সাবাশ বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
RockyMasum (আলোচনা | অবদান) অ Masum-al-hasan ব্যবহারকারী শাবাশ বাংলাদেশ পাতাটিকে সাবাশ বাংলাদেশ শিরোনামে পুনির্নির্দেশনার মাধ্... |
RockyMasum (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Infobox artwork |
|||
[[File:Rajshahi University Area.JPG|thumb|220px|শাবাশ বাংলাদেশ, [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]]]] |
|||
| title = সাবাশ বাংলাদেশ |
|||
⚫ | ''' |
||
| painting_alignment = |
|||
| other_language_1 = [[Sabash Bangladesh|English]] |
|||
| other_title_1 = Sabash Bangladesh |
|||
| other_language_2 = |
|||
| other_title_2 = |
|||
| image_file = Rajshahi University Area.JPG |
|||
| image_size = 220px |
|||
| alt = |
|||
| caption = সাবাশ বাংলাদেশ |
|||
⚫ | |||
| catalogue = |
|||
| year = {{start date|১৯৯১}} |
|||
| completion_date = |
|||
| type = |
|||
| material = |
|||
| subject = বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ |
|||
| height_metric = <!-- (i.e. in metric units) --> |
|||
| width_metric = |
|||
| length_metric = |
|||
| diameter_metric = |
|||
| height_imperial = |
|||
| width_imperial = |
|||
| length_imperial = |
|||
| diameter_imperial = |
|||
| dimensions = |
|||
| dimensions_ref = |
|||
| metric_unit = m <!-- Note: this parameter must either use the value given or not be included --> |
|||
| imperial_unit = ft <!-- Note: this parameter must either use the value given or not be included --> |
|||
| condition = |
|||
| city = [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]], [[রাজশাহী]], [[বাংলাদেশ]] |
|||
| museum = |
|||
| accession = |
|||
| coordinates = {{Coord|24.22|88.36|type:landmark|display=inline,title}} |
|||
| owner = |
|||
| url = <!-- Official webpage/site only: {{URL|example.com}} --> |
|||
}} |
|||
⚫ | '''সাবাশ বাংলাদেশ''' ({{Lang-en|Shabash Bangladesh}}) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের]] স্মৃতিবিজরিত ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়|রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে]] অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী [[নিতুন কুণ্ডু]]। এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্য।<ref>http://www.bssnews.net/bangla/newsDetails.php?cat=21&id=279756&date=2015-03-29</ref> বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতীকি ভাস্কর্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রকাশভঙ্গীর সরলতা, গতিময়তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশ এবং নন্দনতাত্বিক দিক থেকে এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য। <ref> রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, লেখক- বায়েজিদ আহমেদ, পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫</ref> |
||
== স্থাপত্য তাৎপর্য == |
== স্থাপত্য তাৎপর্য == |
||
⚫ | স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সাবাশ বাংলাদেশ । ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র –শিক্ষক- কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। সে সময় এমন ঘটনার আর্বত সৃষ্টি হয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলই তাতে জড়িয়ে পড়েন এবং [[শহীদ শামসুজ্জোহা|অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা]] শাহাদাৎ বরণ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহৃ করার যে ব্যর্থ প্রয়াসের সূচনা করে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আক্রান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে দল রাজশাহীতে সক্রিয় ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয় । রাজশাহী শহর তৎকালীন ই.পি.আর. নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিপুল অংশ শহরে প্রবেশ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাটি স্থাপন করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিতাড়িত করতে শাহাদৎ বরণ করেন অধ্যাপক [[হবিবুর রহমান]], অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আক্ষদুল কাউযুম, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ছাত্র। |
||
⚫ | ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপাস্থপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদ জননী [[জাহানারা ইমাম]]।<ref>http://bengali.cri.cn/461/2012/03/23/41s122049.htm</ref> ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি [[সুকান্ত ভট্টাচার্য|সুকান্ত ভট্টাচার্যের]] কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো |
||
⚫ | স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য |
||
⚫ | ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপাস্থপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা |
||
''''''সাবাস বাংলাদেশ'''/ |
''''''সাবাস বাংলাদেশ'''/ |
||
১৩ নং লাইন: | ৫০ নং লাইন: | ||
'''তবু মাথা নোয়াবার নয়।'''''' |
'''তবু মাথা নোয়াবার নয়।'''''' |
||
= |
==তথ্য সূত্র== |
||
{{Reflist}} |
{{Reflist|2}} |
||
১. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, লেখক- বায়েজিদ আহমেদ, পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫ |
|||
২. দৈনিক ইত্তেফাক, ১৫.১২.১০ |
|||
⚫ | |||
{{অসম্পূর্ণ}} |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য]] |
১৭:৪০, ২৫ জুন ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সাবাশ বাংলাদেশ | |
---|---|
English: Sabash Bangladesh | |
শিল্পী | নিতুন কুণ্ডু[১] |
বছর | ১৯৯১ |
বিষয় | বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধ |
অবস্থান | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, বাংলাদেশ |
২৪°১৩′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২৪.২২° উত্তর ৮৮.৩৬° পূর্ব |
সাবাশ বাংলাদেশ (ইংরেজি: Shabash Bangladesh) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজরিত ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম। এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। এই ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী নিতুন কুণ্ডু। এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্য।[২] বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতীকি ভাস্কর্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রকাশভঙ্গীর সরলতা, গতিময়তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশ এবং নন্দনতাত্বিক দিক থেকে এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য। [৩]
স্থাপত্য তাৎপর্য
স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সাবাশ বাংলাদেশ । ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র –শিক্ষক- কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। সে সময় এমন ঘটনার আর্বত সৃষ্টি হয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলই তাতে জড়িয়ে পড়েন এবং অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা শাহাদাৎ বরণ করেন। এরপর ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহৃ করার যে ব্যর্থ প্রয়াসের সূচনা করে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আক্রান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে দল রাজশাহীতে সক্রিয় ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয় । রাজশাহী শহর তৎকালীন ই.পি.আর. নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিপুল অংশ শহরে প্রবেশ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাটি স্থাপন করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিতাড়িত করতে শাহাদৎ বরণ করেন অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আক্ষদুল কাউযুম, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ছাত্র।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপাস্থপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম।[৪] ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো
'সাবাস বাংলাদেশ/ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়/ জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার/ তবু মাথা নোয়াবার নয়।'
তথ্য সূত্র
- ↑ http://bengali.cri.cn/461/2012/03/23/41s122049.htm
- ↑ http://www.bssnews.net/bangla/newsDetails.php?cat=21&id=279756&date=2015-03-29
- ↑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, লেখক- বায়েজিদ আহমেদ, পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫
- ↑ http://bengali.cri.cn/461/2012/03/23/41s122049.htm