়াম কোষ, এটি খুব ধীরে কাজ করে যার ফলে অনেকসময় এই প্রক্রিয়ার প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়।

১৯২৪ সালের আবিস্কারগুলো সংবাদমাধ্যমের অনেক আগ্রহ অর্জন করেছিল।

১৯২৭ সালে, রোনাল্ড ফ্র্যাঙ্ক টিল্টম্যান লু-কে নিজের বইয়ের ভূমিকা লিখতে বলেছিলেন। সেখানে তিনি লো-এর কাজকে স্বীকার করেছিলেন।[১১] পরবর্তীতে তার ১৯৩৮ সালের পেটেন্ট লো-এর মাধ্যমে একটি উত্তাপযুক্ত স্তরে সিজিয়াম ধাতু জমা করার প্রক্রিয়া দ্বারা অর্জিত একটি অনেক বড় 'ক্যামেরা' সেলের ঘনত্ব তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন যা পরবর্তীকালে সেলগুলিতে বিভক্ত করার জন্য আলাদা করা হয়েছিল। এটি বর্তমান প্রযুক্তির মূল অংশ। তবে লো-এর সিস্টেমটি বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত প্রতিফলিত আলোর দ্বারা একটি চিত্র পুনরুৎপাদন করতে এবং একই সাথে আলো এবং ছায়ার ক্রমবিন্যাস চিত্রিত করতে অক্ষমতার কারণে। পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে, এই ধরনের অনেক ধারণা কয়েক দশক পরে কার্যকর হয়, কিন্তু সেই সময়ে এটি অবাস্তব ছিল।

জন লগি বেয়ার্ড ১৯২৫ সালে তার টেলিভিশন সরঞ্জাম এবং ডামি "জেমস" এবং "স্টুকি বিল"-এর (ডানদিকে) সাথে।

১৯২৩ সালে, স্কটিশ উদ্ভাবক জন লগি বেয়ার্ড নিপকো ডিস্ককে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সম্পূর্ণ টেলিভিশন সিস্টেমের বিষয়ে কল্পনা করেছিলেন। সে সময় নিপকোর একটি পেটেন্ট ছিল, যা সেই সময়ে মোটেই স্পষ্ট ছিল না। গুরুতর অসুস্থতা থেকে মুক্ত হয়ে, তিনি হেস্টিংসে তার প্রথম প্রোটোটাইপ তৈরি করেছিলেন। ১৯২৪ সালের শেষের দিকে, বেয়ার্ড তার পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য লন্ডনে ফিরে আসেন। ২৫ মার্চ, ১৯২৫ তারিখে, বেয়ার্ড লন্ডনের সেলফ্রিজ ডিপার্টমেন্ট স্টোরে টেলিভিশনে প্রচারিত সিলুয়েট চিত্রগুলির প্রথম প্রকাশ্য প্রদর্শন করেছিলেন।[১২] যেহেতু সেই সময়ে মানুষের মুখগুলিতে সিস্টেমে দেখানোর জন্য পর্যাপ্ত পার্থক্য ছিল না, তাই তিনি ১৯২৫ সালের মাঝামাঝি কাট-আউটগুলি টেলিভিশনে প্রচার করার জন্য মায়াস্বরের একটি বিচিত্রময় প্রতীকী চেহারা তৈরি করেন, যার নাম দেওয়া হয়েছিল "স্টুকি বিল"। "স্টুকি বিল" পরীক্ষায় ব্যবহৃত আলোর বিপরীত দিকের অন্ধকার স্তরের সামনে দীর্ঘ সময় স্থির থাকতে পেরেছিল। ২ শে অক্টোবর, ১৯২৫-এ, হঠাৎ প্রতীকী চেহারার মাথাটি অবিশ্বাস্য স্পষ্ট হয়ে পর্দায় আসে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯২৬-এ, তিনি যন্ত্রের মধ্যে রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের ৪০ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে বাস্তব মানুষের মুখের চিত্র প্রদর্শন করেছিলেন। এটি বিশ্বের প্রথম পাবলিক টেলিভিশন প্রদর্শনী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। বেয়ার্ডের সিস্টেম চিত্রটি স্ক্যান ও প্রদর্শন উভয়ের জন্য নিপকো ডিস্ক ব্যবহার করেছিল। একটি উজ্জ্বল আলোকিত উপাদান লেন্স সহ ঘূর্ণায়মান নিপকো ডিস্কের সামনে স্থাপন করা হয়েছিল যা একটি স্থির ফটোসেল জুড়ে চিত্রগুলিকে সুইপ করে। ধারণা করা হয় যে এটি একটি থ্যালিয়াম সালফাইড (থ্যালোফাইড) কোষ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থিওডোর কেস দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, যা উক্ত উপাদান থেকে প্রতিফলিত আলোকে সনাক্ত করে। এটিকে রেডিও দ্বারা একটি রিসিভার ইউনিটে প্রেরণ করা হয়েছিল, যেখানে ভিডিও সংকেতটি প্রথমটির সাথে সমানভাবে চলা অনুরূপ নিপকো ডিস্কের পিছনে একটি নিয়ন বাল্বে প্রয়োগ করা হয়েছিল। নিয়ন বাল্বের উজ্জ্বলতা চিত্রের প্রতিটি স্তরের উজ্জ্বলতার অনুপাতে ভিন্ন ছিল। ডিস্কের প্রতিটি লেন্স পাশ দিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ছবির একটি স্ক্যান লাইন পুনরুৎপাদন করা হয়েছিল। বেয়ার্ডের ডিস্কে ১৬টি লেন্স ছিল, তবুও অন্যান্য ডিস্কগুলির সাথে একত্রে ৩২টি স্ক্যান-লাইন সহ চলমান চিত্র তৈরি করা হয়েছিল, যা একটি মানুষের মুখ স্পষ্ট করে ফুটিয়ে তুলতে যথেষ্ট। তিনি প্রতি সেকেন্ডে পাঁচ ফ্রেম-রেট দিয়ে শুরু করেছিলেন, যা ক্রমান্বয়ে প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ১২ ফ্রেম এবং ৩০টি স্ক্যান-লাইন অনুপাতে বৃদ্ধি পায়।

