রাসায়নিক ধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
শুরু
 
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''রাসায়নিক ধর্ম''' বা '''রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য''' বলতে পদার্থের সেইসব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মগুলিকে বোঝায় যেগুলি কেবলমাত্র পদার্থটির কোনও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে কিংবা পদার্থটি কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলে পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা যায়। কোনও পদার্থের নমুনা স্পর্শ করে কিংবা দেখে রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। রাসায়নিক ধর্মগুলি প্রতিভাত হবার জন্য পদার্থের নমুনাটির কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটা অর্থাৎ নতুন কোনও পদার্থ সৃষ্টি হওয়া আবশ্যক। বিজ্ঞানীরা পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে পূর্বাভাস করতে পারেন কোনও নমুনা রাসায়নিক বিক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করবে কি না। এছাড়া রাসায়নিক ধর্মাবলি ব্যবহার করে যৌগিক পদার্থগুলিকে শ্রেণীকরণ করা হতে পারে এবং এগুলির প্রয়োগ খুঁজে বের করা হতে পারে। কোনও পদার্থের রাসায়নিক ধর্মাবলি জানা থাকলে এটির বিশোধন, অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য থেকে এটিকে পৃথকীকরণ কিংবা অজানা কোনও নমুনায় এটির শনাক্তকরণ সহজ হয়।
'''রাসায়নিক ধর্ম''' বা '''রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য''' বলতে পদার্থের সেইসব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মগুলিকে বোঝায় যেগুলি কেবলমাত্র পদার্থটির কোনও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে কিংবা পদার্থটি কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলে পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা যায়। কোনও পদার্থের নমুনা স্পর্শ করে কিংবা দেখে রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। রাসায়নিক ধর্মগুলি প্রতিভাত হবার জন্য পদার্থের নমুনাটির কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটা অর্থাৎ নতুন কোনও পদার্থ সৃষ্টি হওয়া আবশ্যক। বিজ্ঞানীরা পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে পূর্বাভাস করতে পারেন কোনও নমুনা রাসায়নিক বিক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করবে কি না। এছাড়া রাসায়নিক ধর্মাবলি ব্যবহার করে যৌগিক পদার্থগুলিকে শ্রেণীকরণ করা হতে পারে এবং এগুলির প্রয়োগ খুঁজে বের করা হতে পারে। কোনও পদার্থের রাসায়নিক ধর্মাবলি জানা থাকলে এটির বিশোধন, অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য থেকে এটিকে পৃথকীকরণ কিংবা অজানা কোনও নমুনায় এটির শনাক্তকরণ সহজ হয়।<ref>https://www.thoughtco.com/chemical-properties-of-matter-608337</ref>


যেমন ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পারদের (২) অক্সাইড বিযোজিত হয়ে পারদ ও অক্সিজেন উৎপাদন করে, যা ঐ যৌগের একটি রাসায়নিক ধর্ম। একইভাবে হিলিয়াম অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে না, এবং এই রাসায়নিক ধর্ম ব্যবহার করে এটিকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন থেকে পৃথক করা সম্ভব।
যেমন ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পারদের (২) অক্সাইড বিযোজিত হয়ে পারদ ও অক্সিজেন উৎপাদন করে, যা ঐ যৌগের একটি রাসায়নিক ধর্ম। একইভাবে হিলিয়াম অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে না, এবং এই রাসায়নিক ধর্ম ব্যবহার করে এটিকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন থেকে পৃথক করা সম্ভব।
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
* [[দ্রাব্যতা]]
* [[দ্রাব্যতা]]
* [[আয়নীভবন মাত্রা]] বা [[আধানীভবন মাত্রা]]
* [[আয়নীভবন মাত্রা]] বা [[আধানীভবন মাত্রা]]

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}


[[বিষয়শ্রেণী:রাসায়নিক ধর্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:রাসায়নিক ধর্ম]]

০৮:০৬, ৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাসায়নিক ধর্ম বা রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বলতে পদার্থের সেইসব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মগুলিকে বোঝায় যেগুলি কেবলমাত্র পদার্থটির কোনও রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটলে কিংবা পদার্থটি কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করলে পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা যায়। কোনও পদার্থের নমুনা স্পর্শ করে কিংবা দেখে রাসায়নিক ধর্ম নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। রাসায়নিক ধর্মগুলি প্রতিভাত হবার জন্য পদার্থের নমুনাটির কাঠামোতে পরিবর্তন ঘটা অর্থাৎ নতুন কোনও পদার্থ সৃষ্টি হওয়া আবশ্যক। বিজ্ঞানীরা পদার্থের রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে পূর্বাভাস করতে পারেন কোনও নমুনা রাসায়নিক বিক্রিয়াতে অংশগ্রহণ করবে কি না। এছাড়া রাসায়নিক ধর্মাবলি ব্যবহার করে যৌগিক পদার্থগুলিকে শ্রেণীকরণ করা হতে পারে এবং এগুলির প্রয়োগ খুঁজে বের করা হতে পারে। কোনও পদার্থের রাসায়নিক ধর্মাবলি জানা থাকলে এটির বিশোধন, অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য থেকে এটিকে পৃথকীকরণ কিংবা অজানা কোনও নমুনায় এটির শনাক্তকরণ সহজ হয়।[১]

যেমন ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পারদের (২) অক্সাইড বিযোজিত হয়ে পারদ ও অক্সিজেন উৎপাদন করে, যা ঐ যৌগের একটি রাসায়নিক ধর্ম। একইভাবে হিলিয়াম অন্য কোনও রাসায়নিক পদার্থের সাথে বিক্রিয়া করে না, এবং এই রাসায়নিক ধর্ম ব্যবহার করে এটিকে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন থেকে পৃথক করা সম্ভব।

মৌলিক পদার্থসমূহের পর্যায় সারণিতে একই ধরনের রাসায়নিক ধর্মের অধিকারী মৌলিক পদার্থগুলি একই উল্লম্ব শ্রেণী বা স্তম্ভে সজ্জিত থাকে। যেমন ১ নং শ্রেণীর (উল্লম্ব স্তম্ভ) অন্তর্ভুক্ত লিথিয়াম, সোডিয়াম ও পটাসিয়াম প্রত্যেকেই পানির সাথে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপাদন করে।

রাসায়নিক ধর্মের বিপরীতে পদার্থের আরও এক শ্রেণীর ধর্ম আছে, যাদেরকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলে। ভৌত ধর্মগুলিকে পদার্থের নমুনার গাঠনিক কাঠামো পরিবর্তন না করেই পর্যবেক্ষণ ও পরিমাপ করা সম্ভব। এগুলির মধ্যে আছে রঙ (বর্ণ), চাপ, দৈর্ঘ্য, ঘনমাত্রা, ইত্যাদি।

রাসায়নিক ধর্মসমূহের তালিকা

রাসায়নিক ধর্মসমূহের একটি অসম্পূর্ণ তালিকা নিচে দেওয়া হল:

তথ্যসূত্র