ক্রোধ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বিষয়বস্তু যোগ।
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
{{অনুলিপি সম্পাদনা}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে (টুইং)
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{অনুলিপি সম্পাদনা|date=মার্চ ২০২২}}
২৮-০২-২০২২
২৮-০২-২০২২
ক্রোধ:
ক্রোধ:

১৭:১৭, ৬ মার্চ ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২৮-০২-২০২২ ক্রোধ: ক্রু+ধ্+অ=ক্রোধ।ক্রোধ অর্থ-রাগ,কোপ,রোষ ইত্যাদি(১) ইংরেজি-Anger হিন্দি-क्रोध আরবী-غضب পর্তুগীজ-raiva ফরাসি-colère মালে-murka জাপানি-怒り চীনা-愤怒(২)

তীব্র অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ কে 'ক্রোধ' বলে(৩)। এটি একটি বিশেষ্যপদ। মানুষের সড়ঋপুর দ্বিতীয় ঋপু। ক্রোধ বা রাগের ফলে মানুষ হিতাহিতজ্ঞান ও বিচারবুদ্ধি হারিয়ে ফেলে। ক্রোধ একটি অস্বাভাবিক তীব্র মানসিক অবস্থা যা অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্তির ফলে একটি শক্তিশালী ও অস্বস্তিকর এবং অসহযোগী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।ক্রোধ প্রকাশে মুখভঙ্গী বিকৃত এবং অপরের কাছে তা ভীতির কারণ হতে পারে।

ক্রোধের লক্ষণ: একেকজনের একেকরকম লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণত:চোখ-মুখ রক্তিম হওয়া, কপালে ঘাম দেখা দেওয়া,মাথার চুল ছিঁড়তে থাকা, হেঁচকি ওঠা ইত্যাদি।

ক্রোধের কুফল: ক্রোধ ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে কুফল বয়ে আনে। ব্যক্তিগত ক্ষতিসমূহের মধ্যে রয়েছে: ১। অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়। ২। মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি। ৩। ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক। ৪। উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা। ৫। বুকে ব্যথা, মাইগ্রেন, মাথা ব্যথা। ৬। এসিডিটি ও বদহজম। ৭। ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি (৪) ৮।রেগে থাকলে একজন ব্যক্তির শরীরে স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ বেড়ে যায়। ৯।রক্তের সুগারের তারতম্য শুরু হয়। ১০।যারা প্রায়ই রেগে যান তাদের শুভ বুদ্ধির চর্চাও কমে যায়। ১১।অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে পাকস্থলীয় কোষ উজ্জিবিত হয়ে পরে এবং এসিড নির্গমনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এজন্য চিকিৎসকগন ক্রোধ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন(৫)

সামাজিক ক্ষতি: অনেক সময় ক্রোধ বা রাগ থেকে খুন,গুম, ধর্ষণ, মারামারি ইত্যাদি নানা ধরনের সামাজিক অবক্ষয় তৈরি হয়।

ক্রোধ নিয়ন্ত্রনের সুফল: ক্রোধ নিয়ন্ত্রন ও অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়ার ফলে ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা নেমে।এ ছাড়া ইসলাম ধর্মে ক্রোধ নিয়ন্ত্রনের সুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন: রাগ নিয়ন্ত্রণ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে। যে ব্যক্তি রাগ নিয়ন্ত্রণ করে, সে আধ্যাত্মিকভাবে এবং জাগতিকভাবেও পুরস্কৃত হয়। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের ক্রোধ চরিতার্থ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা সংবরণ করে, আল্লাহ তাকে কিয়ামতের দিন সমগ্র সৃষ্টির সামনে ডেকে আনবেন এবং জান্নাতের যেকোনো হুর নিজের ইচ্ছামতো বেছে নেওয়ার অধিকার দান করবেন।’(৬)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বান্দার ক্রোধ সংবরণে যে মহান প্রতিদান রয়েছে, তা অন্য কিছুতে নেই।’ (৭)।

এক ব্যক্তি নবীজি (সা.)-কে বললেন, ‘আপনি আমাকে অসিয়ত করুন। তিনি বললেন, “তুমি রাগ করো না”। ওই ব্যক্তি কয়েকবার তা বললেন। নবীজি (সা.) প্রতিবারই বললেন, “রাগ করো না”(৮)

ক্রোধ নিয়ন্ত্রনের উপায়: ইসলাম ধর্মে ক্রোধ নিয়ন্ত্রনের চমৎকার ও বিজ্ঞান সম্মত উপায় আলোচনা করা হয়েছে। যেমন: যখন রাগ আমাদের গ্রাস করতে চায় কিংবা আমরা রাগান্বিত অবস্থায় থাকি, তখন আমাদের কী করা উচিত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যদি তোমাদের কেউ দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়ে পড়ে, তবে তার উচিত বসে পড়া। যদি তার রাগ কমে যায়, তবে ভালো; নয়তো তার উচিত শুয়ে পড়া।’(৯)।