১৯২৭ সালে, বেয়ার্ড ৪৩৮ মাইল (৭০৫ কিমি) লন্ডন এবং গ্লাসগোর মধ্যে টেলিফোন লাইনের মধ্যে সংকেত প্রেরণ করেন। ১৯২৮ সালে, বেয়ার্ডস কোম্পানি (বেয়ার্ড টেলিভিশন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি/সিনেমা টেলিভিশন) লন্ডন এবং নিউ ইয়র্কের মধ্যে প্রথম আটলান্টিকের ওপারে টেলিভিশন সংকেত পাঠায় এবং প্রথমে জাহাজে সম্প্রচার সংকেত পাঠানো সম্ভব হয়। ১৯২৯ সালে, তিনি জার্মানিতে প্রথম পরীক্ষামূলক যান্ত্রিক টেলিভিশন পরিষেবা চালু হয়। একই বছরের নভেম্বরে, পেথে কোম্পানির বেয়ার্ড এবং বার্নার্ড নাতান ফ্রান্সের প্রথম টেলিভিশন কোম্পানি, টেলেভিশন-বেয়ার্ড-নাতান প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩১ সালে, তিনি একটি ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো আউটডোর রিমোট সম্প্রচার করেন।[১৩] ১৯৩২ সালে, তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গের টেলিভিশন প্রদর্শন করেন। বেয়ার্ড টেলিভিশন লিমিটেডের যান্ত্রিক সিস্টেমগুলি কোম্পানির ক্রিস্টাল প্যালেস স্টুডিওতে ২৪০ লাইনের রেজোলিউশনের শীর্ষে পৌঁছেছিল। পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে বিবিসি টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে। তবে অ্যাকশন চিত্রের জন্য (একজন উপস্থাপকের বিপরীতে) যান্ত্রিক সিস্টেম সরাসরি টেলিভিশনের দৃশ্য স্ক্যান করেনি। পরিবর্তে, একটি ১৭.৫এমএম ছবি চিত্রায়িত করা হয়েছিল এবং এটি দ্রুত বিকশিত হয়েছিল। তারপর চিত্রটি ভেজা অবস্থায় স্ক্যান করা হয়েছিল।

১৯৩০-এর দশকে তাদের যান্ত্রিক ব্যবস্থার সাথে স্কোফনি কোম্পানির সাফল্যের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের কার্যক্রম বিস্তৃত করা হয়, সে সময় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ব্রিটেনে তাদের ব্যবসার পরিধি কমে যায়।

আমেরিকান উদ্ভাবক চার্লস ফ্রান্সিস জেনকিন্সও টেলিভিশনের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯১৩ সালে "বেতারের মাধ্যমে চলনশীল চিত্র" এর উপর একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৯২৩ সালের ডিসেম্বরে পর্যবেক্ষকদের গতিশীল সিলুয়েট চিত্রগুলো প্রদর্শন করেছিলেন। ১৩ জুন, ১৯২৫-এ, জেনকিন্স প্রকাশ্যে সিলুয়েট ছবির যুগোপযোগী ট্রান্সমিশন প্রদর্শন করেছিলেন। ১৯২৫ সালে, জেনকিন্স নিপকো ডিস্ক এবং একটি ৪৮-লাইন রেজোলিউশনের লেন্সযুক্ত ডিস্ক স্ক্যানার ব্যবহার করে পাঁচ মাইল (মেরিল্যান্ডের একটি নেভাল রেডিও স্টেশন থেকে ওয়াশিংটন, ডিসিতে তার গবেষণাগারে) দূরত্বে চলনশীল একটি খেলনার উইন্ডমিলের সিলুয়েট চিত্র প্রেরণ করেন।[১৪][১৫]

২৫ ডিসেম্বর, ১৯২৬-এ, কেনজিরো তাকায়ানাগি জাপানের হামামাতসু ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাই স্কুলে একটি নিপকো ডিস্ক স্ক্যানার এবং সিআরটি ডিসপ্লে স্থাপন করে ৪০-লাইন রেজোলিউশনের একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন। এই প্রোটোটাইপটি এখনও শিজুওকা বিশ্ববিদ্যালয়, হামামাতসু ক্যাম্পাসের তাকায়ানাগি মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে।[১৬] ১৯২৭ সালের মধ্যে, তাকায়ানাগি রেজোলিউশনটিকে ১০০ লাইনে উন্নীত করেন, যা ১৯৩১ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ রেজোলিউশন ছিল।[১৭] জাপানে তাকে প্রথম অল-ইলেক্ট্রনিক টেলিভিশনের আবিস্কার হিসেবে মনে করা হয়।[১৮] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান হেরে যাওয়ার পর একটি মডেল তৈরির জন্য তার গবেষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করে দেয়।[১৬]

হার্বার্ট ই. আইভস ও বেল টেলিফোন ল্যাবরেটরিজ- এর ফ্রাঙ্ক গ্রে ৭ এপ্রিল, ১৯২৭-এ যান্ত্রিক টেলিভিশনের একটি নাটকীয় প্রদর্শন করেছিলেন। প্রতিফলিত-আলো টেলিভিশন সিস্টেমের মধ্যে ছোট এবং বড় উভয় পর্দাতেই দেখা যাচ্ছিল। ছোট রিসিভারের একটি দুই ইঞ্চি-চওড়া ও ২.৫-ইঞ্চি উঁচু স্ক্রিন ছিল। বড় রিসিভারের একটি স্ক্রিন ছিল ২৪ ইঞ্চি চওড়া ও ৩০ ইঞ্চি উঁচু। উভয় সেটই যুক্তিসঙ্গতভাবে নির্ভুল, একরঙা চলনশীল চিত্র প্রদর্শন করতে সক্ষম ছিল। ছবির পাশাপাশি, সেটগুলিতে যথাযথ সময়ের শব্দ পাওয়া গেছে। সিস্টেমটি দুটি মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি প্রেরণ করেছে: প্রথমত, ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে একটি তামার তারের মাধ্যমে, তারপর হুইপ্যানি, নিউ জার্সিতে বেতারের মাধ্যমে। দুটি ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে দর্শকরা উভয়ের মানের মধ্যে কোন পার্থক্য লক্ষ্য করেননি। একটি ফ্লাইং-স্পট স্ক্যানার বিম দ্বারা টেলিভিশনে আলো উৎপন্ন হয়। যে স্ক্যানারটি আলো তৈরি করেছিল, সেটিতে একটি ৫০-অ্যাপারচার ডিস্ক ছিল। ডিস্কটি প্রতি সেকেন্ডে ১৮টি ফ্রেমের গতিতে ঘোরে, প্রতি ৫৬ মিলিসেকেন্ডে একটি ফ্রেম ধারণ করতে পারে।

