রূপরাম চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:


== জীবনী ==
== জীবনী ==
রূপরাম চক্রবর্তী [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান জেলার]] (বর্তমানে [[পূর্ব বর্ধমান জেলা|''পূর্ব বর্ধমান জেলা'']]) দক্ষিণ প্রান্তে রায়না থানার অন্তর্গত গ্রাম কাইতি-শ্রীরামপুরে পৈতৃক ভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। কবি রূপরামের পিতার নাম শ্রীরাম চক্রবর্তী এবং মাতার নাম দৈমন্তী দেবী (অথবা, দয়মন্তী বা দময়ন্তী বা দয়াবন্তী)।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.303335|শিরোনাম=রূপরামের ধর্মমঙ্গল: (বন্দনা হইতে লাউসেন - চুরি পালা পর্যন্ত)|তারিখ=|বছর=১৯৪৪|সম্পাদক-শেষাংশ=সেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=সুকুমার|সম্পাদক-শেষাংশ২=মণ্ডল|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=পঞ্চানন|প্রকাশক=সাহিত্য-সভা|অবস্থান=বর্ধমান}}</ref> পিতা শ্রীরাম চক্রবর্তী খ্যাতিমান সংস্কৃত পণ্ডিত ছিলেন, তাঁর টোলে শতাধিক ছাত্র অধ্যয়ন করতো। পিতা শ্রীরামের মৃত্যুর পর রূপরামের জ্যেষ্ঠভ্রাতা রত্নেশ্বরের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হলে রূপরাম পার্শ্ববর্তী আড়ুই গ্রামের পণ্ডিত রঘুরাম ভট্টাচার্যের টোলে উপস্থিত হন। সেখানে কিছুদিন অধ্যয়ন করার পর রূপরামের তর্কপরায়ণতায় অতিষ্ঠ হওয়ায় গুরুশিষ্যের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়। রূপরামকে অন্যত্র পড়তে জেতে বললে রূপরাম নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে গমন করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই তাঁর মায়ের কথা মনে পরলে তিনি বাড়িমুখে অগ্রসর হন।
রূপরাম চক্রবর্তী [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান জেলার]] (বর্তমানে [[পূর্ব বর্ধমান জেলা|''পূর্ব বর্ধমান জেলা'']]) দক্ষিণ প্রান্তে রায়না থানার অন্তর্গত গ্রাম কাইতি-শ্রীরামপুরে পৈতৃক ভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। কবি রূপরামের পিতার নাম শ্রীরাম চক্রবর্তী এবং মাতার নাম দৈমন্তী দেবী (অথবা, দয়মন্তী বা দময়ন্তী বা দয়াবন্তী)।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.303335|শিরোনাম=রূপরামের ধর্মমঙ্গল: (বন্দনা হইতে লাউসেন - চুরি পালা পর্যন্ত)|তারিখ=|বছর=১৯৪৪|সম্পাদক-শেষাংশ=সেন|সম্পাদক-প্রথমাংশ=সুকুমার|সম্পাদক-শেষাংশ২=মণ্ডল|সম্পাদক-প্রথমাংশ২=পঞ্চানন|প্রকাশক=সাহিত্য-সভা|অবস্থান=বর্ধমান|খণ্ড=প্রথম খণ্ড}}</ref> পিতা শ্রীরাম চক্রবর্তী খ্যাতিমান [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] পণ্ডিত ছিলেন, তাঁর টোলে শতাধিক ছাত্র অধ্যয়ন করতো। পিতা শ্রীরামের মৃত্যুর পর রূপরামের জ্যেষ্ঠভ্রাতা রত্নেশ্বরের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হলে রূপরাম পার্শ্ববর্তী আড়ুই গ্রামের পণ্ডিত রঘুরাম ভট্টাচার্যের টোলে উপস্থিত হন। সেখানে কিছুদিন অধ্যয়ন করার পর রূপরামের তর্কপরায়ণতায় অতিষ্ঠ হওয়ায় গুরুশিষ্যের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়। রূপরামকে অন্যত্র পড়তে জেতে বললে রূপরাম [[নবদ্বীপ|নবদ্বীপের]] উদ্দেশ্যে গমন করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই তাঁর মায়ের কথা মনে পরলে তিনি বাড়িমুখে অগ্রসর হন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.org/details/in.ernet.dli.2015.301847|শিরোনাম=বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস|শেষাংশ=ভট্টাচার্য|প্রথমাংশ=আশুতোষ|তারিখ=|বছর=১৯৫৯|প্রকাশক=বুক সিণ্ডিকেট প্রাইভেট লিমিটেড|অবস্থান=২, রামনাথ বিশ্বাস লেন, কলকাতা|পাতাসমূহ=৯৯|সংস্করণ=তৃতীয়}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৮:৩৭, ৪ জুলাই ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রূপরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য বাঙালি কবি। তাঁকে মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যবাহী ধর্মমঙ্গল কাব্য শাখার একজন অন্যতম প্রধান রচয়িতা হিসেবে অভিহিত করা হয়। তিনি আনুমানিক ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে অনাদিমঙ্গল কাব্য রচনা করেন। তাঁকে ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রথম রচয়িতা বলে মনে করা হয়, তাঁর পরবর্তী ধর্মমঙ্গল রচয়িতারা তাঁকে আদি রূপরাম বলে চিহ্নিত করেছেন।[১]

