লুডভিগ ফয়ারবাখ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
সম্প্রসারণ
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
'''লুডউইগ ফয়েরবাক''' ({{lang-en|Ludwig Feuerbach}}) ([[জুলাই ২৮|২৮ জুলাই]], [[১৮০৪]] - [[সেপ্টেম্বর ১৩|১৩ সেপ্টেম্বর]], [[১৮৭২]]) ছিলেন [[জার্মানী|জার্মানীর]] একজন [[বস্তুবাদ|বস্তুবাদী]] [[দর্শন|দার্শনিক]]।<ref name="ওদুদ">{{Cite book |author=মো. আবদুল ওদুদ |title=রাষ্ট্রদর্শন |publisher=মনন পাবলিকেশন |date=দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০১৪ |accessdate=নভেম্বর, ২০১৬ |location=ঢাকা |isbn=978-98-43300-90-4 |page=৪৮৯ |quote=}}</ref> [[হেগেল|হেগেলের]] ভাববাদের সমালোচনা এবং ধর্মের বস্তবাদী ব্যাখ্যার জন্য ফয়েরবাক [[ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস]], [[কার্ল মার্কস]] এবং সমসাময়িক অন্যান্য বস্তুবাদী চিন্তাবিদের ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেন।<ref name="কোষ">[[সরদার ফজলুল করিম]]; ''দর্শনকোষ'', [[বাংলা একাডেমী]], ঢাকা, ১৯৭৩ পৃ:১৭৩]</ref> ফয়েরবাক একজন নৃতত্ত্ববিদও বটে।
'''লুডউইগ ফয়েরবাক''' ({{lang-en|Ludwig Feuerbach}}) ([[জুলাই ২৮|২৮ জুলাই]], [[১৮০৪]] - [[সেপ্টেম্বর ১৩|১৩ সেপ্টেম্বর]], [[১৮৭২]]) ছিলেন [[জার্মানী|জার্মানীর]] একজন [[বস্তুবাদ|বস্তুবাদী]] [[দর্শন|দার্শনিক]]।<ref name="ওদুদ">{{Cite book |author=মো. আবদুল ওদুদ |title=রাষ্ট্রদর্শন |publisher=মনন পাবলিকেশন |date=দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০১৪ |accessdate=নভেম্বর, ২০১৬ |location=ঢাকা |isbn=978-98-43300-90-4 |page=৪৮৯ |quote=}}</ref> [[হেগেল|হেগেলের]] ভাববাদের সমালোচনা এবং ধর্মের বস্তবাদী ব্যাখ্যার জন্য ফয়েরবাক [[ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস]], [[কার্ল মার্কস]] এবং সমসাময়িক অন্যান্য বস্তুবাদী চিন্তাবিদের ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেন।<ref name="কোষ">[[সরদার ফজলুল করিম]]; ''দর্শনকোষ'', [[বাংলা একাডেমী]], ঢাকা, ১৯৭৩ পৃ:১৭৩]</ref> ফয়েরবাক একজন নৃতত্ত্ববিদও বটে।


==কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস==
[[কার্ল মার্কস]] ''[[থিসিস অন ফয়েরবাখ]]'' (''Thesis on Feuerbach'') শিরোনামে যেসব প্রবন্ধ রচনা করেন (১৮৪৫) সেগুলি ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এঙ্গেলসের “লুডইউগ ফয়েরবাখ” নামক পুস্তকে প্রকাশিত হয়।
=== রচনার বৈশিষ্ট্য ===
=== রচনার বৈশিষ্ট্য ===
তিনি ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ বিশ্লেষণ করে ভাববাদের সাথে ধর্মের সম্পর্ক দেখান। হেগেলের দ্বান্দিকতার মূল চরিত্র যে ভাববাদ তা-ও ফয়েরবাক বিশ্লেষণ করে দেখান। জ্ঞানতত্ত্বে তিনি [[অজ্ঞেয়বাদ]] এর বিরোধীতা করেন। তাঁর মতে, জ্ঞানের উৎস হচ্ছে অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভূতি। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভুতির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে তিনি জ্ঞানের ক্ষেত্রে মনের ভূমিকা অস্বীকার করেননি। মানুষের জ্ঞান ও চেতনা কেবল আত্মগত নয়। ফয়েরবাক মনে করতেন জ্ঞান এবং জ্ঞাতা, বিষয় ও বিষয়ীর পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই জ্ঞানের উদ্ভব।<ref name="কোষ" />
তিনি ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ বিশ্লেষণ করে ভাববাদের সাথে ধর্মের সম্পর্ক দেখান। হেগেলের দ্বান্দিকতার মূল চরিত্র যে ভাববাদ তা-ও ফয়েরবাক বিশ্লেষণ করে দেখান। জ্ঞানতত্ত্বে তিনি [[অজ্ঞেয়বাদ]] এর বিরোধীতা করেন। তাঁর মতে, জ্ঞানের উৎস হচ্ছে অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভূতি। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভুতির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে তিনি জ্ঞানের ক্ষেত্রে মনের ভূমিকা অস্বীকার করেননি। মানুষের জ্ঞান ও চেতনা কেবল আত্মগত নয়। ফয়েরবাক মনে করতেন জ্ঞান এবং জ্ঞাতা, বিষয় ও বিষয়ীর পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই জ্ঞানের উদ্ভব।<ref name="কোষ" />