১৯২৮ সালে, ডব্লিউআরজিবি (পূর্বে ডব্লিউটুএক্সসিডব্লিউ) বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন স্টেশন হিসাবে যাত্রা শুরু করে। এটি নিউ ইয়র্কের শেনেকট্যাডিতে জেনারেল ইলেকট্রিক কেন্দ্র থেকে সম্প্রচার করা হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়নে, লিওন থেরেমিন ১৯২৫ সালে ১৬-লাইন রেজোলিউশন, ১৯২৬ সালে ইন্টারলেসিং ব্যবহার করে ৩২ লাইন এবং অবশেষে ৬৪ লাইনের মিরর ড্রাম-ভিত্তিক টেলিভিশন তৈরি করেছিলেন।

যেহেতু ডিস্কে সীমিত সংখ্যক গর্ত তৈরি করা যেত এবং একটি নির্দিষ্ট ব্যাসের বাইরের ডিস্কগুলি অব্যবহারিক হয়ে উঠত, তাই যান্ত্রিক টেলিভিশন সম্প্রচারে চিত্রের রেজোলিউশন তুলনামূলকভাবে কম ছিল (প্রায় ৩০ লাইন থেকে প্রায় ১২০ লাইন পর্যন্ত)। তবুও, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে ৩০-লাইন ট্রান্সমিশনের চিত্রের গুণমান ক্রমাগত উন্নত হয়েছে এবং ১৯৩৩ সালের মধ্যে বেয়ার্ড সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি টেলিভিশনের চিত্রগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে পরিষ্কার ছিল।[১৯] ২০০-লাইন অঞ্চলের মধ্যে কাজ করতে সক্ষম কয়েকটি সিস্টেমও ব্যর্থ হয়ে যায়।

১৯২৯ সালে, স্লোভানীয় বিজ্ঞানী অ্যান্টন কোডেলি এক লাইনবিশিষ্ট একটি ভিন্নধর্মী টেলিভিশন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু একটি যা পর্দায় একটি অবিচ্ছিন্ন সর্পিল তৈরি করেছিল এবং কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সেটি ব্যর্থ হয়ে যায়।

ইলেক্ট্রনিক টেলিভিশনের অগ্রগতিতে (ছবি ডিসেক্টর, ক্যামেরা টিউব এবং পুনরুৎপাদনের জন্য ক্যাথোড রে টিউব সহ) টেলিভিশনের প্রভাবশালী রূপ যান্ত্রিক টেলিভিশন যুগের সমাপ্তি হয়। যান্ত্রিক টিভি সাধারণত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ছবি তৈরি করতে পারে। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এটি টেলিভিশনের প্রধান ধরন ছিল। ১৯৩৯ সালে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই যান্ত্রিক টেলিভিশন সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়।

ইলেকট্রনিক টেলিভিশন

ফার্দিনান্দ ব্রাউন

১৮৯৭ সালে, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী জে. জে. থমসন তার তিনটি বিখ্যাত পরীক্ষায় ক্যাথোড রশ্মিকে বিচ্যুত করতে সক্ষম হন, যা আধুনিক ক্যাথোড রশ্মি নলের (ক্যাথোড-রে টিউব বা সিআরটি) মূল কাজ। সিআরটি-এর প্রাচীনতম সংস্করণটি ১৮৯৭ সালে জার্মান পদার্থবিদ কার্ল ফার্ডিনান্ড ব্রাউন আবিষ্কার করেছিলেন এবং এটি ব্রাউন টিউব নামেও পরিচিত। [২০] [২১] ব্রাউন সর্বপ্রথম একটি ডিসপ্লে ডিভাইস হিসাবে সিআরটি ব্যবহার করার ধারণা করেছিলেন। [২২] এটি ছিল একটি কোল্ড-ক্যাথোড ডায়োড, যাফসফর-কোটেড স্ক্রীনের সাথে ক্রুকস টিউবের পরিবর্তনের মাধ্যমে সংঘটিত হতো। ব্রাউন টিউব ২০ শতকের দিকে টেলিভিশনের ভিত্তি হয়ে ওঠে। [২৩] ১৯০৬ সালে জার্মান প্রফেসর ম্যাক্স ডিকম্যান একটি ক্যাথোড রশ্মি টিউব সফলভাবে একটি প্রদর্শনকারী যন্ত্র হিসাবে প্রকাশ করেছিলেন, তার পরীক্ষামূলক ফলাফল ১৯০৯ সালে সায়েন্টিফিক আমেরিকান জার্নাল দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল [২৪] ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল সোসাইটির সহযোগী অ্যালান আর্কিবল্ড ক্যাম্পবেল-সুইনটন বৈজ্ঞানিক জার্নাল নেচারে একটি চিঠি প্রকাশ করেন যাতে তিনি বর্ণনা করেন কিভাবে ক্যাথোড রশ্মি নল (বা "ব্রাউন" টিউব) ব্যবহার করে ট্রান্সমিটিং ও রিসিভিং ডিভাইস হিসেবে "দূরবর্তী বৈদ্যুতিক চিত্র" দেখা যায়। [২৫] [২৬] তিনি ১৯১১ সালে লন্ডনে প্রদত্ত একটি বক্তৃতায় তার দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেন এবং দ্য টাইমস [২৭]রন্টজেন সোসাইটির জার্নালে রিপোর্ট করেন। [২৮] [২৯] ১৯২৬ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত প্রকৃতির কাছে একটি চিঠিতে, ক্যাম্পবেল-সুইন্টন জিএম মিনচিন এবং জেসিএম স্ট্যান্টনের সাথে পরিচালিত কিছু "সামান্য সফল" গবেষণার ফলাফলও ঘোষণা করেছিলেন। তারা একটি সেলেনিয়াম-প্রলিপ্ত ধাতব প্লেটের উপর একটি চিত্র প্রদান করে একটি বৈদ্যুতিক সংকেত তৈরি করার চেষ্টা করেছিল যা একই সাথে একটি ক্যাথোড রশ্মি দ্বারা স্ক্যান করা হয়েছিল। [৩০] [৩১] এই পরীক্ষাগুলি মার্চ ১৯১৪ সালে জিএম মিনচিনের মৃত্যুর পূর্বে করা হয়েছিল। [৩২] পরবর্তীতে ১৯৩৭ সালে ইএমআই থেকে এইচ. মিলার ও জেডব্লিউ স্ট্রেঞ্জ, [৩৩] এবং আরসিএ থেকে এইচ. ল্যামস এবং এ. রোস দ্বারা দুটি ভিন্ন দল দ্বারা একই ধরনের পরিক্ষা করা হয়েছিল। [৩৪] উভয় দলই মূল ক্যাম্পবেল-সুইন্টনের সেলেনিয়াম-কোটেড প্লেটের সাথে "খুবই ক্ষীণ" চিত্র প্রেরণে সফল হয়েছিল। যদিও অন্যরা ক্যাথোড রশ্মি নলকে রিসিভার হিসেবে ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল, তবে এ দল দুটি এটিকে ট্রান্সমিটার হিসেবে ব্যবহার করেছিল, যে ধারণাটি অভিনব ছিল। [৩৫] জন বি. জনসন এবং ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিকের হ্যারি ওয়েনার ওয়েইনহার্ট হট ক্যাথোড (গরম ক্যাথোড) ব্যবহার করার জন্য প্রথম সিআরটি করেছিলেন এবং ১৯২২ সালে এটি একটি বাণিজ্যিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল।