নবী করিম (সা.) আমাদের উপদেশ হিসেবে আরও বলেছেন রাগান্বিত অবস্থায় অজু করতে, যা রাগ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার একটি উত্তম পদ্ধতি। নবীজি (সা.) বলেন, ‘রাগ আসে শয়তানের পক্ষ থেকে; শয়তানকে তৈরি করা হয়েছে আগুন থেকে, আর একমাত্র পানির মাধ্যমেই আগুন নেভানো সম্ভব। তাই তোমাদের মধ্যে কেউ যখন রাগান্বিত হয়ে পড়ে, তার উচিত অজু করা।’(১০)। এ ছাড়া নবীজি (সা.) শয়তানের প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগের কথাও বলেছেন। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘আমি এমন একটি কালেমা জানি, যা পাঠ করলে ক্রোধ দূর হয়ে যায়। (আর তা হলো) “আউযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বনির রাজিম” অর্থাৎ, আমি বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই(১১)। অন্যান্য ধর্মের মানুষের জন্যও এ পদ্ধতি অনুসরণ করে দেখা যেতে। কমপক্ষে পরিস্কার চোখে মুখে ছিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সকলের জীবন সুন্দর হোক, পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসুক সেই প্রত্যাশায়।

(১)https://www.dictionaryf (২)https://www.google.com (৩)http://dictionary.cambridge.org (৪)Jagonews24.com(২৫ আগস্ট,২০২০) (৫)http://www.ittefaq.com.bd/ ৬।(ইবনে মাজাহ: ৪১৮৬) ৭।(ইবনে মাজাহ: ৪১৮৯) ৮।বুখারি, খণ্ড: ৮, অধ্যায়: ৭৩, হাদিস: ১৩৭ ৯। সহীহ আত-তিরমিযী। ১০। আবু দাউদ ১১।মুসলিম, অধ্যায়: ৩২, হাদিস: ৬৩১৭)।

লক্ষণ

কিছু প্রাণী উচ্চস্বরে শব্দ দেয়, শারীরিক দিক থেকে আরও বড় দেখানোর চেষ্টা করে, তাদের দাঁত বের করে তাকায়।

লোকেরা যখন মনে করে যে তারা বা তাদের যাদের যত্ন নেওয়া তাদের বিরক্ত করা হয়েছে, যখন তারা ক্রোধজনক ঘটনার প্রকৃতি এবং কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং যখন তারা অন্য কাউকে দায়বদ্ধ বলে নিশ্চিত করে এবং যখন তারা মনে করে তারা এখনও পরিস্থিতি প্রভাবিত করতে পারে তখন তারা ক্ষুব্ধ হন বা এটি মোকাবেলা। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও ব্যক্তির গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে তারা অন্য কারো দ্বারা এটি করা হলে তারা ক্ষুব্ধ হবে (উদাহরণস্বরূপ অন্য চালক এটি পুনরায় শেষ করেছেন) তবে পরিস্থিতিগত বাহিনী (যেমন শিলাবৃষ্টি) বা অপরাধবোধ ও লজ্জাজনিত কারণে যদি তা ঘটে থাকে তবে পরিবর্তে তারা দুঃখ বোধ করবেন। যদি তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ হন (উদাহরণস্বরূপ তিনি ক্ষণিক অসতর্কতার কারণে একটি দেয়ালে বিধ্বস্ত হয়েছিলেন)। মনোচিকিত্সক মাইকেল সি গ্রাহাম বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের প্রত্যাশা এবং অনুমানের ক্ষেত্রে ক্রোধকে সংজ্ঞায়িত করেন। গ্রাহাম বলেছেন রাগ প্রায়শই ফলস্বরূপ ঘটে যখন আমরা ধরা পড়ি "... পৃথিবী তার চেয়ে আলাদা হওয়ার প্রত্যাশা করে"।

সাধারণত, যারা রাগের অভিজ্ঞতা পান তারা "তাদের কী হয়েছে" এর ফলস্বরূপ এর উত্তেজনাপূর্ণ ব্যাখ্যা করে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্ণিত উস্কানিগুলি রাগের অভিজ্ঞতার সাথে সাথেই ঘটে। এই জাতীয় ব্যাখ্যা মায়াজালকে নিশ্চিত করে যে রাগের একটি পৃথক বহিরাগত কারণ রয়েছে। রাগী ব্যক্তি সাধারণত তাদের ক্রোধের কারণটি অন্য ব্যক্তির আচরণের ইচ্ছাকৃত, ব্যক্তিগত এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য দিকটিতে খুঁজে পান। এই ব্যাখ্যাটি তবে রাগান্বিত ব্যক্তির অন্তর্নিহিতের উপর ভিত্তি করে যারা তাদের আবেগের ফলে স্ব-পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং উদ্দেশ্য পর্যবেক্ষণে ক্ষতি অনুভব করে। রাগ বহুবিধ উৎস হতে পারে, এর মধ্যে কয়েকটি দূরবর্তী ঘটনাও হতে পারে তবে লোকেরা খুব কমই তাদের ক্রোধের জন্য একাধিক কারণ খুঁজে পায়। নোভাকোর মতে, "ক্রোধের অভিজ্ঞতাগুলি পরিবেশগত-সাময়িক প্রেক্ষাপটে এম্বেড করা বা বাসা বেঁধে দেওয়া হয়। " এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে, একটি অভ্যন্তরীণ সংক্রমণ ব্যথার কারণ হতে পারে যা ক্রোধ ক্রোধকে সক্রিয় করতে পারে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

প্রতিশব্দ:রাগ