১৫:৫০, ৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লুডউইগ ফয়েরবাক
Ludwig Feuerbach
জন্ম(১৮০৪-০৭-২৮)২৮ জুলাই ১৮০৪
মৃত্যু১৩ সেপ্টেম্বর ১৮৭২(1872-09-13) (বয়স ৬৮)
যুগ19th-century philosophy
অঞ্চলWestern Philosophy
ধারাবস্তুবাদ, মানবতাবাদ
প্রধান আগ্রহ
ধর্ম, খ্রিস্ট ধর্ম
উল্লেখযোগ্য অবদান
Religion as the outward projection of human inner nature
ভাবগুরু

লুডউইগ ফয়েরবাক (ইংরেজি: Ludwig Feuerbach) (২৮ জুলাই, ১৮০৪ - ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৮৭২) ছিলেন জার্মানীর একজন বস্তুবাদী দার্শনিক[১] হেগেলের ভাববাদের সমালোচনা এবং ধর্মের বস্তবাদী ব্যাখ্যার জন্য ফয়েরবাক ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস, কার্ল মার্কস এবং সমসাময়িক অন্যান্য বস্তুবাদী চিন্তাবিদের ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেন।[২] ফয়েরবাক একজন নৃতত্ত্ববিদও বটে।

কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস

কার্ল মার্কস থিসিস অন ফয়েরবাখ (Thesis on Feuerbach) শিরোনামে যেসব প্রবন্ধ রচনা করেন (১৮৪৫) সেগুলি ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দে এঙ্গেলসের “লুডইউগ ফয়েরবাখ” নামক পুস্তকে প্রকাশিত হয়।

রচনার বৈশিষ্ট্য

তিনি ধর্মের উৎপত্তি ও বিকাশ বিশ্লেষণ করে ভাববাদের সাথে ধর্মের সম্পর্ক দেখান। হেগেলের দ্বান্দিকতার মূল চরিত্র যে ভাববাদ তা-ও ফয়েরবাক বিশ্লেষণ করে দেখান। জ্ঞানতত্ত্বে তিনি অজ্ঞেয়বাদ এর বিরোধীতা করেন। তাঁর মতে, জ্ঞানের উৎস হচ্ছে অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভূতি। কিন্তু অভিজ্ঞতা ও ইন্দ্রিয়ানুভুতির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে তিনি জ্ঞানের ক্ষেত্রে মনের ভূমিকা অস্বীকার করেননি। মানুষের জ্ঞান ও চেতনা কেবল আত্মগত নয়। ফয়েরবাক মনে করতেন জ্ঞান এবং জ্ঞাতা, বিষয় ও বিষয়ীর পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতেই জ্ঞানের উদ্ভব।[২]

তথ্যসূত্র

  1. মো. আবদুল ওদুদ (দ্বিতীয় সংস্করণ, এপ্রিল ২০১৪)। রাষ্ট্রদর্শন। ঢাকা: মনন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ৪৮৯। আইএসবিএন 978-98-43300-90-4  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য);
  2. সরদার ফজলুল করিম; দর্শনকোষ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৭৩ পৃ:১৭৩]

বহিঃসংযোগ