জীবনী

রূপরাম চক্রবর্তী বর্ধমান জেলার (বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা) দক্ষিণ প্রান্তে রায়না থানার অন্তর্গত গ্রাম কাইতি-শ্রীরামপুরে পৈতৃক ভিটায় জন্মগ্রহণ করেন। কবি রূপরামের পিতার নাম শ্রীরাম চক্রবর্তী এবং মাতার নাম দৈমন্তী দেবী (অথবা, দয়মন্তী বা দময়ন্তী বা দয়াবন্তী)।[২] পিতা শ্রীরাম চক্রবর্তী খ্যাতিমান সংস্কৃত পণ্ডিত ছিলেন, তাঁর টোলে শতাধিক ছাত্র অধ্যয়ন করতো। পিতা শ্রীরামের মৃত্যুর পর রূপরামের জ্যেষ্ঠভ্রাতা রত্নেশ্বরের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হলে রূপরাম পার্শ্ববর্তী আড়ুই গ্রামের পণ্ডিত রঘুরাম ভট্টাচার্যের টোলে উপস্থিত হন। সেখানে কিছুদিন অধ্যয়ন করার পর রূপরামের তর্কপরায়ণতায় অতিষ্ঠ হওয়ায় গুরুশিষ্যের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি হয়। রূপরামকে অন্যত্র পড়তে জেতে বললে রূপরাম নবদ্বীপের উদ্দেশ্যে গমন করেন। কিন্তু কিছুদূর যেতেই তাঁর মায়ের কথা মনে পরলে তিনি বাড়িমুখে অগ্রসর হন।[৩]

তথ্যসূত্র

  1. সেন, দীনেশচন্দ্র (১৯১৪)। Vanga Sahitya Parichaya or Selections from the Bengali literature: from the earliest times to the Middle of the Nineteenth Century। কলকাতা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৩৮৫। 
  2. সেন, সুকুমার; মণ্ডল, পঞ্চানন, সম্পাদকগণ (১৯৪৪)। রূপরামের ধর্মমঙ্গল: (বন্দনা হইতে লাউসেন - চুরি পালা পর্যন্ত)। প্রথম খণ্ড। বর্ধমান: সাহিত্য-সভা। 
  3. ভট্টাচার্য, আশুতোষ (১৯৫৯)। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (তৃতীয় সংস্করণ)। ২, রামনাথ বিশ্বাস লেন, কলকাতা: বুক সিণ্ডিকেট প্রাইভেট লিমিটেড। পৃষ্ঠা ৯৯।