এই প্রারম্ভিক ইলেকট্রনিক ক্যামেরা টিউবগুলি (ইমেজ ডিসেক্টরের মতো) একটি খুব হতাশাজনক ও মারাত্মক ত্রুটির শিকার হয়েছিল। ত্রুটিটি হলো তারা যে বিষয়টি স্ক্যান করেছিল এবং প্রতিটি পয়েন্টে যা দেখা গিয়েছিল তা স্ক্যানিং সিস্টেমটি অতিক্রম করার সাথে সাথে কেবলমাত্র আলোর ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে দেখা গিয়েছিল। একটি ব্যবহারিক কার্যকরী ক্যামেরা টিউবের জন্য একটি ভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতির প্রয়োজন ছিল, যা পরে চার্জ - স্টোরেজ ক্যামেরা টিউব নামে পরিচিত হয়। এটি একটি নতুন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ১৯২৬ সালে হাঙ্গেরিতে আবিষ্কৃত ও পেটেন্টপ্রাপ্ত হয়েছিল, যা ১৯৩০ সালের দিকে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ও পরিচিত হয়েছিল [৩৬]

ট্রান্সমিটিং বা "ক্যামেরা" টিউব থেকে কম বৈদ্যুতিক আউটপুট হওয়ার ফলে আলোর প্রতি কম সংবেদনশীলতার সমস্যাটি ১৯২৪ সালের শুরুতে হাঙ্গেরীয় প্রকৌশলী কালমান তিহানি দ্বারা চার্জ-স্টোরেজ প্রযুক্তির প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছিল। [৩৭] ১৯২৬ সালে, তিহানি সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক স্ক্যানিং ও ডিসপ্লে উপাদানগুলি ব্যবহার করে এবং স্ক্যানিং (বা "ক্যামেরা") টিউবের মধ্যে "চার্জ স্টোরেজ" তত্ত ব্যবহার করে একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রণয়ন করেছিলেন। [৩৮] [৩৯] [৪০] [৪১] তার যন্ত্রটি প্রতিটি স্ক্যানিং চক্র জুড়ে টিউবের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জ ("ফটোইলেক্ট্রন") জমাকারী একটি ক্যামেরা টিউব ছিল। ১৯২৬ সালের মার্চ মাসে হাঙ্গেরিতে, রেডিওস্কপ নামের একটি টেলিভিশন সিস্টেম হিসেবে যন্ত্রটির প্রথম পেটেন্ট আবেদনে করা হয়েছিল। [৪২] ১৯২৮ সালের পেটেন্ট আবেদনে আরও পরিমার্জন করার পর, [৩৭] ১৯৩০ সালে ব্রিটেনে তিহানির পেটেন্ট বাতিল ঘোষণা করা হয়, [৪৩] এবং তাই তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও তার এ যন্ত্রটি ১৯৩১ সালে আরসিএ এর "আইকনোস্কোপ" এর নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু ১৯৩৯ সালের মে পর্যন্ত তিহানির ট্রান্সমিটিং টিউবের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেটেন্ট মঞ্জুর করা হয় নি। তার রিসিভিং টিউবের পেটেন্ট পরবর্তী অক্টোবরে দেওয়া হয়েছিল। উভয় পেটেন্ট আরসিএ তাদের অনুমোদনের পূর্বে ক্রয় করে নেয়। [৩৯] [৪০] তিয়ানি-এর চার্জ স্টোরেজ ধারণাটি আজ অবধি টেলিভিশনের ইমেজিং ডিভাইসগুলির গঠনের মূল নীতি হিসাবে রয়ে গেছে। [৪২]

১৯২৪ সালে ফিলো ফার্নসওয়ার্থ

২৫ ডিসেম্বর, ১৯২৬-এ, কেনজিরো তাকায়ানাগি জাপানের হামামাতসু ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাই স্কুলে একটি নিপকো ডিস্ক স্ক্যানার এবং সিআরটি ডিসপ্লে স্থাপন করে ৪০-লাইন রেজোলিউশনের একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন।। [১৬] তবে তাকায়নাগি এটির পেটেন্টের জন্য আবেদন করেননি। [৪৪]

৭ সেপ্টেম্বর, ১৯২৭-এ, ফিলো ফার্নসওয়ার্থের ইমেজ ডিসেক্টর ক্যামেরা টিউব সান ফ্রান্সিসকোতে তার গবেষণাগারে তার প্রথম চিত্র প্রদর্শন করে, যেটি ছিল সাধারণ সরল রেখা। [৪৫] [৪৬] ৩ সেপ্টেম্বর, ১৯২৮ সাল নাগাদ, ফার্নসওয়ার্থ প্রেসে প্রদর্শনের জন্য যথাযথভাবে সিস্টেমটি তৈরি করেছিলেন। এটিকে সর্বপ্রথম ইলেকট্রনিক টেলিভিশন প্রদর্শনী হিসেবে গণ্য করা হয়। [৪৬] ১৯২৯ সালে, টেলিভিশন সিস্টেমটিতে থাকা সবশেষ যান্ত্রিক অংশ মোটর জেনারেটর বাদ দিয়ে সিস্টেমটিকে আরও উন্নত করা হয়েছিল। [৪৭] সেই বছর, ফার্নসওয়ার্থ তার সিস্টেমে প্রথম জীবন্ত মানুষের ছবি প্রেরণ করেন। [৪৮]

