প্রেরিত শিষ্য যোহনের নিকট প্রকাশিত বাক্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নতুন পৃষ্ঠা: {{about |নূতন নিয়মের একটি পুস্তক}} {{Books of the New Testament}} {{John}} File:BibleSPaoloFol331vFrontRev.jpg|thumb|...
 
Jonoikobangali ব্যবহারকারী প্রকাশিত বাক্য পাতাটিকে প্রেরিত শিষ্য যোহনের নিকট প্রকাশিত বাক্য শিরোনা...
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৫:২৫, ২২ জুলাই ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

টেমপ্লেট:John

Frontispiece, Book of Revelation, Bible of San Paolo fuori le Mura, 9th century.

প্রকাশিত বাক্য (ইংরেজি: Book of Revelation, রহস্যোদ্ঘাটনের পুস্তক; বা Revelation to John, যোহনের নিকট রহস্যোদ্ঘাটন; বা Apocalypse of John, যোহনের ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ পুস্তক; সংক্ষেপে Revelation বা Apocalypse) হল নূতন নিয়মের একটি পুস্তক। এই পুস্তকটি খ্রিস্টীয় পুনরুত্থানবাদে একটি কেন্দ্রীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে। কোইন গ্রিকে লিখিত এই পুস্তকের প্রথম শব্দ apokalypsis (অর্থাৎ,"উন্মোচন" বা "রহস্যোদ্ঘাটন") থেকে এই পুস্তকটির নামকরণ করা হয়েছে। প্রকাশিত বাক্য নূতন নিয়ম অপ্রক্ষিপ্তাংশে ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ একমাত্র পুস্তক (যদিও নূতন নিয়মের সুসমাচারপত্রাবলি অংশে ভবিষ্যৎ ঘটনার ইঙ্গিতপূর্ণ কিছু সংক্ষিপ্ত পংক্তি রয়েছে)।[ক]

প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের গ্রন্থকার নিজের নাম "যোহন" বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তাঁর সঠিক পরিচয় গবেষকদের মধ্যে একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে রয়ে গিয়েছে। জাস্টিন মারট্যার, আইরেনিয়াস, সার্ডিসের বিশপ মেলিটো, আলেকজান্দ্রিয়ার ক্লিমেন্ট এবং মিউর্যাপটরিয়ান পুথির রচয়িতা প্রকাশিত বাক্য পুস্তকের "যোহন"কে প্রেরিত যোহন বলে চিহ্নিত করেন।[১] আধুনিক গবেষকেরা সাধারণভাবে ভিন্নমত পোষণ করেন।[২] অনেকেই মনে করেন, এই পুস্তকের রচয়িতা একজন খ্রিস্টান নবি (ভবিষ্যদ্বক্তা)[৩] কোনও কোনও আধুনিক গবেষক এই পুস্তকের রচয়িতাকে এক অনুমিত চরিত্র মনে করেন। তাঁরা এই চরিত্রটির নাম দিয়েছেন "প্যাটমোসের জন"। একাধিক প্রথাগত সূত্র থেকে জানা যায়, সম্রাট ডোমিশিয়ানের রাজত্বকালে (৮১-৯৬ খ্রিস্টাব্দ) এই গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল। এই ধারণার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।[৪]

প্রকাশিত বাক্য পুস্তকটি তিনটি সাহিত্য বর্গের অন্তর্গত: পত্রমূলক, রহস্যোদ্ঘাটনমূলকভবিষ্যদ্বাণীমূলক[৫] এই পুস্তকের শুরুতে দেখা যায় ইজিয়ানের প্যাটমোস দ্বীপ থেকে যোহন "এশিয়ার সপ্ত মণ্ডলী"র উদ্দেশ্যে একটি পত্র রচনা করছেন। এরপর তিনি ভাবদৃষ্টিতে দেখা একাধিক ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এই বিবরণের মধ্যে রয়েছে ব্যাবিলনের মহাগণিকাপশু এবং পরিশেষে যিশুর দ্বিতীয় আগমন

এই পুস্তকের অস্পষ্ট ও অত্যধিক কল্পনামূলক বিবরণগুলিএ একাধিক খ্রিস্টীয় ব্যাখ্যা রয়েছে: ইতিহাসবাদী ব্যাখ্যা অনুসারে, ভাবদৃষ্টিতে দেখা এই ঘটনাগুলি হল ইতিহাসের একটি প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গি; প্রিটারিস্ট ব্যাখ্যা অনুসারে, এই ঘটনাগুলি প্রধানত প্রেরিতদের যুগের (খ্রিস্টীয় ১ম শতাব্দ) বা অনন্তপক্ষে রোমান সাম্রাজ্যের পতনের ইঙ্গিতবাহী; ভবিষ্যৎবাদীরা মনে করেন, এই পুস্তকে উল্লিখিত ঘটনাগুলি ভবিষ্যতের ঘটনার বিবরণ; এবং আদর্শবাদী ও প্রতীকবাদী ব্যাখ্যা অনুসারে, এই ঘটনাগুলি প্রকৃত ঘটনা বা ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের বিবরণ নয়, বরং এগুলি আধ্যাত্মিক পথ এবং সৎ ও অসতের দ্বন্দ্বের একটি রূপক


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "lower-alpha" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="lower-alpha"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি

  1. Carson, Don (২০০৫)। An Introduction to the New Testament (2nd সংস্করণ)। Grand Rapids, Michigan: Zondervan। পৃষ্ঠা 465ff। আইএসবিএন 0-310-51940-3 
  2. Collins 1984, পৃ. 28।
  3. Bauckham 1992, পৃ. 2।
  4. Stuckenbruck 2003, পৃ. 1535-1536।
  5. Stuckenbruck 2003, পৃ. 1536।