মেক ইন ইন্ডিয়া
এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(সেপ্টেম্বর ২০১৮) |
মেক ইন ইন্ডিয়া | |
---|---|
দেশ | ভারত |
প্রধানমন্ত্রী | নরেন্দ্র মোদি |
প্রধান ব্যক্তিত্ব | ভরতের অর্থ মন্ত্রণালয় |
উদ্বোধন | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |
অবস্থা | সক্রিয় |
ওয়েবসাইট | মেক ইন ইন্ডিয়া |
| ||
---|---|---|
বর্তমান
জাতীয় নীতি ও উদ্যোগ
প্রচার
মিশন
প্রতিষ্ঠান ঘটনা ও অনুষ্ঠান সামরিক ও উদ্ধার অভিযান
প্রতিষ্ঠান ঘটনা ও অনুষ্ঠান সামরিক ও উদ্ধার অভিযান চুক্তি বিতর্ক
চিত্রশালা: চিত্র, অডিও, ভিডিও |
||
মেক ইন ইন্ডিয়া ভারত সরকারের একটি সদর্থক উদ্যোগ। এটি মুলত বিদেশি বহুজাতিক সংস্থাকে ভারতে তাদের পণ্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত করার একটি প্রয়াস। ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৪(৮ই আশ্বিন ১৪২১)[১] সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতকে বিশ্বব্যাপী বিদেশি বিনিয়গের এক পীঠস্থান হিসাবে পরিচিতি দিতে মেক ইন ইন্ডিয়ার সূচনা করেন যা ভবিষ্যতে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র চিন সহ সমস্ত দেশকে পিছনে ফেলে দেবে।.[২][৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেক ইন ইন্ডিয়ার সূচনা করেন।[১] ২৯শে ডিসেম্বর ২০১৪ সালে শিল্পনীতি ও উন্নয়ন দপ্তর আয়োজিত একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং তার সভাসদবর্গ(cabinet ministers), সকল রাজ্যের মুখ্যসচিব, বিভিন্ন শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন।[৫]
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
[সম্পাদনা]এটির সূচনার মুখ্য উদ্দেশ্য হল ভারতের অর্থনীতির ভিত্তি ২৫ টি বিভাগে কর্মসংস্থান ও গুণগত নৈপুন্যতা-দক্ষতা বৃদ্ধি করা।.[৬] শুধু গুণগত নিপুণতাই নয় একি সঙ্গে পরিবেশ বান্ধবতার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।[৬] এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভারতে আর্থিক বিনিয়োগের সাথে প্রযুক্তিক বিনিয়োগও আশা করা হচ্ছে।[৬]
মেক ইন ইন্ডিয়ার এই অভিযানকে পরিকল্পনাকে রূপ দিয়েছে মার্কিন বিজ্ঞাপন সংস্থা Wieden+Kennedy।[৭]
এই উদ্যোগের আওতায় থাকা ২৫টি বিভাগের পুস্তিকা এবং ওয়েব পোর্টাল উন্মোচিত হয়েছে। এই উদ্যোগ চালু করার আগে বিভিন্ন খাতে বিদেশী বিনিয়োগের পথ শিথিল করা হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন অনলাইন উপলব্ধ করা হয়েছে এবং লাইসেন্স বৈধতা তিন বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য আরও কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি শিথিল করা হয়েছে।.[৮]
২০১৪এর আগস্ট মাসে ভারতের মন্ত্রিপরিষদ(Cabinet of India) প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ৪৯% এবং ভারতীয় রেলের পরিকাঠামো গঠনে ১০০% সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের(FDI) অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ২৬% এবং রেলে কোন বিদেশি বিনিয়োগের অনুমোদন ছিল না। ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিদেশি আমদানি কমানোর আশা করা হচ্ছে। আগে একটি মাত্র ভারতীয় কোম্পানি ৫১% বাজার দখল করে রাখতে পারত, বর্তমানে একাধিক কোম্পানির ক্ষেত্রে সেই সুবিধা আছে।[৯]
সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে নভেম্বর ২০১৫ এর মধ্যে ভারত সরকার বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য ₹১.২০ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়েছে।[১০]
এপ্রিল-জুন'১৫ এই তিন মাসের মধ্যে ভারতে বিক্রিত স্মার্টফোনের ২৪.৮%ই হল ভারতে উৎপাদিত, যা এর আগের তিন মাসের তুলনায় ১৯.৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।[১১][১২][১৩]
বিভাগ
[সম্পাদনা]ভারতীয় অর্থনীতির নিম্নলিখিত বিষয় গুলোর উপরে মেক ইন ইন্ডিয়া গুরুত্ব দিয়েছে:
|
|
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Look East, Link West, says PM Modi at Make in India launch"। Hindustan Times। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ১৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "India pips US, China as No. 1 foreign direct investment destination - The Times of India"। Timesofindia.indiatimes.com। Times News Network। সেপ্টে ৩০, ২০১৫।
- ↑ "India Pips China, US to Emerge as Favourite Foreign Investment Destination: Report - NDTVProfit.com"। Profit.ndtv.com।
- ↑ "Pay-off time for Modi: India displaces US, China as the top FDI destination in 2015"। Firstpost। ২৯ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Centre, States to ready 'Make in India' plan"। The Hindu। ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ ক খ গ "Focus on 'Make In India'"। Business Standard। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Revealed: Man behind PM's Make in India campaign"। DNA India। ১৮ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Modi Launches 'Make in India' Campaign, Portal and Logo"। The New Indian Express। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Cabinet approves raising FDI cap in defense to 49 per cent, opens up railways"। The Economic Times। ৭ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Make in India: Centre gets Rs 1.20 lakh crore worth investment proposals in electronics sector"। timesofindia-economictimes।
- ↑ Press Trust of India (২০১৫-০৮-২৪)। "Global Electronics Manufacturers Propose Rs 90,000 Crore Investment In India"। Huffingtonpost.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-০১।
- ↑ "Make in India: Govt receives proposals worth Rs 90,000 crore from global electronics companies | Latest News & Updates at Daily News & Analysis"। Dnaindia.com। ২০১৫-০৮-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-০১।
- ↑ "E-boost for Make in India: Global electronic companies line up Rs 90,000 cr for India plants"। Firstpost। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-১০-০১।