ভ্লাদিমির জোওরিকিন ইলেকট্রনিক টেলিভিশন প্রদর্শন করছেন (১৯২৯)

রুশ-মার্কিন উদ্ভাবক ভ্লাদিমির জোওরিকিনও ছবি তৈরি এবং প্রদর্শনের জন্য ক্যাথোড রশ্মি নল নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলেন। ১৯২৩ সালে ওয়েস্টিংহাউস ইলেকট্রিকের জন্য কাজ করার সময়, তিনি একটি ইলেকট্রনিক ক্যামেরা টিউব তৈরি করতে শুরু করেন। কিন্তু ১৯২৫ সালের একটি প্রদর্শনে, চিত্রটি ম্লান, কম বৈসাদৃশ্যপূর্ণ, নিম্নমানের এবং স্থির ছিল। [৪৯]

১৯৩৩ সালে তিহানির চার্জ স্টোরেজ তত্ত্বের উপর নির্ভর করে আরসিএ একটি উন্নত ক্যামেরা টিউব প্রবর্তন করে। [৫০] [৫১] ফার্নসওয়ার্থ একটি অনন্য "মাল্টিপ্যাক্টর" যন্ত্রের উদ্ভাবনের মাধ্যমে তার ইমেজ ডিসেক্টরের বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে এর কাজ শুরু করেছিলেন এবং ১৯৩১ সালে এটি প্রদর্শন করেছিলেন। [৫২] এই ছোট টিউবটি একটি সংকেতের শক্তি ৬০ গুণ বা তার চেয়েও বেশি বাড়াতে পারে। [৫৩] এটি ইলেকট্রনিক্সের সমস্ত ক্ষেত্রে দুর্দান্তভাবে কাজ করে। মাল্টিপ্যাক্টরের সাথে একটি সমস্যা ছিল যে, এটি একটি অসন্তোষজনক হারে জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। [৫৪]

১৯৩৩ সালে ম্যানফ্রেড ফন আরডেন

বার্লিনে ১৯৩১ সালের আগস্টে বার্লিন রেডিও শোতে, ম্যানফ্রেড ভন আরডেন জনসম্মুখে একটি টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন। এটিতে ট্রান্সমিশন ও সংকেত গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই সিআরটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটি ছিল প্রথম কোনো সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক টেলিভিশন ট্রান্সমিশন। [৫৫] আর্ডেন ক্যামেরা টিউব তৈরি না করে স্লাইড ও ফিল্ম স্ক্যান করার জন্য একটি ফ্লাইং-স্পট স্ক্যানার হিসাবে সিআরটি ব্যবহার করেছিলেন। [৫৬] আরডেন ২৪ ডিসেম্বর ১৯৩৩ সালে তার প্রথম টেলিভিশন ছবির ট্রান্সমিশন করতে সক্ষম হন।তারপরে ১৯৩৪ সালে তিনি পাবলিক টেলিভিশন পরিষেবার জন্য পরীক্ষা চালানো শুরু করেন। ১৯৩৫ সালে, বার্লিনে বিশ্বের প্রথম বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী টেলিভিশন পরিষেবা চালু হয়েছিল। ফার্ন্সেসেন্ডার পল নিপকো স্টেশন দ্বারা বার্লিন থেকে সমগ্র জার্মানি জুড়ে ১৯৩৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমসের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল। [৫৭] [৫৮]

ফিলো ফার্নসওয়ার্থ ২৫ আগস্ট, ১৯৩৩ সালে ফিলাডেলফিয়ার ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউটে এবং তার পর দশদিনের জন্য একটি লাইভ ক্যামেরা ব্যবহার করে বিশ্বে প্রথমবারের মতো জনসাধারণর কাছে সর্ব-ইলেকট্রনিক টেলিভিশন সিস্টেম প্রদর্শন করেছিলেন। [৫৯] [৬০]

ব্রিটেনে আইজ্যাক শোয়েনবার্গের নেতৃত্বে ইএমআই প্রকৌশলী দল ১৯৩২ সালে একটি নতুন ডিভাইসের পেটেন্টের জন্য আবেদন করে, যাকে তারা "দ্য এমিট্রন" নাম দেয়। [৬১] [৬২] এটি বিবিসির জন্য ইএমআই-এর তৈরি করা প্রধান ক্যামেরা হয়ে ওঠে। ১৯৩৬ সালের নভেম্বরে, এমিট্রন ব্যবহার করে আলেকজান্দ্রা প্রাসাদের স্টুডিওতে ৪০৫-লাইনবিশিষ্ট টেলিভিশনের সম্প্রচার পরিষেবা শুরু হয়েছিল। এটির সংকেত ভিক্টোরিয়ান ভবনের একটি টাওয়ারের উপরে একটি বিশেষভাবে নির্মিত একটি স্তম্ভ থেকে প্রেরণ করা হয়েছিল। এটি ছিল বিশ্বের প্রথম সাধারণ হাই-ডেফিনিশন টেলিভিশন পরিষেবা। [৬৩]

হাই ডেফিনিশন মেকানিক্যাল স্ক্যানিং সিস্টেমের তুলনায় আমেরিকান আইকনোস্কোপের শব্দের মান খারাপ ছিল, সিগন্যালে অধিক ত্রুটি ছিল এবং এটির ফলাফল হতাশাজনক ছিল। [৬৪] [৬৫] আইজ্যাক শোয়েনবার্গের তত্ত্বাবধানে ইএমআই দল বিশ্লেষণ করেছিল যে কীভাবে আইকনোস্কোপ (বা এমিট্রন) একটি ইলেকট্রনিক সংকেত তৈরি করে। তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে এর বাস্তব কার্যকারিতা তাত্ত্বিক সর্বাধিক কার্যের মাত্র ৫%। [৬৬] [৬৭] তারা ১৯৩৪ সালে সুপার-এমিট্রন এবং সিপিএস এমিট্রন নামে দুটি নতুন ক্যামেরা টিউব বিকাশ ও পেটেন্ট করে এই সমস্যার সমাধান করেছিল। [৬৮] [৬৯] [৭০] সুপার-ইমিট্রন পুর্বের এমিট্রন ও আইকনোস্কোপ টিউবগুলির তুলনায় দশ থেকে পনের গুণ বেশি সংবেদনশীল ছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে এই অনুপাতটি যথেষ্ট বেশি ছিল। [৬৬] এটি সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালের যুদ্ধবিরতি দিবসে বিবিসি দ্বারা বৈশ্বিক সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। [৭১] ১৯৩৯ সালে নিউ ইয়র্কে প্রথমবারের মতো অপর একটি ভবনের ছাদে স্থাপিত ক্যামেরা থেকে সরাসরি একটি রাস্তার দৃশ্য সম্প্রচার করা সম্ভব হয়।

১৯৩৯ সালে আরসিএ দ্বারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে পরীক্ষামূলক টেলিভিশন সম্প্রচারের শুরুর বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, ১৯৩৪ সালে, জোওরিকিন জার্মান লাইসেন্সধারী কোম্পানি টেলিফুঙ্কেনের সাথে কিছু পেটেন্ট অধিকার ভাগ করে নেয়। [৭২] তারা যৌথ সহযোগিতায় "ইমেজ আইকনোস্কোপ" (জার্মানিতে "সুপারিকোনোস্কোপ") তৈরি করতে সক্ষম হন। এই টিউবটি মূলত সুপার-ইমিট্রনের অনুরূপ। ইউরোপে সুপার-ইমিট্রন এবং ইমেজ আইকনোস্কোপের উৎপাদন এবং বাণিজ্যিকীকরণ জোওরিকিন ও ফার্নসওয়ার্থের মধ্যে পেটেন্ট যুদ্ধের দ্বারা প্রভাবিত হয়নি, কারণ ডায়কম্যান এবং হেল একটি পেটেন্ট জমা দিয়ে চিত্র বিচ্ছেদক আবিষ্কারের জন্য জার্মানিতে অগ্রাধিকার পেয়েছিলেন। ইমেজ আইকনোস্কোপ (সুপারিকোনোস্কোপ) ১৯৩৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ইউরোপে পাবলিক সম্প্রচারের জন্য মানসম্পন্ন যন্ত্র হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে এটির বিকল্প হিসেবে ভিডিকন এবং প্লাম্বিকন টিউব প্রকাশিত হয়। জার্মান কোম্পানি হেইম্যান ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিক গেমসের জন্য সুপারিকোনোস্কোপ তৈরি করেছিল, [৭৩] [৭৪] পরবর্তীতে হেইম্যান ১৯৪০ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত এটি তৈরি ও বাণিজ্যিকীকরণ করেছিলেন, [৭৫] অবশেষে ডাচ কোম্পানি ফিলিপস ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে ইমেজ আইকনোস্কোপ এবং মাল্টিকন তৈরি এবং বাণিজ্যিকীকরণ করে। [৭৬] [৭৭]

সেই সময়ে আমেরিকান টেলিভিশন সম্প্রচারে বিস্তৃত আকারের বিভিন্ন বাজার ছিল। সেগুলো প্রোগ্রামিং এবং আধিপত্যের জন্য বিরল ধরনের প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত। ১৯৪১ সালে একটি চুক্তি করা হয়েছিল এবং এর ভিত্তিতে প্রতিযোগী পক্ষগুলো একত্রিত হয়। [৭৮] উদাহরণস্বরূপ, আরসিএ, নিউ ইয়র্ক এলাকায় শুধুমাত্র আইকনোস্কোপ ব্যবহার করেছিল, কিন্তু ফিলাডেলফিয়া এবং সান ফ্রান্সিসকোতে ফার্নসওয়ার্থ ইমেজ ডিসেক্টর ব্যবহার করেছে। [৭৯] ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে, আরসিএ ফার্নসওয়ার্থের পেটেন্ট প্রাপ্তির জন্য ফার্নসওয়ার্থ টেলিভিশন এবং রেডিও কর্পোরেশনের রাজস্ব পরবর্তী দশ বছরে পরিশোধ করতে সম্মত হয়। [৮০] এই ঐতিহাসিক চুক্তির মাধ্যমে, আরসিএ তাদের সিস্টেমে ফার্নসওয়ার্থ প্রযুক্তির সবচেয়ে ভালো জিনিসগুলোকে একীভূত করে। [৭৯] ১৯৪১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫২৫-লাইনবিশিষ্ট টেলিভিশন আবিস্কার করেছিল। [৮১] [৮২]

বিশ্বের প্রথম ৬২৫-লাইনবিশিষ্ট মানসম্পন্ন টেলিভিশন ১৯৪৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি করা হয়েছিল এবং ১৯৪৬ সালে এটি জাতীয়করণ ওঠে। [৮৩] ৬২৫-লাইন স্ট্যান্ডার্ডে প্রথম সম্প্রচার ১৯৪৮ সালে মস্কোতে হয়েছিল। [৮৪] প্রতি ফ্রেমে ৬২৫ লাইনের ধারণাটি পরবর্তীকালে ইউরোপীয় সিসিআইআর স্ট্যান্ডার্ডে প্রয়োগ করা হয়েছিল। [৮৫]

১৯৩৬ সালে, কালমান তিহানি প্রথম ফ্ল্যাট প্যানেল ডিসপ্লে সিস্টেম "প্লাজমা ডিসপ্লের"নীতি বর্ণনা করেন। [৮৬] [৮৭]

১৯৭৮ সালে, জেমস পি. মিচেল, সম্ভাব্য প্রাথমিক সময়ের একরঙা ফ্ল্যাট প্যানেল এলইডি ডিসপ্লে প্রোটোটাইপ ও প্রদর্শন করেন। এটির সম্ভাব্য লক্ষ্য ছিল আরসিএ-কে প্রতিস্থাপন করা।


তথ্যসূত্র

  1. Stephens, Mitchell (ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫)। "History of Television"www.nyu.edu। New York University। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৫ 
  2. Huurdeman (2003) The first telefax machine to be used in practical operation was invented by an Italian priest and professor of physics, Giovanni Caselli (1815–1891).
  3. Beyer (2003) The telegraph was the hot new technology of the moment, and Caselli wondered if it was possible to send pictures over telegraph wires. He went to work in 1855, and over the course of six years perfected what he called the "pantelegraph." It was the world's first practical fax machine.
  4. "Giovanni Caselli"। জানুয়ারি ১৫, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. Shiers & Shiers (1997), পৃ. 13, 22
  6. Perskyi, Constantin (১৮–২৫ আগস্ট ১৯০০)। Télévision au moyen de l'électricité (ফরাসি ভাষায়)। 
  7. de Varigny, Henry (ডিসেম্বর ১১, ১৯০৯)। La vision à distance (ফরাসি ভাষায়)। L'Illustration। পৃষ্ঠা 451। মার্চ ৩, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. Burns (1998), পৃ. [[[:টেমপ্লেট:GBurl]] 119]
  9. Bloom, Ursula (১৯৫৮)। [[[:টেমপ্লেট:GBurl]] He Lit The Lamp: A Biography Of Professor A. M. Low] |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Burke। 
  10. Maloney, Alison (২০১৪)। The World of Mr Selfridge: The Official Companion to the Hit ITV Series। Simon & Schuster। আইএসবিএন 978-1-4711-3885-0 
  11. Tiltman, Ronald Frank (১৯২৭)। Television for the Home। Hutchinson। 
  12. "Current Topics and Events"। ১৯২৫: 504–508। ডিওআই:10.1038/115504a0অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  13. Baird, J. L. (১৯৩৩)। "Television in 1932"। BBC Annual Report 1933 
  14. "Radio Shows Far Away Objects in Motion"। The New York Times। জুন ১৪, ১৯২৫। পৃষ্ঠা 1। 
  15. Glinsky, Albert (২০০০)। Theremin: Ether Music and Espionage। University of Illinois Press। পৃষ্ঠা 41–45। আইএসবিএন 978-0-252-02582-2 
  16. Kenjiro Takayanagi: The Father of Japanese Television, NHK (Japan Broadcasting Corporation), 2002, retrieved 2009-05-23.
  17. High Above: The untold story of Astra, Europe's leading satellite company, page 220, Springer Science+Business Media
  18. Popular Photography। নভেম্বর ১৯৯০ https://books.google.com/books?id=DJsbJq2_djkC&pg=PA5  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  19. McLean, Donald F. (২০০০)। Restoring Baird's Image। IEEE। পৃষ্ঠা 184। 
  20. Braun, Ferdinand (১৮৯৭)। Ueber ein Verfahren zur Demonstration und zum Studium des zeitlichen Verlaufs variabler StrömeAnnalen der Physik und Chemie 3rd series। পৃষ্ঠা 552–559। ২০১৪-১২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  21. "Cathode Ray Tube"Medical Discoveries। Advameg, Inc.। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৭ এপ্রিল ২০০৮ 
  22. Lehrer, Norman, H. (১৯৮৫)। "The Challenge of the Cathode-Ray Tube"। Flat-Panel Displays and CRTSVan Nostrand Reinhold Company Inc.। পৃষ্ঠা 138–176। আইএসবিএন 978-94-011-7062-8ডিওআই:10.1007/978-94-011-7062-8_6 
  23. "Karl Ferdinand Braun" 
  24. Max Dieckmann (১৯০৯-০৭-২৪)। "The problem of television, a partial solution" (পিডিএফ): 61–62। ডিওআই:10.1038/scientificamerican07241909-61supp 
  25. Campbell-Swinton, A. A. (১৯০৮-০৬-১৮)। "Distant Electric Vision (first paragraph)": 151। ডিওআই:10.1038/078151a0অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  26. Campbell-Swinton, A. A. (১৯০৮-০৬-১৮)। "Distant Electric Vision": 151। ডিওআই:10.1038/078151a0অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  27. "Distant Electric Vision", The Times (London), Nov. 15, 1911, p. 24b.
  28. Bairdtelevision। "Alan Archivald Campbell-Swinton (1863–1930)"Biography। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১০ 
  29. Shiers & Shiers (1997), পৃ. 56
  30. Campbell-Swinton, A. A. (১৯২৬-১০-২৩)। "Electric Television (abstract)": 590। ডিওআই:10.1038/118590a0অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  31. Burns (1998)
  32. G, R. A. (১৯১৪-০৪-০২)। "Prof. G. M. Minchin, F.R.S.": 115–116। ডিওআই:10.1038/093115a0অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  33. Miller, H.; Strange, J. W. (১৯৩৮-০৫-০২)। "The electrical reproduction of images by the photoconductive effect": 374–384। ডিওআই:10.1088/0959-5309/50/3/307 
  34. Iams, H.; Rose, A. (আগস্ট ১৯৩৭)। "Television Pickup Tubes with Cathode-Ray Beam Scanning": 1048–1070। ডিওআই:10.1109/JRPROC.1937.228423 
  35. Abramson, Albert, Zworykin, Pioneer of Television, p. 16.
  36. J.B Williams (২০১৭)। The Electronics Revolution: Inventing the FutureSpringer Nature। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 9783319490885 
  37. Kálmán Tihanyi (1897–1947) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ তারিখে, IEC Techline, International Electrotechnical Commission (IEC), 2009-07-15.
  38. "Hungary – Kálmán Tihanyi's 1926 Patent Application 'Radioskop'"Memory of the WorldUnited Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ 
  39. "Patent US2133123 - Television apparatus"। মে ২১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ 
  40. "Patent US2158259 - Television apparatus"। মে ২১, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ 
  41. "Vladimir Kosma Zworykin, 1889–1982"। Bairdtelevision.com। সংগ্রহের তারিখ ১৭ এপ্রিল ২০০৯ 
  42. "Kálmán Tihanyi's 1926 Patent Application 'Radioskop'" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত অক্টোবর ২৫, ২০১২ তারিখে, Memory of the World, United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization (UNESCO), 2005, retrieved 2009-01-29.
  43. Tihanyi, Koloman, Improvements in television apparatus ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ডিসেম্বর ৪, ২০২২ তারিখে. European Patent Office, Patent No. GB313456. Convention date UK application: 1928-06-11, declared void and published: 1930-11-11, retrieved: 2013-04-25.
  44. "Milestones:Development of Electronic Television, 1924-1941"। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ 
  45. Postman, Neil, "Philo Farnsworth", The TIME 100: Scientists & Thinkers, TIME.com, 1999-03-29, retrieved 2009-07-28.
  46. "Philo Taylor Farnsworth (1906–1971)" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত জুন ২২, ২০১১ তারিখে, The Virtual Museum of the City of San Francisco, retrieved 2009-07-15.
  47. Abramson, Albert, Zworykin, Pioneer of Television, p. 226.
  48. The Philo T. and Elma G. Farnsworth Papers ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত এপ্রিল ২২, ২০০৮ তারিখে
  49. Abramson, Albert, Zworykin, Pioneer of Television, University of Illinois Press, 1995, p. 51. আইএসবিএন ০-২৫২-০২১০৪-৫.
  50. Lawrence, Williams L. (জুন ২৭, ১৯৩৩)। "Human-like eye made by engineers to televise images. 'Iconoscope' converts scenes into electrical energy for radio transmission. Fast as a movie camera. Three million tiny photo cells 'memorize', then pass out pictures. Step to home television. Developed in ten years' work by Dr. V. K. Zworykin, who describes it at Chicago."The New York Times। পৃষ্ঠা 1। 
  51. Shiers & Shiers (1997)
  52. Everson (1949), পৃ. 137–141
  53. Everson (1949), পৃ. 139
  54. Everson (1949), পৃ. 141
  55. "Manfred von Ardenne" 
  56. Albert Abramson, Zworykin: Pioneer of Television, University of Illinois Press, 1995, p. 111.
  57. "22.3.1935: Erstes Fernsehprogramm der Welt"Deutsche Welle। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  58. "Es begann in der Fernsehstube: TV wird 80 Jahre alt"। Computer Bild। ২২ মার্চ ২০১৫। জানুয়ারি ২১, ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  59. "New Television System Uses 'Magnetic Lens' ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ডিসেম্বর ৪, ২০২২ তারিখে", Popular Mechanics, Dec. 1934, p. 838–839.
  60. Burns (1998)
  61. Tedham, William F.; McGee, James D.। "Improvements in or relating to cathode ray tubes and the like"Patent No. GB 406,353 (filed May 1932, patented 1934)। United Kingdom Intellectual Property Office। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-২২ 
  62. Tedham, William F.; McGee, James D.। "Cathode Ray Tube"Patent No. 2,077,422 (filed in Great Britain 1932, filed in USA 1933, patented 1937)। United States Patent Office। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১০ 
  63. Burns (1998)
  64. Winston, Brian (১৯৮৬)। Misunderstanding media। Harvard University Press। পৃষ্ঠা 60–61। আইএসবিএন 978-0-674-57663-6। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৯ 
  65. Winston, Brian (১৯৯৮)। Media technology and society. A history: from the telegraph to the Internet। Routledge। পৃষ্ঠা 105। আইএসবিএন 978-0-415-14230-4। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৯ 
  66. Alexander, Robert Charles (২০০০)। The inventor of stereo: the life and works of Alan Dower Blumlein। Focal Press। পৃষ্ঠা 217–219। আইএসবিএন 978-0-240-51628-8। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১০ 
  67. Burns, R. W. (২০০০)। The life and times of A D Blumlein। IET। পৃষ্ঠা 181। আইএসবিএন 978-0-85296-773-7। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৫ 
  68. Lubszynski, Hans Gerhard; Rodda, Sydney। "Improvements in or relating to television"Patent No. GB 442,666 (filed May 1934, patented 1936)। United Kingdom Intellectual Property Office। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  69. Blumlein, Alan Dower; McGee, James Dwyer। "Improvements in or relating to television transmitting systems"Patent No. GB 446,661 (filed August 1934, patented 1936)। United Kingdom Intellectual Property Office। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৯ 
  70. McGee, James Dwyer। "Improvements in or relating to television transmitting systems"Patent No. GB 446,664 (filed September 1934, patented 1936)। United Kingdom Intellectual Property Office। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-০৯ 
  71. Alexander, Robert Charles (২০০০)। The inventor of stereo: the life and works of Alan Dower Blumlein। Focal Press। পৃষ্ঠা 216। আইএসবিএন 978-0-240-51628-8। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১০ 
  72. Inglis, Andrew F. (১৯৯০)। Behind the tube: a history of broadcasting technology and business। Focal Press। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 978-0-240-80043-1। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  73. Gittel, Joachim (২০০৮-১০-১১)। "Spezialröhren"photographic album। Jogis Röhrenbude। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  74. "TV Camera Tubes, German "Super Iconoscope" (1936)"photographic album। Early Television Foundation and Museum। জুন ১৭, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  75. Gittel, Joachim (২০০৮-১০-১১)। "FAR-Röhren der Firma Heimann"photographic album। Jogis Röhrenbude। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  76. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Multicon নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  77. "5854, Image Iconoscope, Philips"। electronic tube handbook (পিডিএফ)। Philips। ১৯৫৮। ২০০৬-০৯-০৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-১৫ 
  78. Everson (1949)
  79. Abramson (1987)
  80. Schatzkin, Paul (2002), The Boy Who Invented Television. Silver Spring, Maryland: Teamcom Books, pp. 187–8. আইএসবিএন ১-৯২৮৭৯১-৩০-১.
  81. "Go-Ahead Signal Due for Television", The New York Times, April 25, 1941, p. 7.
  82. "An Auspicious Beginning", The New York Times, August 3, 1941, p. X10.
  83. "On the beginning of broadcast in 625 lines 60 years ago"625 magazine (Russian ভাষায়)। মার্চ ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  84. "M.I. Krivocheev – an engineer's engineer" (পিডিএফ)EBU Technical Review। Spring ১৯৯৩। ২০০৪-১২-৩০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  85. "In the Vanguard of Television Broadcasting" (পিডিএফ)। ফেব্রুয়ারি ২১, ২০০৭। ফেব্রুয়ারি ২১, ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  86. "IEEE Johnstown – Analog to Digital Television Transition Trivia Challenge" (পিডিএফ)। জুন ৫, ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  87. "Kalman Tihanyi's plasma television, invented in the 1930s" (পিডিএফ)। জুলাই ২, ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।